অবরোধে সরকারি বাসও বন্ধ! by মানসুরা হোসাইন
অবরোধের
মধ্যে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে।
প্রশাসন ইতিমধ্যেই বেসরকারি পরিবহন মালিকদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে।
কিন্তু অবরোধের মধ্যে খোদ সরকারি বাসের চলাচল বন্ধ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে দেখা
গেছে, বিএনপির নেতৃত্বে দেশে চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ কর্মচারী
কল্যাণ বোর্ড পরিচালিত বাস সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। সরকারি
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে আনা-নেওয়ার জন্য ঢাকার ভেতরের সার্ভিসও বন্ধ।
৫ জানুয়ারি থেকেই বলতে গেলে এ সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে। হাতে গোনা কয়েকটি
বাস সুযোগ বুঝে চলাচল করছে। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন এসব বাসে
যাতায়াতকারী যাত্রীরা। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্যই এ
ব্যবস্থা। বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের
প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সংস্থা। এটি একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এ
প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য মতে, বোর্ডের কল্যাণ কার্যক্রমের
আওতায় স্টাফ বাস সার্ভিস পরিচালিত হচ্ছে। এতে বড় বাস, মিনি বাস ও
বিআরটিসির ভাড়া করা বাসসহ মোট বাসের সংখ্যা ৮৩টি। ঢাকা মহানগর, শহরতলি,
পার্শ্ববর্তী জেলায় মোট ৮১টি রুটে বাস চলাচল করছে। এতে যাতায়াতকারী
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা আট হাজার ৫০০ জন। তবে কর্মকর্তাদের
চেয়ে কর্মচারীর সংখ্যাই বেশি। এ কর্মসূচির আওতায় বড় ও মিনিবাসে প্রতি
কিলোমিটারে ২০ পয়সা হারে ভাড়া দিতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকার একদিকে বলছে দেশে কোনো অবরোধ নেই। সব স্বাভাবিক, আবার সরকারের পরিচালিত বাসই বন্ধ। আমাদের অফিসে না এসে উপায় নেই। সরকারি গাড়িতেই যদি সরকার আমাদের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে আর কোথায় নিরাপত্তা পাব? ফলে জানটাকে হাতে নিয়েই চলাচল করছি। আর কতদিন এভাবে করতে হবে কে জানে।’
নরসিংদী থেকে যাতায়াতকারী আরেকজন সরকারি কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নরসিংদী থেকে প্রতিদিন যাতায়াত করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। সরকারি বাস সার্ভিস কবে থেকে চালু হবে তা-ও ঠিক করে বলছে না। ৫ জানুয়ারি থেকেই এ অবস্থা চলছে। আমাদের কারও কারও তবু ঢাকায় থাকার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু কর্মচারীদের ভোগান্তি বেশি। তাঁদের ঢাকায় থাকার ব্যবস্থা নেই। অন্যদিকে বেশি ভাড়া দিয়ে আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে।’
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক কানিজ ফাতেমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নীতিগতভাবে বাস বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা নেই। তবে আমরা জেনেশুনে তো আগুনে ঝাঁপ দিতে পারি না। মানুষের জান আগে। যাত্রীদের স্বার্থেই বাসের চালক ও হেলপারদের বুঝেশুনে গাড়ি বের করতে বলা হয়েছে। ৫ জানুয়ারি পল্টনে আমাদের যে বাস পোড়ানো হলো বাস থেকে নামতে চালক আর কয়েক সেকেন্ড দেরি করলেই পুড়ে মারা যেতেন। আমাদের বাসের দামও অনেক। তবে সম্পদের চেয়েও আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিই।’
কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘আপনারাও জানেন কোন কোন রুট স্পর্শকাতর। যেমন যাত্রাবাড়ী। চালকদের স্পর্শকাতর রুট এভয়েড করতে বলেছি। তবে যেসব রুটে কিছু বাস চলছে সেখানে পুলিশ থাকছে। সামনে বিপদ চলে আসলে সেখানেই গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের ভিন্ন উপায়ে যেতে বলছেন। সবাইকে কয়দিন একটু সামলে চলতে বলেছি শুধু। আমাদের দিক থেকে বাস চলাচলে বাধা নেই বা বন্ধ করে দেইনি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকার একদিকে বলছে দেশে কোনো অবরোধ নেই। সব স্বাভাবিক, আবার সরকারের পরিচালিত বাসই বন্ধ। আমাদের অফিসে না এসে উপায় নেই। সরকারি গাড়িতেই যদি সরকার আমাদের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে আর কোথায় নিরাপত্তা পাব? ফলে জানটাকে হাতে নিয়েই চলাচল করছি। আর কতদিন এভাবে করতে হবে কে জানে।’
নরসিংদী থেকে যাতায়াতকারী আরেকজন সরকারি কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নরসিংদী থেকে প্রতিদিন যাতায়াত করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। সরকারি বাস সার্ভিস কবে থেকে চালু হবে তা-ও ঠিক করে বলছে না। ৫ জানুয়ারি থেকেই এ অবস্থা চলছে। আমাদের কারও কারও তবু ঢাকায় থাকার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু কর্মচারীদের ভোগান্তি বেশি। তাঁদের ঢাকায় থাকার ব্যবস্থা নেই। অন্যদিকে বেশি ভাড়া দিয়ে আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে।’
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক কানিজ ফাতেমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নীতিগতভাবে বাস বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা নেই। তবে আমরা জেনেশুনে তো আগুনে ঝাঁপ দিতে পারি না। মানুষের জান আগে। যাত্রীদের স্বার্থেই বাসের চালক ও হেলপারদের বুঝেশুনে গাড়ি বের করতে বলা হয়েছে। ৫ জানুয়ারি পল্টনে আমাদের যে বাস পোড়ানো হলো বাস থেকে নামতে চালক আর কয়েক সেকেন্ড দেরি করলেই পুড়ে মারা যেতেন। আমাদের বাসের দামও অনেক। তবে সম্পদের চেয়েও আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিই।’
কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘আপনারাও জানেন কোন কোন রুট স্পর্শকাতর। যেমন যাত্রাবাড়ী। চালকদের স্পর্শকাতর রুট এভয়েড করতে বলেছি। তবে যেসব রুটে কিছু বাস চলছে সেখানে পুলিশ থাকছে। সামনে বিপদ চলে আসলে সেখানেই গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের ভিন্ন উপায়ে যেতে বলছেন। সবাইকে কয়দিন একটু সামলে চলতে বলেছি শুধু। আমাদের দিক থেকে বাস চলাচলে বাধা নেই বা বন্ধ করে দেইনি।’
No comments