সংবিধান সংশোধনের পথে পাকিস্তান- সন্ত্রাসের বিচারে সামরিক আদালত গঠন
(পাকিস্তানের পার্লামেন্টে গতকাল অধিবেশন চলার সময় বাইরে অবস্থানরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা l এএফপি) সন্ত্রাস
ও জঙ্গিবাদ-সংশ্লিষ্ট ঘটনার বিচারে সামরিক আদালত গঠন অনুমোদন করেছে
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। জাতীয় পরিষদে গতকাল মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত সংবিধান
সংশোধনী পাস হয়। পাশাপাশি পাকিস্তান সেনা (সংশোধনী) বিলও অনুমোদন
করেছেন আইনপ্রণেতারা। পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে ভয়াবহ জঙ্গি
হামলার প্রেক্ষাপটে এ আলোচিত ও বিতর্কিত উদ্যোগ নেওয়া হলো। খবর এএফপি ও
ডনের। পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে গত ১৬ ডিসেম্বর ভয়াবহ হামলা চালায়
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) জঙ্গিরা। এতে ১৩২ শিশুসহ অন্তত ১৪১
জন নিহত হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ওই হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ
শরিফ জঙ্গিবাদ রুখতে সামরিক আদালত গঠনসহ বিভিন্ন ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সর্বদলীয় এক বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদিতও হয়েছিল। এ ছাড়া নওয়াজ সন্ত্রাসবাদের
ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ তুলে
নিয়েছেন। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে। জাতীয় পরিষদে
গতকাল বিল অনুমোদন করতে পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস
পার্টির (পিপিপি) আইনপ্রণেতারাও যোগ দেন। নিম্নকক্ষে বিরোধীদলীয় নেতা ও
পিপিপির আইনপ্রণেতা সৈয়দ খুরশিদ আহমেদ শাহ বলেন, ‘নতুন আইনের এই তেতো
বড়িটি আজ পাকিস্তানের নিরাপত্তার খাতিরেই গিলতে হচ্ছে।’
পিপিপির আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টে বিলের পক্ষে সমর্থন দিলেও তাঁরা এ নিয়ে সন্তুষ্ট নন। পিপিপিসহ কয়েকটি দলের নেতারা সম্প্রতি বলেছেন, সর্বদলীয় বৈঠকে তাঁরা সামরিক নন, বরং বিশেষ আদালতের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। ভোটাভুটিতে পাকিস্তানের সংবিধানের ২১তম এই সংশোধনীর পক্ষে ২৪৭ আইনপ্রণেতার ভোট পড়ে। ৩৪২ আসনের নিম্নকক্ষে বিলটি পাস হওয়ার জন্য যে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের দরকার ছিল, এটা তার চেয়ে বেশি। আর সেনা (সংশোধনী) বিলটি পাসের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার ভোট পড়লেই চলত। বিলটি গতকাল কোনো প্রকার বিরোধিতা ছাড়াই পাস হয়। পিপিপি অধিবেশনে যোগ দিলেও ধর্মভিত্তিক দল জামায়াত-ই-ইসলামী এবং জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলামের (ফজল গ্রুপ) আইনপ্রণেতারা ভোটাভুটির সময় পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন না। পাশাপাশি ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) আইনপ্রণেতারাও অনুপস্থিত ছিলেন। গত বছরের শেষের দিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা পদত্যাগপত্র জমা দিলেও এখন পর্যন্ত সেগুলো স্পিকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ঝুলে আছে। ধর্মভিত্তিক দলগুলোর বাইরে কিছু উদারপন্থী রাজনৈতিক দল এবং বুদ্ধিজীবীরা সামরিক আদালত গঠনের পরিকল্পনার সমালোচনায় সরব। দেশটির শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ডন গতকাল এক সম্পাদকীয়তে এটাকে ‘দুঃখের দিন’ আখ্যায়িত করে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘জঙ্গিবাদ রুখতে আমাদের একটা সুসংগত কৌশল দরকার, রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের একসঙ্গে কাজ করা দরকার, এটা ঠিক। কিন্তু সামরিক আদালত গঠনের বিষয়টি যথার্থ সিদ্ধান্ত হতে পারে না।’
সন্ত্রাসের বিচারে সামরিক আদালত গঠনের পক্ষে পিপিপির শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে আইনপ্রণেতারা অখুশি। গতকালের ভোটাভুটির আগে পিপিপির পার্লামেন্টারি দল সোমবার যে বৈঠক করে, সেখানে সিদ্ধান্তটি কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে। সামরিক আদালত গঠনের পক্ষে সমর্থন দেওয়ার বিরোধিতা করে বৈঠকে যাঁরা বক্তব্য দেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজা রাব্বানি, নওয়াব ইউসুফ তালপুর, তাজ হায়দার প্রমুখ।
সিনেটে পিপিপির সংসদীয় দলের নেতা রাজা রাব্বানি এমনকি সংবিধান সংশোধনের এ ঘটনাকে পার্লামেন্টের জন্য ‘মৃত্যু দিবস’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, অতীতের সামরিক স্বৈরশাসকদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বৈধতা না দেওয়ার একটা সুনাম ছিল পার্লামেন্টের। আজ সেই পার্লামেন্ট তার ‘শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ’ করল। নিম্নকক্ষে পাস হওয়া বিল দুটি আজ বুধবার পার্লামেন্টের ১০৪ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষ সিনেটে উত্থাপন করা হবে। সংবিধান সংশোধন-সংক্রান্ত বিলটি পাস হওয়ার জন্য সেখানেও দুই-তৃতীয়াংশ আইণপ্রণেতার সমর্থন লাগবে। সিনেটে অনুমোদিত হলে বিলটি আজই বা কাল বৃহস্পতিবার আইনে পরিণত হতে পারে। আর নিম্নকক্ষের মতো উচ্চকক্ষেও সেনা (সংশোধনী) বিলটি পাসের জন্য সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সমর্থন লাগবে।
পিপিপির আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টে বিলের পক্ষে সমর্থন দিলেও তাঁরা এ নিয়ে সন্তুষ্ট নন। পিপিপিসহ কয়েকটি দলের নেতারা সম্প্রতি বলেছেন, সর্বদলীয় বৈঠকে তাঁরা সামরিক নন, বরং বিশেষ আদালতের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। ভোটাভুটিতে পাকিস্তানের সংবিধানের ২১তম এই সংশোধনীর পক্ষে ২৪৭ আইনপ্রণেতার ভোট পড়ে। ৩৪২ আসনের নিম্নকক্ষে বিলটি পাস হওয়ার জন্য যে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের দরকার ছিল, এটা তার চেয়ে বেশি। আর সেনা (সংশোধনী) বিলটি পাসের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার ভোট পড়লেই চলত। বিলটি গতকাল কোনো প্রকার বিরোধিতা ছাড়াই পাস হয়। পিপিপি অধিবেশনে যোগ দিলেও ধর্মভিত্তিক দল জামায়াত-ই-ইসলামী এবং জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলামের (ফজল গ্রুপ) আইনপ্রণেতারা ভোটাভুটির সময় পার্লামেন্টে উপস্থিত ছিলেন না। পাশাপাশি ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) আইনপ্রণেতারাও অনুপস্থিত ছিলেন। গত বছরের শেষের দিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা পদত্যাগপত্র জমা দিলেও এখন পর্যন্ত সেগুলো স্পিকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ঝুলে আছে। ধর্মভিত্তিক দলগুলোর বাইরে কিছু উদারপন্থী রাজনৈতিক দল এবং বুদ্ধিজীবীরা সামরিক আদালত গঠনের পরিকল্পনার সমালোচনায় সরব। দেশটির শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক ডন গতকাল এক সম্পাদকীয়তে এটাকে ‘দুঃখের দিন’ আখ্যায়িত করে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ‘জঙ্গিবাদ রুখতে আমাদের একটা সুসংগত কৌশল দরকার, রাজনৈতিক ও সামরিক নেতাদের একসঙ্গে কাজ করা দরকার, এটা ঠিক। কিন্তু সামরিক আদালত গঠনের বিষয়টি যথার্থ সিদ্ধান্ত হতে পারে না।’
সন্ত্রাসের বিচারে সামরিক আদালত গঠনের পক্ষে পিপিপির শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে আইনপ্রণেতারা অখুশি। গতকালের ভোটাভুটির আগে পিপিপির পার্লামেন্টারি দল সোমবার যে বৈঠক করে, সেখানে সিদ্ধান্তটি কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে। সামরিক আদালত গঠনের পক্ষে সমর্থন দেওয়ার বিরোধিতা করে বৈঠকে যাঁরা বক্তব্য দেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজা রাব্বানি, নওয়াব ইউসুফ তালপুর, তাজ হায়দার প্রমুখ।
সিনেটে পিপিপির সংসদীয় দলের নেতা রাজা রাব্বানি এমনকি সংবিধান সংশোধনের এ ঘটনাকে পার্লামেন্টের জন্য ‘মৃত্যু দিবস’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, অতীতের সামরিক স্বৈরশাসকদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বৈধতা না দেওয়ার একটা সুনাম ছিল পার্লামেন্টের। আজ সেই পার্লামেন্ট তার ‘শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ’ করল। নিম্নকক্ষে পাস হওয়া বিল দুটি আজ বুধবার পার্লামেন্টের ১০৪ সদস্যবিশিষ্ট উচ্চকক্ষ সিনেটে উত্থাপন করা হবে। সংবিধান সংশোধন-সংক্রান্ত বিলটি পাস হওয়ার জন্য সেখানেও দুই-তৃতীয়াংশ আইণপ্রণেতার সমর্থন লাগবে। সিনেটে অনুমোদিত হলে বিলটি আজই বা কাল বৃহস্পতিবার আইনে পরিণত হতে পারে। আর নিম্নকক্ষের মতো উচ্চকক্ষেও সেনা (সংশোধনী) বিলটি পাসের জন্য সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার সমর্থন লাগবে।
No comments