ব্যাংকে অবৈধ লেনদেন দেড়শ কোটি টাকা!
কূটনীতিকদের কাছে শুল্কমুক্ত মদ বিক্রেতা
মেসার্স সাবের ট্রেডার্স কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে ২০০৮-০৯ থেকে ২০১২-১৩
অর্থবছর পর্যন্ত মোট বিক্রয় ঘোষণা দিয়েছে ৬৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। অথচ বিভিন্ন
বাণিজ্যিক ব্যাংকে কোম্পানির অ্যাকাউন্টে একই সময়ে জমা পড়েছে ১২৬ কোটি ৮৫
লাখ টাকা। অপরদিকে ঢাকা ওয়্যারহাউস নামের আরেক ডিপ্লোমেটিক বন্ডেড
ওয়্যারহাউস বন্ড কমিশনারেটে একই সময়ে মার্কিন ডলারে বিক্রয় দেখিয়েছে ৫২
কোটি ৬৯ লাখ টাকা। অথচ কোম্পানিটির বিভিন্ন ব্যাংকে এই সময়ে জমা পড়েছে ৬৮
কোটি ২৯ লাখ টাকা। চাঞ্চল্যকর এই বিক্রয় কারচুপি ধরা পড়েছে জাতীয় রাজস্ব
বোর্ডের সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স সেলের (সিআইসি) তদন্তে। একই চিত্র অপর ৪
ডিপ্লোমেটিক ওয়্যারহাউস টস বন্ড প্রাইভেট লি., মেসার্স এইচ কবীর অ্যান্ড
কোং লি., ন্যাশনাল ওয়্যারহাউস, ইস্টার্ন ডিপ্লোমেটিক সার্ভিসেসের ব্যাংক
হিসেবেও পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ৬ ডিপ্লোমেটিক বন্ডেড ওয়্যারহাউসের কোম্পানি
ব্যাংক হিসেবে প্রায় দেড়শ কোটি টাকারও বেশি অতিরিক্ত লেনদেনের প্রমাণ
পাওয়া গেছে। আর এসবই জমা হয়েছে মার্কিন ডলারে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
তাহলে প্রশ্ন ওঠে ব্যাংকে শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রায় অতিরিক্ত এই অর্থ জমার উৎস কী? যুগান্তরের অনুসন্ধানে এ তথ্য যাচাই করতে গিয়ে পাওয়া গেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। কূটনীতিক ও প্রিভিলাইজড পারসনদের কাছে ভুয়া মদ-বিয়ার বিক্রি দেখিয়ে এবং মাত্রাতিরিক্ত মদ আমদানি প্রাপ্যতার সুযোগ নিয়ে ডিপ্লোমেটিক ওয়্যারহাউসগুগুলো একদিকে সরকারের শত শত কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিছে। অপরদিকে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে।
সিআইসির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আয়কর বিভাগ এ জমার উৎস সম্পর্কে অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর ব্যাখ্যা তলব করবে। বিভিন্ন কর বছরে ব্যাংক হিসাবসমূহে মোট জমার উৎস সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট এবং তথ্যপ্রমাণাদিনির্ভর উপযুক্ত আইনানুগ ব্যাখ্যা পাওয়া না গেলে তা সংশ্লিষ্ট আয়কর আইন অনুযায়ী আয় হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এরপর কর ফাঁকির জন্য জরিমানা ও সরল সুদ ধার্য করে কর আদায় করা হবে।
সূত্রমতে, গুলশান-১ এ অবস্থিত মেসার্স ঢাকা ওয়্যারহাউস ২০০৭-০৮ থেকে ২০১১-১২ অর্থবছর পর্যন্ত ৫ বছরে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে প্রতিষ্ঠানটি মদ ও বিয়ার বিক্রি দেখিয়েছে ৫২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। অন্যদিকে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শিত বিক্রয় দেখানো হয়েছে ৩৭ কোটি ৭৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭৭ টাকা। অথচ বিভিন্ন ব্যাংকের লেনদেন অনুযায়ী প্রকৃত বিক্রয় পাওয়া গেছে ৬৮ কোটি ২৯ লাখ ১ হাজার ৮৯৯ টাকা।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গুলশানের ঢাকা ওয়্যারহাউসের মদ বিক্রয়ের অর্থ জমা হয় ঢাকা ব্যাংক গুলশান শাখা (হিসাব নং-০২১৫১০০০০০০০১৩২৯, ০২১৫১৭৫০০০০০০২২৩, ০২১৫১২০০০০০০০১৩) এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংক গুলশান শাখায় (হিসাব নং০১১৬১২০০০০০০০৯৩৬)। এর মধ্যে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ঢাকা ব্যাংকের জমার পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৭ হাজার ৮৩৬ টাকা, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ঢাকা ব্যাংক ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে জমার পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৩০৭ টাকা। ২০১০-১১ অর্থবছরে ১৭ কোটি ২৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৯ টাকার মধ্যে ঢাকা ব্যাংকেই জমা হয়েছে ১৬ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এছাড়া ২০১১-১২ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৩০ টাকা এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা জমা পড়েছে এই দুটি ব্যাংকে। আর এসবই হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রায়।
গুলশানের ১০ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত সাবের ট্রেডার্স লিমিটেড কর অঞ্চল-২ এর কোম্পানিজ সার্কেল-২৩ এর অধিক্ষেত্রভুক্ত। এর টিআইএন নং-০৩৬-২০০-৩২৩৩। প্রতিষ্ঠানটি শুল্কমুক্ত বন্ডেড ওয়্যারহাউসের মাধ্যমে মদ-বিয়ার আমদানি করে তাদের ঢাকা অফিস ও ডিইপিজেডে অবস্থিত বিদেশী ক্রেতাদের কাছে মদ-বিয়ার বিক্রয় করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির অধিকাংশ লেনদেন হয়েছে এইচএসবিসি ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংকের গুলশান শাখায়।
ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে প্রতিষ্ঠানটি ২০০৮-০৯ থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত বিক্রয়ের পরিমাণ দেখায় ৬৬ কোটি ১৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা। এর বিপরীতে আয়কর রিটার্নে বিক্রয় দেখানো হয় ৫৬ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ কর ফাঁকি দিতে প্রতিষ্ঠানটি মোট বিক্রয়ের চেয়ে ৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার বিক্রয় গোপন করে। অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকের কোম্পানির হিসাবে জমা পাওয়া গেছে ১১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, কর বিভাগ ও ব্যাংক জমা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, বন্ড কমিশনারেটে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে বিক্রয়ের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১১ কোটি ৪১ লাখ ৮ হাজার টাকা। তবে কর বিভাগে দাখিল করা আয়কর রিটার্নে বিক্রয়ের পরিমাণ দেখানো হয় ৯ কোটি ৭২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক জমা ছিল ১৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
একইভাবে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বন্ড কমিশনারেটে বিক্রয় দেখানো হয়েছে ১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা। আয়কর রিটার্নে দেখানো হয় ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। আর ব্যাংকে জমা পাওয়া যায় ২৭ কোটি ২১ লাখ ৯২ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত বিক্রয়ের পরিমাণ বন্ড কমিশনারেট ও আয়কর বিভাগে গোপন করেছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বন্ড কমিশনারেটে বিক্রয় দেখানো হয়েছে ১০ কোটি ৮৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আয়কর রিটার্নে দেখানো হয়েছে ১০ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকে জমা পাওয়া যায় ১৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ২০১০-১১ অর্থবছরে বিক্রয়ের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১৪ কোটি ১০ লাখ ৮২ হাজার টাকা। আয়কর রিটার্নে দেখানো হয়েছে ১২ কোটি ১৬ লাখ ১৭ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা পাওয়া যায় ২৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে বন্ড কমিশনারেটে বিক্রয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৭৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা। আয়কর রিটার্নে দেখানো হয়েছে ১২ কোটি ৮০ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা পাওয়া যায় ৩৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
তাহলে প্রশ্ন ওঠে ব্যাংকে শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রায় অতিরিক্ত এই অর্থ জমার উৎস কী? যুগান্তরের অনুসন্ধানে এ তথ্য যাচাই করতে গিয়ে পাওয়া গেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। কূটনীতিক ও প্রিভিলাইজড পারসনদের কাছে ভুয়া মদ-বিয়ার বিক্রি দেখিয়ে এবং মাত্রাতিরিক্ত মদ আমদানি প্রাপ্যতার সুযোগ নিয়ে ডিপ্লোমেটিক ওয়্যারহাউসগুগুলো একদিকে সরকারের শত শত কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিছে। অপরদিকে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে।
সিআইসির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আয়কর বিভাগ এ জমার উৎস সম্পর্কে অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর ব্যাখ্যা তলব করবে। বিভিন্ন কর বছরে ব্যাংক হিসাবসমূহে মোট জমার উৎস সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট এবং তথ্যপ্রমাণাদিনির্ভর উপযুক্ত আইনানুগ ব্যাখ্যা পাওয়া না গেলে তা সংশ্লিষ্ট আয়কর আইন অনুযায়ী আয় হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এরপর কর ফাঁকির জন্য জরিমানা ও সরল সুদ ধার্য করে কর আদায় করা হবে।
সূত্রমতে, গুলশান-১ এ অবস্থিত মেসার্স ঢাকা ওয়্যারহাউস ২০০৭-০৮ থেকে ২০১১-১২ অর্থবছর পর্যন্ত ৫ বছরে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে প্রতিষ্ঠানটি মদ ও বিয়ার বিক্রি দেখিয়েছে ৫২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। অন্যদিকে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শিত বিক্রয় দেখানো হয়েছে ৩৭ কোটি ৭৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭৭ টাকা। অথচ বিভিন্ন ব্যাংকের লেনদেন অনুযায়ী প্রকৃত বিক্রয় পাওয়া গেছে ৬৮ কোটি ২৯ লাখ ১ হাজার ৮৯৯ টাকা।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গুলশানের ঢাকা ওয়্যারহাউসের মদ বিক্রয়ের অর্থ জমা হয় ঢাকা ব্যাংক গুলশান শাখা (হিসাব নং-০২১৫১০০০০০০০১৩২৯, ০২১৫১৭৫০০০০০০২২৩, ০২১৫১২০০০০০০০১৩) এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংক গুলশান শাখায় (হিসাব নং০১১৬১২০০০০০০০৯৩৬)। এর মধ্যে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ঢাকা ব্যাংকের জমার পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৭ হাজার ৮৩৬ টাকা, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ঢাকা ব্যাংক ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে জমার পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৩০৭ টাকা। ২০১০-১১ অর্থবছরে ১৭ কোটি ২৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৯ টাকার মধ্যে ঢাকা ব্যাংকেই জমা হয়েছে ১৬ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার টাকা। এছাড়া ২০১১-১২ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৩০ টাকা এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা জমা পড়েছে এই দুটি ব্যাংকে। আর এসবই হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রায়।
গুলশানের ১০ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত সাবের ট্রেডার্স লিমিটেড কর অঞ্চল-২ এর কোম্পানিজ সার্কেল-২৩ এর অধিক্ষেত্রভুক্ত। এর টিআইএন নং-০৩৬-২০০-৩২৩৩। প্রতিষ্ঠানটি শুল্কমুক্ত বন্ডেড ওয়্যারহাউসের মাধ্যমে মদ-বিয়ার আমদানি করে তাদের ঢাকা অফিস ও ডিইপিজেডে অবস্থিত বিদেশী ক্রেতাদের কাছে মদ-বিয়ার বিক্রয় করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির অধিকাংশ লেনদেন হয়েছে এইচএসবিসি ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংকের গুলশান শাখায়।
ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটে প্রতিষ্ঠানটি ২০০৮-০৯ থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত বিক্রয়ের পরিমাণ দেখায় ৬৬ কোটি ১৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা। এর বিপরীতে আয়কর রিটার্নে বিক্রয় দেখানো হয় ৫৬ কোটি ৭৯ লাখ ৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ কর ফাঁকি দিতে প্রতিষ্ঠানটি মোট বিক্রয়ের চেয়ে ৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার টাকার বিক্রয় গোপন করে। অন্যদিকে আলোচ্য সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকের কোম্পানির হিসাবে জমা পাওয়া গেছে ১১৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, কর বিভাগ ও ব্যাংক জমা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, বন্ড কমিশনারেটে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে বিক্রয়ের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১১ কোটি ৪১ লাখ ৮ হাজার টাকা। তবে কর বিভাগে দাখিল করা আয়কর রিটার্নে বিক্রয়ের পরিমাণ দেখানো হয় ৯ কোটি ৭২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক জমা ছিল ১৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
একইভাবে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বন্ড কমিশনারেটে বিক্রয় দেখানো হয়েছে ১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা। আয়কর রিটার্নে দেখানো হয় ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। আর ব্যাংকে জমা পাওয়া যায় ২৭ কোটি ২১ লাখ ৯২ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত বিক্রয়ের পরিমাণ বন্ড কমিশনারেট ও আয়কর বিভাগে গোপন করেছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বন্ড কমিশনারেটে বিক্রয় দেখানো হয়েছে ১০ কোটি ৮৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আয়কর রিটার্নে দেখানো হয়েছে ১০ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকে জমা পাওয়া যায় ১৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ২০১০-১১ অর্থবছরে বিক্রয়ের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ১৪ কোটি ১০ লাখ ৮২ হাজার টাকা। আয়কর রিটার্নে দেখানো হয়েছে ১২ কোটি ১৬ লাখ ১৭ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা পাওয়া যায় ২৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে বন্ড কমিশনারেটে বিক্রয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৭৯ লাখ ৭১ হাজার টাকা। আয়কর রিটার্নে দেখানো হয়েছে ১২ কোটি ৮০ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ব্যাংকে জমা পাওয়া যায় ৩৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
No comments