ধনীদেরও সামর্থ্যের বাইরে ক্যানসার চিকিৎসার খরচ!
বিশ্বে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারে আসছে নতুন নতুন ওষুধ। ক্যানসারের চিকিৎসায় প্রতিনিয়ত যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। আর এর সবই হচ্ছে মানুষের কল্যাণে। কিন্তু এই ওষুধ কেনার বা চিকিৎসায় প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার মতো আর্থিক ক্ষমতা কতজন মানুষের আছে? কারণ এরই মধ্যে পশ্চিমা বিশ্বের ধনী দেশগুলোর নাগরিকদের সীমার বাইরে চলে যেতে শুরু করেছে ক্যানসারের চিকিৎসার খরচ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিপুল অর্থ খরচ করে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর জীবন প্রলম্বিত করার প্রয়োজন আছে কি না—এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। ল্যানসেট অনকোলজি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপুল খরচের এ চিকিৎসায় সামান্য উপকার পাওয়ার মতো মূল্যবোধ সংশ্লিষ্টদের মেনে নেওয়া ঠিক হবে না। সে জন্য নতুন এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের খরচ যথাযথ হওয়া উচিত।
এক হিসাবে দেখা গেছে, বর্তমানে বিশ্বে প্রতিবছর এক কোটি ২০ লাখ লোক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। ২০৩০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে দুই কোটি ৭০ লাখে। এখন প্রতিবছর ক্যানসারের চিকিৎসায় সারাবিশ্বে ব্যয় হয় ২৮ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।
ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নীতিনির্ধারক, চিকিৎসক, রোগী ও স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্টকহোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি ক্যানসার কংগ্রেসে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ক্যানসারের চিকিৎসায় সামর্থ্যের প্রশ্নে আমরা এখন মাঝ রাস্তায় আছি, এখন আমাদের ঠিক করতে হবে কোন পথে আমরা যাব। আমরা কি বালুতে মুখ গুঁজে থাকব এবং আশা করব, সবকিছু আপনাআপনি ঠিক হয়ে যাবে, নাকি অপ্রিয় বিতর্কের মাধ্যমে কঠিন সত্যকে মেনে নেব আমরা?’
লন্ডনের ব্রিটেনস কিংস হেলথ পার্টনার ইন্টিগ্রেটেড ক্যানসার সেন্টারের রিচার্ড সুলিভানের নেতৃত্বে এক গবেষণায় ৩৭টি ধনী দেশের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। তাঁরা দেখেছেন, বয়স্ক লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি, উন্নত স্বাস্থ্যসেবার ক্রমবর্ধমান দাবি ও ক্যানসারের অত্যন্ত দামি ওষুধসহ নানা কারণে চিকিৎসা ব্যয় অনেক হয়। এদিকে ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রোস্টেট ক্যানসারে এক ধরনের চিকিৎসায় তিন ডোজের একটি কোর্স শেষ করতে ব্যয় হয় এক লাখ ডলারের বেশি। এতে ওই রোগীর আয়ুষ্কাল হয়তো কয়েক মাস বাড়ে।
ইউরোপীয় ক্যানসার অর্গানাইজেশনের সভাপতি মিশেল বাউমান বলছেন, একসময় ক্যানসারের চিকিৎসায় ‘অনেক নতুন সম্ভাবনা’ ছিল। এ নিয়ে বিজ্ঞানী, চিকিৎসক ও রোগীরা উৎফুল্ল ছিলেন। কিন্তু এখন অবশ্যই ভেবে দেখার সময় এসেছে, এই চিকিৎসার খরচ কত?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিপুল অর্থ খরচ করে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর জীবন প্রলম্বিত করার প্রয়োজন আছে কি না—এ ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। ল্যানসেট অনকোলজি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপুল খরচের এ চিকিৎসায় সামান্য উপকার পাওয়ার মতো মূল্যবোধ সংশ্লিষ্টদের মেনে নেওয়া ঠিক হবে না। সে জন্য নতুন এসব প্রযুক্তি ব্যবহারের খরচ যথাযথ হওয়া উচিত।
এক হিসাবে দেখা গেছে, বর্তমানে বিশ্বে প্রতিবছর এক কোটি ২০ লাখ লোক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। ২০৩০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে দুই কোটি ৭০ লাখে। এখন প্রতিবছর ক্যানসারের চিকিৎসায় সারাবিশ্বে ব্যয় হয় ২৮ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।
ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নীতিনির্ধারক, চিকিৎসক, রোগী ও স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্টকহোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি ক্যানসার কংগ্রেসে উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ক্যানসারের চিকিৎসায় সামর্থ্যের প্রশ্নে আমরা এখন মাঝ রাস্তায় আছি, এখন আমাদের ঠিক করতে হবে কোন পথে আমরা যাব। আমরা কি বালুতে মুখ গুঁজে থাকব এবং আশা করব, সবকিছু আপনাআপনি ঠিক হয়ে যাবে, নাকি অপ্রিয় বিতর্কের মাধ্যমে কঠিন সত্যকে মেনে নেব আমরা?’
লন্ডনের ব্রিটেনস কিংস হেলথ পার্টনার ইন্টিগ্রেটেড ক্যানসার সেন্টারের রিচার্ড সুলিভানের নেতৃত্বে এক গবেষণায় ৩৭টি ধনী দেশের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। তাঁরা দেখেছেন, বয়স্ক লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি, উন্নত স্বাস্থ্যসেবার ক্রমবর্ধমান দাবি ও ক্যানসারের অত্যন্ত দামি ওষুধসহ নানা কারণে চিকিৎসা ব্যয় অনেক হয়। এদিকে ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রোস্টেট ক্যানসারে এক ধরনের চিকিৎসায় তিন ডোজের একটি কোর্স শেষ করতে ব্যয় হয় এক লাখ ডলারের বেশি। এতে ওই রোগীর আয়ুষ্কাল হয়তো কয়েক মাস বাড়ে।
ইউরোপীয় ক্যানসার অর্গানাইজেশনের সভাপতি মিশেল বাউমান বলছেন, একসময় ক্যানসারের চিকিৎসায় ‘অনেক নতুন সম্ভাবনা’ ছিল। এ নিয়ে বিজ্ঞানী, চিকিৎসক ও রোগীরা উৎফুল্ল ছিলেন। কিন্তু এখন অবশ্যই ভেবে দেখার সময় এসেছে, এই চিকিৎসার খরচ কত?
No comments