রোহিঙ্গা ডাকাত নুরের ৪টি বাড়ি একাধিক স্ত্রী! by ইব্রাহিম খলিল
কক্সবাজারে
উখিয়া- টেকনাফে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের অনেকেই বড় ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে
পড়ছেন। টেকনাফের দুর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ দীর্ঘদিন বাংলাদেশে
বসবাস করে কোটিপতি বনে গেছেন। তার রয়েছে চারটি বাড়ি, একাধিক গাড়ি ও চার
স্ত্রী।
সমপ্রতি টেকনাফের ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক হত্যা মামলায় তার সমপৃক্ততার কথা উঠে আসায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এরপর রোববার টেকনাফের জাদিমোড়া এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন নুর মোহাম্মদ। মরে গিয়েও চমকপ্রদ আলোচনার পথ রেখে গেছেন রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ। তার মরদেহের সঙ্গে পাওয়া যায় বাংলাদেশি স্মার্টকার্ড। এটি এখন সবার মাঝে আলোচনার বিষয়।
পুলিশের তথ্যমতে, চট্টগ্রামের ষোলশহরের বার্মা কলোনি এলাকার বাসিন্দা হিসেবে নুর আলম নামে বাংলাদেশের ভোটার হয়েছেন রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ। ষোলশহর এলাকা থেকে যথারীতি স্মার্টকার্ডও সংগ্রহ করেছেন তিনি।
স্মার্টকার্ডের তথ্যানুযায়ী, রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদের বাংলাদেশি স্মার্টকার্ডটি ২০১৭ সালের ২৩শে জানুয়ারি চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশনের ঠিকানায় ইস্যু করা হয়। কার্ডে তার নাম নুর আলম। বাবা কালা মিয়া এবং মা সরু বেগম। জন্মতারিখ ২৫শে নভেম্বর ১৯৮৩। জন্মস্থান চট্টগ্রাম। এনআইডি নম্বর-৬০০৪৫৮৯৯৬৩।
স্থায়ী ঠিকানায় লেখা আছে, বাসা/হোল্ডিং- মাস্টারের মার বাড়ি, গ্রাম/রাস্তা-বার্মা কলোনি, হিলভিউ রোড, পশ্চিম ষোলশহর (পার্ট-২), ডাকঘর- আমিন জুট মিলস-৪২১১, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
সেই হিসেবে রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ আইনগতভাবে বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের তথ্যভাণ্ডারও সেই প্রমাণই বহন করছে। সেখানে তার তথ্য সংরক্ষিত আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। আমাদেরও প্রশ্ন একজন রোহিঙ্গা ডাকাত কীভাবে ভোটার হলেন? বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরাধীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের আগমনের শুরু থেকেই কক্সবাজারে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শরণার্থী হিসেবে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের আগে রোহিঙ্গারা যাতে এদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র না পায় সেজন্য মূলত এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ কার্যক্রম চালু থাকায় কক্সবাজার জেলার বাসিন্দারা জন্মনিবন্ধনসহ নানা সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
এরপরও প্রশ্ন উঠেছে, মানবিকতার খাতিরে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গা ও নুর মোহাম্মদের মতো চিহ্নিত অপরাধীরা কীভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো এবং স্মার্টকার্ড পেলো। নুর মোহাম্মদ হয়তো তার পরিবারের সদস্যদেরও স্মার্টকার্ডের আওতায় এনেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান এ প্রসঙ্গে বলেন, রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ কীভাবে নগরীর ষোলশহর এলাকার ঠিকানায় স্মার্টকার্ড পেলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাঠ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। হয়তো খুব শিগগিরই আমরা বিস্তারিত জানাতে পারবো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ মূলত মিয়ানমারের আকিয়াব এলাকার কালা মিয়ার ছেলে। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যামেপ বসবাস করছিলেন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত তার চারটি বাড়ি থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
এরমধ্যে একটি বাড়ি রয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরীর পশ্চিম ষোলশহর হিলভিউ রোডের বার্মা কলোনি এলাকায়। একটি বাড়ি রয়েছে কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলায়। একটি করে বাড়ি রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায়। প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে একজন করে স্ত্রী। এরমধ্যে চট্টগ্রাম শহরের বার্মা কলোনির বাড়ির ওই স্ত্রীর নাম আয়েশা আক্তার বলে জানা গেছে। আয়েশা আক্তারও কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা।
সমপ্রতি টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যামেপ তার মেয়ের কান ফোঁড়ানোর অনুষ্ঠানে এক কেজির বেশি স্বর্ণ ও নগদ কয়েক লাখ টাকা উপহার সামগ্রী হিসেবে জমা পড়ে। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ও নিমন্ত্রিত অতিথিরা ছিল সব রোহিঙ্গা ডাকাত। প্রসঙ্গত, গত ২২শে আগস্ট রাতে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক (৩০)কে গুলি করে হত্যা করা হয়। একদল রোহিঙ্গা ফারুককে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়।
সমপ্রতি টেকনাফের ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক হত্যা মামলায় তার সমপৃক্ততার কথা উঠে আসায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এরপর রোববার টেকনাফের জাদিমোড়া এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন নুর মোহাম্মদ। মরে গিয়েও চমকপ্রদ আলোচনার পথ রেখে গেছেন রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ। তার মরদেহের সঙ্গে পাওয়া যায় বাংলাদেশি স্মার্টকার্ড। এটি এখন সবার মাঝে আলোচনার বিষয়।
পুলিশের তথ্যমতে, চট্টগ্রামের ষোলশহরের বার্মা কলোনি এলাকার বাসিন্দা হিসেবে নুর আলম নামে বাংলাদেশের ভোটার হয়েছেন রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ। ষোলশহর এলাকা থেকে যথারীতি স্মার্টকার্ডও সংগ্রহ করেছেন তিনি।
স্মার্টকার্ডের তথ্যানুযায়ী, রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদের বাংলাদেশি স্মার্টকার্ডটি ২০১৭ সালের ২৩শে জানুয়ারি চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশনের ঠিকানায় ইস্যু করা হয়। কার্ডে তার নাম নুর আলম। বাবা কালা মিয়া এবং মা সরু বেগম। জন্মতারিখ ২৫শে নভেম্বর ১৯৮৩। জন্মস্থান চট্টগ্রাম। এনআইডি নম্বর-৬০০৪৫৮৯৯৬৩।
স্থায়ী ঠিকানায় লেখা আছে, বাসা/হোল্ডিং- মাস্টারের মার বাড়ি, গ্রাম/রাস্তা-বার্মা কলোনি, হিলভিউ রোড, পশ্চিম ষোলশহর (পার্ট-২), ডাকঘর- আমিন জুট মিলস-৪২১১, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
সেই হিসেবে রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ আইনগতভাবে বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের তথ্যভাণ্ডারও সেই প্রমাণই বহন করছে। সেখানে তার তথ্য সংরক্ষিত আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক সাইদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। আমাদেরও প্রশ্ন একজন রোহিঙ্গা ডাকাত কীভাবে ভোটার হলেন? বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরাধীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের আগমনের শুরু থেকেই কক্সবাজারে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। শরণার্থী হিসেবে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের আগে রোহিঙ্গারা যাতে এদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র না পায় সেজন্য মূলত এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ কার্যক্রম চালু থাকায় কক্সবাজার জেলার বাসিন্দারা জন্মনিবন্ধনসহ নানা সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
এরপরও প্রশ্ন উঠেছে, মানবিকতার খাতিরে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গা ও নুর মোহাম্মদের মতো চিহ্নিত অপরাধীরা কীভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো এবং স্মার্টকার্ড পেলো। নুর মোহাম্মদ হয়তো তার পরিবারের সদস্যদেরও স্মার্টকার্ডের আওতায় এনেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান এ প্রসঙ্গে বলেন, রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ কীভাবে নগরীর ষোলশহর এলাকার ঠিকানায় স্মার্টকার্ড পেলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাঠ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। হয়তো খুব শিগগিরই আমরা বিস্তারিত জানাতে পারবো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ মূলত মিয়ানমারের আকিয়াব এলাকার কালা মিয়ার ছেলে। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যামেপ বসবাস করছিলেন। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত তার চারটি বাড়ি থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
এরমধ্যে একটি বাড়ি রয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরীর পশ্চিম ষোলশহর হিলভিউ রোডের বার্মা কলোনি এলাকায়। একটি বাড়ি রয়েছে কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলায়। একটি করে বাড়ি রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায়। প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে একজন করে স্ত্রী। এরমধ্যে চট্টগ্রাম শহরের বার্মা কলোনির বাড়ির ওই স্ত্রীর নাম আয়েশা আক্তার বলে জানা গেছে। আয়েশা আক্তারও কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা।
সমপ্রতি টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যামেপ তার মেয়ের কান ফোঁড়ানোর অনুষ্ঠানে এক কেজির বেশি স্বর্ণ ও নগদ কয়েক লাখ টাকা উপহার সামগ্রী হিসেবে জমা পড়ে। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ও নিমন্ত্রিত অতিথিরা ছিল সব রোহিঙ্গা ডাকাত। প্রসঙ্গত, গত ২২শে আগস্ট রাতে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক (৩০)কে গুলি করে হত্যা করা হয়। একদল রোহিঙ্গা ফারুককে বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে পাশের একটি পাহাড়ে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়।
No comments