চার জননীর মুখ by মামুন মিজানুর রহমান
২৪ সেপ্টেম্বর প্রাচ্যনাট মঞ্চে আনে নতুন প্রযোজনা 'মায়ের মুখ'। এই প্রথম চারজন নারীর স্বগত সংলাপের সমন্বয়ে রচিত কোনো নাটক মঞ্চস্থ হলো। বাংলাদেশের মঞ্চে একক নাটক দেখা যায় মাঝেমধ্যে। 'মায়ের মুখ' ঠিক একক নাটক নয়, তবে এতে চারজন নারীর প্রতিটি চরিত্রেরই রয়েছে একক মহিমা। একক নাটকের মতো এ নাটকে চার নারী চারটি ভিন্ন গল্পের ভিন্ন চরিত্র রূপায়ণ করেছেন। স্বগত সংলাপের মধ্য দিয়ে চার নারী চিত্রিত করেছেন চারজন মায়ের মুখ। এই চার নারীর সংকট চার ধরনের। নাটকে চারজন নারীই একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় চরিত্র। আলাদা গল্পের মধ্য দিয়ে চারটি চরিত্রই প্রকাশ করে নারীর চার ধরনের হাহাকার। এ ধরনের নাটক ঢাকার মঞ্চে অভিনব। এই চারটি চরিত্র রূপায়ণকারীরা হলেন_লুসি তৃপ্তি গোমেজ, ঋতু সাত্তার, জয়িতা মহলানবিশ ও সাদিকা পারভীন স্বর্ণা।
আর্নল্ড ওয়েস্কারের 'ফোর পোট্র্রেট অব মাদারস' অনুবাদ করেন মুম রহমান। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। বিদেশি গল্প হলেও এ নাটকের দুঃখ সর্বকালের, সব দেশের নারীর। চার নারীর অভিনয় কুশলতায় এসব দুঃখকে মনে হয় আমাদের নারীদেরই মনোবেদনা। এ নাটকে ফুটে উঠেছে নারীর অস্তিত্ব সংকট ও প্রাসঙ্গিক নানা প্রসঙ্গ।
রুথ একজন অবিবাহিত মা। এ চরিত্রের মধ্য দিয়ে কুমারী মেয়েদের সামাজিক সংকট যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনি আবেগি আবহে উঠে এসেছে সন্তানের পিতৃত্বের অভাবজনিত বেদনা। এ চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন লুসি তৃপ্তি গোমেজ। এ নাটকে তিনি অতিথি অভিনয়শিল্পী। লুসি নাট্যকেন্দ্রের নিয়মিত নাট্যকর্মী।
অন্যদিকে ঋতু সাত্তার অভিনয় করেছেন নাওমি চরিত্রে। এতে ঋতু একজন ৭০ বছর বয়সী নারী। মাতৃত্বের আজন্ম সাধ নিয়েও যে অর্জন করেনি মা হওয়ার বিরল সৌভাগ্য। তার মাতৃত্ব আরোপিত হয় ভাতিজার প্রতি। এ চরিত্রে ঋতু ফুটিয়ে তুলেছেন মাতৃত্বের পরম আকাঙ্ক্ষা ও হাহাকার।
জয়িতা মহলানবিশ অভিনয় করেছেন মিরিয়াম চরিত্রে। অতি ভালোবাসা ও স্নেহের ফলে বখে যায় এই নারীর সন্তানরা। একপর্যায়ে সেই নারী অনুভব করতে পারে নিজের ভুল।
এ নাটকের সব শেষ নারীটি ডেবরা। এ চরিত্রটি রূপায়ণ করেছেন সাদিকা পারভীন স্বর্ণা।
মজার বিষয় হলো, মায়ের চরিত্র রূপায়ণকারীদের একজনেরও নেই মা হওয়ার অভিজ্ঞতা। ফলে মায়ের চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে একটু কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে তাঁদের। 'আমি একজন গর্ভবতী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে গর্ভবতী নারীদের দেখেছি খতিয়ে খতিয়ে। আমাকে আত্মস্থ করতে হয়েছে এই কঠিন সময়ে নারীর চলাফেরার পদ্ধতি'_জানালেন স্বর্ণা। স্বর্ণা পাঁচ বছর ধরে আছেন প্রাচ্যনাটে। তিনি অভিনয় করেছেন দলের 'রাজা এবং অন্যান্য' ও 'পুনর্জন্ম' নাটকে। এ ছাড়া টিভি নাটকে অভিনয় করছেন নিয়মিত।
নিজের চরিত্রটি নিয়ে ঋতু সাত্তার বলেন, 'আমি এ চরিত্রটি নিয়ে খুবই উত্তেজিত। ৭০ বছর বয়সে গিয়ে আমি আবারও মাতৃত্বের প্রবল টান অনুভব করি। এ চরিত্রটি ছিল আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং। এটি সম্ভবত মঞ্চে আমার ১৩তম নাটক।' মঞ্চের পাশাপাশি ঋতুর বর্তমান ব্যস্ততা টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রকে ঘিরেও।
এই চার মায়ের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী মায়ের চরিত্রে আছেন জয়িতা মহলানবিশ। তিনি বলেন, 'আমি এ নাটকে অভিনয় করে নিজে অনেক শিখেছি। মাতৃত্বের অনুভব নিজের মধ্যে ধারণ করার সর্বাত্মক চেষ্টা ছিল আমার।' জয়িতার মঞ্চে অভিষেক ২০০৪ সালে কণ্ঠশীলনের প্রযোজনায় খালেদ খান নির্দেশিত 'কারিগর' নাটকের মধ্য দিয়ে। প্রাচ্যনাটে তিনি অভিনয় করেছেন 'রাজা এবং অন্যান্য' নাটকে।
'মায়ের মুখ' প্রাচ্যনাটের ২২তম প্রযোজনা। দিলু রোডে প্রাচ্যনাটের অফিসে ছয় মাস ধরে চলছিল নাটকটির মহড়া। নাটকটির নির্দেশক কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমনের এটি দশম নির্দেশনা। তিনি বলেন, 'আমি প্রথম এ দেশে চারজন নারীর সমন্বয়ে মনোলগ নাটক মঞ্চে নিয়ে এসেছি। এতে আঙ্গিক ও মঞ্চায়ন নিয়ে নতুন কিছু ভাবারও চেষ্টা করেছি। গল্পটি ব্রিটেনের প্রেক্ষাপটে হলেও এতে উত্থাপিত হয়েছে পৃথিবীর সব মায়ের চিত্র।'
রুথ একজন অবিবাহিত মা। এ চরিত্রের মধ্য দিয়ে কুমারী মেয়েদের সামাজিক সংকট যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনি আবেগি আবহে উঠে এসেছে সন্তানের পিতৃত্বের অভাবজনিত বেদনা। এ চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন লুসি তৃপ্তি গোমেজ। এ নাটকে তিনি অতিথি অভিনয়শিল্পী। লুসি নাট্যকেন্দ্রের নিয়মিত নাট্যকর্মী।
অন্যদিকে ঋতু সাত্তার অভিনয় করেছেন নাওমি চরিত্রে। এতে ঋতু একজন ৭০ বছর বয়সী নারী। মাতৃত্বের আজন্ম সাধ নিয়েও যে অর্জন করেনি মা হওয়ার বিরল সৌভাগ্য। তার মাতৃত্ব আরোপিত হয় ভাতিজার প্রতি। এ চরিত্রে ঋতু ফুটিয়ে তুলেছেন মাতৃত্বের পরম আকাঙ্ক্ষা ও হাহাকার।
জয়িতা মহলানবিশ অভিনয় করেছেন মিরিয়াম চরিত্রে। অতি ভালোবাসা ও স্নেহের ফলে বখে যায় এই নারীর সন্তানরা। একপর্যায়ে সেই নারী অনুভব করতে পারে নিজের ভুল।
এ নাটকের সব শেষ নারীটি ডেবরা। এ চরিত্রটি রূপায়ণ করেছেন সাদিকা পারভীন স্বর্ণা।
মজার বিষয় হলো, মায়ের চরিত্র রূপায়ণকারীদের একজনেরও নেই মা হওয়ার অভিজ্ঞতা। ফলে মায়ের চরিত্রে কাজ করতে গিয়ে একটু কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে তাঁদের। 'আমি একজন গর্ভবতী নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে গর্ভবতী নারীদের দেখেছি খতিয়ে খতিয়ে। আমাকে আত্মস্থ করতে হয়েছে এই কঠিন সময়ে নারীর চলাফেরার পদ্ধতি'_জানালেন স্বর্ণা। স্বর্ণা পাঁচ বছর ধরে আছেন প্রাচ্যনাটে। তিনি অভিনয় করেছেন দলের 'রাজা এবং অন্যান্য' ও 'পুনর্জন্ম' নাটকে। এ ছাড়া টিভি নাটকে অভিনয় করছেন নিয়মিত।
নিজের চরিত্রটি নিয়ে ঋতু সাত্তার বলেন, 'আমি এ চরিত্রটি নিয়ে খুবই উত্তেজিত। ৭০ বছর বয়সে গিয়ে আমি আবারও মাতৃত্বের প্রবল টান অনুভব করি। এ চরিত্রটি ছিল আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং। এটি সম্ভবত মঞ্চে আমার ১৩তম নাটক।' মঞ্চের পাশাপাশি ঋতুর বর্তমান ব্যস্ততা টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রকে ঘিরেও।
এই চার মায়ের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী মায়ের চরিত্রে আছেন জয়িতা মহলানবিশ। তিনি বলেন, 'আমি এ নাটকে অভিনয় করে নিজে অনেক শিখেছি। মাতৃত্বের অনুভব নিজের মধ্যে ধারণ করার সর্বাত্মক চেষ্টা ছিল আমার।' জয়িতার মঞ্চে অভিষেক ২০০৪ সালে কণ্ঠশীলনের প্রযোজনায় খালেদ খান নির্দেশিত 'কারিগর' নাটকের মধ্য দিয়ে। প্রাচ্যনাটে তিনি অভিনয় করেছেন 'রাজা এবং অন্যান্য' নাটকে।
'মায়ের মুখ' প্রাচ্যনাটের ২২তম প্রযোজনা। দিলু রোডে প্রাচ্যনাটের অফিসে ছয় মাস ধরে চলছিল নাটকটির মহড়া। নাটকটির নির্দেশক কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমনের এটি দশম নির্দেশনা। তিনি বলেন, 'আমি প্রথম এ দেশে চারজন নারীর সমন্বয়ে মনোলগ নাটক মঞ্চে নিয়ে এসেছি। এতে আঙ্গিক ও মঞ্চায়ন নিয়ে নতুন কিছু ভাবারও চেষ্টা করেছি। গল্পটি ব্রিটেনের প্রেক্ষাপটে হলেও এতে উত্থাপিত হয়েছে পৃথিবীর সব মায়ের চিত্র।'
No comments