দ্রুত বিচার আইনে মামলা, চার্জশিট প্রস্তুত
রাজধানীর কাকরাইল ও বিজয়নগর এলাকায় গাড়ি ভাংচুর ও অগি্নসংযোগের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা দুটি মামলায় জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামসহ ১২০ জনকে আসামি করে চার্জশিট চূড়ান্ত করা হয়েছে। দু'একদিনের মধ্যে মামলার দুই তদন্ত কর্মকর্তা রমনা ও পল্টন থানার দুই উপ-পরিদর্শক আদালতে আলাদাভাবে চার্জশিট দাখিল করবেন। চার্জশিট দাখিলের ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচারকাজ শেষ হবে। বিচারে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রত্যেকের সর্বনিম্ন দুই থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা হতে পারে।
তদন্তের সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র সমকালকে জানান, আজই চার্জশিট দাখিল হতে পারে। দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের বাধ্যবাধকতা থাকায় পুলিশ তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দাখিলের প্রস্তুতি নিয়েছে। ফৌজদারি মামলায় কারও কমপক্ষে দুই বছরের সাজা হলে পাঁচ বছর পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের মুখপাত্র ডিবি ডিসি (দক্ষিণ) মনিরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা দুটি মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে। দু'একদিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে। চার্জশিটে অভিযুক্তের সংখ্যা ১২০ জন। অনেক আসামিকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তারা রাজপথে ভাংচুরে নেপথ্যে থেকে ইন্ধন দিয়েছেন।
মনিরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ও অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণে তারা নিশ্চিত যে, দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েই জামায়াত ওই হামলা চালিয়েছিল। তাই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণে যারা ছিলেন, এমনকি পরে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে ঘটনার সময় যাদের সঙ্গে ভাংচুরকারীদের যোগাযোগের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে আসামির তালিকায় তারাও থাকবেন। সেক্ষেত্রে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যারা এখনও গ্রেফতার হননি, তারা এ মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। তিনি আরও জানান, দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলার চার্জশিট প্রদানে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ, ছবিসহ অন্যান্য প্রমাণ যথেষ্ট। রমনা ও পল্টন থানায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা দুটি মামলায় আসামির সংখ্যা প্রায় অভিন্ন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর জামায়াতের বিক্ষোভ চলাকালে রাজধানীর কাকরাইল, শান্তিনগর, বিজয়নগর এলাকায় যানবাহনে ভাংচুর-অগি্নসংযোগ করা হয়। পিটিয়ে আহত করা হয় পুলিশের ৩৮ সদস্যকে। ওই ঘটনায় পুলিশের গাড়িসহ শতাধিক যানবাহন ভাংচুর করা হয়। অগি্নসংযোগ করা হয় ১৮টি যানবাহনে। রাজপথে জামায়াতের রুদ্ররোষের ঘটনায় ওইদিন গভীর রাতে রমনা ও পল্টন থানায় ১৩টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে দুটিসহ ৯টি মামলা দায়ের করে। বাকি চারটি মামলা দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকরা। এসব মামলায় জামায়াতের ১২ কেন্দ্রীয় নেতাসহ ২-৩ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার দেখানো হয় ৩৩৫ জনকে (একই আসামি বিভিন্ন মামলায়)। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১৮৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত মোট ১৯ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দ্রুত বিচার আইনে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় ৭১ ও পল্টন থানার মামলায় ১২৬ জনকে তিনদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মামলার অভিযোগে যা বলা হয় : রমনা ও পল্টন থানায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রেফতারকৃতদের সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় দুই-তিন হাজার জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী অস্ত্রসহ কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল ও বিজয়নগর মোড়ে জড়ো হয়ে ভয়ভীতি ও বলপ্রয়োগ করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধতা তৈরি করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। তারা রাজপথে ত্রাস সৃষ্টি করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা এবং অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশ সদস্যদের হত্যার চেষ্টা করে। অনেক পুলিশ সদস্য আহত হন। পুরো ঘটনায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। হামলাকারীরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলাকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হলে তাদের দলীয় লোকজন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় গাড়িতে অগি্নসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় আসামিরা হচ্ছেন_ জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা একেএম ইউসুফ, একেএম নাজির আহমদ, আবদুস সোবহান, তিন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুর রাজ্জাক, মুজিবুর রহমান, শফিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য_ এটিএম মাসুম, জামায়াতের ঢাকা মহানগর কমিটির আমির রফিকুল ইসলাম খান, সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল হালিম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফখরুদ্দিন মানিক, সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, বাকের হোসাইন, আবদুল কাদের, তাসলিম আজহার, মজিবুল আলম, বেলায়েত হোসেন মজুমদার, আঃ রব, লিটন গাজী, আবদুল হাকিম, ফরহাদুজ্জামান, বাদশাহ আলমগীর, জহুরুল ইসলাম, আবুল কালাম আইয়ুব আলী, আয়নুল হক, আবদুল মজিদ, আল আমিন, আলী হোসেন, ইব্রাহিম, তাসলিম আলম, সাবি্বরউদ্দিন আহম্মেদ, নুরুল আলম চৌধুরী, সাইদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মোবারক হোসেন, ফারুক আহম্মেদ, কবির, মামুন, রফিকুল ইসলাম, শিবি্বর, আলফাজ, রউফ, আশিকুর রহমান সজীব, হাসান আল আবেদ, আরাফাত, মিজানুর রহমান, খলিলুর রহমান, রইচউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, জোবায়ের, এহতেশাম উদ্দিন, শাহাজুল ইসলাম, মিরাজ, সুজন, মনির হোসেন, আহসান উল্লাহ, মইনুদ্দিন সাগর, শাহাদৎ, সৈয়দ তাজবীর হাসান, শরীফ খান, শাহজাহান ফরাজী, মনোয়ার, নাজির আহম্মেদ, আকরাম হোসেন, ইসমাইল হোসেন ওরফে মুজাহিদ, আহসান হাবীব, শেখ ফরিদ, মঈনুদ্দিন, আহসান হাবীব, রাশেদ আলম, কামরুল হাসান, মিজানুর রহমান, হাদিছুর রহমান, নাসির উদ্দিন, খলিলুর রহমান, এহতেশামুল হক, কাওসার, আল আমিন, ইলিয়াস, জাকারিয়া, আবুল বাশার, রাকিব হাসান, মোঃ আবু তাহের, হায়দার আলী, মহিদুল ইসলাম সানি, বেলাল হোসেন, হেমায়েত, এনামুল, সুলতান মাহমুদ, বোরহান উদ্দিন, মোঃ লিটন হোসেন, মকবুল হোসেন, প্রমুখ।
মনিরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ও অন্যান্য সাক্ষ্য-প্রমাণে তারা নিশ্চিত যে, দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েই জামায়াত ওই হামলা চালিয়েছিল। তাই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণে যারা ছিলেন, এমনকি পরে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে ঘটনার সময় যাদের সঙ্গে ভাংচুরকারীদের যোগাযোগের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে আসামির তালিকায় তারাও থাকবেন। সেক্ষেত্রে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যারা এখনও গ্রেফতার হননি, তারা এ মামলায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। তিনি আরও জানান, দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলার চার্জশিট প্রদানে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ, ছবিসহ অন্যান্য প্রমাণ যথেষ্ট। রমনা ও পল্টন থানায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা দুটি মামলায় আসামির সংখ্যা প্রায় অভিন্ন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর জামায়াতের বিক্ষোভ চলাকালে রাজধানীর কাকরাইল, শান্তিনগর, বিজয়নগর এলাকায় যানবাহনে ভাংচুর-অগি্নসংযোগ করা হয়। পিটিয়ে আহত করা হয় পুলিশের ৩৮ সদস্যকে। ওই ঘটনায় পুলিশের গাড়িসহ শতাধিক যানবাহন ভাংচুর করা হয়। অগি্নসংযোগ করা হয় ১৮টি যানবাহনে। রাজপথে জামায়াতের রুদ্ররোষের ঘটনায় ওইদিন গভীর রাতে রমনা ও পল্টন থানায় ১৩টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে দুটিসহ ৯টি মামলা দায়ের করে। বাকি চারটি মামলা দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকরা। এসব মামলায় জামায়াতের ১২ কেন্দ্রীয় নেতাসহ ২-৩ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার দেখানো হয় ৩৩৫ জনকে (একই আসামি বিভিন্ন মামলায়)। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১৮৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত মোট ১৯ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দ্রুত বিচার আইনে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় ৭১ ও পল্টন থানার মামলায় ১২৬ জনকে তিনদিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মামলার অভিযোগে যা বলা হয় : রমনা ও পল্টন থানায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রেফতারকৃতদের সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় দুই-তিন হাজার জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী অস্ত্রসহ কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল ও বিজয়নগর মোড়ে জড়ো হয়ে ভয়ভীতি ও বলপ্রয়োগ করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধতা তৈরি করে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। তারা রাজপথে ত্রাস সৃষ্টি করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা এবং অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশ সদস্যদের হত্যার চেষ্টা করে। অনেক পুলিশ সদস্য আহত হন। পুরো ঘটনায় ১০০ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়। হামলাকারীরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলাকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হলে তাদের দলীয় লোকজন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় গাড়িতে অগি্নসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় আসামিরা হচ্ছেন_ জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা একেএম ইউসুফ, একেএম নাজির আহমদ, আবদুস সোবহান, তিন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুর রাজ্জাক, মুজিবুর রহমান, শফিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য_ এটিএম মাসুম, জামায়াতের ঢাকা মহানগর কমিটির আমির রফিকুল ইসলাম খান, সেক্রেটারি হামিদুর রহমান আযাদ, সহকারী সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল হালিম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফখরুদ্দিন মানিক, সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, বাকের হোসাইন, আবদুল কাদের, তাসলিম আজহার, মজিবুল আলম, বেলায়েত হোসেন মজুমদার, আঃ রব, লিটন গাজী, আবদুল হাকিম, ফরহাদুজ্জামান, বাদশাহ আলমগীর, জহুরুল ইসলাম, আবুল কালাম আইয়ুব আলী, আয়নুল হক, আবদুল মজিদ, আল আমিন, আলী হোসেন, ইব্রাহিম, তাসলিম আলম, সাবি্বরউদ্দিন আহম্মেদ, নুরুল আলম চৌধুরী, সাইদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মোবারক হোসেন, ফারুক আহম্মেদ, কবির, মামুন, রফিকুল ইসলাম, শিবি্বর, আলফাজ, রউফ, আশিকুর রহমান সজীব, হাসান আল আবেদ, আরাফাত, মিজানুর রহমান, খলিলুর রহমান, রইচউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, জোবায়ের, এহতেশাম উদ্দিন, শাহাজুল ইসলাম, মিরাজ, সুজন, মনির হোসেন, আহসান উল্লাহ, মইনুদ্দিন সাগর, শাহাদৎ, সৈয়দ তাজবীর হাসান, শরীফ খান, শাহজাহান ফরাজী, মনোয়ার, নাজির আহম্মেদ, আকরাম হোসেন, ইসমাইল হোসেন ওরফে মুজাহিদ, আহসান হাবীব, শেখ ফরিদ, মঈনুদ্দিন, আহসান হাবীব, রাশেদ আলম, কামরুল হাসান, মিজানুর রহমান, হাদিছুর রহমান, নাসির উদ্দিন, খলিলুর রহমান, এহতেশামুল হক, কাওসার, আল আমিন, ইলিয়াস, জাকারিয়া, আবুল বাশার, রাকিব হাসান, মোঃ আবু তাহের, হায়দার আলী, মহিদুল ইসলাম সানি, বেলাল হোসেন, হেমায়েত, এনামুল, সুলতান মাহমুদ, বোরহান উদ্দিন, মোঃ লিটন হোসেন, মকবুল হোসেন, প্রমুখ।
No comments