জাতীয় পার্টির দ্বন্দ্বকে যেভাবে দেখছে সরকার by মাহবুব হাসান
জাতীয়
পার্টিতে সৃষ্ট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির
নেতারা মনে করছেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পদ
এবং রংপুর-৩ আসনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে যে মতভিন্নতা তৈরি হয়েছে সেটাকে
এখনও ভাঙন বলা যায় না। দুই অংশের নেতারা আলোচনার মাধ্যমে এর সমাধান করতে
পারবেন। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধভাবেই জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন
করবে। আর যদি দুটি আলাদা অংশ হয়ে যায়, তাহলে দলটি দুর্বল হয়ে পড়বে।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে জাতীয় পার্টি এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার অবর্তমানে দলে নতুন করে ভাঙন হলে বিরোধী দল হিসেবে অবস্থানও দুর্বল হয়ে যাবে। কেননা ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করছিল। কিন্তু দুটি অংশ হয়ে গেলে দুই অংশেই সিনিয়র নেতা ও সংসদ সদস্যরা অবস্থান নেবেন। ফলে দলটির ঐক্য নষ্ট হবে।
প্রসঙ্গত, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তার ভাই ও দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের। কিন্তু তার পদের ব্যাপারে বিরোধিতা করে আসছিলেন অন্য কো-চেয়ারম্যান এবং এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ। সংকট আরও ঘনীভূত হয় জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসন নিয়ে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দলের ১৫ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর নিয়ে নিজেকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার জন্য স্পিকারকে চিঠি দেন জি এম কাদের। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির আরেকটি অংশের কয়েকজন নেতা বুধবারই রওশন এরশাদের বাসায় বৈঠক করেন। বৃহস্পতিবার একইস্থানে বৈঠক শেষে রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। পাশাপাশি রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান দাবি করে নির্বাচন কমিশনেও একটি চিঠি পাঠানো হয়।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জাতীয় পার্টির এই ভাঙন নিয়ে নীরব থাকবেন তারা। এটা জাপার অভ্যন্তরীণ বিষয়। কোনও অংশেরই পক্ষ না নিয়ে তারা এর সমাধান আশা করছেন। সংসদে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টিকে আশা করছেন তারা।
সূত্রের দাবি, শেষ পর্যন্ত দুই অংশ মিলে যাবে। দুটি অংশেই সংসদ সদস্যরা রয়েছেন। দলটির সিনিয়র নেতারাও দুই ভাগে ভাগ হয়ে পড়েছেন। তারা দলকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন। কেননা এখন নিজেরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে দলটি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সংসদে গঠনমূলক বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে। তাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা না করে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই সমীচীন হবে। তাহলে সংসদে একটি দল হিসেবে যেমন ভূমিকা পালন করতে পারবে, তেমনি রাজনৈতিক অঙ্গনেও নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জাতীয় পার্টিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটাকে এখনও ভাঙন বলা যায় না। এর আগে দলটিতে রওশন এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতা এবং জি এম কাদেরকে দলের চেয়ারম্যান করে একটি সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এখনও সেভাবেই দলটি উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে পারে।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় পার্টি আবার ভেঙে যাক সেটা তারা চান না। সরকার দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার যে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, সে যাত্রায় জাতীয় পার্টির সমর্থন চায়। সংসদে বিরোধী দল হিসেবে আগামীতেও জাতীয় পার্টিকেই প্রত্যাশা করেন তারা। সে কারণে জাতীয় পার্টির দুই অংশের মধ্যে সমাঝোতা চায় সরকার।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তারা দল ভাঙা-গড়া চায় না। জাতীয় পার্টির ঐক্য চায়। দলটির নেতাদের মধ্যে যে ভিন্নমত তৈরি হয়েছে সেটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলটিতে চেয়ারম্যন ও বিরোধী দলীয় নেতার পদ নিয়ে যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে দুই পক্ষের শীর্ষ ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে সমাঝোতা হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে জাতীয় পার্টি এমনিতেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার অবর্তমানে দলে নতুন করে ভাঙন হলে বিরোধী দল হিসেবে অবস্থানও দুর্বল হয়ে যাবে। কেননা ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করছিল। কিন্তু দুটি অংশ হয়ে গেলে দুই অংশেই সিনিয়র নেতা ও সংসদ সদস্যরা অবস্থান নেবেন। ফলে দলটির ঐক্য নষ্ট হবে।
প্রসঙ্গত, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তার ভাই ও দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের। কিন্তু তার পদের ব্যাপারে বিরোধিতা করে আসছিলেন অন্য কো-চেয়ারম্যান এবং এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ। সংকট আরও ঘনীভূত হয় জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতার আসন নিয়ে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দলের ১৫ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর নিয়ে নিজেকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার জন্য স্পিকারকে চিঠি দেন জি এম কাদের। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির আরেকটি অংশের কয়েকজন নেতা বুধবারই রওশন এরশাদের বাসায় বৈঠক করেন। বৃহস্পতিবার একইস্থানে বৈঠক শেষে রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। পাশাপাশি রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান দাবি করে নির্বাচন কমিশনেও একটি চিঠি পাঠানো হয়।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জাতীয় পার্টির এই ভাঙন নিয়ে নীরব থাকবেন তারা। এটা জাপার অভ্যন্তরীণ বিষয়। কোনও অংশেরই পক্ষ না নিয়ে তারা এর সমাধান আশা করছেন। সংসদে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টিকে আশা করছেন তারা।
সূত্রের দাবি, শেষ পর্যন্ত দুই অংশ মিলে যাবে। দুটি অংশেই সংসদ সদস্যরা রয়েছেন। দলটির সিনিয়র নেতারাও দুই ভাগে ভাগ হয়ে পড়েছেন। তারা দলকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবেন। কেননা এখন নিজেরা ঐক্যবদ্ধ না থাকলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে দলটি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সংসদে গঠনমূলক বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করেছে। তাদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা না করে ঐক্যবদ্ধ থাকাটাই সমীচীন হবে। তাহলে সংসদে একটি দল হিসেবে যেমন ভূমিকা পালন করতে পারবে, তেমনি রাজনৈতিক অঙ্গনেও নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, জাতীয় পার্টিতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেটাকে এখনও ভাঙন বলা যায় না। এর আগে দলটিতে রওশন এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতা এবং জি এম কাদেরকে দলের চেয়ারম্যান করে একটি সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এখনও সেভাবেই দলটি উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে পারে।
আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় পার্টি আবার ভেঙে যাক সেটা তারা চান না। সরকার দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার যে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, সে যাত্রায় জাতীয় পার্টির সমর্থন চায়। সংসদে বিরোধী দল হিসেবে আগামীতেও জাতীয় পার্টিকেই প্রত্যাশা করেন তারা। সে কারণে জাতীয় পার্টির দুই অংশের মধ্যে সমাঝোতা চায় সরকার।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তারা দল ভাঙা-গড়া চায় না। জাতীয় পার্টির ঐক্য চায়। দলটির নেতাদের মধ্যে যে ভিন্নমত তৈরি হয়েছে সেটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলটিতে চেয়ারম্যন ও বিরোধী দলীয় নেতার পদ নিয়ে যে অনৈক্য সৃষ্টি হয়েছে, ছাড় দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে দুই পক্ষের শীর্ষ ব্যক্তিরা এগিয়ে এলে সমাঝোতা হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
No comments