চট্টগ্রামে দুই মাসে সাড়ে ১২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় by আসিফ সিদ্দিকী
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের গোয়েন্দাদল এআরআই শাখা ২০১০-১১ অর্থবছরে রাজস্ব আয় করেছিল ২৫ কোটি টাকা। আর চলতি জুলাই ও আগস্ট এই দুই মাসে রাজস্ব আদায় করেছে সাড়ে ১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিগত ১২ মাসের মোট রাজস্ব আয়ের অর্ধেক দুই মাসে অর্জনের রেকর্ড গড়েছে এআরআই দল। অর্থবছরের প্রথম দিকে যে পরিমাণ জনবল সংকট ছিল সেই জনবল, পরিবহন ও অবকাঠামো সুবিধা দিয়েই গোয়েন্দা কার্যক্রম চালিয়ে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয় করল এআরআই শাখা।
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এআরআই শাখার প্রধান ও রাজস্ব কর্মকর্তা ওমর ফারুক কালের কণ্ঠকে বলেন, 'কাস্টমস হাউসে দায়িত্ব পালনের পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিশেষ একটি সেক্টরে গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়ানোয় এই রেকর্ড রাজস্ব আয় হলো। তা ছাড়া এখানে কর্মরত কর্মকর্তাদের গোয়েন্দাগিরির কৌশল পাল্টে ফেলায় ভুয়া আমদানিকারকরা পার পাননি।'
তিনি বলেন, বর্তমানে কাস্টমস হাউসের কাজের পরিধি, আমদানি-রপ্তানি বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে; কিন্তু সেভাবে এ গোয়েন্দা শাখার অবকাঠামো সুবিধা বাড়েনি। এই শাখাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হলে রাজস্ব ফাঁকি অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হবে, পাশাপাশি রাজস্ব আয় অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে। জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে জানুয়ারিতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯৬ লাখ টাকা। এর আগে কখনো এক মাসে রাজস্ব আয় কোটি টাকার ঘর পার হতে পারেনি। মার্চ থেকে হঠাৎ মামলার সংখ্যা বেড়ে ১২ থেকে ২৮-এ উন্নীত হলো। পাশাপাশি রাজস্ব আয়ের চিত্রও পাল্টে যায়, মার্চে রাজস্ব আয় হয়েছে তিন কোটি ২১ লাখ টাকা, এপ্রিলে ৩৪ মামলার বিপরীতে চার কোটি ৬৯ লাখ টাকা, মে মাসে ৩৭ মামলার বিপরীতে চার কোটি ৯৩ লাখ টাকা, জুনে ৫২ মামলার বিপরীতে পাঁচ কোটি ৩৮ লাখ টাকার রেকর্ড রাজস্ব আয় হয়েছে। জুলাই মাসে মামলার সংখ্যা আগের মাসের চেয়ে কমে ৪৯-এ এলেও রাজস্ব আয় খুব বেশি কমেনি। জুলাই মাসে রাজস্ব আয় হয়েছিল পাঁচ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর আগস্ট মাসে ৩৭ মামলার বিপরীতে রাজস্ব আয় একলাফে সোয়া সাত কোটি টাকায় পেঁৗছে। জানা গেছে, বিগত অর্থবছরের জুলাই মাসে রাজস্ব ফাঁকিসংক্রান্ত মামলার সংখ্যা ছিল আটটি, অর্থবছরের শেষ মাস জুনে মামলার সংখ্যা ছিল ৫২টি। অর্থাৎ প্রতি মাসে প্রায় দুটি করে মামলা করে এই রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। দায়ের করা মামলার অধিকাংশই মিথ্যা ঘোষণায় আমদানীকৃত পণ্য।
কাস্টমস হাউসে প্রতিদিন পণ্য আমদানির জন্য শতাধিক বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়। এসব বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে প্রতিদিন রাজস্ব আয় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। প্রতিদিন যে পরিমাণ পণ্য বন্দর থেকে খালাস ও সরবরাহ করা হয়, তার খুব কম পরিমাণই গোয়েন্দা নজরদারিতে আনা হয়। এআরআই শাখায় কর্মরত মোট পাঁচজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার পক্ষে এত চালান পরীক্ষা করে রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হয় না। শুধু সন্দেহজনক চালানগুলোয়ই গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে রাজস্ব ফাঁকি রোধে কার্যক্রম চালানো হয়। কাস্টমস গোয়েন্দারা জানান, জুতা সেন্ডেল, বিপি শিট, জিপি শিট, ফার্নিচার, মালা এবং থ্রি হুইলার আমদানি চালানে আগে কখনো খুব বেশি যাচাই-বাছাই করা হতো না। এ জন্য এসব চালানে প্রচুর রাজস্ব ফাঁিক হতো। এই ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করায় বেশ সাফল্য এসেছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে কাস্টমস হাউসের কাজের পরিধি, আমদানি-রপ্তানি বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে; কিন্তু সেভাবে এ গোয়েন্দা শাখার অবকাঠামো সুবিধা বাড়েনি। এই শাখাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হলে রাজস্ব ফাঁকি অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হবে, পাশাপাশি রাজস্ব আয় অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে। জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে জানুয়ারিতে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯৬ লাখ টাকা। এর আগে কখনো এক মাসে রাজস্ব আয় কোটি টাকার ঘর পার হতে পারেনি। মার্চ থেকে হঠাৎ মামলার সংখ্যা বেড়ে ১২ থেকে ২৮-এ উন্নীত হলো। পাশাপাশি রাজস্ব আয়ের চিত্রও পাল্টে যায়, মার্চে রাজস্ব আয় হয়েছে তিন কোটি ২১ লাখ টাকা, এপ্রিলে ৩৪ মামলার বিপরীতে চার কোটি ৬৯ লাখ টাকা, মে মাসে ৩৭ মামলার বিপরীতে চার কোটি ৯৩ লাখ টাকা, জুনে ৫২ মামলার বিপরীতে পাঁচ কোটি ৩৮ লাখ টাকার রেকর্ড রাজস্ব আয় হয়েছে। জুলাই মাসে মামলার সংখ্যা আগের মাসের চেয়ে কমে ৪৯-এ এলেও রাজস্ব আয় খুব বেশি কমেনি। জুলাই মাসে রাজস্ব আয় হয়েছিল পাঁচ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর আগস্ট মাসে ৩৭ মামলার বিপরীতে রাজস্ব আয় একলাফে সোয়া সাত কোটি টাকায় পেঁৗছে। জানা গেছে, বিগত অর্থবছরের জুলাই মাসে রাজস্ব ফাঁকিসংক্রান্ত মামলার সংখ্যা ছিল আটটি, অর্থবছরের শেষ মাস জুনে মামলার সংখ্যা ছিল ৫২টি। অর্থাৎ প্রতি মাসে প্রায় দুটি করে মামলা করে এই রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। দায়ের করা মামলার অধিকাংশই মিথ্যা ঘোষণায় আমদানীকৃত পণ্য।
কাস্টমস হাউসে প্রতিদিন পণ্য আমদানির জন্য শতাধিক বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়। এসব বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে প্রতিদিন রাজস্ব আয় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। প্রতিদিন যে পরিমাণ পণ্য বন্দর থেকে খালাস ও সরবরাহ করা হয়, তার খুব কম পরিমাণই গোয়েন্দা নজরদারিতে আনা হয়। এআরআই শাখায় কর্মরত মোট পাঁচজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার পক্ষে এত চালান পরীক্ষা করে রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হয় না। শুধু সন্দেহজনক চালানগুলোয়ই গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে রাজস্ব ফাঁকি রোধে কার্যক্রম চালানো হয়। কাস্টমস গোয়েন্দারা জানান, জুতা সেন্ডেল, বিপি শিট, জিপি শিট, ফার্নিচার, মালা এবং থ্রি হুইলার আমদানি চালানে আগে কখনো খুব বেশি যাচাই-বাছাই করা হতো না। এ জন্য এসব চালানে প্রচুর রাজস্ব ফাঁিক হতো। এই ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করায় বেশ সাফল্য এসেছে।
No comments