বৃটেনে বাংলাদেশী মুসলমানরা চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার
বৃটেনে পরিচালিত এক নতুন জরিপে দেখা গেছে, গায়ের রঙের কারণে নয়, ধর্ম পরিচয়ের কারণে বৃটেনের মুসলমানরা এখন ইতিহাসের যে কোন সময়ের তুলনায় চাকরি ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. নাবিল খাত্তাব এবং অধ্যাপক রন জনসনের যৌথ গবেষণায় এই উদ্বেগজনক চিত্র ফুটে উঠেছে।
আপনি যদি ‘বাংলাদেশী নারী মুসলিম’ হন তাহলে শতকরা ৫১ ভাগ চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। তবে এই অবস্থাটি পাকিস্তানি নারী মুসলিম ও ‘অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠী’র চেয়ে উন্নত। পাকিস্তানি নারী হলে ৬৫ ভাগ চাকরি লাভের সুযোগ কম। মুসলিম ভারতীয় নারী হলে চাকরি লাভের সম্ভাবনা ৫৫ ভাগ কম হবে। আর “অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠী”র নারী হলে ৬৫ ভাগ সম্ভাবনা কম থাকবে।
আবার পুরুষদের ক্ষেত্রে ‘মুসলিম অন্যান্য গ্রুপ’-এর একটি চাকরি পেতে ৭৬ ভাগ সম্ভাবনা কম থাকবে। মুসলিম বাংলাদেশী পুরুষ হলে ওই চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা ৬৬ ভাগ কম থাকবে। এই ক্ষেত্রে অবশ্য ভারতীয় ও পাকিস্তানি পুরুষদের চেয়ে চাকরি লাভের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী মুসলিমরা তুলনামূলক পিছিয়ে। গবেষণায় দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশী মুসলিম পুরুষ হলে চাকরি লাভের সম্ভাবনা ৬৬ ভাগ কম। শ্বেতাঙ্গ মুসলিম হলে ৬৪ ভাগ কম। পাকিস্তানি মুসলিম হলে ৫৯ ভাগ কম। তবে এই তিন দেশের মধ্যে ভারতীয় মুসলমানরা চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। কারণ ভারতীয় মুসলমান পুরুষের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ৩৭ ভাগ কম। এর অর্থ বাংলাদেশী পুরুষ মুসলিমের যেখানে চাকরি লাভের সম্ভাবনা ৩৪ ভাগ, পাকিস্তানির যেখানে ৪১ ভাগ, সেখানে ভারতীয় পুরুষ মুসলমানের চাকরি লাভের সম্ভাবনা ৬৩ ভাগ বেশি। সোশাল সায়েন্স জার্নাল চাকরিরত বাংলাদেশী, পাকিস্তানি ও ভারতীয়দের ওপরও সমীক্ষা চালিয়েছে। এতে দেখা গেছে, চাকরিরতদের মধ্যে মাত্র ২৩ ভাগ বাংলাদেশী এবং ২৭ ভাগ পাকিস্তানি নিয়মিত বেতনের ভিত্তিতে চাকরি করেন। অথচ হিন্দু ভারতীয়রা ৫৩ ভাগই বেতনের ভিত্তিতে কাজ করেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বৃটিশ ইহুদিরা। তাদের ৬৪ ভাগ বেতনের ভিত্তিতে কাজ করেন। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. নাবিল বলেন, ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়া (ইসলাম আতঙ্ক) এবং মুসলিমরা সম্মিলিতভাবে টার্গেটের শিকার হওয়ার ফলে এটা ঘটেছে। তাদেরকে সমাজের সবচেয়ে অনগ্রসর শ্রেণী হিসেবে দেখার চেয়ে অন্য সব সংখ্যালঘুর মধ্যে সবচেয়ে আনুগত্যহীন মনে করা হয়। এ কারণে বহু চাকরিদাতা মুসলিম পরিচয় জানলে চাকরি দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। ড. খতিব বলেন, এই ধারা চলতে থাকলে বৃটেনের বহুজাতিগত ও বহু সংস্কৃতিগত সমাজের কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে। বৃটেনের ১৪টি জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়। গত ৩০শে নভেম্বর এ ফল প্রকাশ করা হয়।
আপনি যদি ‘বাংলাদেশী নারী মুসলিম’ হন তাহলে শতকরা ৫১ ভাগ চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। তবে এই অবস্থাটি পাকিস্তানি নারী মুসলিম ও ‘অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠী’র চেয়ে উন্নত। পাকিস্তানি নারী হলে ৬৫ ভাগ চাকরি লাভের সুযোগ কম। মুসলিম ভারতীয় নারী হলে চাকরি লাভের সম্ভাবনা ৫৫ ভাগ কম হবে। আর “অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠী”র নারী হলে ৬৫ ভাগ সম্ভাবনা কম থাকবে।
আবার পুরুষদের ক্ষেত্রে ‘মুসলিম অন্যান্য গ্রুপ’-এর একটি চাকরি পেতে ৭৬ ভাগ সম্ভাবনা কম থাকবে। মুসলিম বাংলাদেশী পুরুষ হলে ওই চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা ৬৬ ভাগ কম থাকবে। এই ক্ষেত্রে অবশ্য ভারতীয় ও পাকিস্তানি পুরুষদের চেয়ে চাকরি লাভের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী মুসলিমরা তুলনামূলক পিছিয়ে। গবেষণায় দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশী মুসলিম পুরুষ হলে চাকরি লাভের সম্ভাবনা ৬৬ ভাগ কম। শ্বেতাঙ্গ মুসলিম হলে ৬৪ ভাগ কম। পাকিস্তানি মুসলিম হলে ৫৯ ভাগ কম। তবে এই তিন দেশের মধ্যে ভারতীয় মুসলমানরা চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। কারণ ভারতীয় মুসলমান পুরুষের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ৩৭ ভাগ কম। এর অর্থ বাংলাদেশী পুরুষ মুসলিমের যেখানে চাকরি লাভের সম্ভাবনা ৩৪ ভাগ, পাকিস্তানির যেখানে ৪১ ভাগ, সেখানে ভারতীয় পুরুষ মুসলমানের চাকরি লাভের সম্ভাবনা ৬৩ ভাগ বেশি। সোশাল সায়েন্স জার্নাল চাকরিরত বাংলাদেশী, পাকিস্তানি ও ভারতীয়দের ওপরও সমীক্ষা চালিয়েছে। এতে দেখা গেছে, চাকরিরতদের মধ্যে মাত্র ২৩ ভাগ বাংলাদেশী এবং ২৭ ভাগ পাকিস্তানি নিয়মিত বেতনের ভিত্তিতে চাকরি করেন। অথচ হিন্দু ভারতীয়রা ৫৩ ভাগই বেতনের ভিত্তিতে কাজ করেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন বৃটিশ ইহুদিরা। তাদের ৬৪ ভাগ বেতনের ভিত্তিতে কাজ করেন। ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. নাবিল বলেন, ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিয়া (ইসলাম আতঙ্ক) এবং মুসলিমরা সম্মিলিতভাবে টার্গেটের শিকার হওয়ার ফলে এটা ঘটেছে। তাদেরকে সমাজের সবচেয়ে অনগ্রসর শ্রেণী হিসেবে দেখার চেয়ে অন্য সব সংখ্যালঘুর মধ্যে সবচেয়ে আনুগত্যহীন মনে করা হয়। এ কারণে বহু চাকরিদাতা মুসলিম পরিচয় জানলে চাকরি দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। ড. খতিব বলেন, এই ধারা চলতে থাকলে বৃটেনের বহুজাতিগত ও বহু সংস্কৃতিগত সমাজের কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে। বৃটেনের ১৪টি জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর ওপর এই জরিপ চালানো হয়। গত ৩০শে নভেম্বর এ ফল প্রকাশ করা হয়।
No comments