সেরা গাছের দৌড়ে মেজর ওক
যুক্তরাজ্যের
বিখ্যাত বন শেরউড ফরেস্টের গাছ ‘মেজর ওক’ দেশের বছরের সেরা গাছ নির্বাচিত
হয়েছে। মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডের লোকগাথার চরিত্র গরিবের উপকার করা দস্যু
রবিন হুডের আস্তানা হিসেবে সুপরিচিত শেরউড ফরেস্ট। শোনা যায়, বনের ওই
প্রাচীন ওক গাছেই লুকিয়ে থেকে অনেকবার রাজার সেপাইদের নজর এড়িয়েছেন রবিন
হুড। আর এই ‘মেজর ওক’ এবার ১৩টি গাছের সঙ্গে লড়বে গোটা ইউরোপের ২০১৫
সালের সেরা গাছের শিরোপা পেতে। খবর বিবিসির। যুক্তরাজ্যের সেরা গাছ হতে
গিয়ে মেজর ওককে দুটো ‘বিখ্যাত’ গাছের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। এর একটি
হলো, যে গাছটি থেকে আপেল পড়ার পর বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন
মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্বের আবিষ্কার করেছিলেন বলে দাবি করা হয়, সেই গাছটি। আর
রাজা জন যেখানে ম্যাগনা কার্টায় স্বাক্ষর করেছিলেন, রানিমেডের সেই ইউ
গাছটি। এ দুটিসহ অন্যদের হারিয়ে হাজার বছরেরও বেশি বয়সী আনুমানিক ২৩ টন
ওজনের মেজর ওকই সেরা গাছ হয়ে উঠল। মেজর ওকের সেরা মনোনীত হওয়ার কারণ কী
জানতে চাইলে শেরউড ফরেস্টের ব্যবস্থাপক আইজি ব্যানটন বলেন, ‘গাছটির দিকে
তাকালে অবাক হতে হয়। সবুজ পত্রপল্লবে আচ্ছাদিত। এত পুরোনো গাছের জন্য
যেটি সত্যিই বিস্ময়কর।’
পুরোনো গাছ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জিল বাটলার বলেন, ‘ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবির মতো আমাদের দেশে মানুষের তৈরি যে চারটি বিস্ময়কর জায়গা আছে, মেজর ওক এর একটি।’ মেজর ওকের নাম হয়েছে মেজর হেম্যান রোকের নাম অনুসারে। অষ্টাদশ শতকে তিনি এই গাছটি নিয়ে লিখেছিলেন।
সমর্থকরা মনে করেন, বুলগেরিয়ার স্লিভেন শহরের বড় এলম (দেবদারুর মতো গাছ) গাছটিকে পেছনে ফেলে মেজর ওক জয়ী হবে। বুলগেরিয়ার ওই গাছটি এক অনলাইন জরিপে ৭৭ হাজারেরও ভোট বেশি পেয়ে ২০১৪ সালের ইউরোপের সেরা নির্বাচিত হয়। ইউরোপীয় কমিশনের অঙ্গসংগঠন এনভায়রনমেন্টাল পার্টনারশিপ অ্যাসোসিয়েশন (ইপিএ) ২০১৫ সালের ইউরোপের সেরা গাছের প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। মার্চ মাসে অনলাইন ভোটের মাধ্যমে সেরা গাছটির নাম ঘোষণা করা হবে। মেজর ওকের এক শক্ত প্রতিযোগী যুক্তরাজ্যেরই ওয়েলসের ল্যানফিলিন শহরের পাইনগাছটি গত শীতে ঝড়ে ভেঙে গেছে। সেরা গাছের প্রতিযোগিতার চেক প্রজাতন্ত্রের এক আয়োজক বলেন, কেবল প্রাচীন, দুর্লভ, বড় বা দেখতে সুন্দর হওয়া বিজয়ী হওয়ার মাপকাঠি হবে না।
প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী আন্দ্রে ক্রপোভা বলেন, ‘আমরা আসলে সেই গাছটিই খুঁজছি, যেটিকে সবচেয়ে বেশি মানুষ ভালোবাসে। যে গাছটি ঘিরে আছে ইতিহাস। আর যেটি একটি সম্প্রদায়ের নানা মানুষকে একত্র করেছে।’ প্রতিযোগিতায় আরও আছে স্পেন, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ার গাছ।
পুরোনো গাছ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জিল বাটলার বলেন, ‘ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবির মতো আমাদের দেশে মানুষের তৈরি যে চারটি বিস্ময়কর জায়গা আছে, মেজর ওক এর একটি।’ মেজর ওকের নাম হয়েছে মেজর হেম্যান রোকের নাম অনুসারে। অষ্টাদশ শতকে তিনি এই গাছটি নিয়ে লিখেছিলেন।
সমর্থকরা মনে করেন, বুলগেরিয়ার স্লিভেন শহরের বড় এলম (দেবদারুর মতো গাছ) গাছটিকে পেছনে ফেলে মেজর ওক জয়ী হবে। বুলগেরিয়ার ওই গাছটি এক অনলাইন জরিপে ৭৭ হাজারেরও ভোট বেশি পেয়ে ২০১৪ সালের ইউরোপের সেরা নির্বাচিত হয়। ইউরোপীয় কমিশনের অঙ্গসংগঠন এনভায়রনমেন্টাল পার্টনারশিপ অ্যাসোসিয়েশন (ইপিএ) ২০১৫ সালের ইউরোপের সেরা গাছের প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। মার্চ মাসে অনলাইন ভোটের মাধ্যমে সেরা গাছটির নাম ঘোষণা করা হবে। মেজর ওকের এক শক্ত প্রতিযোগী যুক্তরাজ্যেরই ওয়েলসের ল্যানফিলিন শহরের পাইনগাছটি গত শীতে ঝড়ে ভেঙে গেছে। সেরা গাছের প্রতিযোগিতার চেক প্রজাতন্ত্রের এক আয়োজক বলেন, কেবল প্রাচীন, দুর্লভ, বড় বা দেখতে সুন্দর হওয়া বিজয়ী হওয়ার মাপকাঠি হবে না।
প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী আন্দ্রে ক্রপোভা বলেন, ‘আমরা আসলে সেই গাছটিই খুঁজছি, যেটিকে সবচেয়ে বেশি মানুষ ভালোবাসে। যে গাছটি ঘিরে আছে ইতিহাস। আর যেটি একটি সম্প্রদায়ের নানা মানুষকে একত্র করেছে।’ প্রতিযোগিতায় আরও আছে স্পেন, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ার গাছ।
No comments