কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য: মেয়ে সংক্রান্ত ঘটনার জেরে খুন হয় মহসিন by মোহাম্মদ ওমর ফারুক
মহসিন
(১৪)। মোহাম্মদপুর চাইল্ড হেভেন স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। বুধবার
সন্ধ্যায় কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হয় এই কিশোর।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে মহসিন ও তার বন্ধু রুবেল তাদের এক মেয়ে বন্ধুকে
নিয়ে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় কাটাশুরের কয়েকজন
কিশোর-তরুণ এসে আপত্তিকর মন্তব্য করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি
হয়। এর জের ধরেই কয়েকজন কিশোর ও তরুণ চান মিয়া হাউজিংয়ের বেড়িবাধের পাশে
পাইওনিয়ার হাউজিং এর গলিতে এসে মহসিনের ওপর হামলা চালায়। গুরতর আহত অবস্থায়
তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এসময় আহত হয় আরো তিনজন। আহতরা হলেন, সাব্বির (১৭), রাকিব (১৭) ও রুবেল (২৩)। প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চান মিয়া হাউজিং এলাকার ২ নম্বর সড়কে মহসিন, রুবেলসহ কয়েকজন কিশোর মুঠোফোনে ছবি দেখছিল। একপর্যায়ে তাদের সমবয়সী একদল কিশোর এসে চাপাতি নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এঘটনার সময় মিজানুর রহমান নামে একজন পালিয়ে যায়। বাকিরা মহসিনকে বাচাতে গিয়ে আহত হন। পরে তারা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। এই ঘটনায় আসিফ ও রকি নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রদক্ষদর্শী রিকশা চালক আলমগীর হোসেন বলেন , যখন ছেলেটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তখন সে বেশ আহত হয়েছিল। চারদিক রক্তে ভরে গিয়েছিলো। আর যারা মেরেছে তারা দিকবেদিক দৌড়ে চলে গেছে। তিনি বলেন ,আমাদের এলাকার ছেলেরা কর্মজীবী এদের আড্ডা দেয়ার সময় নাই। বাহিরের কিছু ছেলে- পেলে এসে আড্ডা দিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
এলাকাবাসী বলছে ,মহসিন ও রুবেলের সঙ্গে হামলাকারীরা চলাফেরা করত। মহসিন তার মায়ের সঙ্গে চান মিয়া হাউজিংয়ে থাকত। ছোটবেলায় তার বাবা মারা গেছেন। তার মা লায়লী বেগম মানুষের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন।
বেড়িবাধ এলাকার চা দোকানদার রিয়াদ মিয়া জানান, তারা একসাথেই চলাফেরা করতো। চা, সিগারেট খেতো। তবে মহসিন সবার থেকে একটু ভালো ছিলো। বাকিরা নিরীহ মানুষদের হুমকি ধমকি দিতো। দোকানে বাকি খেয়ে টাকা দিতো না। এই গ্রুপটাই বখাটে ছিলো। তাদের দুই তিনটা বাইক ছিলো। ওরা এলাকায় আসলে সবাই টের পেতো।
এদিকে পুলিশ সূত্র বলছে, কিশোর গ্যাং এর দু’গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ও প্রেম সংক্রান্ত জেরেই তাকে হত্যা করা হয়। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, মোহাম্মদপুরে রকি ও রবিন গ্রুপ নামে দুটি কিশোর গ্যাং মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। সমপ্রতি এক মেয়েক নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এলাকায় এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠকও হয়। বুধবার রাতে তেমনই একটি সমঝোতা বৈঠক চলছিল। এ সময় রবিন গ্রুপের এক কিশোর উত্তেজিত হয়ে ওঠে। দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় মহাসিনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। দুটি কিশোর গ?্যাংয়ের সদস?্যরা অনেক দিন ধরেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, মেয়েদের উত্যক্ত করে আসছিল। এলাকার অলি-গলিতে দিন-রাত আড্ডায় মেতে থাকে তারা। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। তারা প্রত্যেকেই মাদকে আসক্ত।
সরেজমিনে মোহাম্মদপুরের চানমিয়া হাউজিং এলাকায় গিয়েও এর সত্যতা পাওয়া গেছে। কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই গ্রুপের কিশোর’রা সবসময়ই আড্ডা দিতো এলাকায় । বিশেষ করে স্কুল ছুটির পর বিকেল থেকে রাত এগারোটা বারোটা পর্যন্ত চলতো এই আড্ডা। অনেক সময় দোকানে বাকি খেয়ে টাকা দিতো না, মানুষকে কথায় কথায় হুমকি দিতো। এই এলাকার বাসিন্দা আলী রেজা বলেন , তাদের যন্ত্রনায় মানুষ অসহ্য হয়ে গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় গতকাল সকালে নিহত মহসিনের বড় ভাই বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মহসিনের মা লায়লী বেগম বলেন, আমার ছেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে চারটায় বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর শুনি এই ঘটনা। আমি এর বিচার চাই। আমার ছেলে কোনো অপরাধ করলে আমার কাছে বা পুলিশের কাছে বিচার দিতে পারতো। আমার ছেলেটারে এভাবে মেরে ফেল্লো?
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণেশ গোপাল বিশ্বাস জানান, মহসিন খুনে জড়িতরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। আধিপত্য বিস্তার ও একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এসময় আহত হয় আরো তিনজন। আহতরা হলেন, সাব্বির (১৭), রাকিব (১৭) ও রুবেল (২৩)। প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চান মিয়া হাউজিং এলাকার ২ নম্বর সড়কে মহসিন, রুবেলসহ কয়েকজন কিশোর মুঠোফোনে ছবি দেখছিল। একপর্যায়ে তাদের সমবয়সী একদল কিশোর এসে চাপাতি নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এঘটনার সময় মিজানুর রহমান নামে একজন পালিয়ে যায়। বাকিরা মহসিনকে বাচাতে গিয়ে আহত হন। পরে তারা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। এই ঘটনায় আসিফ ও রকি নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রদক্ষদর্শী রিকশা চালক আলমগীর হোসেন বলেন , যখন ছেলেটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তখন সে বেশ আহত হয়েছিল। চারদিক রক্তে ভরে গিয়েছিলো। আর যারা মেরেছে তারা দিকবেদিক দৌড়ে চলে গেছে। তিনি বলেন ,আমাদের এলাকার ছেলেরা কর্মজীবী এদের আড্ডা দেয়ার সময় নাই। বাহিরের কিছু ছেলে- পেলে এসে আড্ডা দিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
এলাকাবাসী বলছে ,মহসিন ও রুবেলের সঙ্গে হামলাকারীরা চলাফেরা করত। মহসিন তার মায়ের সঙ্গে চান মিয়া হাউজিংয়ে থাকত। ছোটবেলায় তার বাবা মারা গেছেন। তার মা লায়লী বেগম মানুষের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন।
বেড়িবাধ এলাকার চা দোকানদার রিয়াদ মিয়া জানান, তারা একসাথেই চলাফেরা করতো। চা, সিগারেট খেতো। তবে মহসিন সবার থেকে একটু ভালো ছিলো। বাকিরা নিরীহ মানুষদের হুমকি ধমকি দিতো। দোকানে বাকি খেয়ে টাকা দিতো না। এই গ্রুপটাই বখাটে ছিলো। তাদের দুই তিনটা বাইক ছিলো। ওরা এলাকায় আসলে সবাই টের পেতো।
এদিকে পুলিশ সূত্র বলছে, কিশোর গ্যাং এর দু’গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ও প্রেম সংক্রান্ত জেরেই তাকে হত্যা করা হয়। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, মোহাম্মদপুরে রকি ও রবিন গ্রুপ নামে দুটি কিশোর গ্যাং মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। সমপ্রতি এক মেয়েক নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এলাকায় এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠকও হয়। বুধবার রাতে তেমনই একটি সমঝোতা বৈঠক চলছিল। এ সময় রবিন গ্রুপের এক কিশোর উত্তেজিত হয়ে ওঠে। দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় মহাসিনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। দুটি কিশোর গ?্যাংয়ের সদস?্যরা অনেক দিন ধরেই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, মেয়েদের উত্যক্ত করে আসছিল। এলাকার অলি-গলিতে দিন-রাত আড্ডায় মেতে থাকে তারা। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। তারা প্রত্যেকেই মাদকে আসক্ত।
সরেজমিনে মোহাম্মদপুরের চানমিয়া হাউজিং এলাকায় গিয়েও এর সত্যতা পাওয়া গেছে। কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই গ্রুপের কিশোর’রা সবসময়ই আড্ডা দিতো এলাকায় । বিশেষ করে স্কুল ছুটির পর বিকেল থেকে রাত এগারোটা বারোটা পর্যন্ত চলতো এই আড্ডা। অনেক সময় দোকানে বাকি খেয়ে টাকা দিতো না, মানুষকে কথায় কথায় হুমকি দিতো। এই এলাকার বাসিন্দা আলী রেজা বলেন , তাদের যন্ত্রনায় মানুষ অসহ্য হয়ে গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় গতকাল সকালে নিহত মহসিনের বড় ভাই বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মহসিনের মা লায়লী বেগম বলেন, আমার ছেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। ঘটনার দিন বিকাল সাড়ে চারটায় বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর শুনি এই ঘটনা। আমি এর বিচার চাই। আমার ছেলে কোনো অপরাধ করলে আমার কাছে বা পুলিশের কাছে বিচার দিতে পারতো। আমার ছেলেটারে এভাবে মেরে ফেল্লো?
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণেশ গোপাল বিশ্বাস জানান, মহসিন খুনে জড়িতরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। আধিপত্য বিস্তার ও একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
No comments