পর্তুগালে দাবানলে নিহত ৬২
পর্তুগালের মধ্যাঞ্চলে দাবানলে অন্তত ৬২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা। নিহতদের অধিকাংশই শনিবার রাজধানী লিসবন থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং কোয়িমব্রা থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে পেদ্রোগাও গ্রান্দি এলাকার রাস্তা দিয়ে গাড়িযোগে যাওয়ার সময় দাবানলের কবলে পড়েন। তারা গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় বলে জানিয়েছে পর্তুগাল সরকার। গত এক দশকের মধ্যে দেশটিতে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল বলে উল্লেখ করছেন দেশটির কর্মকর্তারা। খবর বিবিসির। ভয়াবহ এ দাবানলে আরও ৫৯ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন দমকল কর্মী এবং একজন ৮ বছরের শিশু রয়েছে। ৬ দমকল কর্মীর অবস্থা গুরুতর। দু’জন নিখোঁজ রয়েছেন। আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে একটি ভয়াবহ ও খুবই দুঃখজনক ঘটনা প্রত্যক্ষ করলাম আমরা।
প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো দে সুজা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন।’ এর আগে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ গোমেজ জানান, ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়, তাদের লাশ গাড়ির পাশেই পাওয়া গেছে। এছাড়া আরও ১৭ জন নিজেদের গাড়িতেই মারা যান। তীব্র তাপ ও প্রবল বাতাসের কারণে শনিবার বিকালের দিকে দাবানল তীব্র হয়ে উঠতে থাকে। স্থানীয় ঘরবাড়িসহ চারদিকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সেই আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রায় ১ হাজার ৭০০ দমকল কর্মী চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে রোববার ভোরে স্পেন থেকে জল নিয়ে দুটি উড়োজাহাজ যোগ দিয়েছে। বনে কীভাবে আগুন লেগেছে, তা এখনও জানা যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তা নিয়ন্ত্রণও করা যায়নি। ইতিমধ্যেই বনে লাগা এই আগুন গত কয়েক দশকের মধ্যে পর্তুগালের সবচেয়ে প্রাণঘাতী দাবানলে পরিণত হয়েছে। রোববার পর্তুগালের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ওপরে। পেদরোগাও গ্রাড্রির মেয়র ভারদেমার আলভেস বলেন, ‘পর্তুগালের এ অঞ্চলে অধিক বনাঞ্চল থাকার কারণে এটি দাবানলের এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এ বিবেচনায় এ ঘটনাকে আমরা ট্র্যাজেডি বলে অ্যাখ্যা দিতে পারছি না। তবে এত সংখ্যক মানুষের মৃত্যুতে আমি স্তম্বিত।’
No comments