তুহিন মালিকের বিরুদ্ধে সমন
বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার নিয়ে কটূক্তি করার মামলায় সংবিধান
বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. তুহিন মালিককে আদালতে হাজির হতে সমন
জারি করেছেন আদালত। সকালে ঢাকার সিএমএম আদালতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রব্বানীর দায়ের করা মামলায় এ সমন জারি করা
হয়। সমনে আসামিকে আগামী ১৩ই জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালতে বেলা ১১টার
দিকে এ বিষয়ে শুনানি হয়। এর আগে ঢাকার সিএমএম আদালতে রাষ্ট্রদ্র্রোহ ও
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ এনে একই বাদী তুহিন মালিকের বিরুদ্ধে
দু’টি মামলা করেন।ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক রাষ্ট্রের
অনুমতি সাপেক্ষে মামলা দু’টি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য শাহবাগ থানার
ওসিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ৩০শে নভেম্বর
লন্ডনের ওয়াটার লিলি গার্ডেন অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় সংবিধানের বিভিন্ন
অনুচ্ছেদ নিয়ে কটূক্তি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনে বক্তব্য দেন ড. তুহিন
মালিক। আরজিতে বাদী দাবি করেন তুহিন মালিক তার বক্তব্যে বলেছেন,‘তারা
সংবিধানটাকে তাদের নির্বাচনী মেনিফেস্টো এবং দলীয় মেনিফেস্টো হিসাবে তৈরি
করেছে এবং সেখানে সেভাবে ‘নাস্তিক্যবাদিতা’ ও ধর্মহীনতা’র বিষয় জুড়ে দেওয়া
হয়েছে। সংবিধানের তিন ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ প্রায় ৫২টি অনুচ্ছেদ, স্পেশাল
অনুচ্ছেদ, সবচেয়ে স্পেশাল অনুচ্ছেদ কেয়ামত পর্যন্ত, বাংলাদেশ যতোদিন থাকবে
কেউ সংশোধন করতে পারবে না।’তিনি আরো বলেছেন, ‘আইন করা হয়েছে, ৭ক অনুচ্ছেদ
করে বলে দেয়া হয়েছে, যদি কেউ এমনটা করে কিংবা করার চেষ্টা করে কিংবা সহায়তা
করে প্রত্যেকের মৃত্যুদন্ডতুল্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ হবে। মানে ফাঁসি
হয়ে যাবে। তাহলে কি হবে? মুজিবের কাহিনী, তার পরিবারের গান-বাজনা, এগুলো
বাতিল যে করতে চাইবে তাদেরও ফাঁসি হবে। যতোদিন পৃথিবী আছে সংবিধান পরিবর্তন
হবে না। একমাত্র বিকল্প রয়ে গেছে সংবিধান বাতিল। কিসের জাতির পিতা, কিসের
আর্দশ, কিসের চেতনা? কিছুই থাকবে না ইনশাআল্লাহ।’ তার এ বক্তব্য কটূক্তি ও
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে বলে আরজিতে দাবি করেন বাদী।
No comments