কাতার-সৌদি বিরোধ ও মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে গ্রেট গেম
পশ্চিম এশিয়া কয়েক শ’ বছর ধরে সঙ্ঘাত ও প্রক্সিযুদ্ধের নাট্যমঞ্চে পরিণত হয়ে আসছে। ইতিহাস, রাজতন্ত্র বা বংশীয় শাসন এবং ধর্মীয় কারণে বেশির ভাগ দেশ এসব সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়ে। উত্তর আফ্রিকান, রুমান, বাইজেন্টাইন, পার্সিয়ান, তুর্কি, ফরাসি, জার্মান ও অ্যাংলো-মার্কিন বাহিনী এসব এলাকায় আগ্রাসন চালাতে প্রলুব্ধ হয়েছিল। ১৯৩০-এর দশক থেকে পেট্রোডলারের কারণে সঙ্ঘাত ও আগ্রাসন আরো বেড়ে যায়। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস ও কতই না কৌতুকোদ্দীপক বিষয়, ইয়েমেনÑ যে দেশটি সৌদি আরবের সশস্ত্র হামলার শিকার হচ্ছে তারাই নাকি সৌদি পৃষ্ঠপোষকতায় কাতারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। সৌদি আরব ও মিসরের সাথে কাতার, তুরস্ক ও ইরানের বিরোধের প্রধান কারণ হচ্ছে ইয়েমেন। ইয়েমেনের মাধ্যমেই তিক্ততা শুরু হয়েছে। অবশিষ্ট কারণ হচ্ছে ঐতিহাসিক ও ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। ইয়েমেন সিরিয়ার মতো নয়Ñ দেশটি অধিকতর স্বচ্ছ এবং যে কেউ উপলব্ধি করতে পারবেÑ হু ইজ হু। ইউরেশিয়ার প্রভাব রোধ করার নীতি কখনো সত্যিকারের সঙ্ঘাতের কারণ ছিল না। আমেরিকান কৌশলবিদ অ্যাডমিরাল মাহেন সেন্ট্রাল এশিয়ার প্রতি দৃষ্টিপাত করে সেখানকার গ্রেট গেমে মধ্যপ্রাচ্যের ধারণা চালু করেন। তিনি রাশিয়ানদের নিয়ন্ত্রণের জন্য পারস্য উপসাগরের গুরুত্ব কী, তার সমর্থনে কথা বলেন। এটি পরবর্তী ব্রেজেনেস্কির সমন্বিত ইউরো এশিয়ান জিও-স্ট্র্যাটেজি বা ভৌগোলিক কৌশল হিসেবে আবির্ভূত হয়Ñ এবং সেটাকে সাউদার্ন ফ্রন্ট নামে অভিহিত করা হয়। এতে ধর্ম, অর্থ, প্রক্সি এবং সন্ত্রাসবাদকে উপাদান হিসেবে নেয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পেট্রোডলারের দেশগুলোতে তাদের আধিপত্য বিস্তারের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের রাজতান্ত্রিক দেশগুলো, ইসরাইল ও মিসর তাদের অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনে সিসিজে দেশগুলো, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের সমর্থনেই ধ্বংসলীলা চলছে। মিসরে সিসির সামরিক অভ্যুত্থানের সাথেও তারা সুসংহত রয়েছে। প্যান-ইসলামিক শক্তি অর্থাৎ মুসলিম ব্রাদারহুড এবং একই ধরনের সংগঠন জামায়াতে ইসলামী হামাস তুরস্ক ও ইরানই তাদের একমাত্র প্রতিবন্ধক। প্যান-ইসলামিজম ওসমানীয় খেলাফতকে সমর্থন করে এবং তারা শিয়া ইরানের নাগালের বাইরে। একজন ওসমানীয় আক্রমণকারী ১৮১৮ সালে ইয়েমেনের মধ্য দিয়ে প্রথম সৌদি কিংডমকে পরাজিত করে। ব্রিটিশ ও আমেরিকানরা পরবর্তী সময়ে সৌদি কিংডমকে পুনরুজ্জীবিত করে। তুর্কিরা স্মরণ করে উত্তর ইয়েমেন ওসমানী সাম্রাজ্য উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল এবং তারা মক্কা ও মদিনার ক্ষতিগ্রস্ত পবিত্র স্থানগুলো সংস্কার সাধন করেছিল। ১৮০২ সালে সৌদিরা কারবালায় যে ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা চালিয়েছিল ইরানের শিয়ারা তা কখনো ভুলবে না। পূর্বাভাস অনুযায়ী পার্সিয়ান-তুর্কি এবং সৌদি প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাংলো-মার্কিন সমন্বিত ইউরো এশিয়ান জিও-স্ট্র্যাটেজির উন্মেষ ঘটে। সৌদি আরব ও ইসরাইল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা যে রেডলাইন দিয়েছিলেনÑ তা প্রতিরোধ করার জন্য প্ররোচিত করে। এরপর সৌদি আরব কাতারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। মহান সভ্যতার উত্তরাধিকারী মিসর ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত ইয়েমেনের কাছ থেকে যে মার খেয়েছিল তা স্মরণ করে ইসরাইলি ঐতিহাসিক মাইকেল ওয়েনকে মন্তব্য করতে বাধ্য করা হয় যে, আকস্মিক দুর্বিপাকে পড়া মিসর ইয়েমেনে হামলা চালাবে যেটাকে ভিয়েতনামে আমেরিকা যে আগ্রাসন চালিয়েছিল তার সাথে অতি সহজেই তুলনা করা যাবে। সৌদি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রেসিডেন্ট সিসি উত্তর আমেরিকান-মুসলিম বিজেতাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ নিতে চান। এসব ব্যাখ্যার কারণে বর্তমান সৌদি-কাতার বিরোধ যেকোনো পক্ষে বুঝতে সহজ হবে ইরান কেন শত্রুতে পরিণত হলো এবং তুরস্ক কেন কাতারের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন দিতে প্রস্তুত। রাশিয়া প্রবেশ করে বিশ্ব সাউদার্ন ফ্রন্টে একটি নতুন পরিবর্তন দেখতে পাবে। দক্ষিণাঞ্চলীয় ফ্রন্টের সাথে কাতারের সমুদ্রপথের যোগাযোগ তুরস্ক ও পাকিস্তানের সাথে স্থল যোগাযোগে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি আবিষ্কৃত তেল ও গ্যাসক্ষেত্রের ওপর তুরস্ক ও রাশিয়ার প্রভাব বিবেচনায় সিরিয়াসহ গোটা এলাকার ভারসাম্য পরিবর্তিত হয়ে যাবে। ইসরাইল সিরিয়ান করিডোরের প্রতি গভীরভাবে নজর রাখছে এবং সৌদি আরব ও উপসাগরীয় এলাকার অন্যান্য দেশের সাথে উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়াস চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কাতার হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক। জনসংখ্যা ও সম্পদের আনুপাতিক বিবেচনায় কাতার ভৌগোলিক পরিবর্তনে সব সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি বলবৎ রয়েছে। কাতার যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান তালেবানদের (যারা আইসিস বিরোধী) মধ্যকার যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি সেতুবন্ধন হিসেবেও ভূমিকা পালন করে এসেছে। মুসলিম ব্রাদারহুড, হামাস, নুসরা ফ্রন্ট এবং হয়তো আফগান তালেবানদের মোকাবেলা করার জন্যই সাউদার্ন ফ্রন্টের ব্রেনচাইল্ড হচ্ছে আইসিস। সাউদার্ন ফ্রন্টের কোয়ালিশন কাতারের দরজায় কড়া নাড়তে পারে। এই সাউদার্ন ফ্রন্টের কোয়ালিশন ‘আরব বসন্তের’ পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল। তারা অবশ্য বহু বছর ধরে সশস্ত্র গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করে কান্ত হয়ে পড়েছে। কাতার তার আরব প্রতিবেশীদের জ্বালাতনে বিরক্ত। দেশটি তাদের নিজেদের ব্যবস্থার মধ্যে রাজনৈতিক সংস্কার সাধনের পরিচর্যা করে। কাতার একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। দেশটি নারীদের ওপর থেকে আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। একইভাবে কাতার আল উদাইদ সামরিক ঘাঁটিতে মার্কিন নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এটা এখন মার্কিন কোয়ালিশনের সমন্বিত এয়ার অপারেশনস সেন্টার হিসেবে কাজ করছে। এখানে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান রয়েছেÑ এটার মাধ্যমে ইরাক, সিরিয়া এবং আফগানিস্তানের এয়ার স্পেশ মনিটর করা যায়। দেশটি ইরান তুরস্ক এবং প্যান-ইসলামিজমের প্রতিও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ইরানের সাথে কূটনৈতিক অচলাবস্থার সময় চাক হেগেল এবং জন কেরি যে তৎপরতা চালিয়েছিলেন তাতে অচলাবস্থা নিরসনে কাতার সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, ‘ওবামা ইরানের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ২০১৫ সালে যে পরমাণু চুক্তিতে উপনীত হয়েছিলেন তাতে কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা এবং কাতারে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটির উপস্থিতির অর্থ হচ্ছে দোহা আমেরিকান প্রোটেকশনে রয়েছে। কাতারকে শাস্তি প্রদান এবং ইরানকে বিচ্ছিন্ন বা একঘরে করে রাখা হচ্ছে ইসরাইল সরকারের স্বার্থের সাথে মিল রেখে। কারণ ইসরাইল তার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে হিজবুল্লাহ ও গাজায় হামাসের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।’ গত মে মাসে ইসরাইল ও ইরান নিয়ে কাতারের আমিরকে সম্পৃক্ত করে ভুয়া খবর প্রচার করায় কাতার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। কিন্তু সৌদি আরব আলজাজিরা নেটওয়ার্ক এবং কাতারের মিডিয়া বন্ধ করে দেয়া থেকে বিরত থাকতে পারেনি। আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আল ওতাইবার হ্যাক করা ই-মেইল সম্পর্কে আলজাজিরা রিপোর্ট করলে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করে। ওই ই-মেইলের মাধ্যমে কাতারের ভাবমর্যাদা নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার চালানো হয়। ওই ই-মেইলে ইসরাইলের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যোগাযোগ ও আন্তঃসম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে। ই-মেইল ফাঁস হওয়ায় নিওকনজারভেটিভ থিংকট্যাংক, ইসরাইলপন্থী কোটিপতি শেলডন এডেলসন এবং আরব আমিরাতের যৌথ অর্থসহায়তায় দি ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্র্যাসির (এফডিডি) তৎপরতা ফাঁস হয়ে যায়। রিয়াদে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সফরের পর বেসরকারি পর্যায়ের বৈঠকে কাতারকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি প্রকাশ হয়ে যায়। কিন্তু ট্রাম্প ইরাকে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মতো সন্দেহজনক সিগন্যাল পাঠান। এতে সৌদিরা খুবই উৎফুল্ল হয়ে ওঠে এবং এটা তাদের পক্ষে গেছে বলে মনে করে। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি যখন তাকে অভিনন্দন জানান, সৌদি আরব মনে করে কাতার তখন তার রেডলাইন অতিক্রম করে ফেলেছে। সৌদি পরিকল্পনা অনুযায়ী তার পরই কাতারকে প্রতিরোধ করার জন্য সঙ্ঘাত বাধিয়ে দেয়া হয়। নিউ ইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ৪০ বছরের মর্যাদা বলবৎ রাখাÑ অর্থাৎ ৪০ বছর ধরে চলে আসা বর্তমান অবস্থা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে কাতারকে দণ্ড দেয়া হচ্ছে। আর তেহরানকে সজোরে আঘাত করার প্রচলিত ও বিচক্ষণতাকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখানো, সামরিক স্ট্রংম্যানদের পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং এই অঞ্চলের সঠিক পথ রাজনৈতিক ইসলামকে দাবিয়ে রাখার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার কারণে কাতারকে শায়েস্তা করা হচ্ছে। কিন্তু ১৯৩৮ সালে যে অবস্থা বা পদমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, ১৯৭৩ সালের পর তা আরো শক্তিশালী হয়। পেট্রোডলারের কারণে সৌদি আরবের চতুর্দিকের অন্যান্য দেশের ওপর সৌদিদের এক ধরনের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সঙ্কটে পাকিস্তানও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাকিস্তান ১৯৫২-৭০ সাল পর্যন্ত বাগদাদ চুক্তি বা সেন্টোর অংশ ছিল। দেশটি তখন মিসরের বিরুদ্ধে ইয়েমেনে সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছিল। পরে তাদের সৈন্যরা জর্ডানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ ভেঙে দেয়। পাকিস্তানি সৈন্যরা পবিত্র কাবা শরীফে দখলদার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে ঝটিকা হামলায় অংশ নিয়েছিল। পাকিস্তানি স্বেচ্ছাসেবী পাইলটই হচ্ছেন একমাত্র পাইলটÑ যিনি ১৯৭৩ সালে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সফল এয়ার মিশন পরিচালনা করেছিলেন। ১৯৮০ ও ৯০-এর দশকে পবিত্র স্থানগুলো এবং সউদের বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সৌদি আরবে পাকিস্তানি সামরিক কন্টিনজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে প্রথম ইরাক যুদ্ধে পাকিস্তান নিরপেক্ষ ছিল। বরং পাকিস্তানের সাথে সৌদি সরকারের একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি রয়েছে। সৌদি আরবের ফোরেক্স রিজার্ভের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সেখানে পাকিস্তানের একটি অত্যন্ত বড় কর্মীবাহিনী রয়েছে। পাকিস্তানের একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল এখন সৌদি কোয়ালিশন আইএমএটির প্রধান। কাতার ও তুরস্কের মতো পাকিস্তানও একই ধরনের শক্তি প্রদর্শন করে কি না, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। পাকিস্তানের দুর্বল নেতৃত্ব, পররাষ্ট্রনীতি এবং মধ্যপ্রাচ্যের ওপর অত্যধিক অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতার কারণে দেশটি কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়, তা এখনো স্পষ্ট নয়। নিউ সাউদার্ন ফ্রন্টের এই খেলায় পাকিস্তানের কিছু বিকল্প আছে। তবে পাকিস্তানকে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিতে অবশ্যই নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে এবং এই অঞ্চলে দৃঢ়তা দেখাতে হবে। আগামীতে বিআরআই, সিপিইসি এবং ওবিওআর (ওবোর) এর ক্ষেত্রে আরো খোলামেলা বিকল্প রয়েছে। চীন, ইরান এবং তুরস্কের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ।
লেখক : রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ ও টিভি উপস্থাপক।
দ্য নিউনেশন থেকে ভাষান্তর : মুহাম্মদ খায়রুল বাশার
দ্য নিউনেশন থেকে ভাষান্তর : মুহাম্মদ খায়রুল বাশার
No comments