যেমন আছেন আসাফ্উদ্দৌলাহ্: সময় কাটছে গলফের মাঠে বইয়ের কোর্টে by কাজল ঘোষ
ঘটনাক্রম
ওয়ান ইলেভেন। অস্থির সময়। রাজনীতির টালমাটাল অবস্থা। দাবার চাল চলছে
রাজকাহনে। কে আসে, কে যায়? নতুন নতুন সংস্কার নিয়ে হাজির হচ্ছেন দলছুট
নেতারা। দেশের হালহকিকত উল্টোপাল্টা চলছে। বড় নেতারা দলে দলে কারাগারে নয়তো
জার্সি বদলে। সকলেই সাফসুতরা প্রমাণের চেষ্টায় ধরনা দিচ্ছেন কোথাও কোথাও ।
বস্তা বস্তা দুর্নীতির ফিরিস্তি। এল ট্রুথ কমিশন। দু নেত্রী বিশেষ কারাগারে বন্দি। নতুন নতুন ফরমুলা নিয়ে হাজির সেনাসমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার। চাষের মাঠ থেকে তখন রাজনীতির মাঠে আলুর ব্যাপকতা। কিন্তু তাবৎ ঘটনার পেছনের উদ্দেশ্য কি? গণতন্ত্র কি বিদায় নিচ্ছে? বাক্ স্বাধীনতায় কি নতুন কোন চ্যালেঞ্জ আছে? তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। জীবন ঝুঁকি নিয়ে টেলিভিশন পর্দায় কথা বলতেন। সরকারের নানা পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করতেন। দেশজুড়ে অগণন মানুষের; তৃণমূলের মনের কথা স্পষ্ট ভাষায় বলতেন। মানুষ তার স্পষ্ট কথা শুনতে চোখ রাখতো টিভি পর্দায়। আলোচিত সেই মানুষটির কথা আজও মনে করেন মানুষ। দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণ কি? প্রশ্ন সর্বত্র হঠাৎ কি মিইয়ে গেলেন তিনি? একদশক একেবারে লোকচক্ষুর বাইরে। কিন্তু কেন? নিজেই জানালেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ছিলেন লম্বা সময়। দফায় দফায় সিঙ্গাপুর যাওয়া। কখনও হৃদরোগ, কখনও চোখের চিকিৎসার জন্য। স্বাস্থ্যধকল কাটিয়ে এখন অনেকটাই স্থিতু। এরইমধ্যে কোরআন শরীফ নিয়ে করেছেন বড় কাজ। করেছেন ‘কোরআন শরীফের’ বাংলা অনুবাদ। প্রায় ৯ বছর সময় লেগেছে কোরআনের অনুবাদে। বইটি আলোর মুখ দেখেছে ২০১৪ সালে। পরপর দুটি সংস্করণ প্রকাশ হয়েছে।
একের পর এক সাতবার স্ট্যান্টিং করাতে হয়েছে হৃদযন্ত্র সচল রাখতে। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এখন সাঁতার কাটতে পারেন না। একসময়ের চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু এখন আপসোসে ঠাসা। এক সময় ঢাকা ক্লাবে সাঁতার কাটতেন নিয়মিত। স্বাস্থ্য কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তিরাশিতে পা দেয়া ডাকসাইটে সাবেক এই আমলার।
সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক বলেছেন ফাঁকে ফাঁকে গলফ খেলতে পারবেন, তবে আস্তে আস্তে ধীরলয়ে। একথা বলে নিজের অজান্তেই হেসে ওঠেন। বলেন, আচ্ছা বলুনতো, ডাক্তার জানেন কিনা গলফ আস্তে খেলার বিষয় নয়। যা হোক, দমে যাবার পাত্র নন তিনি। ঠিকই মাঝে মধ্যে হাজির হচ্ছেন ক্যান্টনমেন্টের গলফ কোর্টে। সচল সচকিত প্রাণ সম্পন্ন মানুষটি এখনও সময় পেলেই গানে মনোনিবেশ করেন। দলবল নিয়ে বসে পড়েন নিবিড় চর্চায়। বোন ফিরোজা বেগম ছিলেন নজরুল সঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী। গুণী এই বোনের প্রয়াণ তাকে একহারা করে ফেলেছে অনেকটাই। তবুও জীবনতো থেমে থাকার নয়। সঙ্গীত অন্তঃপ্রাণ মানুষটি নজরুলের অপ্রচলিত গানের আধুনিক রূপ দেয়া নিয়ে কাজ করছেন।
‘জেমস অব নজরুল’ তারই প্রকাশ। বিদ্রোহী কবির অপ্রচলিত গানগুলো নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের আয়োজনে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশের জন্য স্রোতাদের জন্য গেয়েছেন নজরুলের বেশ কিছু অপ্রচলিত গান। ১৯৬৮ সালে এই গানগুলোই করেছিলেন কিংবদন্তির নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের সঙ্গে। নতুন আঙ্গিকের এই উন্মোচনে তার সঙ্গে রয়েছেন আরও ৩৫ জন শিল্পী।
এক সময় মিডিয়ায় সরব মানুষ ছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশ টুডের সম্পাদক, বাংলাভিশনের প্রধান নির্বাহী। চ্যানেল আই’য়ের পত্রপত্রিকা নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান ‘সংবাদপত্রে বাংলাদেশের’ সরব কন্ঠস্বর। সেই পথ থেকে বিরতি নিয়েছেন ঠিকই তবে তার তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি রয়েছে চলতি ঘটনাপ্রবাহে। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় রাজনীতির পরিমণ্ডল নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ ক্ষমতা এখনও মুগ্ধতা ছড়ায়।
বাংলাদেশ-ভারত-চীন সম্পর্ক; রোহিঙ্গা ইস্যু, চলমান রাজনীতির ভালোমন্দ নিয়ে বিশ্লেষণ আর ভবিষ্যৎ বাণী সত্যিই মিলে যায়। যা তিনি এক দশক আগেই টকশোতে বলেছিলেন ওয়ান ইলেভেন শাসকদের নিয়ে। সে সময়ে বন্দুকের নল মানুষটিকে দমাতে পারেনি। বলায়, লেখায় সমান তালে ন্যায়ের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। শেষ পর্যন্ত মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন গণতন্ত্রের পথে থাকতে, চলতে। আজও তাই আশা পোষণ করেন।
এক সময় ধানমন্ডির বাসিন্দা ছিলেন। এখন থিতু হয়েছেন গুলশানে। তিন কন্যা ও এক পুত্র, সহধর্মীনি আর নাতি নাতনীদের সঙ্গে গল্প আড্ডায় দিন কাটে। বই পড়া, গলফ খেলা আর সঙ্গীত চর্চা এই তিন নেশায় বুঁদ থাকেন। নতুন করে একটি বই লেখার চিন্তা মাথায় আঁটছেন। এই স্বপ্নের বাস্তবায়নে কাজও শুরু করে দিয়েছেন মানুষটি। এতক্ষণে নিশ্চয় পাঠক বুঝে গেছেন, তিনি আর কেউ নন, আসাফ্উদ্দৌলাহ্।
বস্তা বস্তা দুর্নীতির ফিরিস্তি। এল ট্রুথ কমিশন। দু নেত্রী বিশেষ কারাগারে বন্দি। নতুন নতুন ফরমুলা নিয়ে হাজির সেনাসমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার। চাষের মাঠ থেকে তখন রাজনীতির মাঠে আলুর ব্যাপকতা। কিন্তু তাবৎ ঘটনার পেছনের উদ্দেশ্য কি? গণতন্ত্র কি বিদায় নিচ্ছে? বাক্ স্বাধীনতায় কি নতুন কোন চ্যালেঞ্জ আছে? তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তিনি। জীবন ঝুঁকি নিয়ে টেলিভিশন পর্দায় কথা বলতেন। সরকারের নানা পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করতেন। দেশজুড়ে অগণন মানুষের; তৃণমূলের মনের কথা স্পষ্ট ভাষায় বলতেন। মানুষ তার স্পষ্ট কথা শুনতে চোখ রাখতো টিভি পর্দায়। আলোচিত সেই মানুষটির কথা আজও মনে করেন মানুষ। দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণ কি? প্রশ্ন সর্বত্র হঠাৎ কি মিইয়ে গেলেন তিনি? একদশক একেবারে লোকচক্ষুর বাইরে। কিন্তু কেন? নিজেই জানালেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ছিলেন লম্বা সময়। দফায় দফায় সিঙ্গাপুর যাওয়া। কখনও হৃদরোগ, কখনও চোখের চিকিৎসার জন্য। স্বাস্থ্যধকল কাটিয়ে এখন অনেকটাই স্থিতু। এরইমধ্যে কোরআন শরীফ নিয়ে করেছেন বড় কাজ। করেছেন ‘কোরআন শরীফের’ বাংলা অনুবাদ। প্রায় ৯ বছর সময় লেগেছে কোরআনের অনুবাদে। বইটি আলোর মুখ দেখেছে ২০১৪ সালে। পরপর দুটি সংস্করণ প্রকাশ হয়েছে।
একের পর এক সাতবার স্ট্যান্টিং করাতে হয়েছে হৃদযন্ত্র সচল রাখতে। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও এখন সাঁতার কাটতে পারেন না। একসময়ের চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু এখন আপসোসে ঠাসা। এক সময় ঢাকা ক্লাবে সাঁতার কাটতেন নিয়মিত। স্বাস্থ্য কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তিরাশিতে পা দেয়া ডাকসাইটে সাবেক এই আমলার।
সিঙ্গাপুরের চিকিৎসক বলেছেন ফাঁকে ফাঁকে গলফ খেলতে পারবেন, তবে আস্তে আস্তে ধীরলয়ে। একথা বলে নিজের অজান্তেই হেসে ওঠেন। বলেন, আচ্ছা বলুনতো, ডাক্তার জানেন কিনা গলফ আস্তে খেলার বিষয় নয়। যা হোক, দমে যাবার পাত্র নন তিনি। ঠিকই মাঝে মধ্যে হাজির হচ্ছেন ক্যান্টনমেন্টের গলফ কোর্টে। সচল সচকিত প্রাণ সম্পন্ন মানুষটি এখনও সময় পেলেই গানে মনোনিবেশ করেন। দলবল নিয়ে বসে পড়েন নিবিড় চর্চায়। বোন ফিরোজা বেগম ছিলেন নজরুল সঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী। গুণী এই বোনের প্রয়াণ তাকে একহারা করে ফেলেছে অনেকটাই। তবুও জীবনতো থেমে থাকার নয়। সঙ্গীত অন্তঃপ্রাণ মানুষটি নজরুলের অপ্রচলিত গানের আধুনিক রূপ দেয়া নিয়ে কাজ করছেন।
‘জেমস অব নজরুল’ তারই প্রকাশ। বিদ্রোহী কবির অপ্রচলিত গানগুলো নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের আয়োজনে ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশের জন্য স্রোতাদের জন্য গেয়েছেন নজরুলের বেশ কিছু অপ্রচলিত গান। ১৯৬৮ সালে এই গানগুলোই করেছিলেন কিংবদন্তির নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের সঙ্গে। নতুন আঙ্গিকের এই উন্মোচনে তার সঙ্গে রয়েছেন আরও ৩৫ জন শিল্পী।
এক সময় মিডিয়ায় সরব মানুষ ছিলেন। ছিলেন বাংলাদেশ টুডের সম্পাদক, বাংলাভিশনের প্রধান নির্বাহী। চ্যানেল আই’য়ের পত্রপত্রিকা নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠান ‘সংবাদপত্রে বাংলাদেশের’ সরব কন্ঠস্বর। সেই পথ থেকে বিরতি নিয়েছেন ঠিকই তবে তার তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি রয়েছে চলতি ঘটনাপ্রবাহে। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় রাজনীতির পরিমণ্ডল নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ ক্ষমতা এখনও মুগ্ধতা ছড়ায়।
বাংলাদেশ-ভারত-চীন সম্পর্ক; রোহিঙ্গা ইস্যু, চলমান রাজনীতির ভালোমন্দ নিয়ে বিশ্লেষণ আর ভবিষ্যৎ বাণী সত্যিই মিলে যায়। যা তিনি এক দশক আগেই টকশোতে বলেছিলেন ওয়ান ইলেভেন শাসকদের নিয়ে। সে সময়ে বন্দুকের নল মানুষটিকে দমাতে পারেনি। বলায়, লেখায় সমান তালে ন্যায়ের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। শেষ পর্যন্ত মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন গণতন্ত্রের পথে থাকতে, চলতে। আজও তাই আশা পোষণ করেন।
এক সময় ধানমন্ডির বাসিন্দা ছিলেন। এখন থিতু হয়েছেন গুলশানে। তিন কন্যা ও এক পুত্র, সহধর্মীনি আর নাতি নাতনীদের সঙ্গে গল্প আড্ডায় দিন কাটে। বই পড়া, গলফ খেলা আর সঙ্গীত চর্চা এই তিন নেশায় বুঁদ থাকেন। নতুন করে একটি বই লেখার চিন্তা মাথায় আঁটছেন। এই স্বপ্নের বাস্তবায়নে কাজও শুরু করে দিয়েছেন মানুষটি। এতক্ষণে নিশ্চয় পাঠক বুঝে গেছেন, তিনি আর কেউ নন, আসাফ্উদ্দৌলাহ্।
No comments