রবার্ট মুগাবে আর নেই
জিম্বাবুয়ের
প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে
তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। শুক্রবার সকালে সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট
এমারসন নানগাগওয়া তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এ খবর দিয়েছে দ্য
গার্ডিয়ান।
আফ্রিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বীর ছিলেন মুগাবে। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় ধরে জিম্বাবুয়ে শাসন করেন তিনি। তিন দশক ক্ষমতায় থাকার পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে সেনা অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। জিম্বাবুয়ে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮০ সালে প্রথম নির্বাচনে জয় লাভ করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন মুগাবে।
১৯৮৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেশের প্রেসিডেন্ট হন। তার দীর্ঘ শাসনামলে দুর্নীতি, স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ ও অদক্ষতার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
মুগাবে ১৯২৪ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রোডেশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে রোডেশিয়ার তৎকালীন সরকারের সমালোচনা করায় এক দশকেরও বেশি সময় কারাবাস করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে কারাগারে থাকাকালীন সময়েই জিম্বাবুয়ের আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও ছিলেন তিনি।
শুক্রবার দেয়া এক বিবৃতিতে জিম্বাবুয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুগাবেকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি স্বাধীনতার একজন আইকন ও একজন প্যান-আফ্রিকান ছিলেন। যিনি তার জনগণের ক্ষমতায়ন ও বন্ধনমুক্তির জন্য কাজ করেছেন। আমাদের জাতি ও মহাদেশের ইতিহাসে তার অবদান কখনো ভুলবার নয়। তার আত্মার শ্বাশ্বত শান্তি কামনা করছি। উল্লেখ্য, মুগাবে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন নানগাগওয়া।
গত শতকে জিম্বাবুয়ে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিশ্বজোড়া খ্যাতি পান মুগাবে। তবে ক্ষমতা গ্রহণের পর ধীরে ধীরে তার বিরুেেদ্ধ ওঠে নানা অভিযোগ। জীবনের শেষ বছরগুলোয় আর্থিক টানাপোড়ন, সহিংস ভীতি প্রদর্শন, দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থতার জন্য সুনাম হারান তিনি। নিজের প্রধান সহচর নানগাগওয়াকে রেখে স্ত্রী গ্রেসবকে ক্ষমতায় বসাতে চেয়েছিলেন মুগাবে।
মুগাবের মৃত্যু জিম্বাবুয়ের জন্য নতুন এক অধ্যায়ের শুরু। বৃটিশ শাসন থেকে জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতা লাভের পর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত মুগাবেই দেশটির একমাত্র শাসক ছিলেন। জিম্বাবুয়ের নাগরিকদের পুরো একটা প্রজন্ম তাকে ছাড়া অন্যকোনো শাসকের মুখ দেখেনি। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাকে জাতির পিতার সম্মান দেয়া হয় ও সরকার থেকে ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। এতে তার অনেক বিরোধীরা ক্ষুব্ধ হন। তবে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে মুগাবেও বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ দিয়ে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সেখানে জানান, নিজ দল জানু-এফ পার্টির বদলে বিরোধীদল মুভমেন্ট ফর ডেমোক্র্যাটিক চেঞ্জ’র প্রতি সমর্থন জানাবেন তিনি। যদিও এর আগে বহুদিন দলটিকে দমিয়ে রেখেছিলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত আফ্রিকায় তার গুটিকয়েক বন্ধু ছিল। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব সম্মান খুইয়ে বসেন সাবেক এই আফ্রিকান বীর। বৃটিশ সরকার কর্তৃক তাকে দেয়া ‘নাইট’ সম্মাননা কেড়ে নেয়া হয়। ক্ষমতা প্রাপ্তির শুরুর দিককার মুগাবে অবশ্য একেবারেই ভিন্ন ছিলেন। স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর যে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করেছিলেন, সে শ্বেতাঙ্গদের ওপর কোনো নির্যাতন না চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। জিম্বাবুয়ের অর্থনীতি তার শাসনামলের শুরুর দিকে তরতর করে বেড়ে ওঠে। শিক্ষার উন্নয়নের দিকে জোর দেয়ুয়া হয়। তার শাসনামলের শুরুর দিককার ওইসব উন্নয়ন আফ্রিকার অহংকার হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠে গর্হিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ। আশির দশকে মাতাবেলেল্যান্ড প্রদেশে ২০ হাজার মানুষের জাতিগত নিধনের অভিযোগ ওঠে তার সরকারের বিরুদ্ধে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জশুয়া নকোমোকে পরাস্ত করতে একাধিক স্বৈরতান্ত্রিক পদক্ষেপ নেন তিনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এসব অভিযোগ অগ্রাহ্য করে যায়।
পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের দিকে ফের বিরোধীদের উত্থান ঘটে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো মিলে মুভমেন্ট ফর ডেমোক্র্যাটিক চেঞ্জ- দল গঠন করে। মুগাবে ওই সময় নির্বাচনে কারচুপি করে জয়ী হন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভূমি সংস্কারের নতুন কর্মসূচি চালু করেন তিনি। ওই কর্মসূচিত আওতায় শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের জোরপূর্বকভাবে চাষাবাদ করা থেকে বিরত রাখা হয়। অনেককে উৎখাত করে দেয়া হয়। তাদের জায়গায় দলীয় সমর্থক ও কৃষ্ণাঙ্গ কৃষকদের কৃষিকাজের সুযোগ দেয়া হয়। যদিও চাষাবাদে শ্বেতাঙ্গরা গড়পড়তায় বেশি দক্ষ ছিল। মুগাবের এই পদক্ষেপে অর্থনৈতিক মন্দার পথ সৃষ্টি করে দেয়। দেশটিকে বিদেশী খাদ্য ও ত্রাণের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভেঙে পড়তে থাকে এক সময়কার উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সহিংস হয়ে ওঠে রাজনৈতিক পরিবেশও। অধিকারকর্মীদের নির্যাতন করা হয়, কারাদণ্ড দেয়া হয়, এমনকি হত্যাও করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগ দিয়ে দুই শতাধিক মানুষ সহিংসতায় মারা যায়।
মুগাবের বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব জিম্বাবুয়ের রাজনৈতিক বিষয়ক প্রয়াত অধ্যাপক জন মাকুম্বে বলেছিলেন, তাকে ভিলেন হিসেবে মনে রাখা হবে। ক্ষমতায় থেকে, নির্যাতন চালিয়ে, নিজের মিত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমিয়ে রেখে তিনি নিজের সুনাম ধ্বংস করেছেন। রবার্ট মুগাবের মধ্যে মন্দ শাসন, নৃশংসতা ও স্বার্থপরতার বীজ সবসময়ই বপন করা ছিল। তার শাসন ছিল এমন- একমাত্র আমিই গুরুত্বপূর্ণ।
আফ্রিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বীর ছিলেন মুগাবে। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় ধরে জিম্বাবুয়ে শাসন করেন তিনি। তিন দশক ক্ষমতায় থাকার পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে সেনা অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। জিম্বাবুয়ে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮০ সালে প্রথম নির্বাচনে জয় লাভ করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন মুগাবে।
১৯৮৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেশের প্রেসিডেন্ট হন। তার দীর্ঘ শাসনামলে দুর্নীতি, স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ ও অদক্ষতার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
মুগাবে ১৯২৪ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রোডেশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে রোডেশিয়ার তৎকালীন সরকারের সমালোচনা করায় এক দশকেরও বেশি সময় কারাবাস করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে কারাগারে থাকাকালীন সময়েই জিম্বাবুয়ের আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও ছিলেন তিনি।
শুক্রবার দেয়া এক বিবৃতিতে জিম্বাবুয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুগাবেকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি স্বাধীনতার একজন আইকন ও একজন প্যান-আফ্রিকান ছিলেন। যিনি তার জনগণের ক্ষমতায়ন ও বন্ধনমুক্তির জন্য কাজ করেছেন। আমাদের জাতি ও মহাদেশের ইতিহাসে তার অবদান কখনো ভুলবার নয়। তার আত্মার শ্বাশ্বত শান্তি কামনা করছি। উল্লেখ্য, মুগাবে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন নানগাগওয়া।
গত শতকে জিম্বাবুয়ে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিশ্বজোড়া খ্যাতি পান মুগাবে। তবে ক্ষমতা গ্রহণের পর ধীরে ধীরে তার বিরুেেদ্ধ ওঠে নানা অভিযোগ। জীবনের শেষ বছরগুলোয় আর্থিক টানাপোড়ন, সহিংস ভীতি প্রদর্শন, দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থতার জন্য সুনাম হারান তিনি। নিজের প্রধান সহচর নানগাগওয়াকে রেখে স্ত্রী গ্রেসবকে ক্ষমতায় বসাতে চেয়েছিলেন মুগাবে।
মুগাবের মৃত্যু জিম্বাবুয়ের জন্য নতুন এক অধ্যায়ের শুরু। বৃটিশ শাসন থেকে জিম্বাবুয়ের স্বাধীনতা লাভের পর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত মুগাবেই দেশটির একমাত্র শাসক ছিলেন। জিম্বাবুয়ের নাগরিকদের পুরো একটা প্রজন্ম তাকে ছাড়া অন্যকোনো শাসকের মুখ দেখেনি। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাকে জাতির পিতার সম্মান দেয়া হয় ও সরকার থেকে ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। এতে তার অনেক বিরোধীরা ক্ষুব্ধ হন। তবে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে মুগাবেও বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগ দিয়ে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সেখানে জানান, নিজ দল জানু-এফ পার্টির বদলে বিরোধীদল মুভমেন্ট ফর ডেমোক্র্যাটিক চেঞ্জ’র প্রতি সমর্থন জানাবেন তিনি। যদিও এর আগে বহুদিন দলটিকে দমিয়ে রেখেছিলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত আফ্রিকায় তার গুটিকয়েক বন্ধু ছিল। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব সম্মান খুইয়ে বসেন সাবেক এই আফ্রিকান বীর। বৃটিশ সরকার কর্তৃক তাকে দেয়া ‘নাইট’ সম্মাননা কেড়ে নেয়া হয়। ক্ষমতা প্রাপ্তির শুরুর দিককার মুগাবে অবশ্য একেবারেই ভিন্ন ছিলেন। স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর যে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করেছিলেন, সে শ্বেতাঙ্গদের ওপর কোনো নির্যাতন না চালানোর প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। জিম্বাবুয়ের অর্থনীতি তার শাসনামলের শুরুর দিকে তরতর করে বেড়ে ওঠে। শিক্ষার উন্নয়নের দিকে জোর দেয়ুয়া হয়। তার শাসনামলের শুরুর দিককার ওইসব উন্নয়ন আফ্রিকার অহংকার হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে তার বিরুদ্ধে ওঠে গর্হিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ। আশির দশকে মাতাবেলেল্যান্ড প্রদেশে ২০ হাজার মানুষের জাতিগত নিধনের অভিযোগ ওঠে তার সরকারের বিরুদ্ধে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জশুয়া নকোমোকে পরাস্ত করতে একাধিক স্বৈরতান্ত্রিক পদক্ষেপ নেন তিনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এসব অভিযোগ অগ্রাহ্য করে যায়।
পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালের দিকে ফের বিরোধীদের উত্থান ঘটে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো মিলে মুভমেন্ট ফর ডেমোক্র্যাটিক চেঞ্জ- দল গঠন করে। মুগাবে ওই সময় নির্বাচনে কারচুপি করে জয়ী হন বলে অভিযোগ রয়েছে। ভূমি সংস্কারের নতুন কর্মসূচি চালু করেন তিনি। ওই কর্মসূচিত আওতায় শ্বেতাঙ্গ কৃষকদের জোরপূর্বকভাবে চাষাবাদ করা থেকে বিরত রাখা হয়। অনেককে উৎখাত করে দেয়া হয়। তাদের জায়গায় দলীয় সমর্থক ও কৃষ্ণাঙ্গ কৃষকদের কৃষিকাজের সুযোগ দেয়া হয়। যদিও চাষাবাদে শ্বেতাঙ্গরা গড়পড়তায় বেশি দক্ষ ছিল। মুগাবের এই পদক্ষেপে অর্থনৈতিক মন্দার পথ সৃষ্টি করে দেয়। দেশটিকে বিদেশী খাদ্য ও ত্রাণের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভেঙে পড়তে থাকে এক সময়কার উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সহিংস হয়ে ওঠে রাজনৈতিক পরিবেশও। অধিকারকর্মীদের নির্যাতন করা হয়, কারাদণ্ড দেয়া হয়, এমনকি হত্যাও করা হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগ দিয়ে দুই শতাধিক মানুষ সহিংসতায় মারা যায়।
মুগাবের বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব জিম্বাবুয়ের রাজনৈতিক বিষয়ক প্রয়াত অধ্যাপক জন মাকুম্বে বলেছিলেন, তাকে ভিলেন হিসেবে মনে রাখা হবে। ক্ষমতায় থেকে, নির্যাতন চালিয়ে, নিজের মিত্র ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমিয়ে রেখে তিনি নিজের সুনাম ধ্বংস করেছেন। রবার্ট মুগাবের মধ্যে মন্দ শাসন, নৃশংসতা ও স্বার্থপরতার বীজ সবসময়ই বপন করা ছিল। তার শাসন ছিল এমন- একমাত্র আমিই গুরুত্বপূর্ণ।
No comments