গান আর অভিনয়ের যুগলবন্দী by মেহেদী মাসুদ
কোমো এস্তাস? (কেমন আছ)
মুই বিয়েন। (ভালো আছি)
পোর কে মুই তারদে? (এত দেরি হলো কেন)
লা ক্লাসে আ তেরমিনাদো তারদে। (ক্লাস দেরিতে শেষ হয়েছে)
তাহসান আর মিথিলার কথোপকথন। স্প্যানিশ ভাষায়। ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁদের দুজনের সঙ্গে আড্ডার সময়টা ছিল রাত আটটা। কিন্তু মিথিলা বাসায় ফেরেন আরও প্রায় আধঘণ্টা পর। দেরি হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মিথিলা জানান, তিনি এখন স্প্যানিশ শিখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। ‘কিন্তু আজ একটু দেরি হয়ে গেল।’
মুই বিয়েন। (ভালো আছি)
পোর কে মুই তারদে? (এত দেরি হলো কেন)
লা ক্লাসে আ তেরমিনাদো তারদে। (ক্লাস দেরিতে শেষ হয়েছে)
তাহসান আর মিথিলার কথোপকথন। স্প্যানিশ ভাষায়। ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁদের দুজনের সঙ্গে আড্ডার সময়টা ছিল রাত আটটা। কিন্তু মিথিলা বাসায় ফেরেন আরও প্রায় আধঘণ্টা পর। দেরি হওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে মিথিলা জানান, তিনি এখন স্প্যানিশ শিখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। ‘কিন্তু আজ একটু দেরি হয়ে গেল।’
মিথিলার সঙ্গে বসার ঘরে ঢোকেন আরেকজন। তাহসান তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেন, ‘ও আমাদের বন্ধু, নিয়াজ মোরশেদ পাটোয়ারী। মুসা ইব্রাহীম আর নিয়াজ কয়েক দিন আগে কিলিমানজারোর চূড়ায় উঠেছিলেন।’ পুরো আড্ডার সময়টা চুপচাপ বসে ছিলেন নিয়াজ। মাঝেমধ্যে একটু হেসেছেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে দুই বছর পড়াশোনা করে এসেছেন তাহসান। শেষ একটি বছর তাঁর সঙ্গে ছিলেন মিথিলাও। স্প্যানিশ ভাষা শেখার আগ্রহটা তখনই তৈরি হয়। বললেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ভাষা হলো ইংরেজি। পরেরটিই স্প্যানিশ। ফ্লোরিডা আর ক্যালিফোর্নিয়ার বেশির ভাগ মানুষ তো স্প্যানিশ ভাষাতেই কথা বলে।’
তাহলে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে? তাহসান বললেন, ‘পড়াশোনার জন্য যেতে হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রেই পিএইচডি করার ইচ্ছা আছে।’
মিথিলা জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের বন্ধুদের অনেকেই লাতিন আমেরিকার। ওদের ভাষা স্প্যানিশ। সেখানে এক বছর দুটি স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন—একটি হাইস্কুল, অন্যটি মিডল স্কুল। স্প্যানিশ জানা থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকতার কাজে অনেক সুবিধা হয়। তাই দেশে ফিরেই এ ভাষা শেখার তিন মাসের কোর্স করেছেন। এবারের কোর্সটি এক বছরের।
মিথিলা তো শিখছেন, তাহলে তাহসান?
তাহসান বললেন, ‘ক্লাস থেকে ফিরে আমাকে ও শেখানোর চেষ্টা করে। আসলে, তাতে ওরই চর্চটা হয়।’
মিথিলা জানালেন, তিনি স্প্যানিশ ভালোই রপ্ত করছেন। এখন কিছু কিছু কথা বলতে পারেন।
মিথিলা পড়াশোনা করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। ব্র্যাকে শিক্ষার ওপর গবেষণার কাজ করেছেন। শিক্ষকতা করছেন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওখানে পড়াচ্ছেন ইংরেজি। মিথিলা এখন চুটিয়ে অভিনয় করছেন। জানালেন, হাতে একটু সময় আছে। রোজার ঈদে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তাঁর অভিনীত পাঁচটি নাটক প্রচারিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি ছিল তিন পর্বের ধারাবাহিক, নাম দেনমোহর।
কোরবানির ঈদের জন্য কাজ করছেন এখন। প্রায় প্রতিদিনই শুটিং থাকছে। জানালেন, সকালে (২৬ সেপ্টেম্বর) ছুটতে হবে উত্তরায়। মাতিয়া বানু শুকুর লেখা নাটক কনেপক্ষ। পরিচালক আমির খসরু। মিথিলার সঙ্গে অভিনয় করবেন মিলন। শনিবার কাজ করেছেন হাসান মাসুদের সঙ্গে অণু-পরমাণু নাটকে। মিথিলা এবার অভিনয় করলেন চলচ্চিত্রের নায়ক ইমনের সঙ্গে। নাটকের নাম দান দান তিন দান।
তাহসান শিক্ষকতা করছেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে। গান গাওয়ার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন নাটক ও চলচ্চিত্রে। তাহসান প্রথম অভিনয় করেন আফসানা মিমি অভিনীত অফবিট নাটকে। এরপর ধারাবাহিক নাটক কাছের মানুষ। মিথিলার সঙ্গে অভিনয় করেছেন মধুরেন সমাপেয় নাটকে। আর চলচ্চিত্র—ইফতেখার ফাহমির টু বি কন্টিনিউড...।
এর পরও তাহসান বললেন, ‘যে কাজটা আমি জানি না, তা করার কোনো ইচ্ছা নেই। দু-একবার যা অভিনয় করেছি, তা অনেকটা অনুরোধের কারণে।’
তাহসান ছোটবেলায় গান শিখেছেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে। এরপর ছায়ানটে রবীন্দ্রসংগীত। স্বামীর গানের ব্যাপারে মিথিলার মন্তব্য, ‘ও রবীন্দ্রসংগীত খুব ভালো গায়। কিছু গান তো ওর কণ্ঠে দারুণ মানায়। এই যেমন “চোখের আলোয় দেখেছিলেম” গানটি আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাইয়া খুব পছন্দ করেন। কিন্তু ও এখনো বাসায় সবার সামনে গান করতে কেমন যেন সংকোচ বোধ করে। অনেক তেলটেল দেওয়ার পর যদি রাজি হয়।’
তাহসান ব্ল্যাক ব্যান্ডের সঙ্গে বেশ কিছুদিন গান করেছেন। রবীন্দ্রসংগীত শিখে রক গানের চর্চা! ‘আমি যখন ছায়ানটে রবীন্দ্রসংগীত শিখি, তখন পাড়ায় আমার সঙ্গের ছেলেরা গিটার শিখছে। আর শুনছে হেভিমেটাল গান। ওই প্রভাবটা আমার ওপর কিছুটা পড়েছিল। এরপর ব্ল্যাকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর আমি মেলোরক ধরনের গান করতাম।’ বললেন তাহসান।
তাহসান জানালেন, এখন তিনি মেলোডিকে প্রাধান্য দিয়ে হালকা মেজাজের গান তৈরির দিকে ঝুঁকেছেন। বিভিন্ন শিল্পীর জন্য গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করছেন। মিথিলার কণ্ঠে মানিয়ে যায়—তৈরি করছেন এমনই কিছু গান। ‘মিথিলা কিন্তু খুব ভালো গায়। আমার পাঁচটি একক অ্যালবাম বেরিয়েছে। সব কটিতেই ওর সঙ্গে আমার দ্বৈত কণ্ঠের গান আছে। আর সব কটিই জনপ্রিয়। তাই এবার ওর একক অ্যালবাম করার উদ্যোগ নিয়েছি।’ মিথিলার গান নিয়ে বললেন তাহসান।
সম্প্রতি তাহসানের সংগীতপরিচালনা আর সংগীতায়োজনে বেরিয়েছে মিনারের অ্যালবাম আড়ি। মিনারের প্রথম অ্যালবামেও একই কাজ করেছিলেন তাহসান। বললেন, ‘মিনার ভালো লেখে, সুর করে, কার্টুন আঁকে। ওর সঙ্গে দুটি কাজই আমি খুব উপভোগ করেছি।’
মিথিলা বললেন, ‘আমি গান শিখেছি হিন্দোল সংগীত একাডেমিতে, নাচ শিখেছি বেণুকা ললিতকলা একাডেমিতে, ছবি আঁকা শিখেছি স্বপন চৌধুরীর কাছে, আর অভিনয় শিখেছি লোক নাট্যদলের চিলড্রেনস থিয়েটারে। মায়ের ইচ্ছা ছিল, আমি যেন সব পারি। কিন্তু যেটা খুব দরকার—সাঁতারটাই শেখাননি।’
তাহসান জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রে তিনি নানা ধরনের বহু গান শুনেছেন। এর একটা প্রভাব পড়েছে তাঁর নিজের গানে। তাঁর মতে, ‘একটা পরিবর্তন এসেছে।’
এবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময় অনেক কনসার্ট উপভোগ করেছেন। এর মধ্যে ছিল ব্রায়ান অ্যাডামস, ব্ল্যাক আইড পিস, সান্টানা, কোল্ডপ্লেসহ আরও অনেক কনসার্ট। বললেন, ‘তাদের পরিবেশনা একেবারে অন্য রকম। কোথা থেকে হেলিকপ্টার চলে এল, স্টেজে মোটরবাইক, গানের ফাঁকে হুট করে দর্শকদের মধ্য থেকে হাজার হাজার বেলুন উড়ে গেল! অদ্ভুত সব ব্যাপার! আর এসব কারণেই পুরো আয়োজনটা খুব আকর্ষণীয় হয়। আর গানগুলো তো অসাধারণ।’
কথার ফাঁকে হুট করে এল ফেসবুক প্রসঙ্গ। তাহসান বললেন, ‘আমার নামে এখন ফেসবুকে ৩০টা ভুয়া অ্যাকাউন্ট আছে। এর কোনোটার সঙ্গেই আমার যোগাযোগ নেই। এসব ভুয়া অ্যাকাউন্টের জন্য আর তাদের আপত্তিকর কর্মকাণ্ডে আমার মতো অনেক শিল্পীর ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি কিন্তু অনেক দিন ফেসবুক ব্যবহার করি না। ইচ্ছা হয় না।’
রাত বাড়ছে। আড্ডা শেষ করতে হবে। এবার দুজনের একটা পছন্দের কথা জানার খুব ইচ্ছা হলো। দুজনই একসঙ্গে বললেন, ‘বেড়ানো।’
মিথিলা বললেন, ‘ঘুরে বেড়াতে আমার দারুণ লাগে।’ তাহসান বললেন, ‘দুজন মিলে ভ্রমণের কোনো অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করার ইচ্ছা আছে আমাদের। তাহলে নতুন নতুন দেশ, জায়গা, খাবার, মানুষজন—কত কিছু দেখা হবে, জানা হবে! বাইরের ওই জগৎটা আমাদের খুব টানে।’
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে দুই বছর পড়াশোনা করে এসেছেন তাহসান। শেষ একটি বছর তাঁর সঙ্গে ছিলেন মিথিলাও। স্প্যানিশ ভাষা শেখার আগ্রহটা তখনই তৈরি হয়। বললেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ভাষা হলো ইংরেজি। পরেরটিই স্প্যানিশ। ফ্লোরিডা আর ক্যালিফোর্নিয়ার বেশির ভাগ মানুষ তো স্প্যানিশ ভাষাতেই কথা বলে।’
তাহলে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে? তাহসান বললেন, ‘পড়াশোনার জন্য যেতে হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রেই পিএইচডি করার ইচ্ছা আছে।’
মিথিলা জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের বন্ধুদের অনেকেই লাতিন আমেরিকার। ওদের ভাষা স্প্যানিশ। সেখানে এক বছর দুটি স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন—একটি হাইস্কুল, অন্যটি মিডল স্কুল। স্প্যানিশ জানা থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকতার কাজে অনেক সুবিধা হয়। তাই দেশে ফিরেই এ ভাষা শেখার তিন মাসের কোর্স করেছেন। এবারের কোর্সটি এক বছরের।
মিথিলা তো শিখছেন, তাহলে তাহসান?
তাহসান বললেন, ‘ক্লাস থেকে ফিরে আমাকে ও শেখানোর চেষ্টা করে। আসলে, তাতে ওরই চর্চটা হয়।’
মিথিলা জানালেন, তিনি স্প্যানিশ ভালোই রপ্ত করছেন। এখন কিছু কিছু কথা বলতে পারেন।
মিথিলা পড়াশোনা করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। ব্র্যাকে শিক্ষার ওপর গবেষণার কাজ করেছেন। শিক্ষকতা করছেন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওখানে পড়াচ্ছেন ইংরেজি। মিথিলা এখন চুটিয়ে অভিনয় করছেন। জানালেন, হাতে একটু সময় আছে। রোজার ঈদে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তাঁর অভিনীত পাঁচটি নাটক প্রচারিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি ছিল তিন পর্বের ধারাবাহিক, নাম দেনমোহর।
কোরবানির ঈদের জন্য কাজ করছেন এখন। প্রায় প্রতিদিনই শুটিং থাকছে। জানালেন, সকালে (২৬ সেপ্টেম্বর) ছুটতে হবে উত্তরায়। মাতিয়া বানু শুকুর লেখা নাটক কনেপক্ষ। পরিচালক আমির খসরু। মিথিলার সঙ্গে অভিনয় করবেন মিলন। শনিবার কাজ করেছেন হাসান মাসুদের সঙ্গে অণু-পরমাণু নাটকে। মিথিলা এবার অভিনয় করলেন চলচ্চিত্রের নায়ক ইমনের সঙ্গে। নাটকের নাম দান দান তিন দান।
তাহসান শিক্ষকতা করছেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে। গান গাওয়ার পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন নাটক ও চলচ্চিত্রে। তাহসান প্রথম অভিনয় করেন আফসানা মিমি অভিনীত অফবিট নাটকে। এরপর ধারাবাহিক নাটক কাছের মানুষ। মিথিলার সঙ্গে অভিনয় করেছেন মধুরেন সমাপেয় নাটকে। আর চলচ্চিত্র—ইফতেখার ফাহমির টু বি কন্টিনিউড...।
এর পরও তাহসান বললেন, ‘যে কাজটা আমি জানি না, তা করার কোনো ইচ্ছা নেই। দু-একবার যা অভিনয় করেছি, তা অনেকটা অনুরোধের কারণে।’
তাহসান ছোটবেলায় গান শিখেছেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে। এরপর ছায়ানটে রবীন্দ্রসংগীত। স্বামীর গানের ব্যাপারে মিথিলার মন্তব্য, ‘ও রবীন্দ্রসংগীত খুব ভালো গায়। কিছু গান তো ওর কণ্ঠে দারুণ মানায়। এই যেমন “চোখের আলোয় দেখেছিলেম” গানটি আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, ভাইয়া খুব পছন্দ করেন। কিন্তু ও এখনো বাসায় সবার সামনে গান করতে কেমন যেন সংকোচ বোধ করে। অনেক তেলটেল দেওয়ার পর যদি রাজি হয়।’
তাহসান ব্ল্যাক ব্যান্ডের সঙ্গে বেশ কিছুদিন গান করেছেন। রবীন্দ্রসংগীত শিখে রক গানের চর্চা! ‘আমি যখন ছায়ানটে রবীন্দ্রসংগীত শিখি, তখন পাড়ায় আমার সঙ্গের ছেলেরা গিটার শিখছে। আর শুনছে হেভিমেটাল গান। ওই প্রভাবটা আমার ওপর কিছুটা পড়েছিল। এরপর ব্ল্যাকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর আমি মেলোরক ধরনের গান করতাম।’ বললেন তাহসান।
তাহসান জানালেন, এখন তিনি মেলোডিকে প্রাধান্য দিয়ে হালকা মেজাজের গান তৈরির দিকে ঝুঁকেছেন। বিভিন্ন শিল্পীর জন্য গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করছেন। মিথিলার কণ্ঠে মানিয়ে যায়—তৈরি করছেন এমনই কিছু গান। ‘মিথিলা কিন্তু খুব ভালো গায়। আমার পাঁচটি একক অ্যালবাম বেরিয়েছে। সব কটিতেই ওর সঙ্গে আমার দ্বৈত কণ্ঠের গান আছে। আর সব কটিই জনপ্রিয়। তাই এবার ওর একক অ্যালবাম করার উদ্যোগ নিয়েছি।’ মিথিলার গান নিয়ে বললেন তাহসান।
সম্প্রতি তাহসানের সংগীতপরিচালনা আর সংগীতায়োজনে বেরিয়েছে মিনারের অ্যালবাম আড়ি। মিনারের প্রথম অ্যালবামেও একই কাজ করেছিলেন তাহসান। বললেন, ‘মিনার ভালো লেখে, সুর করে, কার্টুন আঁকে। ওর সঙ্গে দুটি কাজই আমি খুব উপভোগ করেছি।’
মিথিলা বললেন, ‘আমি গান শিখেছি হিন্দোল সংগীত একাডেমিতে, নাচ শিখেছি বেণুকা ললিতকলা একাডেমিতে, ছবি আঁকা শিখেছি স্বপন চৌধুরীর কাছে, আর অভিনয় শিখেছি লোক নাট্যদলের চিলড্রেনস থিয়েটারে। মায়ের ইচ্ছা ছিল, আমি যেন সব পারি। কিন্তু যেটা খুব দরকার—সাঁতারটাই শেখাননি।’
তাহসান জানালেন, যুক্তরাষ্ট্রে তিনি নানা ধরনের বহু গান শুনেছেন। এর একটা প্রভাব পড়েছে তাঁর নিজের গানে। তাঁর মতে, ‘একটা পরিবর্তন এসেছে।’
এবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময় অনেক কনসার্ট উপভোগ করেছেন। এর মধ্যে ছিল ব্রায়ান অ্যাডামস, ব্ল্যাক আইড পিস, সান্টানা, কোল্ডপ্লেসহ আরও অনেক কনসার্ট। বললেন, ‘তাদের পরিবেশনা একেবারে অন্য রকম। কোথা থেকে হেলিকপ্টার চলে এল, স্টেজে মোটরবাইক, গানের ফাঁকে হুট করে দর্শকদের মধ্য থেকে হাজার হাজার বেলুন উড়ে গেল! অদ্ভুত সব ব্যাপার! আর এসব কারণেই পুরো আয়োজনটা খুব আকর্ষণীয় হয়। আর গানগুলো তো অসাধারণ।’
কথার ফাঁকে হুট করে এল ফেসবুক প্রসঙ্গ। তাহসান বললেন, ‘আমার নামে এখন ফেসবুকে ৩০টা ভুয়া অ্যাকাউন্ট আছে। এর কোনোটার সঙ্গেই আমার যোগাযোগ নেই। এসব ভুয়া অ্যাকাউন্টের জন্য আর তাদের আপত্তিকর কর্মকাণ্ডে আমার মতো অনেক শিল্পীর ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি কিন্তু অনেক দিন ফেসবুক ব্যবহার করি না। ইচ্ছা হয় না।’
রাত বাড়ছে। আড্ডা শেষ করতে হবে। এবার দুজনের একটা পছন্দের কথা জানার খুব ইচ্ছা হলো। দুজনই একসঙ্গে বললেন, ‘বেড়ানো।’
মিথিলা বললেন, ‘ঘুরে বেড়াতে আমার দারুণ লাগে।’ তাহসান বললেন, ‘দুজন মিলে ভ্রমণের কোনো অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করার ইচ্ছা আছে আমাদের। তাহলে নতুন নতুন দেশ, জায়গা, খাবার, মানুষজন—কত কিছু দেখা হবে, জানা হবে! বাইরের ওই জগৎটা আমাদের খুব টানে।’
No comments