চট্টগ্রামে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে কিশোর অপরাধীরা by ইব্রাহিম খলিল
চট্টগ্রামে
ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে কিশোর অপরাধীরা। একের পর এক খুন, মাদক চোরাচালান, ছিনতাই,
চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও আধিপত্য বিস্তারে জড়িয়ে পড়ছে তারা। কিশোর অপরাধের
সর্বশেষ বলি কলেজছাত্র জাকির হোসেন জনি (১৮)।
এ ছাড়া গত ৮ মাসে চট্টগ্রামে কিশোর অপরাধীদের হাতে খুন হয়েছেন আরো ৬ জন। গত দেড় বছরে কিশোর অপরাধের কারণে নগরের বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে কমপক্ষে ২৫টি।
সিএমপির তথ্য মতে, পারিবারিক অনুশাসনের অভাবে খুনসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা। তুচ্ছ বিষয়ে কথা কাটাকাটি, ফেসবুক-মোবাইল, প্রেম, চুরি-ছিনতাইসহ নানা ইস্যুতে সামান্য মতানৈক্য হলেই এদের মাথায় খুন চাপে।
আবার মাদক বিক্রেতা থেকে শুরু করে রাজনীতীবিদ পর্যন্ত অনেকেই নিজেদের স্বার্থে কিশোরদের অপরাধ জগতে টানছে। ফলে এই কিশোররা পরিবারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
যারা শুধু পাড়া-পড়শি নয়, নিজের পরিবারের জন্যও মারাত্মক বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
সূত্র মতে, ২০১৮ সালের ১৬ই জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র আদনান ইসপারকে প্রকাশ্যে মাথায় গুলি করে হত্যার ঘটনার পর নগর দাপিয়ে বেড়ানো কিশোর অপরাধীদের নিয়ে নড়েচড়ে বসেছিল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এ সময় পাড়ায়-পাড়ায় সক্রিয় কিশোর গ্যাংয়ের তালিকাও করা হয়েছিল। কিশোরদের আড্ডায় নিয়মিত হানা দিয়েছিল পুলিশ। এতে সড়কের জনবহুল আস্তানা থেকে কিশোররা গা ঢাকা দেয় অলিগলির মোড়ে। কিন্তু এরপর কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশের এই কার্যক্রম কার্যত থেমে গেছে।
ফলে চট্টগ্রাম নগরীর পাড়ায়-পাড়ায় আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কিশোর অপরাধ। কিশোররা গ্যাং গঠন করে মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে যুক্ত হচ্ছে। এমনকি নগরীর সরকারি-বেসরকারি স্কুল কলেজগুলোতেও সক্রিয় রয়েছে এই কিশোর গ্যাং।
পুলিশের তথ্যমতে, নগরীতে অন্তত ৩শ’ কিশোর গ্যাং চিহ্নিত হয়েছে। যারা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম নগরীতে কিশোর অপরাধীদের সন্ধানে নেমেছে র্যাব। পাশাপাশি কিশোর অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় হচ্ছে পুলিশও।
কিশোর অপরাধের সর্বশেষ বলি জাকির হোসেন জনি (১৮)। ২৬শে আগস্ট সোমবার দুপুরে নগরের খুলশী থানার জাকির হোসেন সড়কে ওমরগণি এমইএস কলেজের ফটকের অদূরে ইক্যুইটি ভবনের সামনে ছুরিকাঘাতে খুন হয় জনি। এ খুনের নেপথ্যে বেসরকারি ওমরগণি এমইএস কলেজকেন্দ্রিক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরোধের তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
এছাড়া গত ২২শে আগস্ট বড়ভাইয়ের ছত্রছায়ায় চুরি করা ৩ কিশোরকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, স্থানীয় এক বড় ভাইয়ের ছত্রছায়ায় চুরি করেন তারা। চুরির পর এসব মালামাল জমা দেয়া হয় ওই বড়ভাইকে। শুধু তারাই নয়, কৈশোর পার হওয়া একদল তরুণকে দিয়ে শহরজুড়ে এই চুরির কাজ করান কথিত বড়ভাই। নিয়মিত চুরি করার কথা স্বীকার করে ও চুরির কৌশল তুলে ধরে ২১শে আগস্ট বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটক কিশোররা।
তারা জবানবন্দিতে বলে, বগারবিলের এক বড় ভাইয়ের আশ্রয়ে গত ৩-৪ বছর ধরে চুরি করে আসছে তারা। যা পাওয়া যেতো সব কিছুই বড়ভাইকে জমা দেয়ার পর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেয়া হতো তাদের।
এর আগে ১৬ই আগস্ট বৃহসপতিবার গভীর রাতে নগরীর আগ্রাবাদ মৌলভীবাজার তিন রাস্তার মোড় থেকে মেয়ে ঘটিত বিষয় নিয়ে মারামারির অভিযোগে সোহাগ গ্রুপের ৮ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছেন, এলাকায় তারা সোহাগ গ্রুপ নামে পরিচিত। তারা নগরের আওয়ামী লীগের এক শীর্ষপর্যায়ের নেতার অনুসারী হিসেবে এলাকায় নিজেদের প্রচার করে। তারা রাজনৈতিক মিছিল, সভা-সমাবেশে অংশ নেয় বলেও জানায় পুলিশ।
গত ১৮ই জুলাই গভীর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় একটি কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে অন্তদ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছে এক তরুণ। পুলিশ জানিয়েছে, এই কিশোর গ্যাং চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। খুন হওয়া সদ্য কৈশোর পার করা তরুণসহ গ্যাংয়ের সব সদস্যই বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
গত তিন মাসে এই ধরনের আরো বেশ কয়েকটি ঘটনার পর চট্টগ্রাম নগরীতে কিশোর গ্যাং কালচার আবারো আলোচনায় আসছে।
পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, ২০১৮ সালে আদনান ইসপার হত্যার পর নগর পুলিশ অপরাধচক্রে জড়িত কিশোর এবং অপরাধপ্রবণ এলাকার তালিকা করেছিল। তালিকায় প্রায় ৫৫০ জন কিশোরের নাম এসেছিল। অপরাধপ্রবণ স্পট, যেখানে নিয়মিত আড্ডা বসে, এই ধরনের স্পটের নাম এসেছিল প্রায় ৩শ’। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন সপটে আড্ডারত কিশোর-তরুণ দেখলে আটকের কথাও ঘোষণা দেয়া হয়েছিল নগর পুলিশের পক্ষ থেকে।
এসব কিশোরদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের জন্য নগরীর লালখানবাজার, চকবাজার, নন্দনকানন, সিআরবি, বিশ্বকলোনি, বহদ্দারহাট, পলিটেকনিক এলাকার কয়েকজন আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার নাম পেয়েছিল পুলিশ। কিশোর-তরুণ অপরাধীদের যারা নিয়ন্ত্রক, তাদের প্রভাব অনেক বেশি। এর ফলে কিশোরদের অপরাধ দমনের বিষয়টি দিন দিন বেড়েই চলছে।
পুলিশ সূত্রমতে, কোচিংভিত্তিক, রাজনৈতিক, স্কুল-কলেজভিত্তিক, চাকরিজীবী এই ধরনের অন্তত ১৫টি ক্যাটাগরির আড্ডার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। তালিকা তৈরির পর কয়েকমাস সপটগুলো নিয়মিত পুলিশের নজরদারিতে ছিল। কিন্তু এখন সেই আড্ডাস্থলগুলো আবারো সরব কিশোর-তরুণদের আনাগোনায়।
সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, কিশোর অপরাধী এবং অপরাধপ্রবণ স্পটগুলোর তালিকা আমাদের কাছে আছে। সেই তালিকা ধরে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাই। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর যেসব স্পটে কিশোর-তরুণরা নিয়মিত আড্ডা দেয়, সেই স্পটগুলো আমাদের নজরদারিতে আছে।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মো. মাশকুর রহমান বলেন, সদর দপ্তরের নির্দেশে আমরা কিশোর অপরাধী চক্রের তালিকা করতে শুরু করেছি। মূলত নগরীর যেসব স্পটে কিশোর-তরুণদের আনাগোনা বেশি থাকে এবং অপরাধ সংঘটিত হয়, সেসব স্পটকে আমরা আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চিহ্নিত করছি। নগরীর ১৬ থানা এবং জেলার ১৬ থানা এলাকা থেকেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এ ছাড়া গত ৮ মাসে চট্টগ্রামে কিশোর অপরাধীদের হাতে খুন হয়েছেন আরো ৬ জন। গত দেড় বছরে কিশোর অপরাধের কারণে নগরের বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে কমপক্ষে ২৫টি।
সিএমপির তথ্য মতে, পারিবারিক অনুশাসনের অভাবে খুনসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে শিশু-কিশোররা। তুচ্ছ বিষয়ে কথা কাটাকাটি, ফেসবুক-মোবাইল, প্রেম, চুরি-ছিনতাইসহ নানা ইস্যুতে সামান্য মতানৈক্য হলেই এদের মাথায় খুন চাপে।
আবার মাদক বিক্রেতা থেকে শুরু করে রাজনীতীবিদ পর্যন্ত অনেকেই নিজেদের স্বার্থে কিশোরদের অপরাধ জগতে টানছে। ফলে এই কিশোররা পরিবারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
যারা শুধু পাড়া-পড়শি নয়, নিজের পরিবারের জন্যও মারাত্মক বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
সূত্র মতে, ২০১৮ সালের ১৬ই জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর জামালখানে কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র আদনান ইসপারকে প্রকাশ্যে মাথায় গুলি করে হত্যার ঘটনার পর নগর দাপিয়ে বেড়ানো কিশোর অপরাধীদের নিয়ে নড়েচড়ে বসেছিল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এ সময় পাড়ায়-পাড়ায় সক্রিয় কিশোর গ্যাংয়ের তালিকাও করা হয়েছিল। কিশোরদের আড্ডায় নিয়মিত হানা দিয়েছিল পুলিশ। এতে সড়কের জনবহুল আস্তানা থেকে কিশোররা গা ঢাকা দেয় অলিগলির মোড়ে। কিন্তু এরপর কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশের এই কার্যক্রম কার্যত থেমে গেছে।
ফলে চট্টগ্রাম নগরীর পাড়ায়-পাড়ায় আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কিশোর অপরাধ। কিশোররা গ্যাং গঠন করে মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে যুক্ত হচ্ছে। এমনকি নগরীর সরকারি-বেসরকারি স্কুল কলেজগুলোতেও সক্রিয় রয়েছে এই কিশোর গ্যাং।
পুলিশের তথ্যমতে, নগরীতে অন্তত ৩শ’ কিশোর গ্যাং চিহ্নিত হয়েছে। যারা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম নগরীতে কিশোর অপরাধীদের সন্ধানে নেমেছে র্যাব। পাশাপাশি কিশোর অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় হচ্ছে পুলিশও।
কিশোর অপরাধের সর্বশেষ বলি জাকির হোসেন জনি (১৮)। ২৬শে আগস্ট সোমবার দুপুরে নগরের খুলশী থানার জাকির হোসেন সড়কে ওমরগণি এমইএস কলেজের ফটকের অদূরে ইক্যুইটি ভবনের সামনে ছুরিকাঘাতে খুন হয় জনি। এ খুনের নেপথ্যে বেসরকারি ওমরগণি এমইএস কলেজকেন্দ্রিক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের বিরোধের তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
এছাড়া গত ২২শে আগস্ট বড়ভাইয়ের ছত্রছায়ায় চুরি করা ৩ কিশোরকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, স্থানীয় এক বড় ভাইয়ের ছত্রছায়ায় চুরি করেন তারা। চুরির পর এসব মালামাল জমা দেয়া হয় ওই বড়ভাইকে। শুধু তারাই নয়, কৈশোর পার হওয়া একদল তরুণকে দিয়ে শহরজুড়ে এই চুরির কাজ করান কথিত বড়ভাই। নিয়মিত চুরি করার কথা স্বীকার করে ও চুরির কৌশল তুলে ধরে ২১শে আগস্ট বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটক কিশোররা।
তারা জবানবন্দিতে বলে, বগারবিলের এক বড় ভাইয়ের আশ্রয়ে গত ৩-৪ বছর ধরে চুরি করে আসছে তারা। যা পাওয়া যেতো সব কিছুই বড়ভাইকে জমা দেয়ার পর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেয়া হতো তাদের।
এর আগে ১৬ই আগস্ট বৃহসপতিবার গভীর রাতে নগরীর আগ্রাবাদ মৌলভীবাজার তিন রাস্তার মোড় থেকে মেয়ে ঘটিত বিষয় নিয়ে মারামারির অভিযোগে সোহাগ গ্রুপের ৮ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছেন, এলাকায় তারা সোহাগ গ্রুপ নামে পরিচিত। তারা নগরের আওয়ামী লীগের এক শীর্ষপর্যায়ের নেতার অনুসারী হিসেবে এলাকায় নিজেদের প্রচার করে। তারা রাজনৈতিক মিছিল, সভা-সমাবেশে অংশ নেয় বলেও জানায় পুলিশ।
গত ১৮ই জুলাই গভীর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় একটি কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে অন্তদ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছে এক তরুণ। পুলিশ জানিয়েছে, এই কিশোর গ্যাং চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। খুন হওয়া সদ্য কৈশোর পার করা তরুণসহ গ্যাংয়ের সব সদস্যই বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
গত তিন মাসে এই ধরনের আরো বেশ কয়েকটি ঘটনার পর চট্টগ্রাম নগরীতে কিশোর গ্যাং কালচার আবারো আলোচনায় আসছে।
পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, ২০১৮ সালে আদনান ইসপার হত্যার পর নগর পুলিশ অপরাধচক্রে জড়িত কিশোর এবং অপরাধপ্রবণ এলাকার তালিকা করেছিল। তালিকায় প্রায় ৫৫০ জন কিশোরের নাম এসেছিল। অপরাধপ্রবণ স্পট, যেখানে নিয়মিত আড্ডা বসে, এই ধরনের স্পটের নাম এসেছিল প্রায় ৩শ’। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন সপটে আড্ডারত কিশোর-তরুণ দেখলে আটকের কথাও ঘোষণা দেয়া হয়েছিল নগর পুলিশের পক্ষ থেকে।
এসব কিশোরদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের জন্য নগরীর লালখানবাজার, চকবাজার, নন্দনকানন, সিআরবি, বিশ্বকলোনি, বহদ্দারহাট, পলিটেকনিক এলাকার কয়েকজন আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার নাম পেয়েছিল পুলিশ। কিশোর-তরুণ অপরাধীদের যারা নিয়ন্ত্রক, তাদের প্রভাব অনেক বেশি। এর ফলে কিশোরদের অপরাধ দমনের বিষয়টি দিন দিন বেড়েই চলছে।
পুলিশ সূত্রমতে, কোচিংভিত্তিক, রাজনৈতিক, স্কুল-কলেজভিত্তিক, চাকরিজীবী এই ধরনের অন্তত ১৫টি ক্যাটাগরির আড্ডার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল। তালিকা তৈরির পর কয়েকমাস সপটগুলো নিয়মিত পুলিশের নজরদারিতে ছিল। কিন্তু এখন সেই আড্ডাস্থলগুলো আবারো সরব কিশোর-তরুণদের আনাগোনায়।
সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, কিশোর অপরাধী এবং অপরাধপ্রবণ স্পটগুলোর তালিকা আমাদের কাছে আছে। সেই তালিকা ধরে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাই। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর যেসব স্পটে কিশোর-তরুণরা নিয়মিত আড্ডা দেয়, সেই স্পটগুলো আমাদের নজরদারিতে আছে।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মো. মাশকুর রহমান বলেন, সদর দপ্তরের নির্দেশে আমরা কিশোর অপরাধী চক্রের তালিকা করতে শুরু করেছি। মূলত নগরীর যেসব স্পটে কিশোর-তরুণদের আনাগোনা বেশি থাকে এবং অপরাধ সংঘটিত হয়, সেসব স্পটকে আমরা আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চিহ্নিত করছি। নগরীর ১৬ থানা এবং জেলার ১৬ থানা এলাকা থেকেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
No comments