সফল বন্ধুত্ব ও অর্থবহ সুসম্পর্ক দরকার by ডা. এম এ হাসান
সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত ও বহু প্রতীক্ষিত ড. মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফর এবং এর সফলতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে দুই প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক, মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবী মহলে। এই সফরের তাৎপর্য এবং ইতিবাচক অর্জনের চেয়ে অধিকতর মনোযোগ পাচ্ছে এর ব্যর্থতা এবং অপ্রাপ্তির বিষয়গুলো। এক কথায় অনেকে এটাকে 'বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া' বা 'পর্বতের মুসিক প্রসবের' সঙ্গে তুলনা করছেন। অনেকে বন্ধুত্ব ও অধিকারকে গুলিয়ে একাকার করার অভিযোগ আনছেন। এসব বিতণ্ডা, ভুল বোঝাবুঝি ও চলমান আস্থাহীনতার দায় মূলত ভারতের। ড. মনমোহন সিংয়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার দায়ও ভারতের। এ ধারণাটি উভয় দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন বিদ্বজ্জনের। বলাবাহুল্য, এ যাত্রায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বহুমুখী নানা চুক্তি স্বাক্ষরসহ উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের নয়া দিগন্ত উন্মোচনের একটি বিশাল প্রস্তুতি এবং সম্ভাবনাও ছিল।
এ প্রস্তুতির মধ্যে দু-চারটি ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক। বিশেষ করে নানা টেকনিক্যাল বিষয়ে বাংলাদেশের পর্যবেক্ষণ এবং সার্বিক প্রস্তুতিটি নানা কারণে দুর্বল। এসব বিষয়ে বাংলাদেশের তথ্যভাণ্ডার, পাঠ ও গবেষণাও উল্লেখ করার মতো নয়। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করার প্রয়াসও যথেষ্ট ছিল না। সরকার না চাইলে তাদের তথ্যভাণ্ডারে বাইরে থেকে জ্ঞান প্রক্ষিপ্ত করার সুযোগও নেই। নদী, পানি, সমুদ্র, জ্বালানি, যোগাযোগ, তথাকথিত কানেকটিভিটি, জলসমুদ্র, সমুদ্রসীমা, সমুদ্রসম্পদ, জীববৈচিত্র্য ও জ্বালানি বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণাকেন্দ্রও নেই দেশের মাটিতে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে বাইরের কারো কাজ করারও সুযোগ নেই। এসব বিষয়ে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন।
এসব সীমাবদ্ধতার মধ্যে ভারতের সঙ্গে বেশ কিছু চুক্তি হয়েছে এবং কয়েকটি স্বাক্ষর হওয়ার পথে। এ কারণে দেশের দেশপ্রেমিক জনগোষ্ঠী দেশের স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বাভাবিকভাবে শঙ্কিত। শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব প্রধানত দেশের সরকারের। শুধু কথা নয়, নানা বাস্তবমুখী ব্যবস্থা নিয়ে, চুক্তির মধ্যে স্বল্পমেয়াদি পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত উপবাক্য, সুরক্ষাধারা সংযুক্তিকরণ, দেশের স্বার্থসংক্রান্ত সতর্কতা স্বাভাবিকভাবে প্রত্যাশিত। সামগ্রিক আশা-নিরাশার দোলাচল, প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির উত্তেজনা ও শঙ্কার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ মুহূর্তে তিস্তা নিয়ে রাজনৈতিক ভোজবাজি দেখিয়েছেন। এতে ভ্রমাত্মকভাবে ভারতের চাণক্যনীতির প্রতি আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন অনেকে। তাঁরা চাণক্যকে নেতিবাচক অর্থে পাঠ করেছেন অথবা পাঠ না করে মন্তব্য করছেন। বহু জাতি ও উপজাতির রক্তধারা তথা সংস্কৃতি মিশে আছে ভারতে। বাংলারও রয়েছে অসাধারণ এক ঐতিহ্য। গঙ্গারিড ও পুন্ড্রদের অনুসারী বাংলাও একসময় ভারতের বিশাল অঞ্চলে রাজত্ব করেছে। বিদ্যা-বুদ্ধি, সাহস ও সম্পদে শত শত বছর উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থেকেছে তাঁরা। এই ঐতিহ্য ও আত্মপরিচয়কে অন্তরে ধারণ করে বাংলার ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের এমন ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে দেশ ও জাতির অস্তিত্ব কেবল সংহত হয় না; সেই সঙ্গে নানা ভারসাম্য বজায় রেখে সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে এই দেশ। আমাদের ভাবতে হবে শত বছর পরের কথা।
প্রাসঙ্গিকভাবে বলা প্রয়োজন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমুখী সহযোগিতা চুক্তি দুই দেশের জনগণের স্বার্থেই অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে হিসাব-নিকাশ দুই পক্ষ থেকেই হবে; তবে তা হতে হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে। চুক্তি হবে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে। ভারতকেই বুঝতে হবে, কিভাবে সে তার অঙ্গরাজ্যের সঙ্গে বোঝাপড়া করবে। কোনো অঙ্গরাজ্যের বিরোধিতা বা হঠকারিতার কারণে দুই দেশের সম্পর্কে যদি বিঘ্ন ঘটে, তার দায়দায়িত্ব ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। এক তিস্তা নিয়ে আমাদের ভাবলে হবে না। দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত সার্বিক পানিচুক্তির একটি ক্ষুদ্র অংশজুড়ে থাকবে তিস্তা। এ ক্ষেত্রে ভারতে উৎপন্ন এবং উভয় দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সব নদীর আদি প্রবাহ-উৎস থেকে সমুদ্র মোহনা পর্যন্ত নাব্য তথা নদীর জীবন বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব ভারত ও বাংলাদেশের। নদী ও জলপ্রবাহসংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদনের আগে বিবেচনায় আনতে হবে দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত সব নদীর সামগ্রিক চিত্র, নদীপথের নাব্য, ঋতুভিত্তিক জলপ্রবাহের উচ্চতা, পরিমাণ, নদীদূষণ, গতিপথে বাধাসৃষ্টিসহ জীববৈচিত্র্যে প্রভাব সৃষ্টিকারী নানা পদক্ষেপের। এ ক্ষেত্রে চুক্তির সূচনা হবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নদীবিধৌত দেশ ও জনগণের অধিকার বিবেচনায় নিয়ে। 'গ্যারান্টি ক্লজ' অন্তর্ভুক্ত করে নদীর ওপর দুই দেশের আনুপাতিক অধিকারকে স্বীকার করেই চুক্তি হতে হবে। বাস্তব প্রাপ্তি এবং অপ্রাপ্তিকে চুক্তির সঙ্গে সমন্বয় করা দুই দেশের অন্যতম দায়িত্ব।
এই পানিচুক্তির সঙ্গে ভারত ট্রানজিট চুক্তি জুড়ে দিয়েছে বলে অনেকে বলেন। ট্রানজিট একটি ভিন্ন ইস্যু। বহুমুখী সহযোগিতার সঙ্গে এটি সম্পর্কিত। ট্রানজিট অবকাঠামো নির্মাণে ভারত এগিয়ে এলে, পর্যায়ক্রম পর্যালোচনার ভিত্তিতে টোল ও যথাযথ মাশুলের বিনিময়ে নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষ পরিমাপের যান বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে নানা শর্তসাপেক্ষে নিয়ন্ত্রিতভাবে যাতায়াত করলে দুই দেশের আপত্তি থাকার কথা নয়। বাংলাদেশ একই রকম শর্তে ভারতের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করবে। এ ক্ষেত্রে আস্থা ও বিশ্বাসের স্থানটি উন্মুক্ত করতে হবে এবং এ মুহূর্তে তা ভারতকেই করতে হবে। বাংলাদেশ যেমন ভারতীয় সন্ত্রাসীদের জন্য অস্ত্র পাচার রোধসহ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নির্মূলে এগিয়ে এসেছে, তেমনি সাহসী তথা অর্থবহ কাজ করতে হবে ভারতকে। ক্ষুদ্রাস্ত্র ও মাদক (ফেনসিডিল) পাচার রোধসহ বাণিজ্য ও জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারতের অবদান দৃশ্যমান হতে হবে। 'সেমি ওপেন মেথডে' কয়লা উত্তোলনে ভারতের পরামর্শ ও সহযোগিতা পাওয়া যেতে পারে (সেমি ওপেন অর্থ 'দূষণ প্রতিরোধক শেড সুবিধাসহ ওপেন মেথডে কয়লা উত্তোলন'_ধারণাটি লেখকের)। নদী ড্রেজিং ও রেলপথ নির্মাণে ভারত হাত বাড়িয়ে দেবে_এটাও প্রত্যাশিত। বাংলাদেশও প্রমাণ করবে যে শ্রদ্ধা ও আস্থায় নিলে বন্ধুত্বের মর্যাদা রাখার ক্ষমতা ও যোগ্যতা রাখে সে। কৌশল ও কূটনীতির বাইরে সফল বন্ধুত্ব এবং অর্থবহ সুসম্পর্ক চায় দুই দেশের জনগণ।
লেখক : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং আহ্বায়ক, ওয়ার ক্রাইমস ফাইন্ডিং ফ্যাক্টস কমিটি
এসব সীমাবদ্ধতার মধ্যে ভারতের সঙ্গে বেশ কিছু চুক্তি হয়েছে এবং কয়েকটি স্বাক্ষর হওয়ার পথে। এ কারণে দেশের দেশপ্রেমিক জনগোষ্ঠী দেশের স্বার্থ ও ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বাভাবিকভাবে শঙ্কিত। শঙ্কা দূর করার দায়িত্ব প্রধানত দেশের সরকারের। শুধু কথা নয়, নানা বাস্তবমুখী ব্যবস্থা নিয়ে, চুক্তির মধ্যে স্বল্পমেয়াদি পর্যবেক্ষণসংক্রান্ত উপবাক্য, সুরক্ষাধারা সংযুক্তিকরণ, দেশের স্বার্থসংক্রান্ত সতর্কতা স্বাভাবিকভাবে প্রত্যাশিত। সামগ্রিক আশা-নিরাশার দোলাচল, প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির উত্তেজনা ও শঙ্কার মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ মুহূর্তে তিস্তা নিয়ে রাজনৈতিক ভোজবাজি দেখিয়েছেন। এতে ভ্রমাত্মকভাবে ভারতের চাণক্যনীতির প্রতি আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন অনেকে। তাঁরা চাণক্যকে নেতিবাচক অর্থে পাঠ করেছেন অথবা পাঠ না করে মন্তব্য করছেন। বহু জাতি ও উপজাতির রক্তধারা তথা সংস্কৃতি মিশে আছে ভারতে। বাংলারও রয়েছে অসাধারণ এক ঐতিহ্য। গঙ্গারিড ও পুন্ড্রদের অনুসারী বাংলাও একসময় ভারতের বিশাল অঞ্চলে রাজত্ব করেছে। বিদ্যা-বুদ্ধি, সাহস ও সম্পদে শত শত বছর উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থেকেছে তাঁরা। এই ঐতিহ্য ও আত্মপরিচয়কে অন্তরে ধারণ করে বাংলার ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের এমন ভূমিকা রাখতে হবে, যাতে দেশ ও জাতির অস্তিত্ব কেবল সংহত হয় না; সেই সঙ্গে নানা ভারসাম্য বজায় রেখে সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে এই দেশ। আমাদের ভাবতে হবে শত বছর পরের কথা।
প্রাসঙ্গিকভাবে বলা প্রয়োজন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমুখী সহযোগিতা চুক্তি দুই দেশের জনগণের স্বার্থেই অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে হিসাব-নিকাশ দুই পক্ষ থেকেই হবে; তবে তা হতে হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে। চুক্তি হবে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে। ভারতকেই বুঝতে হবে, কিভাবে সে তার অঙ্গরাজ্যের সঙ্গে বোঝাপড়া করবে। কোনো অঙ্গরাজ্যের বিরোধিতা বা হঠকারিতার কারণে দুই দেশের সম্পর্কে যদি বিঘ্ন ঘটে, তার দায়দায়িত্ব ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। এক তিস্তা নিয়ে আমাদের ভাবলে হবে না। দুই দেশের মধ্যে সম্পাদিত সার্বিক পানিচুক্তির একটি ক্ষুদ্র অংশজুড়ে থাকবে তিস্তা। এ ক্ষেত্রে ভারতে উৎপন্ন এবং উভয় দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সব নদীর আদি প্রবাহ-উৎস থেকে সমুদ্র মোহনা পর্যন্ত নাব্য তথা নদীর জীবন বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব ভারত ও বাংলাদেশের। নদী ও জলপ্রবাহসংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদনের আগে বিবেচনায় আনতে হবে দুই দেশের মধ্যে প্রবাহিত সব নদীর সামগ্রিক চিত্র, নদীপথের নাব্য, ঋতুভিত্তিক জলপ্রবাহের উচ্চতা, পরিমাণ, নদীদূষণ, গতিপথে বাধাসৃষ্টিসহ জীববৈচিত্র্যে প্রভাব সৃষ্টিকারী নানা পদক্ষেপের। এ ক্ষেত্রে চুক্তির সূচনা হবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নদীবিধৌত দেশ ও জনগণের অধিকার বিবেচনায় নিয়ে। 'গ্যারান্টি ক্লজ' অন্তর্ভুক্ত করে নদীর ওপর দুই দেশের আনুপাতিক অধিকারকে স্বীকার করেই চুক্তি হতে হবে। বাস্তব প্রাপ্তি এবং অপ্রাপ্তিকে চুক্তির সঙ্গে সমন্বয় করা দুই দেশের অন্যতম দায়িত্ব।
এই পানিচুক্তির সঙ্গে ভারত ট্রানজিট চুক্তি জুড়ে দিয়েছে বলে অনেকে বলেন। ট্রানজিট একটি ভিন্ন ইস্যু। বহুমুখী সহযোগিতার সঙ্গে এটি সম্পর্কিত। ট্রানজিট অবকাঠামো নির্মাণে ভারত এগিয়ে এলে, পর্যায়ক্রম পর্যালোচনার ভিত্তিতে টোল ও যথাযথ মাশুলের বিনিময়ে নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষ পরিমাপের যান বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে নানা শর্তসাপেক্ষে নিয়ন্ত্রিতভাবে যাতায়াত করলে দুই দেশের আপত্তি থাকার কথা নয়। বাংলাদেশ একই রকম শর্তে ভারতের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করবে। এ ক্ষেত্রে আস্থা ও বিশ্বাসের স্থানটি উন্মুক্ত করতে হবে এবং এ মুহূর্তে তা ভারতকেই করতে হবে। বাংলাদেশ যেমন ভারতীয় সন্ত্রাসীদের জন্য অস্ত্র পাচার রোধসহ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নির্মূলে এগিয়ে এসেছে, তেমনি সাহসী তথা অর্থবহ কাজ করতে হবে ভারতকে। ক্ষুদ্রাস্ত্র ও মাদক (ফেনসিডিল) পাচার রোধসহ বাণিজ্য ও জ্বালানি ক্ষেত্রে ভারতের অবদান দৃশ্যমান হতে হবে। 'সেমি ওপেন মেথডে' কয়লা উত্তোলনে ভারতের পরামর্শ ও সহযোগিতা পাওয়া যেতে পারে (সেমি ওপেন অর্থ 'দূষণ প্রতিরোধক শেড সুবিধাসহ ওপেন মেথডে কয়লা উত্তোলন'_ধারণাটি লেখকের)। নদী ড্রেজিং ও রেলপথ নির্মাণে ভারত হাত বাড়িয়ে দেবে_এটাও প্রত্যাশিত। বাংলাদেশও প্রমাণ করবে যে শ্রদ্ধা ও আস্থায় নিলে বন্ধুত্বের মর্যাদা রাখার ক্ষমতা ও যোগ্যতা রাখে সে। কৌশল ও কূটনীতির বাইরে সফল বন্ধুত্ব এবং অর্থবহ সুসম্পর্ক চায় দুই দেশের জনগণ।
লেখক : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং আহ্বায়ক, ওয়ার ক্রাইমস ফাইন্ডিং ফ্যাক্টস কমিটি
No comments