অনড় অবস্থানের অশনিসংকেতঃ চার দলের জনসভা ও তারপর
বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের মঙ্গলবারের জনসভাটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে—এটি স্বস্তির বিষয়। শুধু জনসভা নয়, সব রাজনৈতিক কর্মসূচিই শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। উভয় পক্ষের সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণে আন্তরিকতা থাকলে এ রকম শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখেই সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা সম্ভব।
তবে প্রধান বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া তাঁর ভাষণে যে সুরে ও ভাষায় নিজেদের কঠোর ও অনড় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন, তা দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। যেমন, তিনি বলেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ছাড়া তাঁর দল ও শরিক দলগুলো আগামী নির্বাচনে শুধু যে অংশ নেবে না তা নয়, তত্ত্বাবধায়ক-ব্যবস্থা ছাড়া কোনো নির্বাচন তারা অনুষ্ঠিত হতেই দেবে না। অর্থাৎ শুধু বিরত থাকা নয়, প্রতিহত করার ঘোষণাও উচ্চারিত হলো। ২০০৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে অষ্টম জাতীয় সংসদের মেয়াদ যখন শেষ হয়ে আসছিল, তখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিয়েছিল এ রকম কঠোর ও অনড় অবস্থান। শেষ পর্যন্ত তার পরিণতি কী হয়েছিল, তা এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো দুই বছরেরও বেশি সময় বাকি রয়েছে। যথেষ্ট সময় হাতে থাকতেই উভয় রাজনৈতিক পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলি, বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষে ক্ষমতা পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি হতে হবে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে যেন সব পক্ষ অংশ নেয়, তার অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখা একান্তই অপরিহার্য। এটি রাজনৈতিক সমস্যা, এর সমাধানও করতে হবে রাজনৈতিক পন্থায়। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পন্থা মানে সব রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে আলোচনা, মতভেদ যা কিছু আছে বা ভবিষ্যতে আরও দেখা দেবে, তার সবই মেটাতে হবে আলোচনার টেবিলে বসে। কোনো এক পক্ষের বর্জন, প্রতিহত করা ইত্যাদি পদক্ষেপ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ব্যর্থতাই প্রমাণ করবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি দেখা দেয় নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে। দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থার অভাবে বিরোধী পক্ষ নির্বাচনে অংশ নিতে চায়নি, আর ক্ষমতাসীন পক্ষ নিজের পছন্দমতো নির্বাচন কমিশনকে সাজিয়েছে। এভাবে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়, তা শেষ পর্যন্ত দেশের রাজনীতিকে একটা কানাগলিতে নিয়ে যায়, নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। অথবা এমন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যেখানে একটি বড় পক্ষই অংশ নেয় না, ফলে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতাও পায় না। ১৯৯৬ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথাটি এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা দরকার। খালেদা জিয়া মঙ্গলবারের ভাষণে বলেছেন, সবার মতামতের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। তাই, মতামত বিনিময়ের জন্য সবাইকে আলোচনায় বসতে হবে। সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের যদি কোনো পর্যায়েই কোনো আলোচনা না হয়—তাহলে কী করে সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা যাবে?
মঙ্গলবারের জনসভায় চার দল আগামী মাস থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে রোডমার্চ ও জনসভার যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, সেগুলোও যেন শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করা দরকার।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এখনো দুই বছরেরও বেশি সময় বাকি রয়েছে। যথেষ্ট সময় হাতে থাকতেই উভয় রাজনৈতিক পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলি, বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষে ক্ষমতা পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি হতে হবে অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে যেন সব পক্ষ অংশ নেয়, তার অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখা একান্তই অপরিহার্য। এটি রাজনৈতিক সমস্যা, এর সমাধানও করতে হবে রাজনৈতিক পন্থায়। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পন্থা মানে সব রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে আলোচনা, মতভেদ যা কিছু আছে বা ভবিষ্যতে আরও দেখা দেবে, তার সবই মেটাতে হবে আলোচনার টেবিলে বসে। কোনো এক পক্ষের বর্জন, প্রতিহত করা ইত্যাদি পদক্ষেপ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ব্যর্থতাই প্রমাণ করবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি দেখা দেয় নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে। দেখা গেছে, নির্বাচন কমিশনের প্রতি আস্থার অভাবে বিরোধী পক্ষ নির্বাচনে অংশ নিতে চায়নি, আর ক্ষমতাসীন পক্ষ নিজের পছন্দমতো নির্বাচন কমিশনকে সাজিয়েছে। এভাবে যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়, তা শেষ পর্যন্ত দেশের রাজনীতিকে একটা কানাগলিতে নিয়ে যায়, নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। অথবা এমন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যেখানে একটি বড় পক্ষই অংশ নেয় না, ফলে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতাও পায় না। ১৯৯৬ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথাটি এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা দরকার। খালেদা জিয়া মঙ্গলবারের ভাষণে বলেছেন, সবার মতামতের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। তাই, মতামত বিনিময়ের জন্য সবাইকে আলোচনায় বসতে হবে। সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের যদি কোনো পর্যায়েই কোনো আলোচনা না হয়—তাহলে কী করে সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা যাবে?
মঙ্গলবারের জনসভায় চার দল আগামী মাস থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে রোডমার্চ ও জনসভার যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, সেগুলোও যেন শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করা দরকার।
No comments