সমৃদ্ধির কর্মকাণ্ড যেন সমুদ্রের সুস্থ পরিবেশ নষ্ট না করে : -প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
অর্থনৈতিক
সমৃদ্ধি অর্জনে যেন সমুদ্রের সুস্থ পরিবেশ বিঘ্নিত না হয় সে বিষয়ে সবাইকে
সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তি,
নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের মধ্যে একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এ জন্য
ব্লু-ইকোনমি বা সুনীল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি সুনীল চিন্তাও করতে
হবে। প্রধানমন্ত্রী সামুদ্রিক জীববৈচিত্র সুরক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে
ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি
আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, প্রতিটি বিনিয়োগ এবং
প্রতিটি পদক্ষেপই মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদকে রক্ষায় নিতে হবে। কারণ দীর্ঘ
মেয়াদে এ অঞ্চলের জন্য এটি অপরিহার্য। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে তৃতীয়
আইওআরএ সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘টেকসই সমুদ্র অর্থনীতির
প্রসার-ভারত মহাসাগরের সর্বোত্তম সুযোগের ব্যবহার’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ওই
আঞ্চলিক সম্মেলনে আইওআরএ’র ২২ সদস্য রাষ্ট্র এবং ৯ ডায়ালগ পার্টনারের
(কান্ট্রি) মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি
অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে সমুদ্রের তলদেশের
অনাবিস্কৃত সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এই অঞ্চলে একটি অভিন্ন টেকসই
সমুদ্র অর্থনৈতিক বেষ্টনী গড়ে তোলার আহবান জানান। বলেন, একীভূত টেকসই
সমুদ্র অর্থনীতির সর্বোচ্চ সুফল পেতে অংশীজনদের মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের
কোন বিকল্প নেই। সাগর-মহাসাগর গ্রিন-হাউজ গ্যাসের প্রায় ৩০ শতাংশ এবং
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে সৃষ্টি হওয়া ৯০ শতাংশ অতিরিক্ত উষ্ণতা শোষণ করে
নেয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে
মানবজাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে।
বাস্তুসংস্থান ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের অতি দ্রুত সাড়া দিতে হবে। মহাসাগরে যে কোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, লক্ষ্য অর্জনে সমুদ্র ও মহাসাগরের জন্য একটি সুসংহত, লাভজনক এবং সামগ্রিক প্রতিরক্ষামূলক নীতি গ্রহণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সামুদ্রিক জীবন সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ধ্বংসাত্মক পদ্ধতি ও উপায়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ এবং অন্যান্য অপরাধ দমনেও কার্যকর আইন প্রণয়নের কথা উল্লেখ করেন। তার সরকার বঙ্গোপসাগর থেকে মৎস্য সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও বিকাশের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী ‘কর্ম পরিকল্পনা’ প্রণয়ন করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো মাছের উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। চলতি বছরের ১লা অক্টোবর বাংলাদেশ দুই বছরের জন্য আইওআরএ’র সহ-সভাপতি এবং ২০২১ সালের ১ লা অক্টোবর থেকে (পরবর্তী দুই বছরের জন্য) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী চ্যালেঞ্জিং ওই দায়িত্ব পালনে সকল সদস্যের সহযোগিতা কামনা করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারত মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশন- আইওআরএ’র যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ঢাকা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইওআরএ জোট মেরিটাইম সুরক্ষা ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহায়তা, মৎস্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁঁকি ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহায়তা, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সর্বোপরি সমুদ্র অর্থনীতির সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। তথাপি, নানাবিধ সীমাবদ্ধতার কারণে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় আমরা কিছু ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে আছি। তিনি বলেন, আপনারা ইতোমধ্যেই আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, সমুদ্র শাসন, সম্পদ উন্মোচন ও আহরণের টেকসই পদ্ধতি, নৌ-পরিবহন, পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ২০১৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অনুষ্ঠিত আইওআরএ লিডার্স সামিটে অংশগ্রহণের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে আমরা আইওআরএ’র নেতৃত্বে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমুদ্র অর্থনীতির উন্নয়নে কাজ করার এবং সমুদ্রযান চলাচলের স্বাধীনতায় সম্মান দেখানোর অঙ্গীকার করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র সম্পদের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম ‘সমুদ্র অঞ্চলের সীমা নির্ধারণ, সমুদ্র সীমানায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের জন্য ‘দি টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স এন্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪ প্রণয়ন করেন। এই আইনটি জাতিসংঘ কতৃক ঘোষণার আট বছর পূর্বেই বাংলাদেশে কার্যকর করা হয়। যখন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এ সম্পর্কে ততটা ধারণাই ছিল না। সরকার প্রধান বলেন, সমুদ্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা শিল্পগুলো যেমন- পণ্য পরিবহন, মৎস্য শিল্প, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সমুদ্র বন্দর, পর্যটন, মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস, মেরিন বায়োটেকনোলজি ইত্যাদি বর্তমানে বিশ্ব অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে অবদান রাখছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ ও তেল পরিবহণের ৬০ শতাংশ এই সাগর-মহাসাগর দিয়েই হচ্ছে। বিগত ১৫ বছরে সমুদ্র বাণিজ্যের পরিমাণ ৬ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপ্রিয় হলেও সত্য যে মানুষ-সৃষ্ট নানা কারণে আমাদের সাগর আজ ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন। মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ আহরণ, পরিবেশ দূষণ, তেল নিঃসরণ, প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণ, শব্দ দূষণ এবং সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তন এসবের অন্যতম কারণ। এর ফলে সাগর ও মহাসাগরের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জীববৈচিত্রই কেবল হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে না, বেশিরভাগ আইওআরএ সদস্য রাষ্ট্র সুনামি ও সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈশ্বিক উষ্ণায়ন উদ্ভিদ ও প্রাণিজগৎকে বিপদগ্রস্ত করে তুলছে এবং মানব জাতিকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আশা করেন- ওই সম্মেলনের সমাপনীতে ‘ঢাকা ঘোষণা’ হিসেবে যা গ্রহণ করা হবে সেটি ভবিষ্যতে আমাদের সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইওআরএ’র চেয়ারপার্সন দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবেশ, বন এবং মৎস্য সম্পদ বিষয়ক উপমন্ত্রী মাখোৎসো মেডেলিন সতিও, আইওআরএ মহাসচিব ড. নমভুভো এন. নকউই, আন্তর্জাতিক সী-বেড অথোরিটির মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষায়িত সমুদ্র সম্পর্কিত ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবঃ) খোরশেদ আলম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাস্তুসংস্থান ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের অতি দ্রুত সাড়া দিতে হবে। মহাসাগরে যে কোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, লক্ষ্য অর্জনে সমুদ্র ও মহাসাগরের জন্য একটি সুসংহত, লাভজনক এবং সামগ্রিক প্রতিরক্ষামূলক নীতি গ্রহণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সামুদ্রিক জীবন সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ধ্বংসাত্মক পদ্ধতি ও উপায়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ এবং অন্যান্য অপরাধ দমনেও কার্যকর আইন প্রণয়নের কথা উল্লেখ করেন। তার সরকার বঙ্গোপসাগর থেকে মৎস্য সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও বিকাশের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী ‘কর্ম পরিকল্পনা’ প্রণয়ন করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ কারণে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো মাছের উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। চলতি বছরের ১লা অক্টোবর বাংলাদেশ দুই বছরের জন্য আইওআরএ’র সহ-সভাপতি এবং ২০২১ সালের ১ লা অক্টোবর থেকে (পরবর্তী দুই বছরের জন্য) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী চ্যালেঞ্জিং ওই দায়িত্ব পালনে সকল সদস্যের সহযোগিতা কামনা করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ভারত মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশন- আইওআরএ’র যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত ঢাকা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইওআরএ জোট মেরিটাইম সুরক্ষা ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহায়তা, মৎস্য ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ ঝুঁঁকি ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহায়তা, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সর্বোপরি সমুদ্র অর্থনীতির সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। তথাপি, নানাবিধ সীমাবদ্ধতার কারণে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় আমরা কিছু ক্ষেত্রে এখনও পিছিয়ে আছি। তিনি বলেন, আপনারা ইতোমধ্যেই আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, সমুদ্র শাসন, সম্পদ উন্মোচন ও আহরণের টেকসই পদ্ধতি, নৌ-পরিবহন, পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেছেন। ২০১৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় অনুষ্ঠিত আইওআরএ লিডার্স সামিটে অংশগ্রহণের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে আমরা আইওআরএ’র নেতৃত্বে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমুদ্র অর্থনীতির উন্নয়নে কাজ করার এবং সমুদ্রযান চলাচলের স্বাধীনতায় সম্মান দেখানোর অঙ্গীকার করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র সম্পদের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম ‘সমুদ্র অঞ্চলের সীমা নির্ধারণ, সমুদ্র সীমানায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের জন্য ‘দি টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স এন্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪ প্রণয়ন করেন। এই আইনটি জাতিসংঘ কতৃক ঘোষণার আট বছর পূর্বেই বাংলাদেশে কার্যকর করা হয়। যখন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এ সম্পর্কে ততটা ধারণাই ছিল না। সরকার প্রধান বলেন, সমুদ্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা শিল্পগুলো যেমন- পণ্য পরিবহন, মৎস্য শিল্প, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সমুদ্র বন্দর, পর্যটন, মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস, মেরিন বায়োটেকনোলজি ইত্যাদি বর্তমানে বিশ্ব অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে অবদান রাখছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ ও তেল পরিবহণের ৬০ শতাংশ এই সাগর-মহাসাগর দিয়েই হচ্ছে। বিগত ১৫ বছরে সমুদ্র বাণিজ্যের পরিমাণ ৬ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপ্রিয় হলেও সত্য যে মানুষ-সৃষ্ট নানা কারণে আমাদের সাগর আজ ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন। মাত্রাতিরিক্ত সম্পদ আহরণ, পরিবেশ দূষণ, তেল নিঃসরণ, প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণ, শব্দ দূষণ এবং সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তন এসবের অন্যতম কারণ। এর ফলে সাগর ও মহাসাগরের উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জীববৈচিত্রই কেবল হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে না, বেশিরভাগ আইওআরএ সদস্য রাষ্ট্র সুনামি ও সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈশ্বিক উষ্ণায়ন উদ্ভিদ ও প্রাণিজগৎকে বিপদগ্রস্ত করে তুলছে এবং মানব জাতিকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আশা করেন- ওই সম্মেলনের সমাপনীতে ‘ঢাকা ঘোষণা’ হিসেবে যা গ্রহণ করা হবে সেটি ভবিষ্যতে আমাদের সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইওআরএ’র চেয়ারপার্সন দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবেশ, বন এবং মৎস্য সম্পদ বিষয়ক উপমন্ত্রী মাখোৎসো মেডেলিন সতিও, আইওআরএ মহাসচিব ড. নমভুভো এন. নকউই, আন্তর্জাতিক সী-বেড অথোরিটির মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষায়িত সমুদ্র সম্পর্কিত ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবঃ) খোরশেদ আলম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
No comments