কাশ্মীরে ব্ল্যাকআউট বন্ধে অ্যামনেস্টির ক্যামেপইন
কাশ্মীরে
মাসব্যাপী ‘ব্ল্যাকআউট’ বন্ধে ‘আর্জেন্ট ক্যাম্পেইন’ শুরু করেছে
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এই
প্রচারণার হ্যাসট্যাগ #লেটকাশ্মীরস্পিক। কাশ্মীরে কি পরিস্থিতি মানুষের সে
বিষয়টিও তুলে ধরেছে তারা। বলা হয়েছে, কাশ্মীরে ভয়াবহভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
করে রাখা সেখানকার জনমানুষের নাগরিক অধিকারের বিরুদ্ধে এক নিষ্ঠুর
অত্যাচার। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভারত চ্যাপ্টার থেকে এ বিষয়ে একটি
বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ৫ই সেপ্টেম্বর তারা ওই প্রচারণা
শুরু করেছে। এতে কাশ্মীরের অচলাবস্থার জন্য মানুষকে কীভাবে মূল্য দিতে
হচ্ছে তা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হবে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ভারত
চ্যাপ্টারের প্রধান আকার প্যাটেল বলেছেন, ওই অচলাবস্থা এখন এক মাস হয়েছে।
ভারত সরকারের এই অচলাবস্থা আর দীর্ঘায়িত হতে পারে না। কারণ, এতে কাশ্মীরের মানুষের নিত্যদিনের জীবনযাত্রা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের আবেগ ও মানসিক অবস্থা, চিকিৎসা সুবিধা একইসঙ্গে দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও জরুরি সেবা ব্যাহত হচ্ছে। অচলাবস্থার কারণে কাশ্মীরি পরিবারগুলোর সদস্যরা আলাদা হয়ে পড়ছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ক্যামেপইন থেকে গত এক মাস ধরে চলা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে কাশ্মীরিদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছে। ভারত সরকার কর্তৃক কাশ্মীরের স্বশাসনের অধিকার কেড়ে নেয়ার পর সেখানে টেলিফোন সেবা বন্ধ রয়েছে। জম্মু অঞ্চল যখন অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে তখনো কাশ্মীরের বেশিরভাগ এলাকাই বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। এ নিয়ে আকার প্যাটেল বলেন, একটি এলাকার নির্দিষ্ট কিছু জনগোষ্ঠীর মত প্রকাশ ও চলাচলের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার অর্থ হচ্ছে তাদেরকে অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নেয়া। তথাকথিত নয়া কাশ্মীর কখনোই কাশ্মীরিদের ছাড়া নির্মাণ সম্ভব নয়। গত এক মাস যাবৎ ভারত সরকার বলে আসছে কাশ্মীরে সব স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে এখনো অনেক কিছু শোনার বাকি। ২রা সেপ্টেম্বর ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুবরামানায়াম জয়শংকর বলেন, কাশ্মীরের সন্ত্রাসীদেরকে তাদের নেতাদের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতেই সেখানে ইন্টারনেট, টেলিফোন সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। আলাদা করে শুধু সন্ত্রাসীদের জন্য এই সেবা বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেয়া সম্ভব নয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ বিষয়ে অবহিত আছে বলে জানিয়েছে। নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগ থাকলেও বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠীর সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখা ভারতীয় সংবিধানের বিরোধী।
কাশ্মীর থেকে পাওয়া গণগ্রেপ্তার, বেসামরিক নাগরিকদের নির্যাতন, রাবার বুলেট, পেলেট গান ও টিয়ারগ্যাসের বাছবিচারহীন
ব্যবহারের নিন্দা জানায় অ্যামনেস্টি। একে এই অঞ্চলের সব থেকে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সংস্থাটি। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও সেখানকার মানুষজন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। আতঙ্কে বেশিরভাগ মানুষ ঘর থেকে বেরুচ্ছে না।
ভারত সরকারের এই অচলাবস্থা আর দীর্ঘায়িত হতে পারে না। কারণ, এতে কাশ্মীরের মানুষের নিত্যদিনের জীবনযাত্রা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের আবেগ ও মানসিক অবস্থা, চিকিৎসা সুবিধা একইসঙ্গে দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও জরুরি সেবা ব্যাহত হচ্ছে। অচলাবস্থার কারণে কাশ্মীরি পরিবারগুলোর সদস্যরা আলাদা হয়ে পড়ছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ক্যামেপইন থেকে গত এক মাস ধরে চলা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে কাশ্মীরিদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছে। ভারত সরকার কর্তৃক কাশ্মীরের স্বশাসনের অধিকার কেড়ে নেয়ার পর সেখানে টেলিফোন সেবা বন্ধ রয়েছে। জম্মু অঞ্চল যখন অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে তখনো কাশ্মীরের বেশিরভাগ এলাকাই বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। এ নিয়ে আকার প্যাটেল বলেন, একটি এলাকার নির্দিষ্ট কিছু জনগোষ্ঠীর মত প্রকাশ ও চলাচলের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার অর্থ হচ্ছে তাদেরকে অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নেয়া। তথাকথিত নয়া কাশ্মীর কখনোই কাশ্মীরিদের ছাড়া নির্মাণ সম্ভব নয়। গত এক মাস যাবৎ ভারত সরকার বলে আসছে কাশ্মীরে সব স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে এখনো অনেক কিছু শোনার বাকি। ২রা সেপ্টেম্বর ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুবরামানায়াম জয়শংকর বলেন, কাশ্মীরের সন্ত্রাসীদেরকে তাদের নেতাদের থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতেই সেখানে ইন্টারনেট, টেলিফোন সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। আলাদা করে শুধু সন্ত্রাসীদের জন্য এই সেবা বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেয়া সম্ভব নয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ বিষয়ে অবহিত আছে বলে জানিয়েছে। নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগ থাকলেও বৃহৎ একটি জনগোষ্ঠীর সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখা ভারতীয় সংবিধানের বিরোধী।
কাশ্মীর থেকে পাওয়া গণগ্রেপ্তার, বেসামরিক নাগরিকদের নির্যাতন, রাবার বুলেট, পেলেট গান ও টিয়ারগ্যাসের বাছবিচারহীন
ব্যবহারের নিন্দা জানায় অ্যামনেস্টি। একে এই অঞ্চলের সব থেকে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সংস্থাটি। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও সেখানকার মানুষজন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। আতঙ্কে বেশিরভাগ মানুষ ঘর থেকে বেরুচ্ছে না।
No comments