উপজেলা পরিষদের সামনে গণধর্ষণ: ৬ দিন পর মামলা
শ্রীনগরে উপজেলা পরিষদের সামনে গণধর্ষণের ঘটনার ৬ দিন পর থানায় মামলার হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ঐ ধর্ষিতা বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। গণধর্ষণের অভিযোগ এনে এজাহারে পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান জানান। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলা পরিষদ থেকে পঞ্চাশ গজ দুরে রাজ্জাক মিয়ার ভাড়াটিয়া ঐ নারী (২৬) তার স্বামীর অনুপুস্থিতিতে পাশের বাসার খোকন মিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে বসে টিভি দেখছিল। এসময় ওই এলাকার দিপক মেম্বারের ছেলে জাকির হোসেন জ্যাকি (২৩), ফখরুল মিয়ার ছেলে বুলেট (২৫), চান্দু মন্ডলের ছেলে তাপস (২২), বলাই মন্ডলের ছেলে সম্রাট (২৪) ও অজ্ঞাতনামা আরও দুজন মিলে তাকে খোকন মিয়ার স্ত্রীর সামনে থেকে টেনে হিচঁড়ে পার্শ্ববর্তী দেলোয়ার মোল্লার নির্মানাধীন ছয়তলা বিল্ডিংয়ের তিন তলায় নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। বখাটেরা শেষ রাতের দিকে ঐ নারীকে হত্যার হুমকি দিয়ে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। শনিবার সকালে সে মিডফোর্ড হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে কেরাণীগঞ্জ গোলচত্ত্বর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নেয়। কিছুটা সুস্থ্য হয়ে আজ শ্রীনগর সার্কেল এএসপি কার্যালয়ে গিয়ে দীর্ঘ সময় বসে থেকে পরে শ্রীনগর থানায় মামলা করতে আসে। স্থানীয়রা জানান, শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্সের আত্মীয় হিসাবে মেয়েটি এই এলাকায় আসে। তার বাড়ী রংপুরের পিরগঞ্জ উপজেলায়। প্রায় ছয়মাস পূর্বে মাওয়া এলাকার এক ট্রলি চালকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। গত দুই মাস আগে তারা ওই এলাকার রাজ্জাক মিয়ার বাসাটি ভাড়া নেন। পরে মেয়েটি শ্রীনগর বাজারের একটি ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে চাকুরি নেয়। ঘটনার পর থেকে রাগে-ক্ষোভে তার স্বামী আর তার সঙ্গে কোন যোগাযোগ করছেনা বলে জানায় ঐ নারী। এলাকাবাসী আরও জানায়, ঘটনার পরদিন শ্রীনগর জোনের ডিআইও এসআই শহিদুল ইসলাম, দিপক মেম্বার, মহিলা মেম্বার সাজেদা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। এব্যাপারে ডিআইও শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহের সত্যতা স্বীকার করেন। উপজেলা পরিষদ থেকে পঞ্চাশ গজের মধ্যে গনধর্ষনের ঘটনা ঘটলেও শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার পক্ষ থেকে কোন রকম তৎপরতা না থাকায় স্থানীয় জনগনের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
No comments