নিজ কার্যালয়ে এখনো অবরুদ্ধ খালেদা জিয়া
বিএনপির
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখনো নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ। শনিবার রাত সাড়ে
১১টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টারও
বেশি সময় তাঁকে গুলশানের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে পুলিশ। গতকাল সেখানে
পোশাকধারী পুলিশের সংখ্যা ১৫০ থেকে কমিয়ে ৬০ জন করা হয়েছে। গুলশানের ৮৬
নম্বর সড়কের ওই কার্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এক সারিতে নারী পুলিশ এবং আরেক
সারিতে পুরুষ পুলিশকে দিনভর দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। গতকালও প্রধান ফটকে
তালা ঝুলতে দেখা গেছে। ফটকের ছোট দরজাটির (পকেট গেট) খুলে দেওয়া হয়েছে।
সেই পথ দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও
নিরাপত্তাকর্মীদের যাতায়াত করতে দেওয়া হয়েছে। কার্যালয়ের ভেতরে খালেদা
জিয়ার সঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানসহ ছয়জন নারী নেতা এবং
বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, প্রেস সচিব মারুফ কামাল
খান, ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীসহ ২৫ জন অবস্থান করছেন।
কার্যালয়ে অবস্থান করা সবার খাবার বাইরে থেকে আনা হচ্ছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের খাবার আসছে তাঁর ছোট ভাইয়ের বাসা থেকে। ভেতরে থাকা একজন নারী নেতা প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া গতকাল কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলেননি। তবে তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা টেলিফোনে মাঠের নেতাদের দলীয় প্রধানের নির্দেশনা জানাচ্ছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ রাশিদুল হাসান ওই কার্যালয়ে যান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এমাজউদ্দীন আহমদ বাইরে এসে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন অসুস্থ। তবে তিনি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে অটল আছেন। ভয়ভীতি, অবরুদ্ধ করে তাঁকে দমানো যাবে না। তিনি বলেন, বিএনপির পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে, তা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে খালেদা জিয়া তাঁদের জানিয়েছেন।
রাতে মারুফ কামাল খান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। তাঁকে মাঝে মাঝে অক্সিজেনও দিতে হচ্ছে।
এর আগে গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাবলিগ জামাতের কয়েকজন সদস্য বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান। প্রথমে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া না হলেও পরে অনুমতি নিয়ে ভেতরে যান। তাঁরা বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী ও প্রেস সচিবের সঙ্গে কথা বলেন। ৯ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব ইজতেমার বিষয়টি অবহিত করা হয়। অবশ্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁদের কোনো কথা হয়নি।
খালেদা জিয়া শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ আছেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কার্যালয়ের প্রধান ফটকে মূল দরজা ও পকেট দরজায় তালা লাগিয়ে দেয় পুলিশ। পরে ওই দিন রাতে হেঁটে বের হওয়ার ছোট দরজাটির তালা খুলে দেওয়া হয়। তবে মূল ফটকে এখনো তালা থাকায় ভেতর থেকে গাড়ি বের হওয়ার সুযোগ নেই।
কার্যালয়ের সামনের সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য রাখা ১১টি ট্রাক সোমবার রাতে সরিয়ে নেওয়া হলেও খালেদা জিয়ার বাইরে বেরোনোর পথ আগের মতোই অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এরপর কার্যালয় থেকে বের হয়ে ডান বা বাঁয়ে কোনো দিকেই যাওয়ার উপায় নেই। বের হয়ে বাঁ দিকে যাওয়ার রাস্তায় আড়াআড়িভাবে পুলিশের একটি জলকামান রাখা হয়েছে। আর ডান দিকে যাওয়ার পথে দুটি পুলিশ ভ্যান আড়াআড়িভাবে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ৮৬ নম্বর সড়কের প্রবেশের মুখও পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। অন্য পাশে ৮৭ নম্বর সড়কের মুখেও পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। ফলে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে কেউ চলাচল করতে পারছে না।
মহানগর পুলিশের গুলশান অঞ্চলের একজন পদস্থ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত দুজন কর্মকর্তার কাছে তাঁরা অন্তত পাঁচবার বার্তা পাঠিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, খালেদা জিয়া নিজের বাসায় যেতে চাইলে পুলিশ কোনো বাধা দেবে না। তাঁকে বাসায় পর্যন্ত নিরাপত্তা দিয়ে পৌঁছে দেবে। তবে অন্য কোথাও যেতে দেওয়া হবে না।
ওই কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের এই বার্তার বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে ওই কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনকে এভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা সম্পর্কে জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিক-উল হক প্রথম আলোকে বলেন, এটা গণতন্ত্রের সঙ্গে যায়ই না; এমনকি আইনের শাসন ও মানবাধিকারেরও পরিপন্থী।
কার্যালয়ে অবস্থান করা সবার খাবার বাইরে থেকে আনা হচ্ছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের খাবার আসছে তাঁর ছোট ভাইয়ের বাসা থেকে। ভেতরে থাকা একজন নারী নেতা প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া গতকাল কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলেননি। তবে তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা টেলিফোনে মাঠের নেতাদের দলীয় প্রধানের নির্দেশনা জানাচ্ছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সৈয়দ রাশিদুল হাসান ওই কার্যালয়ে যান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এমাজউদ্দীন আহমদ বাইরে এসে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন অসুস্থ। তবে তিনি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে অটল আছেন। ভয়ভীতি, অবরুদ্ধ করে তাঁকে দমানো যাবে না। তিনি বলেন, বিএনপির পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে, তা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে খালেদা জিয়া তাঁদের জানিয়েছেন।
রাতে মারুফ কামাল খান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। তাঁকে মাঝে মাঝে অক্সিজেনও দিতে হচ্ছে।
এর আগে গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাবলিগ জামাতের কয়েকজন সদস্য বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান। প্রথমে তাঁদের ঢুকতে দেওয়া না হলেও পরে অনুমতি নিয়ে ভেতরে যান। তাঁরা বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী ও প্রেস সচিবের সঙ্গে কথা বলেন। ৯ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া বিশ্ব ইজতেমার বিষয়টি অবহিত করা হয়। অবশ্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁদের কোনো কথা হয়নি।
খালেদা জিয়া শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ আছেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কার্যালয়ের প্রধান ফটকে মূল দরজা ও পকেট দরজায় তালা লাগিয়ে দেয় পুলিশ। পরে ওই দিন রাতে হেঁটে বের হওয়ার ছোট দরজাটির তালা খুলে দেওয়া হয়। তবে মূল ফটকে এখনো তালা থাকায় ভেতর থেকে গাড়ি বের হওয়ার সুযোগ নেই।
কার্যালয়ের সামনের সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য রাখা ১১টি ট্রাক সোমবার রাতে সরিয়ে নেওয়া হলেও খালেদা জিয়ার বাইরে বেরোনোর পথ আগের মতোই অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এরপর কার্যালয় থেকে বের হয়ে ডান বা বাঁয়ে কোনো দিকেই যাওয়ার উপায় নেই। বের হয়ে বাঁ দিকে যাওয়ার রাস্তায় আড়াআড়িভাবে পুলিশের একটি জলকামান রাখা হয়েছে। আর ডান দিকে যাওয়ার পথে দুটি পুলিশ ভ্যান আড়াআড়িভাবে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ৮৬ নম্বর সড়কের প্রবেশের মুখও পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। অন্য পাশে ৮৭ নম্বর সড়কের মুখেও পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। ফলে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে কেউ চলাচল করতে পারছে না।
মহানগর পুলিশের গুলশান অঞ্চলের একজন পদস্থ কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত দুজন কর্মকর্তার কাছে তাঁরা অন্তত পাঁচবার বার্তা পাঠিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, খালেদা জিয়া নিজের বাসায় যেতে চাইলে পুলিশ কোনো বাধা দেবে না। তাঁকে বাসায় পর্যন্ত নিরাপত্তা দিয়ে পৌঁছে দেবে। তবে অন্য কোথাও যেতে দেওয়া হবে না।
ওই কর্মকর্তা বলেন, পুলিশের এই বার্তার বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে ওই কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনকে এভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা সম্পর্কে জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিক-উল হক প্রথম আলোকে বলেন, এটা গণতন্ত্রের সঙ্গে যায়ই না; এমনকি আইনের শাসন ও মানবাধিকারেরও পরিপন্থী।
No comments