ইটিভির চেয়ারম্যান কারাগারে
একুশে
টেলিভিশনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আগামী ৮ই জানুয়ারি তার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল
ভোররাতে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাদা
পোশাকধারী সদস্যরা গাড়িসহ আবদুস সালামকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
দুপুরে আবদুস সালামকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের
রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ। কিন্তু প্রয়োজনীয় কেস ডকেট না থাকায়
বৃহস্পতিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেন মহানগর হাকিম নিগার
সূচনা।
ক্যান্টনমেন্ট থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করার পরেই একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। তারা সবাই মিন্টো রোডে ডিবি অফিসের সামনে ভিড় করেন। সোমবার দুপুরের পর থেকে ক্যাবল অপারেটররা সারা দেশে ইটিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়ায় গুজব ছিল চ্যানেলটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যদিও গতকাল তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছেন ইটিভি বন্ধ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ঊর্র্ধ্বতন নির্দেশনা পেয়ে ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ক্যাবল অপারেটররা ইটিভি সম্পচার বন্ধ রেখেছে।
ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান জানান, গত ৬ই নভেম্বর রাত ৯টায় একুশে টেলিভিশনে ‘একুশের চোখ’ নামে অপরাধবিষয়ক অনুষ্ঠানে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। এ ঘটনায় ২৬শে নভেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় কানিজ ফাতেমা নামে এক নারী বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি আইনের ৮ এর ১ থেকে ৭ ধারা অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-১৪। মামলায় অভিযোগে মিথ্যা প্রচারণা মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন, একুশে টেলিভিশনের প্রতিবেদক ইলিয়াস হোসেন, বাদী কানিজের তালাকপ্রাপ্ত স্বামী মো. শাহজালাল, কানিজের কথিত ধর্মভাই জহিরুল হক এবং আত্মীয় জাকির হোসেন। ওই মামলায় আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে মামলার এজাহারে দেখা গেছে, ওই মামলার আসামির তালিকায় তার নাম নেই। ইটিভির অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক রুবিনা মোস্তফা জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে অফিসের সাত তলায় নিজ কক্ষে মিটিং শেষে নিচে নেমে আসেন আবদুস সালাম। এসময় তিনি তার ব্যক্তিগত গাড়িতে ওঠেন।
তিনি আরও জানান, এরপরেই ১০ থেকে ১২ জন লোক এসে গাড়ি ঘিরে ফেলে। তারা আবদুস সালামের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে নামতে বলেন। তিনি নামতে অস্বীকৃতি জানালে একজন জোর করে ওই গাড়ির চালক বাদলকে নামিয়ে দেয়। তারা বলে যায়, তাকে আটক করা হলো। গাড়ি চালক বাদল জানান, ডিবি সদস্যদের কাছে ওয়াকিটকি ও রিভলবার ছিল। একজনের শরীরের জ্যাকেটে ডিবি লেখা ছিল।
মামলার আসামি একুশে টেলিভিশনের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক ইলিয়াস হোসেন জানান, ক্যান্টনমেন্টের উত্তর মানিকদীর ২৪/১ নম্বর বাড়িতে কানিজ ফাতেমা নামে এক মহিলা পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তার স্বামীর নাম শাহজালাল। প্রায় চার বছর ধরে তিনি বিদেশে থাকেন। বিদেশ থেকে তিনি টাকা পাঠান।
তিনি আরও জানান, ওই টাকা তার কথিত ধর্মভাই জহিরুল দেন এবং তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। এমন খবর আমরা জানতে পারি। পরে নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে কানিজের বিরুদ্ধে একুশে টেলিভিশনের অপরাধবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘একুশের চোখে’ প্রচারিত হয়। এ ঘটনায় মামলার বাদী মামলায় অভিযোগ করেছেন যে, তার ছবি অন্যজনের সঙ্গে ইন্টারনেটের ভিত্তিতে সংযোগ করা হয়েছে। এটি ডাহা মিথ্যা কথা। আমাদের কাছে ওই ফুটেজ এখানও আছে। স্থানীয়রাই ওই মহিলার সম্পর্কে খুব ভালভাবে জানে।
একুশে টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মঞ্জুরুল আলম পান্না জানান, আবদুস সালামের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা ওয়ারেন্ট নেই। অন্য একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অথচ ওই মামলার আসামির তালিকায় তার নাম নেই। তিনি আরও জানান,‘ শুরু থেকে একুশে টেলিভিশন দেশ ও জাতির স্বার্থকে বিবেচনা করে সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। তাকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের ভয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু, একুশে টেলিভিশন সত্যের পথে ছিল এবং থাকবে। তিনি অবিলম্বে একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যানের মুক্তি দাবি করেন।
মুক্তি দাবি খালেদার
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘একুশে টিভি’র চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল আবদুস সালামকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তিনি। খালেদা জিয়া বলেন, গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে স্বাধীন মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। বর্তমান সরকারের আমলে জনগণের সকল অধিকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় হরণ করা হয়েছে। রুদ্ধ করা হয়েছে নির্ভীকভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনপ্রিয় পত্রিকা ‘দৈনিক আমার দেশ’ বন্ধ এবং সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে অন্তরীণ রেখেছে। এছাড়া বেসরকারি টিভি ‘চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দিয়েছে। এখন সকল গণমাধ্যমকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিরোধী দল ও মত দমনে এ ধরনের অন্যায় ও ন্যক্কারজনক কর্মকা- গণতন্ত্রের জন্য কখনোই শুভ নয়। তাই অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত একুশে টিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালামসহ সকল সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার দাবি জানান বিরোধী জোটের শীর্ষনেতা।
ক্যান্টনমেন্ট থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করার পরেই একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। তারা সবাই মিন্টো রোডে ডিবি অফিসের সামনে ভিড় করেন। সোমবার দুপুরের পর থেকে ক্যাবল অপারেটররা সারা দেশে ইটিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়ায় গুজব ছিল চ্যানেলটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যদিও গতকাল তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানিয়েছেন ইটিভি বন্ধ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ঊর্র্ধ্বতন নির্দেশনা পেয়ে ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ক্যাবল অপারেটররা ইটিভি সম্পচার বন্ধ রেখেছে।
ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান জানান, গত ৬ই নভেম্বর রাত ৯টায় একুশে টেলিভিশনে ‘একুশের চোখ’ নামে অপরাধবিষয়ক অনুষ্ঠানে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। এ ঘটনায় ২৬শে নভেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় কানিজ ফাতেমা নামে এক নারী বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি আইনের ৮ এর ১ থেকে ৭ ধারা অনুযায়ী একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-১৪। মামলায় অভিযোগে মিথ্যা প্রচারণা মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন, একুশে টেলিভিশনের প্রতিবেদক ইলিয়াস হোসেন, বাদী কানিজের তালাকপ্রাপ্ত স্বামী মো. শাহজালাল, কানিজের কথিত ধর্মভাই জহিরুল হক এবং আত্মীয় জাকির হোসেন। ওই মামলায় আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে মামলার এজাহারে দেখা গেছে, ওই মামলার আসামির তালিকায় তার নাম নেই। ইটিভির অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক রুবিনা মোস্তফা জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে অফিসের সাত তলায় নিজ কক্ষে মিটিং শেষে নিচে নেমে আসেন আবদুস সালাম। এসময় তিনি তার ব্যক্তিগত গাড়িতে ওঠেন।
তিনি আরও জানান, এরপরেই ১০ থেকে ১২ জন লোক এসে গাড়ি ঘিরে ফেলে। তারা আবদুস সালামের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে নামতে বলেন। তিনি নামতে অস্বীকৃতি জানালে একজন জোর করে ওই গাড়ির চালক বাদলকে নামিয়ে দেয়। তারা বলে যায়, তাকে আটক করা হলো। গাড়ি চালক বাদল জানান, ডিবি সদস্যদের কাছে ওয়াকিটকি ও রিভলবার ছিল। একজনের শরীরের জ্যাকেটে ডিবি লেখা ছিল।
মামলার আসামি একুশে টেলিভিশনের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক ইলিয়াস হোসেন জানান, ক্যান্টনমেন্টের উত্তর মানিকদীর ২৪/১ নম্বর বাড়িতে কানিজ ফাতেমা নামে এক মহিলা পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তার স্বামীর নাম শাহজালাল। প্রায় চার বছর ধরে তিনি বিদেশে থাকেন। বিদেশ থেকে তিনি টাকা পাঠান।
তিনি আরও জানান, ওই টাকা তার কথিত ধর্মভাই জহিরুল দেন এবং তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে। এমন খবর আমরা জানতে পারি। পরে নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে কানিজের বিরুদ্ধে একুশে টেলিভিশনের অপরাধবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘একুশের চোখে’ প্রচারিত হয়। এ ঘটনায় মামলার বাদী মামলায় অভিযোগ করেছেন যে, তার ছবি অন্যজনের সঙ্গে ইন্টারনেটের ভিত্তিতে সংযোগ করা হয়েছে। এটি ডাহা মিথ্যা কথা। আমাদের কাছে ওই ফুটেজ এখানও আছে। স্থানীয়রাই ওই মহিলার সম্পর্কে খুব ভালভাবে জানে।
একুশে টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মঞ্জুরুল আলম পান্না জানান, আবদুস সালামের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা ওয়ারেন্ট নেই। অন্য একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অথচ ওই মামলার আসামির তালিকায় তার নাম নেই। তিনি আরও জানান,‘ শুরু থেকে একুশে টেলিভিশন দেশ ও জাতির স্বার্থকে বিবেচনা করে সংবাদ পরিবেশন করে আসছে। তাকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের ভয় দেখানো হয়েছে। কিন্তু, একুশে টেলিভিশন সত্যের পথে ছিল এবং থাকবে। তিনি অবিলম্বে একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যানের মুক্তি দাবি করেন।
মুক্তি দাবি খালেদার
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘একুশে টিভি’র চেয়ারম্যান আবদুস সালামকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল আবদুস সালামকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তিনি। খালেদা জিয়া বলেন, গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে স্বাধীন মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। বর্তমান সরকারের আমলে জনগণের সকল অধিকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় হরণ করা হয়েছে। রুদ্ধ করা হয়েছে নির্ভীকভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনপ্রিয় পত্রিকা ‘দৈনিক আমার দেশ’ বন্ধ এবং সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে অন্তরীণ রেখেছে। এছাড়া বেসরকারি টিভি ‘চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দিয়েছে। এখন সকল গণমাধ্যমকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিরোধী দল ও মত দমনে এ ধরনের অন্যায় ও ন্যক্কারজনক কর্মকা- গণতন্ত্রের জন্য কখনোই শুভ নয়। তাই অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত একুশে টিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালামসহ সকল সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার দাবি জানান বিরোধী জোটের শীর্ষনেতা।
No comments