ছিটমহলবাসীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া এখনও চূড়ান্ত করেনি ভারত
বাংলাদেশের
সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি অনুমোদনে ভারতের পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশনের
পুরোটা সময় লেগে যেতে পারে। এর কারণ, বাংলাদেশের ভেতরে ভারতীয় ছিটমহলগুলোর
বাসিন্দাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া এখনও চূড়ান্ত করতে পারে নি ভারতের
কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন টেলিগ্রাফ। এতে বলা হয়,
পার্লামেন্টের চলতি অধিবেশনেই পাস হওয়ার কথা রয়েছে সীমান্ত চুক্তি
অনুমোদন-সংক্রান্ত সংবিধানের সংশোধনী। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে
সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পার্লামেন্টের এ অনুমোদন অবশ্যই প্রয়োজনীয়।
এ চুক্তি বাস্তবায়িত হলে দু’দেশই ছিটমহল ও অপদখলীয় সম্পত্তি বিনিময় করতে
পারবে। সংবিধান সংশোধনী বিল ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে উত্থাপন করা
হয়েছে গত বছর ১৮ই ডিসেম্বর। উচ্চকক্ষে এ বিল পাস হওয়ার পর তা উত্থাপন করতে
হবে লোকসভায়। তার আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অনিল গোস্বামী আগামী ১১ই
ডিসেম্বর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে একটি প্যাকেজ তুলে ধরবেন তার
মন্ত্রণালয়ের এক সভায়। তারপর তিনি পার্লামেন্টারি প্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ
করবেন। ওদিকে পার্লামেন্টে এ বিল পাস হওয়ার আগে আসামে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়ার পর
সেখানে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও গ্রুপ আন্দোলন শুরু করেছে। এ চুক্তি বাস্তবায়নের
জন্য ২০১১ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের তখনকার
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের
জাতীয় সংসদ দ্রুততার সঙ্গে ওই চুক্তিকে অনুমোদন দেয়। কিন্তু ভারতে এ নিয়ে
শুরু হয় রাজনীতি। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এর ঘোর বিরোধিতা করে। এ
চুক্তির পক্ষে গত বছর আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বারবার অনুরোধ করেন
বিজেপিকে। কিন্তু আসাম বিজেপি তা প্রত্যাখ্যান করে। তখন তারা ইউপিএ সরকারকে
আসামের ভূখণ্ড বাংলাদেশকে দিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে। কিন্তু গত
সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন চুক্তি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিলেন
তখন আসামের বিজেপি নেতাদের মুখ লজ্জায় লাল হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আসামের
কংগ্রেস দল স্থানীয় বিজেপিকে অবস্থানের পরিবর্তন বলে অভিহিত করে।
No comments