ছত্রাকের অপেক্ষায় পাওলি by সাগর মৈত্রী
এই মুহূর্তে কলকাতা চলচ্চিত্রশিল্পে আলোচিত ও সমালোচিত নায়িকা কে? পাওলি দাম। বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেল ও অনলাইনে পাওলি দামের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে যেমন একটি পক্ষ, তেমনি পাওলি দামের পক্ষ নিয়ে অপর একটি পক্ষ সমালোচকদের ঝাঁজালো কথার জবাব দিয়ে যাচ্ছে সমানতালেই।
ব্যাপার কী?
জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় পাওলি দামের সঙ্গে।
এখন মুম্বাইয়ে আছেন তিনি। বিক্রম ভাটের প্রডাকশনের হিন্দি ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি সেখানে। ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন। তত দিন বাংলা থেকে দূরে সরে থাকবেন।
ব্যাপার কী?
জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় পাওলি দামের সঙ্গে।
এখন মুম্বাইয়ে আছেন তিনি। বিক্রম ভাটের প্রডাকশনের হিন্দি ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি সেখানে। ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন। তত দিন বাংলা থেকে দূরে সরে থাকবেন।
‘আমি ছত্রাক ছবিতে অভিনয় করেছি। গল্পের প্রয়োজনেই বিশেষ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে। কিন্তু কোথাও স্থূল কিছু নেই। তার পরও সমালোচনা করার খাতিরে কেউ কেউ নাকি এ নিয়ে কী সব বলছে। কে শোনে ওসব কথা। আমি ছত্রাক ছবিটির মুক্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। এ নিয়ে আমাকে অনেকেই অনেক প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু কিচ্ছু বলিনি। আজও বিশেষ কিছু বলব না। ছবিটি আলোর মুখ দেখুক, তবেই না সবকিছুর জবাব দেব আমি।’
কিছুটা রাগ আর কিছুটা অভিমান নিয়ে কথাগুলো বললেন পাওলি দাম। তিনি জানালেন, আগামী কয়েক মাস কলকাতার ছবিতে কাজও করছেন না। ছত্রাক মুক্তির পর তিনি নতুন ছবি হাতে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাংলাদেশের মানুষ পাওলিকে চিনেছেমনের মানুষ ছবি দিয়ে। তিনি এ ছবিতে কাজ করার সুবাদে প্রথমবার এসেছিলেন বাংলাদেশে। বললেন, ‘বাংলাদেশে যাওয়াটা অনেক কারণেই আমার স্মরণীয় হয়ে আছে। প্রথমত, ভাগ্যের জোরে বেঁচে আছি। শুটিং স্পটে যাওয়ার সময় রাস্তায় যে দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম, সেই স্মৃতি আজও চোখের সামনে ভেসে উঠলে আঁতকে উঠি। দ্বিতীয়ত, আমি যে জায়গাগুলোয় শুটিং করেছিলাম, সত্যিই সেগুলো অসাধারণ জায়গা ছিল। সকালবেলায় যখন ঘুম থেকে উঠতাম, মনে হতো কবিতার ছবি দেখছি। সবকিছুর মধ্যেই কেমন যেন স্বপ্নিল একটা ছোঁয়া আছে। তৃতীয়ত হচ্ছে, লালন ফকিরকে নিয়ে একটি ছবি হয়েছে, সেখানে আমি কাজ করেছি—এটাও অনেক বড় একটা ব্যাপার ছিল আমার কাছে।’
পাওলির যাত্রাটা হয়েছিল ছোট পর্দা আর মঞ্চে কাজ করার মধ্য দিয়ে। প্রায় বছর তিনেক হলো, পাওলি এখন আর নাটকে কাজ করছেন না। কীভাবে করবেন? সিনেমাতেই সময় দিয়ে কূল পান না তিনি। ‘ঝটপট কোনো কাজ করতে পছন্দ করি না। একটি ছবিতে কাজ করার সময় অন্য কোনো ছবির কথা ভাবি না এবং ওই ছবিটির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আরেকটি ছবির শুটিং করতে চাই না। তাই বছরের ব্যস্ততা থাকে সিনেমা নিয়েই।’ বলছিলেন তিনি।
কথা ঘুরিয়ে চলে যাই আবার হিন্দি ছবির দিকে। দক্ষিণের মেয়েরা প্রতিনিয়তই আসছে এবং মুম্বাইতে জায়গা করে নিচ্ছে। কলকাতা অনেকটাই পিছিয়ে কেন? পাওলি প্রশ্নের সঙ্গে একমত হতে পারলেন না। ‘কলকাতার মেয়েরাও অনেক ভালো করেছে। রানী তো সুপারস্টার। ঋতুপর্ণা তো অনেক ছবিতেই কাজ করেছেন সেখানে। আমি করছি। রাইমা-রিয়া ওরাও অনেক নাম করেছে। তবে হ্যাঁ, বলিউডের ছবিগুলোয় নায়িকা নির্বাচন করেন পরিচালকেরা। তাঁদের মর্জিতেই সব হয়। ফলে কখনো কখনো দক্ষিণের শিল্পীরা সুবিধাটা বেশি পান। তা ছাড়া দক্ষিণের চলচ্চিত্রশিল্পটা তো আমাদের চেয়েও অনেক বড়।’ বললেন পাওলি।
হিন্দি ছবিতে কাজ করার স্বপ্ন থাকে ভারতের সব নায়িকারই। পাওলিও সেই স্বপ্নে বিভোর। হিন্দি ছবির টানে পাওলি তাঁর প্রেমিককেও ছেড়েছেন এমন কথারও গুজব উঠেছে। পাওলি হাসলেন। বললেন, ‘আমার কোনো প্রেমিক নেই। প্রেম করি না। তবে বন্ধুবান্ধব আছে। আর বিয়ে-টিয়ের কথা তো ভাবিই না। শুধু কাজের কথা আর অভিনয়ের কথাই ভাবি।’
ফটোশুটের জন্য ডাক আসে তাঁর। পাওলি বললেন, ‘ঢের কথা হলো, আজ তাহলে রাখি। ও হ্যাঁ, বাংলাদেশের মানুষের জন্য রইল শারদীয় শুভেচ্ছা।’
[সাক্ষাৎকারটি মুঠোফোনে নেওয়া হয়েছে]
কিছুটা রাগ আর কিছুটা অভিমান নিয়ে কথাগুলো বললেন পাওলি দাম। তিনি জানালেন, আগামী কয়েক মাস কলকাতার ছবিতে কাজও করছেন না। ছত্রাক মুক্তির পর তিনি নতুন ছবি হাতে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাংলাদেশের মানুষ পাওলিকে চিনেছেমনের মানুষ ছবি দিয়ে। তিনি এ ছবিতে কাজ করার সুবাদে প্রথমবার এসেছিলেন বাংলাদেশে। বললেন, ‘বাংলাদেশে যাওয়াটা অনেক কারণেই আমার স্মরণীয় হয়ে আছে। প্রথমত, ভাগ্যের জোরে বেঁচে আছি। শুটিং স্পটে যাওয়ার সময় রাস্তায় যে দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম, সেই স্মৃতি আজও চোখের সামনে ভেসে উঠলে আঁতকে উঠি। দ্বিতীয়ত, আমি যে জায়গাগুলোয় শুটিং করেছিলাম, সত্যিই সেগুলো অসাধারণ জায়গা ছিল। সকালবেলায় যখন ঘুম থেকে উঠতাম, মনে হতো কবিতার ছবি দেখছি। সবকিছুর মধ্যেই কেমন যেন স্বপ্নিল একটা ছোঁয়া আছে। তৃতীয়ত হচ্ছে, লালন ফকিরকে নিয়ে একটি ছবি হয়েছে, সেখানে আমি কাজ করেছি—এটাও অনেক বড় একটা ব্যাপার ছিল আমার কাছে।’
পাওলির যাত্রাটা হয়েছিল ছোট পর্দা আর মঞ্চে কাজ করার মধ্য দিয়ে। প্রায় বছর তিনেক হলো, পাওলি এখন আর নাটকে কাজ করছেন না। কীভাবে করবেন? সিনেমাতেই সময় দিয়ে কূল পান না তিনি। ‘ঝটপট কোনো কাজ করতে পছন্দ করি না। একটি ছবিতে কাজ করার সময় অন্য কোনো ছবির কথা ভাবি না এবং ওই ছবিটির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আরেকটি ছবির শুটিং করতে চাই না। তাই বছরের ব্যস্ততা থাকে সিনেমা নিয়েই।’ বলছিলেন তিনি।
কথা ঘুরিয়ে চলে যাই আবার হিন্দি ছবির দিকে। দক্ষিণের মেয়েরা প্রতিনিয়তই আসছে এবং মুম্বাইতে জায়গা করে নিচ্ছে। কলকাতা অনেকটাই পিছিয়ে কেন? পাওলি প্রশ্নের সঙ্গে একমত হতে পারলেন না। ‘কলকাতার মেয়েরাও অনেক ভালো করেছে। রানী তো সুপারস্টার। ঋতুপর্ণা তো অনেক ছবিতেই কাজ করেছেন সেখানে। আমি করছি। রাইমা-রিয়া ওরাও অনেক নাম করেছে। তবে হ্যাঁ, বলিউডের ছবিগুলোয় নায়িকা নির্বাচন করেন পরিচালকেরা। তাঁদের মর্জিতেই সব হয়। ফলে কখনো কখনো দক্ষিণের শিল্পীরা সুবিধাটা বেশি পান। তা ছাড়া দক্ষিণের চলচ্চিত্রশিল্পটা তো আমাদের চেয়েও অনেক বড়।’ বললেন পাওলি।
হিন্দি ছবিতে কাজ করার স্বপ্ন থাকে ভারতের সব নায়িকারই। পাওলিও সেই স্বপ্নে বিভোর। হিন্দি ছবির টানে পাওলি তাঁর প্রেমিককেও ছেড়েছেন এমন কথারও গুজব উঠেছে। পাওলি হাসলেন। বললেন, ‘আমার কোনো প্রেমিক নেই। প্রেম করি না। তবে বন্ধুবান্ধব আছে। আর বিয়ে-টিয়ের কথা তো ভাবিই না। শুধু কাজের কথা আর অভিনয়ের কথাই ভাবি।’
ফটোশুটের জন্য ডাক আসে তাঁর। পাওলি বললেন, ‘ঢের কথা হলো, আজ তাহলে রাখি। ও হ্যাঁ, বাংলাদেশের মানুষের জন্য রইল শারদীয় শুভেচ্ছা।’
[সাক্ষাৎকারটি মুঠোফোনে নেওয়া হয়েছে]
No comments