উপনির্বাচনে মমতার জয়
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। ভবানীপুর আসনে মমতা ৫৪ হাজার ২১৩ ভোটে হারিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) বা সিপিআইএমের প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায়কে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর কলকাতার ভবানীপুর ও উত্তর চবি্বশ পরগনার বসিরহাট উত্তর আসনে উপনির্বাচন হয়। বসিরহাটেও বিজয়ী হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী আবু তাহের মহম্মদ আবদুল্লাহ। তিনি সিপিআইএমের প্রার্থী সুবেদ আলি গাজিকে হারিয়েছেন ৩০ হাজার ৯৪১ ভোটে। গত মে মাসে বিধানসভা নির্বাচনে এ আসনে প্রায় চার হাজার ভোটে জিতেছিলেন সিপিআইএমের প্রার্থী মোস্তফা বিন কাসেম। তিনি আত্মহত্যা করায় আসনটি খালি হয়।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী হলেও বিধানসভা নির্বাচন না করায় মমতাকে উপনির্বাচনে জিতে আসার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছিল। মমতা এই প্রথম বিধানসভায় নির্বাচনে অংশ নেন। ভবানীপুর আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী সুব্রত বঙ্।ি তিনি পদত্যাগ করে উপনির্বাচনের পথ করে দেন। সুব্রত বর্তমানে রাজ্যের পাবলিক ওয়ার্কস ও ট্রান্সপোর্টমন্ত্রী।
গতকাল বুধবার উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭৩ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়েছেন। বিপরীতে সিপিআইএমের প্রার্থী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষক নন্দিনী পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪২২ ভোট। এবারই প্রথম তিনি নির্বাচনে অংশ নেন। নন্দিনী বামপন্থী শিক্ষক আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত।
গত মে মাসের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ৬৪.৭৭ শতাংশ ভোট পেয়ে সিপিআইএমের প্রার্থী নারায়ণপ্রসাদ জৈনকে হারিয়েছিলেন তৃণমূলের সুব্রত। জয়ের ব্যবধান ছিল ৪৯ হাজার ৯৩৬ ভোটের। সেবার ভোট পড়েছিল ৬৩ শতাংশ।
এবার এই কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হওয়ায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা চেয়েছিলেন জয়ের ব্যবধান যাতে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়; কিন্তু বৃষ্টিবিঘি্নত ভোট পর্বে ভোট পড়ে ৪৪.৪৯ শতাংশ। এই ১৮.৫ শতাংশ ভোট কম পড়ায় তৃণমূল সভানেত্রী মমতাও প্রকাশ্যেই ভবানীপুরের মানুষকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, 'ভোট দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বসিরহাটের ভোট বেশি পড়ল। ভবানীপুরে কম কেন।'
কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সুব্রত বঙ্রি জয়ের ব্যবধানকেও ছাড়িয়ে গেছেন মমতা। গত বিধানসভার চেয়ে এবার ১২.৬৯ শতাংশ ভোট বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। অন্যদিকে এবারের উপনির্বাচনে সিপিআইএমের ভোট কমেছে ৭.৫৪ শতাংশ। ভবানীপুর কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ১২ হাজার ৮২১।
বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের মধ্য দিয়ে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের তিন দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। তৃণমূল নেত্রী মমতা কেন্দ্রের রেলমন্ত্রিত্ব ছেড়ে ২০ মে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। যদিও তিনি কোনো আসন থেকে নির্বাচিত বিধায়ক ছিলেন না। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, শপথ নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে সরাসরি নির্বাচিত হতে হবে, নইলে তাঁর পদ ছাড়তে হবে। আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে নির্বাচন করতে হতো।
১৯৮৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত মমতা আটবার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন। ১৯৮৯ সালে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
বসিরহাট উত্তর আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী আবু তাহের মহম্মদ আবদুল্লাহ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮৮৯ ভোট। সিপিআইএমের প্রার্থী সুবেদ আলি গাজি পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৯৮৪ ভোট। এ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৯৩ হাজার ১৩৫।
গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ১৮৪ আসন পায়। উপনির্বাচনে বসিরহাটে জেতায় তাদের আসনসংখ্যা হলো ১৮৫। বামফ্রন্টের আসন ছিল ৬২। এখন কমে হলো ৬১ আসন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার আসনসংখ্যা ২৯৪।
গতকাল বুধবার উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭৩ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়েছেন। বিপরীতে সিপিআইএমের প্রার্থী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষক নন্দিনী পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪২২ ভোট। এবারই প্রথম তিনি নির্বাচনে অংশ নেন। নন্দিনী বামপন্থী শিক্ষক আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত।
গত মে মাসের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ৬৪.৭৭ শতাংশ ভোট পেয়ে সিপিআইএমের প্রার্থী নারায়ণপ্রসাদ জৈনকে হারিয়েছিলেন তৃণমূলের সুব্রত। জয়ের ব্যবধান ছিল ৪৯ হাজার ৯৩৬ ভোটের। সেবার ভোট পড়েছিল ৬৩ শতাংশ।
এবার এই কেন্দ্র থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হওয়ায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা চেয়েছিলেন জয়ের ব্যবধান যাতে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়; কিন্তু বৃষ্টিবিঘি্নত ভোট পর্বে ভোট পড়ে ৪৪.৪৯ শতাংশ। এই ১৮.৫ শতাংশ ভোট কম পড়ায় তৃণমূল সভানেত্রী মমতাও প্রকাশ্যেই ভবানীপুরের মানুষকে খোঁচা দিয়ে বলেছিলেন, 'ভোট দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বসিরহাটের ভোট বেশি পড়ল। ভবানীপুরে কম কেন।'
কিন্তু ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সুব্রত বঙ্রি জয়ের ব্যবধানকেও ছাড়িয়ে গেছেন মমতা। গত বিধানসভার চেয়ে এবার ১২.৬৯ শতাংশ ভোট বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। অন্যদিকে এবারের উপনির্বাচনে সিপিআইএমের ভোট কমেছে ৭.৫৪ শতাংশ। ভবানীপুর কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ১২ হাজার ৮২১।
বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের মধ্য দিয়ে তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্টের তিন দশকের শাসনের অবসান ঘটায়। তৃণমূল নেত্রী মমতা কেন্দ্রের রেলমন্ত্রিত্ব ছেড়ে ২০ মে পশ্চিমবঙ্গের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। যদিও তিনি কোনো আসন থেকে নির্বাচিত বিধায়ক ছিলেন না। ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী, শপথ নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে সরাসরি নির্বাচিত হতে হবে, নইলে তাঁর পদ ছাড়তে হবে। আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে নির্বাচন করতে হতো।
১৯৮৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত মমতা আটবার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন। ১৯৮৯ সালে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
বসিরহাট উত্তর আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী আবু তাহের মহম্মদ আবদুল্লাহ পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮৮৯ ভোট। সিপিআইএমের প্রার্থী সুবেদ আলি গাজি পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৯৮৪ ভোট। এ আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৯৩ হাজার ১৩৫।
গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ১৮৪ আসন পায়। উপনির্বাচনে বসিরহাটে জেতায় তাদের আসনসংখ্যা হলো ১৮৫। বামফ্রন্টের আসন ছিল ৬২। এখন কমে হলো ৬১ আসন। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার আসনসংখ্যা ২৯৪।
No comments