দেশীয় চোরাবালিতে ভিনদেশি ইন্দ্রনীল by দাউদ হোসাইন রনি
রেদোয়ান রনির 'চোরাবালি'তে অভিনয়ের জন্য ঢাকায় এসেছিলেন ভারতীয় অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার আগে বসেছিলেন রঙের মেলার সঙ্গে। মোবাইলে বারবার মেসেজ আসছে। ইন্দ্রনীল বিরক্ত হচ্ছেন না। বরং কথার ফাঁকে আগ্রহ নিয়ে মেসেজের উত্তর দিচ্ছেন। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই বাবা হবেন এই অভিনেতা। তাই একটু পর পরই বউয়ের খোঁজখবর নিচ্ছেন। এ সময়টায় অবশ্য স্ত্রী বরখার কাছাকাছি থাকতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু 'চোরাবালি' তাঁকে ঢাকায় নিয়ে এসেছে। দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। মাত্রই তো কটা দিন। এক সপ্তাহের এই সফর কাজের ঘোরেই কেটে যাবে। এরপর স্ত্রী ও নবজাতকের সঙ্গে মাসখানেক কাটিয়ে নভেম্বরে আবার রেদোয়ান রনির 'চোরাবালি'তে মাসব্যাপী 'স্বেচ্ছাডুব' মারবেন।
একজন ভারতীয় বাঙালি নাগরিকের 'বাংলাদেশ দর্শন' যতটা বিস্ময়কর হওয়ার কথা, ইন্দ্রনীলের বেলায় তা হচ্ছে না। ভাষা নিয়ে কোনো আবেগ কাজ করে না তাঁর মধ্যে। নিজেকে সর্বভারতীয় নাগরিক ভাবতেই পছন্দ তাঁর। আসামে জন্ম নিলেও বাংলা বলতে তাঁর বেশ কষ্টই হতো একসময়। কারণ, বেড়ে ওঠা মুম্বাইয়ে। মা-বাবার কল্যাণে বাংলাটা তাঁর ভালোই জানা। কিন্তু বলতে গেলেই নাকি থলের বেড়াল বেরিয়ে আসত। দুই বছর ধরে টালিগঞ্জে কাজ করার সুবাদে এখন সে সমস্যাটা কাটিয়ে উঠেছেন। তবে স্বীকার করলেন, এ দুই বছরেই তিনি ক্যারিয়ারের সেরা কাজ দেখিয়েছেন। অভিনেতা ইন্দ্রনীলকে টালিগঞ্জ যে তৃপ্তি দিয়েছে, মুম্বাই এখনো তা পারেনি। 'অংশুমানের ছবি', 'যদিও একদিন', 'অটোগ্রাফ' ও 'আরেকটি প্রেমের গল্প' ছবিতে কাজ করে তিনি খুশি। যদিও ইন্দ্রনীলের কাছে এ ছবিগুলো কেবলই আঞ্চলিক ছবি। তাঁর মূল টার্গেট বলিউড। 'মুম্বাই সালসা', 'শুকরিয়া'_বলিউডি এ ছবি দুটি তাঁকে তারকাখ্যাতি দেয়নি। তাই বলে আশা ছাড়েননি। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা ছেলেটি শুরুতেই নজর কেড়েছিল মুম্বাই টিনসেলে। ফালগুনী পাঠক ও জগজিৎ সিংয়ের মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়ে জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন। সে সুবাদেই অভিনয় করলেন 'পেয়ার কে দো নাম, এক রাধা এক শ্যাম', 'বানু ম্যাঁয় তেরি দুলহান', 'বাবুল কি বিটিয়া চালি ডোলি সাজাকে' ও 'মাইকা' সিরিয়ালে। সিরিয়ালগুলোতে অভিনয় করাটা ইন্দ্রনীলের জন্য বেশ জরুরি ছিল। জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন। যদিও মানসিক তৃপ্তিটা পাননি। প্রাপ্তি কেবলই বরখা। সিরিয়াল করতে গিয়ে অভিনেত্রী বরখার প্রেমে পড়ে তাঁকে ঘরণী করেছিলেন। বরখাও টালিগঞ্জের 'দুই পৃথিবী' ও 'আমি সুভাষ বলছি' ছবি দুটিতে অভিনয় করেছেন।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ইন্দ্রনীল যতটা জানেন, তার পুরোটাই ক্রিকেটকেন্দ্রিক। একসময় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ক্রিকেট-প্রেমটা এখনো রয়ে গেছে। মুশফিকুর রহিম অধিনায়ক হওয়ার খবরে তিনি খুশি। বাংলাদেশ দলের অনেক খেলোয়াড়ের নামই জানেন। অলক কাপালি তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার। আইসিএলে তাঁর শতক দেখে মুগ্ধ এই অভিনেতা। সাকিব, মাশরাফি, তামিমও তাঁর পছন্দের ক্রিকেটার। সাকিব কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলেন, দীর্ঘদিন নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার ছিলেন, সবই তাঁর জানা। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে ভারতের বিদায় নেওয়ার পরই নামগুলো মুখস্থ করেছেন কি না_এ প্রশ্ন করতেই হো হো করে হেসে উঠলেন। কিন্তু মুখে কিছু বললেন না।
ক্রিকেট সম্পর্কে অল্পবিস্তর যা-ই জানেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে তার ছিটেফোঁটাও জানেন না। তবে কলকাতায় কাজ করতে গিয়ে গত দুই বছরে বাংলাদেশের একটা ছবির নামই শুনেছেন, সেটা হলো 'মনপুরা'। যদিও দেখা হয়নি তাঁর। এ দেশের ছবিতে অভিনয় করার প্রসঙ্গে শুরুতেই বলে নিলেন, 'এখানে ক্যারিয়ার গড়ার কোনো ইচ্ছে আমার নেই। রেদোয়ান রনির কাছে ছবির গল্প শুনে ভালো লেগেছে। তাই কাজটি করছি। একইভাবে তামিল কোনো পরিচালক যদি গল্প নিয়ে আসতেন, পছন্দ হলে সেটাও করতাম। অভিনেতাদের আসলে কোনো দেশ নেই।' মুম্বাই আর টালিগঞ্জের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনায় গেলেনই না এই অভিনেতা। বললেন, 'কলকাতার পরিবেশ আর এখানকার পরিবেশ অনেকটা একরকম।' ব্যস, এ পর্যন্তই। পাশেই ছিলেন রনি। ইন্দ্রনীলকে কাস্ট করার গল্প বললেন এভাবে, ''অনেক দিন ধরে ছবির জন্য অভিনেতা খুঁজছিলাম। ওর 'অটোগ্রাফ' দেখার পর মনে হলো, ও-ই পারফেক্ট। মুম্বাই গিয়ে ইন্দ্রনীলের ফোন নম্বর জোগাড় করলাম। কথা হলো একটা রেস্টুরেন্টে। ব্যস, একে একে দুই হয়ে গেল।'' এখন পর্যন্ত চোরাবালির যতখানি শুটিং হয়েছে, তাতে ইন্দ্রনীলের প্রতি আস্থা আরো বেড়েছে রনির। 'ওর দৃশ্যগুলোর একটিও আমার দুইবার করতে হয়নি। এক শটেই ওকে। আমি দেখেছি, অভিনয়টা ওর কাছে প্রার্থনার মতো।'
ছবিতে ইন্দ্রনীলের সহশিল্পীদের একজন জয়া আহসান। জয়ার ব্যাপারেও ইন্দ্রনীলের উচ্চ ধারণা। এই কয় দিনে মাত্র একটি দৃশ্যে দুজন একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। ইন্দ্রনীল বলেন, "এখনো আমাদের একসঙ্গে সেভাবে কাজ করা হয়নি। শুটিংয়ের ফাঁকে এখানকার পত্রিকায় ওকে নিয়ে লেখা পড়েছি। বুঝেছি, অনেক নামকরা অভিনেত্রী। তবে কলকাতায় অরিন্দম শীলের 'আবর্ত' ছবিতে জয়া অভিনয় করবে, খবরটা আমি জানতাম।"
আসার পর থেকেই শুটিং, শুটিং আর শুটিং। ঢাকা শহরটা ভালোমতো ঘুরে দেখা হয়নি ইন্দ্রনীলের। জানালেন, নভেম্বরে আবার যখন আসবেন তখন ঘুরে ঘুরে শহরটাও দেখে নেবেন।
বাংলাদেশ সম্পর্কে ইন্দ্রনীল যতটা জানেন, তার পুরোটাই ক্রিকেটকেন্দ্রিক। একসময় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ক্রিকেট-প্রেমটা এখনো রয়ে গেছে। মুশফিকুর রহিম অধিনায়ক হওয়ার খবরে তিনি খুশি। বাংলাদেশ দলের অনেক খেলোয়াড়ের নামই জানেন। অলক কাপালি তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার। আইসিএলে তাঁর শতক দেখে মুগ্ধ এই অভিনেতা। সাকিব, মাশরাফি, তামিমও তাঁর পছন্দের ক্রিকেটার। সাকিব কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলেন, দীর্ঘদিন নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার ছিলেন, সবই তাঁর জানা। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে ভারতের বিদায় নেওয়ার পরই নামগুলো মুখস্থ করেছেন কি না_এ প্রশ্ন করতেই হো হো করে হেসে উঠলেন। কিন্তু মুখে কিছু বললেন না।
ক্রিকেট সম্পর্কে অল্পবিস্তর যা-ই জানেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে তার ছিটেফোঁটাও জানেন না। তবে কলকাতায় কাজ করতে গিয়ে গত দুই বছরে বাংলাদেশের একটা ছবির নামই শুনেছেন, সেটা হলো 'মনপুরা'। যদিও দেখা হয়নি তাঁর। এ দেশের ছবিতে অভিনয় করার প্রসঙ্গে শুরুতেই বলে নিলেন, 'এখানে ক্যারিয়ার গড়ার কোনো ইচ্ছে আমার নেই। রেদোয়ান রনির কাছে ছবির গল্প শুনে ভালো লেগেছে। তাই কাজটি করছি। একইভাবে তামিল কোনো পরিচালক যদি গল্প নিয়ে আসতেন, পছন্দ হলে সেটাও করতাম। অভিনেতাদের আসলে কোনো দেশ নেই।' মুম্বাই আর টালিগঞ্জের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনায় গেলেনই না এই অভিনেতা। বললেন, 'কলকাতার পরিবেশ আর এখানকার পরিবেশ অনেকটা একরকম।' ব্যস, এ পর্যন্তই। পাশেই ছিলেন রনি। ইন্দ্রনীলকে কাস্ট করার গল্প বললেন এভাবে, ''অনেক দিন ধরে ছবির জন্য অভিনেতা খুঁজছিলাম। ওর 'অটোগ্রাফ' দেখার পর মনে হলো, ও-ই পারফেক্ট। মুম্বাই গিয়ে ইন্দ্রনীলের ফোন নম্বর জোগাড় করলাম। কথা হলো একটা রেস্টুরেন্টে। ব্যস, একে একে দুই হয়ে গেল।'' এখন পর্যন্ত চোরাবালির যতখানি শুটিং হয়েছে, তাতে ইন্দ্রনীলের প্রতি আস্থা আরো বেড়েছে রনির। 'ওর দৃশ্যগুলোর একটিও আমার দুইবার করতে হয়নি। এক শটেই ওকে। আমি দেখেছি, অভিনয়টা ওর কাছে প্রার্থনার মতো।'
ছবিতে ইন্দ্রনীলের সহশিল্পীদের একজন জয়া আহসান। জয়ার ব্যাপারেও ইন্দ্রনীলের উচ্চ ধারণা। এই কয় দিনে মাত্র একটি দৃশ্যে দুজন একসঙ্গে অভিনয় করেছেন। ইন্দ্রনীল বলেন, "এখনো আমাদের একসঙ্গে সেভাবে কাজ করা হয়নি। শুটিংয়ের ফাঁকে এখানকার পত্রিকায় ওকে নিয়ে লেখা পড়েছি। বুঝেছি, অনেক নামকরা অভিনেত্রী। তবে কলকাতায় অরিন্দম শীলের 'আবর্ত' ছবিতে জয়া অভিনয় করবে, খবরটা আমি জানতাম।"
আসার পর থেকেই শুটিং, শুটিং আর শুটিং। ঢাকা শহরটা ভালোমতো ঘুরে দেখা হয়নি ইন্দ্রনীলের। জানালেন, নভেম্বরে আবার যখন আসবেন তখন ঘুরে ঘুরে শহরটাও দেখে নেবেন।
No comments