লেবাননে প্রবেশে সিরীয় শরণার্থীদের নতুন বাধা
সিরীয় শরণার্থীদের লেবাননে প্রবেশের ক্ষেত্রে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করেছে প্রতিবেশী দেশ লেবানন। গতকাল সোমবার থেকে তা কার্যকর হয়েছে। এর আগে দুই দেশের নাগরিকেরা অনেকটা বাধাহীনভাবেই একে অন্যের দেশে প্রবেশ করতে পারতেন। খবর বিবিসি। লেবাননের সরকারের এই কড়াকড়ি আরোপের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশটিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংস্থার (ইউএনএইচআরসি) মুখপাত্র রোন রেডমন্ড বলেছেন, গত ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে লেবানেন আশ্রয়প্রার্থী সিরীয়দের সংখ্যা অনেক কমেছে। সবচেয়ে বিপদগ্রস্ত সিরীয়দের লেবাননে প্রবেশের সুযোগ দিতে দেশটির সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল ঘোষিত নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে লেবাননে প্রবেশের আগে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে সিরীয়দের। আগে লেবাননে প্রবেশের পর কোনো কাগজপত্র ছাড়াই ছয় মাস থাকতে পারতেন সিরীয় নাগরিকেরা। এখন থেকে তাঁদের লেবাননে প্রবেশের সময় সীমান্ত প্রবেশপথগুলোতে ভিসা পেতে নানা আনুষ্ঠানিকতার মুখে পড়তে হবে। কেন তাঁরা লেবাননে যেতে চান, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে হবে। কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হলে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভিসা দেবে। এ ছাড়া লেবাননে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে ইচ্ছুক সিরীয়দের লেবাননের কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানির কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেতে হবে।
বিপুলসংখ্যক সিরীয় শরণার্থীর চাপে বর্তমানে হিমশিম খাচ্ছে লেবাননের সরকার। এই শরণার্থী সমস্যা দেশটির আর্থসামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সিরিয়া গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকেই প্রতিবেশী লেবাননকে উদ্বাস্তু সমস্যার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বর্তমানে দেশটিতে তালিকাভুক্ত ১১ লাখ শরণার্থী অবস্থান করছেন। তবে তালিকার বাইরে আছেন আরও পাঁচ লাখের বেশি শরণার্থী। সব মিলিয়ে ছোট দেশ লেবাননে বর্তমানে প্রতি তিনজন মানুষের একজন সিরীয়। এসব শরণার্থীর বেশির ভাগই শরণার্থী শিবিরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সিরিয়ায় ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। পরে তা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এর পর থেকে লাখো সিরীয় দেশ থেকে পালিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
No comments