মহাকাশ সংস্থার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না ইরান
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির
নীতি গ্রহণ করেছে। পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আমেরিকা কঠোর
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
ট্রাম্প প্রশাসন আর্থ-রাজনৈতিক, জ্বালানি, শিল্প, প্রযুক্তি সব ক্ষেত্রেই ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করছে। ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে মার্কিন প্রশাসন সর্বশেষ ইরানের মহাকাশ গবেষণা কর্মসূচি এবং এর দুটি ইন্সটিটিউটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দাবি করেছেন, মহাকাশ গবেষণা কর্মসূচির নামে ইরানকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিচালনা করতে দেয়া হবে না। গত ২৯ আগস্ট ইরান যে রকেট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করেছে তা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিরই অংশ বলে তিনি দাবি করেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মাধ্যমে ওয়াশিংটনের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মহাকাশ গবেষণাসহ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়া। এর আগে গত বছর মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানকে যে ১২টি শর্ত দিয়েছিলেন তার মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করার বিষয়টিও ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পসহ আমেরিকার অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা বহুবার ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধের ওপর জোর দিয়েছেন।
ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির পাশাপাশি ইরান মহাকাশ গবেষণার ওপরও জোর দিয়েছে। কারণ বর্তমান যুগে টেলিযোগাযোগ, গবেষণা, গোয়েন্দা তৎপরতা, পরিবেশ রক্ষাসহ আরো বহু ক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ও মহাকাশ গবেষণার উন্নয়ন একটি জরুরি বিষয়। এ ক্ষেত্রে ইরানের গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মসূচি আমেরিকা ও দখলদার ইসরাইলের জন্য অসহ্য হয়ে উঠেছে। এ কারণে ওয়াশিংটন এ ব্যাপারে ইরানের গবেষণা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু, ইরানের এ কর্মসূচি সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তি, দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও পাশ্চাত্যের বিরোধিতা সত্বেও ইরান গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাই পাশ্চাত্যের চাপ ও নিষেধাজ্ঞা ইরানকে এ সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে পারবে না। পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক গবেষক ভ্লাদিমির সাজেন বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি শক্তিশালী করার মাধ্যমে তেহরান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জবাব দিয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি থেকে ইরানকে বিরত রাখার মার্কিন চেষ্টা অনর্থক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভেবেছিলেন, কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে ইরানকে আলোচনার টেবিলে বসানো যাবে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওর দেয়া ১২টি প্রস্তাব মেনে নিতে তেহরানকে বাধ্য করা যাবে। কিন্তু ইরান নিজের অবস্থানে অটল রয়েছে এবং ওয়াশিংটনকে জানিয়ে দিয়েছে কোনো চাপের কাছে তারা নতি স্বীকার করবে না।
ট্রাম্প প্রশাসন আর্থ-রাজনৈতিক, জ্বালানি, শিল্প, প্রযুক্তি সব ক্ষেত্রেই ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করছে। ধারাবাহিক নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে মার্কিন প্রশাসন সর্বশেষ ইরানের মহাকাশ গবেষণা কর্মসূচি এবং এর দুটি ইন্সটিটিউটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও দাবি করেছেন, মহাকাশ গবেষণা কর্মসূচির নামে ইরানকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিচালনা করতে দেয়া হবে না। গত ২৯ আগস্ট ইরান যে রকেট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করেছে তা ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিরই অংশ বলে তিনি দাবি করেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মাধ্যমে ওয়াশিংটনের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মহাকাশ গবেষণাসহ ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করে দেয়া। এর আগে গত বছর মে মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানকে যে ১২টি শর্ত দিয়েছিলেন তার মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করার বিষয়টিও ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পসহ আমেরিকার অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা বহুবার ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধের ওপর জোর দিয়েছেন।
ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির পাশাপাশি ইরান মহাকাশ গবেষণার ওপরও জোর দিয়েছে। কারণ বর্তমান যুগে টেলিযোগাযোগ, গবেষণা, গোয়েন্দা তৎপরতা, পরিবেশ রক্ষাসহ আরো বহু ক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ও মহাকাশ গবেষণার উন্নয়ন একটি জরুরি বিষয়। এ ক্ষেত্রে ইরানের গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মসূচি আমেরিকা ও দখলদার ইসরাইলের জন্য অসহ্য হয়ে উঠেছে। এ কারণে ওয়াশিংটন এ ব্যাপারে ইরানের গবেষণা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।
কিন্তু, ইরানের এ কর্মসূচি সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তি, দক্ষতা ও যোগ্যতার ওপর ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও পাশ্চাত্যের বিরোধিতা সত্বেও ইরান গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাই পাশ্চাত্যের চাপ ও নিষেধাজ্ঞা ইরানকে এ সংক্রান্ত গবেষণা কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে পারবে না। পশ্চিম এশিয়া বিষয়ক গবেষক ভ্লাদিমির সাজেন বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি শক্তিশালী করার মাধ্যমে তেহরান মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জবাব দিয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি থেকে ইরানকে বিরত রাখার মার্কিন চেষ্টা অনর্থক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভেবেছিলেন, কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে ইরানকে আলোচনার টেবিলে বসানো যাবে এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওর দেয়া ১২টি প্রস্তাব মেনে নিতে তেহরানকে বাধ্য করা যাবে। কিন্তু ইরান নিজের অবস্থানে অটল রয়েছে এবং ওয়াশিংটনকে জানিয়ে দিয়েছে কোনো চাপের কাছে তারা নতি স্বীকার করবে না।
No comments