ত্রিমুখী চাপের ছকে বিএনপির আন্দোলন by কাফি কামাল
নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দল। সাম্প্রতিক একাধিক জনসভা ও মতবিনিময়ে সে ঘোষণা দিয়েছেন খোদ বিরোধী জোট নেতা খালেদা জিয়া। চলছে আন্দোলনের নানামুখী প্রস্তুতিও। তবে সে আন্দোলনের সম্ভাব্য কর্মসূচি নিয়ে যেমন বাড়ছে কৌতূহল তেমনি সময় নিয়ে কাটছে না ধোঁয়াশা। ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর হঠাৎ করে কর্মসূচি থেকে সরে আসে ২০ দল। তারপর বক্তৃতা-বিবৃতির মধ্যেই কেটেছে ২০১৪ সাল। দু’দফা ঈদের পর আন্দোলনের যাওয়ার কথা বললেও সে পথে হাঁটেননি বিরোধী নেতারা। এখন বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের পরপরই আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। কিন্তু বিরোধী নেতারা তাদের বক্তব্যে সে সময়সীমা ফেব্রুয়ারি থেকে জুনে সম্প্রসারিত করছেন। তবে আসন্ন আন্দোলনের সম্ভাব্য কর্মসূচি ও সময়সীমার বিষয়ে এখনও অস্পষ্টতার মধ্যে রয়েছেন বিরোধী জোটের কেন্দ্রীয় বা মাঠপর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতারা। তারা কেবলই ধারণা পেয়েছেন, এবারের আন্দোলন হবে কার্যকর কর্মসূচির সমন্বয়ে স্বল্পমেয়াদি। ঝটিকা এ আন্দোলনের রূপরেখা, আন্দোলনের ছক বা কৌশল নির্ধারণের বিষয়টি দেখছেন খোদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি অল্প কয়েকজন নেতার মধ্যেই এ আলোচনা সীমাবদ্ধ রেখেছেন। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক মতবিনিময় করেছেন খালেদা জিয়া। সেখানে আন্দোলনের সম্ভাব্য গতিপ্রকৃতি ও নানা কর্মসূচি প্রস্তাব আকারে উত্থাপন করেছেন নেতারা। চূড়ান্ত আন্দোলনে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও যে কোন ধরনের কর্মসূচি দেয়ার ব্যাপারে জোটের তরফে খালেদা জিয়াকে দায়িত্ব এবং ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। নেতারা জানান, ৫ই জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের দিনটিকে প্রতীক ধরে নেয়া হচ্ছে আন্দোলনের প্রস্তুতি। এ জন্য বিজয়ের মাস ডিসেম্বরকে নেয়া হয়েছে সাংগঠনিক প্রস্তুতির মাস হিসেবে। এবার ডিসেম্বরে বিভিন্ন দিবস কেন্দ্রিক মাসব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে জোটের তরফে। বিরোধী নেতারা বলছেন, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুর মাধ্যমে এবারের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু করতে চায় বিএনপি। সরকার গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ালে এ ইস্যুর মাধ্যমেই আন্দোলনের যাত্রা শুরু করতে পারে তারা। ইতিমধ্যে জোটের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে সে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। তবে দায়িত্বশীল একাধিক নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন, সরকারবিরোধী ত্রিমুখী চাপের সমন্বয় ঘটানোর অপেক্ষা করছে বিএনপি। সারা দেশে বিরাজমান নীরব জনমতের চাপের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চাপ মেলাতে পারলেই রাজপথের চাপ তৈরি করবে বিরোধী জোট। আর এ চাপের সমন্বয় ঘটিয়ে কার্যকর কয়েকটি কর্মসূচির মাধ্যমে স্বল্পমেয়াদের আন্দোলনে সরকারকে বাধ্য করবে দাবি পূরণে। গণসংযোগমুখী ও অহিংস কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন শুরু করে সেটাকেই চূড়ান্ত রূপ দিতে চায় ২০ দল। এজন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একটি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যু। পাশাপাশি জনমত ও নেতাকর্মীদের মনোবল ধরে রাখা। এদিকে সম্প্রতি জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা আলমগীর বলেছেন, যে দিন গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে সেদিন থেকে লাগাতার কর্মসূচি শুরু হবে। এক্ষেত্রে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার আগে গ্রহণযোগ্য বিলম্বের জন্য ভাবা হচ্ছে একটি-দু’টি রোডমার্চের কথা। প্রাথমিকভাবে জানুয়ারির প্রথম দিকে চট্টগ্রাম অভিমুখে একটি রোডমার্চের প্রাথমিক সিদ্ধান্তও হয়েছে। প্রয়োজনে পরে বরিশাল ও সিলেট অভিমুখে আরও দু’টি রোডমার্চ করা হতে পারে। তবে আগামী ৫ই জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের দিনকে প্রতীক ধরে বিরোধী জোট যে কর্মসূচির উদ্যোগ নিচ্ছে তাতেই পরিষ্কার হবে পরবর্তী আন্দোলনের গতিপথ। সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় চার্জ গঠন হয়েছে। সরকার বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে তাড়াহুড়া করছে। ইতিমধ্যে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন কয়েকজন সিনিয়র নেতা। এমন অবস্থায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার বা গৃহবন্দি দেখানোর আগেই মাঠের আন্দোলনকে একটা পর্যায়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এদিকে ৫ই জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের দিনটিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস বা কালো দিবস আখ্যায়িত করে বিশেষ কর্মসূচি পালন করবে বিরোধী জোট। যদিও এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোন কর্মসূচি নির্ধারণ হয়নি। তবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে দলের সিনিয়র নেতা ও জোটের শীর্ষ নেতারা একাধিক কর্মসূচির প্রস্তাব করেন। সূত্র জানায়, ৫ই জানুয়ারি সারাদেশে কয়েক মিনিট রাস্তায় দাঁড়িয়ে সরকারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করতে পারেন বিরোধী জোটের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগরের উত্তরা থেকে সদরঘাট, যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে একযোগে দাঁড়িয়ে সরকারের প্রতি ‘ক্রস’ চিহ্ন প্রদর্শন করতে পারে। রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ডে জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ বা বিক্ষোভ মিছিল এবং ঢাকার বাইরে প্রতিটি জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারে। পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করেই চূড়ান্ত করা হবে কর্মসূচি। বিএনপি একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, ৫ই জানুয়ারি রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের সমাগম একটি আলোচিত কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন খালেদা জিয়া। যাতে সরকারের প্রতি জনগণের চরম অনাস্থা প্রকাশিত হয়। এদিকে আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে এবার বিজয়ের মাসে ব্যাপকভাবে সরব থাকতে চাইছে বিএনপি। বিজয়ের মাসে ধারাবাহিক কর্মসূচির মধ্যে- ১৮ই ডিসেম্বর ঢাকায় সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের সাবেক ছাত্রনেতাদের নিয়ে সম্মেলন, ১৭ই ডিসেম্বর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ৫ই জানুয়ারির দিনটিকে। সূত্র জানায়, পরিস্থিতি বিবেচনা করে রোডমার্চের বদলে খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেটে ৪-৬টি জনসভা করতে পারেন খালেদা জিয়া। চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে সারা দেশে জনসংযোগ সফর কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ রোডমার্চ বা জনসভা করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপর ঢাকায় জনসভায় চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা দিতে পারেন খালেদা জিয়া। আগামী আন্দোলনে সর্বাধিক জোর দেয়া হবে ঢাকা মহানগরে। পাশাপাশি বিগত আন্দোলনের মতো সারা দেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় বিরোধী জোট।
সূত্র জানায়, ৫ই জানুয়ারির আগে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছেন জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বন্ধু রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা। কিন্তু সরকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার দোহাই দিয়ে ৫ই জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করেছে। সে নির্বাচনের আগে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক ব্যক্তি বিদেশী কূটনৈতিকদের কাছে সে নির্বাচনকে স্বল্প সময়ের জন্য দাবি করে দ্রুত নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু নতুন মেয়াদে ক্ষমতা নিয়েই তারা সে অঙ্গীকার অস্বীকার করছেন। এমন কি সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংলাপ আয়োজনের বিষয়টিও অস্বীকার করছেন। পাশাপাশি বিদেশী রাষ্ট্রদূতসহ কূটনীতিকদের ব্যাপারে নানা মন্তব্য করছেন শিষ্টাচার বহির্ভূত ভাষায়। নেতারা জানান, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর রাজপথের আন্দোলন থেকে সরে এলেও কূটনীতিক ফোরামে বিএনপি তৎপরতা চালিয়ে আসছে। ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের দৃশ্য, ঘটনা, সরকারের নানা কর্মকা-, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের বিভিন্ন মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং ও প্রকাশিত সংবাদ কূটনীতিকদের কাছে কয়েক দফায় হস্তান্তর করেছেন বিএনপি নেতারা। নানা বৈঠক ও আলোচনায় কূটনীতিকরা তাদের কাছে আগের অবস্থানে অটুট থাকার কথা জানিয়েছেন। সর্বশেষ মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন করেছেন আগামী নির্বাচন কবে? তার এ প্রশ্নকে তাৎপর্যময় হিসেবে বিবেচনা করছে বিরোধী জোট। ওদিকে, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর রাজপথের আন্দোলন থেকে সরে এলেও সাংগঠনিক পুনর্গঠন, জেলা সফর ও ধারাবাহিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে জনমত ধরে রাখা ও আন্দোলন প্রস্তুতির মধ্যেই ছিল বিএনপি। ফলে সরকারের নানা অনিয়ম, সরকারি দলের নেতাকর্মীদের নৈরাজ্যের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে সরকার বিরোধী মনোভাব বিরাজ করছে তার প্রকাশ পাচ্ছে খালেদা জিয়ার নানা জনসভায়। বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বিরোধী জোটকে। সে আত্মবিশ্বাস থেকেই সম্প্রতিক খালেদা জিয়া বলেছেন, ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস, এ মাসে বিজয়ের কর্মসূচি পালন করবো। ডিসেম্বরের পরপরই আমরা আন্দোলনে যাবো। আমি এখনও এত দুর্বল হয়ে যাইনি। আন্দোলনের মাধ্যমে জুলুমবাজ এ সরকারকে বিদায় করত পারবো। আগামীদিনের আন্দোলনে আমি নিজেই রাজপথে থাকবো। অন্যদিকে সাংগঠনিক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলেও কোন্দল এবং নানামুখী প্রতিবন্ধকতার কারণে আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে সে উদ্যোগ। ঢাকা মহানগর, ছাত্রদল, ১১টি জেলা পুনর্গঠনের পর এ উদ্যোগ স্থগিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ৫ই জানুয়ারির আগে সকল দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ব্যাপক তৎপরতা চালিয়েছেন জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বন্ধু রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা। কিন্তু সরকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার দোহাই দিয়ে ৫ই জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করেছে। সে নির্বাচনের আগে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক ব্যক্তি বিদেশী কূটনৈতিকদের কাছে সে নির্বাচনকে স্বল্প সময়ের জন্য দাবি করে দ্রুত নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু নতুন মেয়াদে ক্ষমতা নিয়েই তারা সে অঙ্গীকার অস্বীকার করছেন। এমন কি সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংলাপ আয়োজনের বিষয়টিও অস্বীকার করছেন। পাশাপাশি বিদেশী রাষ্ট্রদূতসহ কূটনীতিকদের ব্যাপারে নানা মন্তব্য করছেন শিষ্টাচার বহির্ভূত ভাষায়। নেতারা জানান, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর রাজপথের আন্দোলন থেকে সরে এলেও কূটনীতিক ফোরামে বিএনপি তৎপরতা চালিয়ে আসছে। ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের দৃশ্য, ঘটনা, সরকারের নানা কর্মকা-, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের বিভিন্ন মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং ও প্রকাশিত সংবাদ কূটনীতিকদের কাছে কয়েক দফায় হস্তান্তর করেছেন বিএনপি নেতারা। নানা বৈঠক ও আলোচনায় কূটনীতিকরা তাদের কাছে আগের অবস্থানে অটুট থাকার কথা জানিয়েছেন। সর্বশেষ মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন করেছেন আগামী নির্বাচন কবে? তার এ প্রশ্নকে তাৎপর্যময় হিসেবে বিবেচনা করছে বিরোধী জোট। ওদিকে, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর রাজপথের আন্দোলন থেকে সরে এলেও সাংগঠনিক পুনর্গঠন, জেলা সফর ও ধারাবাহিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে জনমত ধরে রাখা ও আন্দোলন প্রস্তুতির মধ্যেই ছিল বিএনপি। ফলে সরকারের নানা অনিয়ম, সরকারি দলের নেতাকর্মীদের নৈরাজ্যের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে যে সরকার বিরোধী মনোভাব বিরাজ করছে তার প্রকাশ পাচ্ছে খালেদা জিয়ার নানা জনসভায়। বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বিরোধী জোটকে। সে আত্মবিশ্বাস থেকেই সম্প্রতিক খালেদা জিয়া বলেছেন, ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস, এ মাসে বিজয়ের কর্মসূচি পালন করবো। ডিসেম্বরের পরপরই আমরা আন্দোলনে যাবো। আমি এখনও এত দুর্বল হয়ে যাইনি। আন্দোলনের মাধ্যমে জুলুমবাজ এ সরকারকে বিদায় করত পারবো। আগামীদিনের আন্দোলনে আমি নিজেই রাজপথে থাকবো। অন্যদিকে সাংগঠনিক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হলেও কোন্দল এবং নানামুখী প্রতিবন্ধকতার কারণে আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে সে উদ্যোগ। ঢাকা মহানগর, ছাত্রদল, ১১টি জেলা পুনর্গঠনের পর এ উদ্যোগ স্থগিত করা হয়েছে।
No comments