মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মনোভাব নিয়ে সংশয় হিউম্যান রাইটস ওয়াচের
মিয়ানমারের
সেনাবাহিনীর ন্যায়বিচার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক
আন্তর্জাতিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। মিয়ানমারের রাখাইনে মুসলিম
রোহিঙ্গাদের একটি গ্রামে রোহিঙ্গা নির্যাতনের সময় নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা
৪০০ মানুষকে হত্যা করেছে। এসব হত্যাকাণ্ডের দায়ে জড়িত সেনা সদস্যদের সামরিক
আদালতে বিচার করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। কিন্তু তাদের
এমন উদ্দেশ্য নিয়ে দ্বিধা প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার বিষয়ক
এই সংগঠন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
সোমবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে তাদের মনোভাবের কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় না। তারা দু’বছর আগে চালানো ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান’-এর সময় নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে। কিন্তু তাদের নৃশংসতা থেকে জীবন বাঁচাতে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, রোহিঙ্গা উগ্রপন্থিদের হামলার জবাব দেয়া হয়েছে- এমন কথা ব্যবহার করে সেনাবাহিনী রাখাইনে নৃশংসতা চালানোর পক্ষে সাফাই গাইছে। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সপ্তাহান্তে ঘোষণা দিয়েছে, তারা নৃশংসতার জবাবে তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছে যে, রাখাইনের ওই গ্রামে তাদের নির্দেশ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় নি। তবে কোন তারিখে বা কি ধরনের অপরাধ সেখানে ঘটানো হয়েছিল তার বিস্তারিত জানায়নি তারা। তবে তারা বলেছে, সামরিক আইনের অধীনে গুটাবাইন গ্রামে সংঘটিত ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচার করা হবে সামরিক আদালতে।
গত বছর জানুয়ারিতে বার্তা সংস্থা এপি রিপোর্ট করে যে, তাদের হাতে তথ্যপ্রমাণ এসেছে। তাতে এমন ইঙ্গিত দেয় যে, নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা ওই গ্রামে গণহত্যা চালিয়েছে। গ্রামটি গুদার পাইন নামেও পরিচিত। নিহতদের মৃতদেহ কমপক্ষে ৫টি গণকবরে চাপা দেয়া হয় সেখানে। তবে এ রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তারা সামরিক আদালতে বিচারের যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে এই গ্রামের গণহত্যা অন্তর্ভুক্ত কিনা তাও অজানা। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতি নিধন অথবা গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে বহু মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপ। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন ২০১৬ সাল থেকে রাখাইনে বড় রকমের নির্যাতনের তথ্য প্রামাণ্য আকারে তুলে ধরেছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ, গ্রামে গ্রামে অগ্নিসংযোগ। এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মতো যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য বিচার করার কথা বলা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিভাগের উপ-পরিচালক ফিল রবার্টসন বলেছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হাতেগোনা দু’চারজন সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে বিচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটাই তাদের দিক থেকে অনেক বড় কিছু। তারা এটা করছে আমরা যখন হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ সহ নৃশংসতার বিষয়ে কথা বলছি। তাদের এসব নির্যাতনে তাদেরই লোকজন ও সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এভাবে কিছু নিম্নস্তরের সেনা সদস্যকে বলির পাঁঠা বানানোর মাধ্যমে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। তাদের এমন সামরিক আদালতে বিচার মনে হচ্ছে আরেকটি গেম। তিনি এক ই-মেইলে আহ্বান জানান, এমন বিচার করতে হলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডারদের বিরুদ্ধে করতে হবে, যারা শাস্তির মুখোমুখি হবেন। ফিল রবার্টসন আরো বলেন, আপনি বলতে পারেন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই বিচারের বিষয়ে সিরিয়াস নয়। কারণ, তারা পুরো অপারেশন রিভিউ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। রুদ্ধদ্বার ব্যবস্থায় তারা সামরিক আদালতের বিচারকে আড়াল করছে। ফলে জনগণ ও মিডিয়ার চোখ ফাঁকি দেয়া হবে এর মাধ্যমে। তাই তাদের এমন কর্মকাণ্ডের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মনোভাবের পরিবর্তন হবে এমনটা ভেবে কারো বোকা হওয়া উচিত নয়। এখনো ওই সেনাবাহিনী দাবি করে, তারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অধিকার লঙ্ঘন করেনি। জঘন্য অপরাধে আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতা থেকে তারা নিজেদের মুক্ত রাখার চেষ্টা করে।
সোমবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে তাদের মনোভাবের কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় না। তারা দু’বছর আগে চালানো ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান’-এর সময় নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে। কিন্তু তাদের নৃশংসতা থেকে জীবন বাঁচাতে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, রোহিঙ্গা উগ্রপন্থিদের হামলার জবাব দেয়া হয়েছে- এমন কথা ব্যবহার করে সেনাবাহিনী রাখাইনে নৃশংসতা চালানোর পক্ষে সাফাই গাইছে। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সপ্তাহান্তে ঘোষণা দিয়েছে, তারা নৃশংসতার জবাবে তদন্ত করে নিশ্চিত হয়েছে যে, রাখাইনের ওই গ্রামে তাদের নির্দেশ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় নি। তবে কোন তারিখে বা কি ধরনের অপরাধ সেখানে ঘটানো হয়েছিল তার বিস্তারিত জানায়নি তারা। তবে তারা বলেছে, সামরিক আইনের অধীনে গুটাবাইন গ্রামে সংঘটিত ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচার করা হবে সামরিক আদালতে।
গত বছর জানুয়ারিতে বার্তা সংস্থা এপি রিপোর্ট করে যে, তাদের হাতে তথ্যপ্রমাণ এসেছে। তাতে এমন ইঙ্গিত দেয় যে, নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা ওই গ্রামে গণহত্যা চালিয়েছে। গ্রামটি গুদার পাইন নামেও পরিচিত। নিহতদের মৃতদেহ কমপক্ষে ৫টি গণকবরে চাপা দেয়া হয় সেখানে। তবে এ রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তারা সামরিক আদালতে বিচারের যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে এই গ্রামের গণহত্যা অন্তর্ভুক্ত কিনা তাও অজানা। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতি নিধন অথবা গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে বহু মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপ। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন ২০১৬ সাল থেকে রাখাইনে বড় রকমের নির্যাতনের তথ্য প্রামাণ্য আকারে তুলে ধরেছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ, গ্রামে গ্রামে অগ্নিসংযোগ। এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মতো যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য বিচার করার কথা বলা হয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিভাগের উপ-পরিচালক ফিল রবার্টসন বলেছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হাতেগোনা দু’চারজন সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে বিচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটাই তাদের দিক থেকে অনেক বড় কিছু। তারা এটা করছে আমরা যখন হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ সহ নৃশংসতার বিষয়ে কথা বলছি। তাদের এসব নির্যাতনে তাদেরই লোকজন ও সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এভাবে কিছু নিম্নস্তরের সেনা সদস্যকে বলির পাঁঠা বানানোর মাধ্যমে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। তাদের এমন সামরিক আদালতে বিচার মনে হচ্ছে আরেকটি গেম। তিনি এক ই-মেইলে আহ্বান জানান, এমন বিচার করতে হলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডারদের বিরুদ্ধে করতে হবে, যারা শাস্তির মুখোমুখি হবেন। ফিল রবার্টসন আরো বলেন, আপনি বলতে পারেন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই বিচারের বিষয়ে সিরিয়াস নয়। কারণ, তারা পুরো অপারেশন রিভিউ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। রুদ্ধদ্বার ব্যবস্থায় তারা সামরিক আদালতের বিচারকে আড়াল করছে। ফলে জনগণ ও মিডিয়ার চোখ ফাঁকি দেয়া হবে এর মাধ্যমে। তাই তাদের এমন কর্মকাণ্ডের ভেতর দিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মনোভাবের পরিবর্তন হবে এমনটা ভেবে কারো বোকা হওয়া উচিত নয়। এখনো ওই সেনাবাহিনী দাবি করে, তারা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অধিকার লঙ্ঘন করেনি। জঘন্য অপরাধে আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতা থেকে তারা নিজেদের মুক্ত রাখার চেষ্টা করে।
No comments