পাঁচ সহযোগীসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার, চারটি পিস্তল উদ্ধার
শ্রমিক লীগের দুই নেতা, ছাত্রলীগ কর্মীসহ তিন খুন, অপহরণ-চাঁদাবাজিসহ সাত মামলা
পুলিশের
তালিকাভুক্ত বগুড়া শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিল উদ্দিন শুভ ওরফে জামিলুর
রহমানকে (৩৫) পাঁচ সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ তাঁদের কাছ
থেকে চারটি বিদেশি পিস্তল, ১৪টি গুলি ও চারটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে।
জামিল উদ্দিন বগুড়া শহরতলির ধাওয়াপাড়া এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি পদে ছিলেন।
গত মঙ্গলবার রাতে গাবতলী উপজেলার পুরান বাজারে মদের আড্ডা থেকে প্রাইভেট কারে বগুড়া ফেরার পর পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা জামিলুর রহমানের দেহ তল্লাশি করে প্যান্টের কোমর থেকে আটটি গুলিসহ দুটি পিস্তল এবং সহযোগী আবদুল হাদী (৫৩) ও আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে রানার (৪২) দেহ তল্লাশি করে ছয়টি গুলিসহ আরও দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার হয়। আবদুল হাদী শাজাহানপুর উপজেলার দড়িনন্দ গ্রামের এবং আনোয়ারুল ইসলাম শহরতলির দক্ষিণ ধাওয়াপাড়ার বাসিন্দা।
এ ছাড়া প্রাইভেট কারে থাকা আরও তিন সহযোগী শহরের নাটাইপাড়ার ওয়াহেদ বকসের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির (২০), দক্ষিণ ধাওয়াপাড়ার মৃত আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে রাজিব সুলতান (২১) এবং বগুড়া সদরের চাঁচাইতারা-মাদলার জয়নাল আবদিনের ছেলে সুরুজ মিয়াকেও (৩২) আটক করা হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, পুলিশের তালিকাভুক্ত ও শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে শ্রমিক লীগ নেতা হাসানুজ্জামান নাসিম এবং ইসরাইল হোসেন রঞ্জু জোড়া খুন, ছাত্রলীগ কর্মী সংলাপ হত্যাসহ তিনটি হত্যা মামলা, একটি অপহরণ মামলা এবং তিনটি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। অন্যদিকে সহযোগী আবদুল হাদী অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আরিফুর রহমানের ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার রাতে জামিল উদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা গাবতলী উপজেলার পুরান বাজার এলাকায় মদের আসর বসান। সেখানে ফুর্তি করার সময় একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন। এই আড্ডার খবর গোয়েন্দা তথ্যে নিশ্চিত হয়ে তাঁদের ধরার জন্য তিনি বগুড়া থেকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল নিয়ে অভিযানে নামেন। পরে গাবতলী থানা-পুলিশের আরেকটি দলের সহযোগিতায় রাত দেড়টার দিকে বগুড়া-গাবতলী সড়কের ছাতিয়ানতলা এলাকায় রাস্তায় আড়াআড়িভাবে ট্রাক দিয়ে গতিরোধ করে তাঁদের আটক করা হয়। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা করা হয়।
বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শহর আওয়ামী লীগের বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় জামিল উদ্দিন কোনো পদে নেই। তবে দলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নেন তিনি।’
বগুড়া ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘অস্ত্রসহ আটক সন্ত্রাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাঁদের কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব হবে।’
জামিল উদ্দিন বগুড়া শহরতলির ধাওয়াপাড়া এলাকার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি পদে ছিলেন।
গত মঙ্গলবার রাতে গাবতলী উপজেলার পুরান বাজারে মদের আড্ডা থেকে প্রাইভেট কারে বগুড়া ফেরার পর পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা জামিলুর রহমানের দেহ তল্লাশি করে প্যান্টের কোমর থেকে আটটি গুলিসহ দুটি পিস্তল এবং সহযোগী আবদুল হাদী (৫৩) ও আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে রানার (৪২) দেহ তল্লাশি করে ছয়টি গুলিসহ আরও দুটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার হয়। আবদুল হাদী শাজাহানপুর উপজেলার দড়িনন্দ গ্রামের এবং আনোয়ারুল ইসলাম শহরতলির দক্ষিণ ধাওয়াপাড়ার বাসিন্দা।
এ ছাড়া প্রাইভেট কারে থাকা আরও তিন সহযোগী শহরের নাটাইপাড়ার ওয়াহেদ বকসের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির (২০), দক্ষিণ ধাওয়াপাড়ার মৃত আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে রাজিব সুলতান (২১) এবং বগুড়া সদরের চাঁচাইতারা-মাদলার জয়নাল আবদিনের ছেলে সুরুজ মিয়াকেও (৩২) আটক করা হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, পুলিশের তালিকাভুক্ত ও শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী জামিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে শ্রমিক লীগ নেতা হাসানুজ্জামান নাসিম এবং ইসরাইল হোসেন রঞ্জু জোড়া খুন, ছাত্রলীগ কর্মী সংলাপ হত্যাসহ তিনটি হত্যা মামলা, একটি অপহরণ মামলা এবং তিনটি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। অন্যদিকে সহযোগী আবদুল হাদী অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আরিফুর রহমানের ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার রাতে জামিল উদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা গাবতলী উপজেলার পুরান বাজার এলাকায় মদের আসর বসান। সেখানে ফুর্তি করার সময় একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন। এই আড্ডার খবর গোয়েন্দা তথ্যে নিশ্চিত হয়ে তাঁদের ধরার জন্য তিনি বগুড়া থেকে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল নিয়ে অভিযানে নামেন। পরে গাবতলী থানা-পুলিশের আরেকটি দলের সহযোগিতায় রাত দেড়টার দিকে বগুড়া-গাবতলী সড়কের ছাতিয়ানতলা এলাকায় রাস্তায় আড়াআড়িভাবে ট্রাক দিয়ে গতিরোধ করে তাঁদের আটক করা হয়। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা করা হয়।
বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান মাহমুদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শহর আওয়ামী লীগের বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় জামিল উদ্দিন কোনো পদে নেই। তবে দলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নেন তিনি।’
বগুড়া ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘অস্ত্রসহ আটক সন্ত্রাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তাঁদের কাছ থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব হবে।’
No comments