মনে ভয় কখন কী হয়! by একরামুল হুদা
‘অবরোধের
কারণে সমস্যা হচ্ছে না। তবুও ভয়ভীতি কাজ করে।’ গাড়িতে স্টিকার লাগানোর
সময় এ কথা বলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় প্রতিনিধি মো. জহির।
স্টিকারে লেখা ‘জরুরি মেডিকেল সরবরাহ’। অবরোধের মতো পরিস্থিতিতে গাড়িতে
এমন স্টিকার লাগিয়ে চলাচল করেন বলে জানান তিনি। বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের
বসেরও নির্দেশ আছে।’ আজ বুধবার সকালে রাজধানীর মতিঝিলে কথা হয় জহিরের
সঙ্গে। মালামালসহ গাড়ি ও নিজেকে অবরোধ-সমর্থকদের হামলা থেকে রক্ষা করতেই এ
ব্যবস্থা বলে জানান তিনি। বিএনপির নেতৃত্বে ২০-দলীয় জোটের ডাকা
অনির্দিষ্টকালের অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ। অবরোধের কারণে ঢাকার সাধারণ
জনগণের চলাচলের তেমন সমস্যা না হলেও যেকোনো মুহূর্তে বোমাবাজি ও হামলার
মধ্যে পড়ার আতঙ্কে আছেন সবাই। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, অবরোধে মন্দা
চলছে তাঁদের ব্যবসায়। সকাল নয়টায় পল্টন মোড়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা
করছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক কর্মকর্তা অখিল কুমার দত্ত। গন্তব্য
নাবিস্কো মোড়। তিনি বলেন, ‘গাড়ি একটু কম, তবে কোনো সমস্যা তো হচ্ছে না।
ঢাকার বাইরে যেতে একটু সমস্যা হচ্ছে শুনলাম, এখানে তো সমস্যা দেখছি না।’
একই কথা বলেন ব্যবসায়ী মাসুদ মণ্ডলও। মতিঝিল এলাকায় গাড়ি কিছুটা কম
থাকলেও গাড়ির চাপ আছে পল্টন, শাহবাগ, কাকরাইল ও ফার্মগেটে। তবে ব্যক্তিগত
গাড়ির সংখ্যা খুব কম। মতিঝিলের ব্যাংকপাড়ায় যেখানে রাস্তার দুই পাশে
ব্যক্তিগত গাড়িগুলো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়, আজ সেখানে ব্যক্তিগত কোনো
গাড়ি দেখা যায়নি। মতিঝিলের একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আরিফুল
আরেফিন জানান, হামলার মধ্যে পড়ার আতঙ্কে তিনি গাড়ি নিয়ে বের হননি। একই
কারণে গণপরিবহন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যাত্রীরা বুঝেশুনে সতর্কভাবে
উঠছেন। একজন যাত্রী বলেন, ‘যত দূরেই হোক, রিকশায় আসার চেষ্টা করি।’
শাহবাগ থেকে গুলশান যাবেন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. ইমরান হাসান। তাঁর ভাষ্য, গাড়ির তেমন সমস্যা নেই। গতকালও কোনো সমস্যা ছিল না। তবে আতঙ্কে আছেন, কখন কী ঘটে! গাড়ি অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম থাকলেও সকাল নয়টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায় দৈনিক বাংলা মোড়, পল্টন মোড়, মৎস্যভবন, শাহবাগ, কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারা মোড় ও ফার্মগেটে ট্রাফিক সংকেত দেখে থামতে হচ্ছে রাস্তায় থাকা গাড়িগুলোকে। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় যানজট অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। মতিঝিল ও পল্টন এলাকার খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অবরোধের কারণে মানুষ কম থাকায় তাঁদের বিক্রি কম হচ্ছে। মতিঝিলের ব্যবসায়ী আবদুল হালিম শেখ বলেন, ‘বেচাবিক্রি অনেক কম। অফিসে খাওয়ার জন্য যে যা কেনে তাই বিক্রি হচ্ছে। কেউ বাসার জন্য কিনছে না। পুঁটলা (প্যাকেট) নিয়ে কেউ যাইতে চাই না এ সময়।’
পল্টন এলাকার আরেক খুচরা ব্যবসায়ী আবদুস সবুরও বলেন, তাঁর বিক্রিও খুব কম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মাইনষের প্রতি হ্যাগো মায়া নাই। দ্যাশটারে শেষ কইরা দিলেই পারে। খালি চেয়ারটা ঠিক থাকলেই হইল।’
শাহবাগ থেকে গুলশান যাবেন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. ইমরান হাসান। তাঁর ভাষ্য, গাড়ির তেমন সমস্যা নেই। গতকালও কোনো সমস্যা ছিল না। তবে আতঙ্কে আছেন, কখন কী ঘটে! গাড়ি অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম থাকলেও সকাল নয়টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায় দৈনিক বাংলা মোড়, পল্টন মোড়, মৎস্যভবন, শাহবাগ, কারওয়ান বাজারের সার্ক ফোয়ারা মোড় ও ফার্মগেটে ট্রাফিক সংকেত দেখে থামতে হচ্ছে রাস্তায় থাকা গাড়িগুলোকে। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় যানজট অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। মতিঝিল ও পল্টন এলাকার খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অবরোধের কারণে মানুষ কম থাকায় তাঁদের বিক্রি কম হচ্ছে। মতিঝিলের ব্যবসায়ী আবদুল হালিম শেখ বলেন, ‘বেচাবিক্রি অনেক কম। অফিসে খাওয়ার জন্য যে যা কেনে তাই বিক্রি হচ্ছে। কেউ বাসার জন্য কিনছে না। পুঁটলা (প্যাকেট) নিয়ে কেউ যাইতে চাই না এ সময়।’
পল্টন এলাকার আরেক খুচরা ব্যবসায়ী আবদুস সবুরও বলেন, তাঁর বিক্রিও খুব কম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মাইনষের প্রতি হ্যাগো মায়া নাই। দ্যাশটারে শেষ কইরা দিলেই পারে। খালি চেয়ারটা ঠিক থাকলেই হইল।’
No comments