জোট বেঁধে ক্ষমতায় যাওয়ার পক্ষে রাজ্য বিজেপি
মুখ্যমন্ত্রিত্ব ভাগাভাগির দাবিতে অনড় না থেকে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপি বিধায়কেরা চাইছেন পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) সঙ্গে জোট বেঁধে প্রথমবারের জন্য রাজ্যে দল ক্ষমতায় আসুক। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকে গতকাল সোমবার রাজ্য নেতৃত্ব এ বিষয়েই জোর দিয়েছেন। তবে রাজ্য সভাপতি যুগল কিশোর জানিয়েছেন, দল তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিরোধী। অমিত শাহ রাজ্য নেতাদের মন বোঝার জন্যই গতকালের ওই বৈঠক ডেকেছিলেন। বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক রামমাধবও উপস্থিত ছিলেন। তাঁর ওপরেই দায়িত্ব ছিল এই জোটের। বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধার আড়ষ্টতা কাটিয়ে পিডিপি এই যে রাজি হওয়ার মতো জায়গায় এসেছে, তার ভালোমন্দই প্রধানত এই বৈঠকে আলোচিত হয়। বিজেপির নির্বাচনী স্লোগান ছিল রাজ্যকে প্রথম হিন্দু মুখ্যমন্ত্রী উপহার দেওয়া। কিন্তু পিডিপির সেখানে ঘোরতর আপত্তি। তারা মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে কোনো দরকষাকষিতে আদৌ রাজি নয়। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব সেখানেই তাঁদের মতামত জানান। বৈঠকে তাঁরা জানান, এমন কিছু করা উচিত নয়,
যাতে পিডিপির মধ্যে জোটবিরোধীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। সে ক্ষেত্রে বিজেপি উপমুখ্যমন্ত্রিত্বে খুশি হবে। বৈঠকে পিডিপির অন্য শর্তগুলোও আলোচিত হয়। তাদের শর্ত প্রধানত চারটি। প্রথমত, সংবিধানের ৩৭০ ধারা অটুট রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, সেনাবাহিনীর বিশেষ অধিকার আইন ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। অন্তত এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জোট গঠনের সময় জানাতে হবে। তৃতীয়ত, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির পাকিস্তান নীতিকে অনুসরণ করতে হবে। পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধ থাকা দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শুরু করতে হবে। এবং চতুর্থত, রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদীদেরও আলোচনার আবর্তে আনতে হবে। এই শর্তগুলো কতটা মানা সম্ভব, সোমবারের বৈঠকে সেগুলোই আলোচিত হয়। এরপর বিজেপি নেতৃত্ব কথা বলবেন পিডিপি নেতৃত্বের সঙ্গে। ১৯ জানুয়ারির মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরে সরকার গড়তে হবে। ঘটনাপ্রবাহ যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে বিজেপি-পিডিপি জোট অবধারিত হতে চলেছে।
No comments