চার দিন ধরে অবরুদ্ধ খালেদা
চতুর্থ
দিনেও অবরুদ্ধ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত শনিবার রাত সাড়ে
১১টা থেকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে
অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। তবে আজ পুলিশের সংখ্যা কিছুটা কম। আজও প্রধান
ফটকে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। কার্যালয়ের সামনের সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির
জন্য রাখা ১১টি ট্রাক গতকাল রাতে সরিয়ে নেওয়া হলেও খালেদা জিয়ার বাইরে
বের হওয়ার পথ আগের মতো অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। কার্যালয় থেকে বের হয়ে
ডান বা বাঁয়ে কোনো দিকেই যাওয়ার উপায় নেই। বের হয়ে বাঁ দিকে যাওয়ার
রাস্তায় আড়াআড়িভাবে পুলিশের একটি জলকামান রাখা হয়েছে। আর ডান দিকে
যাওয়ার পথে দুটি পুলিশ ভ্যান আড়াআড়িভাবে রাখা হয়েছে। তবে ৮৬ নম্বর
সড়কে ঢোকার মুখে রাখা সাঁজোয়া যান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক
মাহফুজউল্লাহ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ
হায়দারের নেতৃত্বে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষক কার্যালয়ের
ভেতরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। খালেদা জিয়ার
আত্মীয়স্বজনের বাসা থেকে তাঁর জন্য খাবার পাঠানো হয়েছে। ফটকে পরীক্ষার
পরে খাবার ভেতরে যেতে দেওয়া হয়।
গতকাল গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কের ওই কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এক সারিতে নারী পুলিশ এবং আরেক সারিতে পুরুষ পুলিশকে দিনভর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। গতকাল প্রধান ফটকের ছোট দরজাটি (পকেট গেট) খুলে দেওয়া হয়। সেই পথ দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের যাতায়াত করতে দেওয়া হয়েছে। কার্যালয়ের ভেতরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানসহ ছয়জন নারী নেতা এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীসহ ২৫ জন অবস্থান করছেন। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ রাশিদুল হাসান ওই কার্যালয়ে যান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এমাজউদ্দীন আহমদ বাইরে এসে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন অসুস্থ। তবে তিনি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে অটল আছেন। ভয়ভীতি, অবরুদ্ধ করে তাঁকে দমানো যাবে না। তিনি বলেন, বিএনপির পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে, তা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে খালেদা জিয়া তাঁদের জানিয়েছেন। রাতে মারুফ কামাল খান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। তাঁকে মাঝে মাঝে অক্সিজেনও দিতে হচ্ছে। এর আগে গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাবলিগ জামাতের কয়েকজন সদস্য বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান। প্রথমে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া না হলেও পরে অনুমতি নিয়ে ভেতরে যান। তাঁরা বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী ও প্রেস সচিবের সঙ্গে কথা বলেন। ৯ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব ইজতেমার বিষয়টি অবহিত করা হয়। অবশ্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁদের কোনো কথা হয়নি।
গতকাল গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কের ওই কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এক সারিতে নারী পুলিশ এবং আরেক সারিতে পুরুষ পুলিশকে দিনভর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। গতকাল প্রধান ফটকের ছোট দরজাটি (পকেট গেট) খুলে দেওয়া হয়। সেই পথ দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের যাতায়াত করতে দেওয়া হয়েছে। কার্যালয়ের ভেতরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানসহ ছয়জন নারী নেতা এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীসহ ২৫ জন অবস্থান করছেন। গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ রাশিদুল হাসান ওই কার্যালয়ে যান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এমাজউদ্দীন আহমদ বাইরে এসে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন অসুস্থ। তবে তিনি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে অটল আছেন। ভয়ভীতি, অবরুদ্ধ করে তাঁকে দমানো যাবে না। তিনি বলেন, বিএনপির পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে, তা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে খালেদা জিয়া তাঁদের জানিয়েছেন। রাতে মারুফ কামাল খান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। তাঁকে মাঝে মাঝে অক্সিজেনও দিতে হচ্ছে। এর আগে গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাবলিগ জামাতের কয়েকজন সদস্য বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান। প্রথমে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া না হলেও পরে অনুমতি নিয়ে ভেতরে যান। তাঁরা বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী ও প্রেস সচিবের সঙ্গে কথা বলেন। ৯ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব ইজতেমার বিষয়টি অবহিত করা হয়। অবশ্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁদের কোনো কথা হয়নি।
No comments