লন্ডনের অগ্নিকাণ্ডে নিহত অন্তত ৫০০ মানুষ
ব্রিটেনের লন্ডনে গ্রেনফেল টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয় অধিবাসীরা। তারা বলছেন, ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো নিহতদের সংখ্যা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। প্রেস টিভি এ খবর দিয়েছে। নাদিয়া ছদ্মনামে স্থানীয় এক অধিবাসী প্রেস টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গ্রেনফেল টাওয়ারের ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাদের সবাই নিহত হয়েছেন বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। লন্ডন মেট্রোপলিটান পুলিশ কমান্ডার স্টুয়ার্ড কান্ডি অবশ্য শনিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাদের হিসাব মতে, গ্রেনফেল টাওয়ারে এ পর্যন্ত ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ভবনটিতে বসবাস করতেন প্রায় ৬০০ মানুষ। নাদিয়া জানান, পুড়ে যাওয়া ভবনটিতে বসবাসকারী ৬০০ মানুষের মধ্যে মাত্র ৭৬ জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। কাজেই এখনও সেখানকার ৫০০-এর বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। নাদিয়ার প্রশ্ন ‘তাহলে নিখোঁজ ব্যক্তিরা কোথায়? ভবনটিতে বসবাসকারী ৫০০/৬০০ মানুষের তালিকা কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না?’ নাদিয়া বলেন, ছোট শিশুরাও জানতে চাচ্ছে তাদের খেলার সাথীরা কোথায়। পশ্চিম লন্ডনের এই অধিবাসী জোর দিয়ে বলেন, নিখোঁজ সবাই নিহত হয়েছেন এবং ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিশেষ করে বিবিসি এ খবর চেপে যাচ্ছে। অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে সতর্কতা অবজ্ঞা করেন মন্ত্রীরা: এদিকে অগ্নিকাণ্ডের বহু আগে থেকেই এ সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ সরকারকে। তবে এসব সতর্কতা আমলে নেননি মন্ত্রীরা। দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে। তেরেসা মে ও তার পূর্ববর্তী সরকারকে আগে থেকেই এমন অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা জানিয়েছিলেন পার্লামেন্টের আগুন বিষয়ক সর্বদলীয় কমিটির সাবেক প্রধান রনি কিং। তিনি বলেন, ‘আমরা মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বছরের পর বছর ধরে এ সম্পর্কে সতর্ক করেছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাদের হয়তো আইনে পরিবর্তন আনতে একটি বিপর্যয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তারা বাস্তব প্রমাণ ও অভিজ্ঞতা থেকে সে সিদ্ধান্ত নেননি।
No comments