গল্পগুলো বান্দরবানের by বুদ্ধজ্যোতি চাকমা
গল্পগুলো বান্দরবানের। গল্পগুলো আকাশছোঁয়া পাহাড়, দুর্ভেদ্য নিবিড় বন, পাহাড়ি নদী ও অসংখ্য ঝরনার। চিম্বুক পাহাড়ের শীর্ষে জমে থাকা মেঘ এই গল্পের চরিত্র। নীলগিরি, কেওকারাডং-তাজিংডং ও বগালেক হয়ে এই গল্প ছড়িয়ে পড়েছে থানচির তিনডু, রেমাক্রি ও বড় মদকের নিবিড় অরণ্যে। বান্দরবানের নির্জন গিরিসংকুল পথে এ গল্প পথপ্রদর্শকের মতো পর্যটকদের হাজির করে অন্য এক পৃথিবীতে; যেখানে পাহাড়ের সুমহান উচ্চতার কাছে সব কিছুকেই মনে হবে তুচ্ছ।
এই গল্পের টানেই দেশের অভিযানপ্রিয় তরুণেরা ছুটে আসছেন বান্দরবানে। দুর্গম নাফাকুম ঝরনা কিংবা বড় মদকের নাম কিছুদিন আগেও জানা ছিল না এ দেশের পর্যটকদের। বান্দরবানের কোনো কোনো এলাকায় গাড়ির রাস্তা থেকে হেঁটে যেতে তিন-চার দিনেরও বেশি সময় লাগে। পথে পথে পড়ে খরস্রোতা পাহাড়ি নদী। তা ছাড়া প্রায় পর্বতসম উঁচু পাহাড় তো আছেই। তবে এসব বাধা ডিঙিয়ে বান্দরবানের বন্য সৌন্দর্যকে আবিষ্কার করেছেন এমন তরুণের সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে।
তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে একমাত্র বান্দরবান জেলাতেই সবচেয়ে বেশি—১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস। মারমা, ম্রো, ত্রিপুরা, বম, চাকমা, চাক, খিয়াং, খুমি, লুসাই, পাংখুয়া ও তঞ্চঙ্গ্যা আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বান্দরবানের সবচেয়ে বড় সম্পদ।
কীভাবে আসবেন, কোথায় থাকবেন: নগরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে পূরবী ও পূর্বাণী নামের দুটি বিরতিহীন গাড়ি চলাচল করে বান্দরবান-চট্টগ্রাম রুটে। ভাড়া ১০০ টাকা। পৌঁছাতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। বান্দরবান শহরের প্রবেশপথেই পড়বে পর্যটন করপোরেশন মোটেল। এ ছাড়া শহরের নানা স্থানে হোটেল-মোটেল রয়েছে। শহরের বাইরে নিরিবিলি পরিবেশে থাকার জন্য রয়েছে রিসোর্ট। তবে রিসোর্টে থাকতে হলে বুকিং দিতে হবে আসার আগেই। মানভেদে একজনের থাকার খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ২০০ ও সর্বোচ্চ এক হাজার ৮০০ টাকা।
কোথায় বেড়াবেন: শহরের প্রবেশমুখে মেঘলা পর্যটনকেন্দ্র। সেখানে দেখা যাবে পাহাড়ের পাদদেশে কৃত্রিম হ্রদ, কেব্ল কার ও মিনি চিড়িয়াখানা। মেঘলা থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে রয়েছে আরেকটি পর্যটনকেন্দ্র নীলাচল। শহরের বালাঘাটায় অপরূপ স্বর্ণমন্দির মোহিত করবে পর্যটকদের। ঘুরে দেখা যেতে পারে রামজাদি বৌদ্ধ মন্দির এবং জেলা শহরের কেন্দ্রে বোমাং রাজবাড়ি। শহরের কাছেই পাহাড়ি ঝরনা শৈলপ্রপাত। দুটি বমপাড়া আছে এই এলাকায়। শহর থেকে নীলগিরি যাওয়ার পথেই পড়বে এই ঝরনা। নীলগিরির ঠিক আগেই চিম্বুক পাহাড়। ইচ্ছা করলেই সেখানে থেমে দেখে নেওয়া যেতে পারে পাহাড়ের গায়ে মেঘের খেলা। শহর থেকে ভাড়া করা জিপ গাড়িতে যাওয়া যেতে পারে নীলগিরি। ভাড়া আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। বান্দরবান শহর থেকে চিম্বুক পাহাড় হয়ে প্রায় ৮১ কিলোমিটার দূরে থানচি। তিন থেকে চার হাজার টাকায় জিপ ভাড়া করে থানচি যাওয়া যায়। এখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় তিন্দু, রাজা পাথর, রেমাক্রিমুখ, নাফাকুম ঝরনা ও বড় মদক হয়ে সাঙ্গু প্রাকৃতিক সংরক্ষিত বনাঞ্চল যাওয়া যায়। বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদর থেকে বগালেক (বগাকাইন), কেওকারাডং ও তাজিংডং পাহাড়ে যাওয়া সম্ভব। রুমা সদর থেকে পৃথকভাবে রাইনক্ষ্যং পুকুর হেঁটে যাওয়া যায়। রাইনক্ষ্যং পুকুর হচ্ছে পাহাড়ের চূড়ায় বিশাল প্রাকৃতিক জলাধার। রুমা বাজার থেকে নৌকায় অথবা হেঁটে রিজুক ঝরনায় যাওয়া অত্যন্ত সহজ।
তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে একমাত্র বান্দরবান জেলাতেই সবচেয়ে বেশি—১১টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস। মারমা, ম্রো, ত্রিপুরা, বম, চাকমা, চাক, খিয়াং, খুমি, লুসাই, পাংখুয়া ও তঞ্চঙ্গ্যা আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বান্দরবানের সবচেয়ে বড় সম্পদ।
কীভাবে আসবেন, কোথায় থাকবেন: নগরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে পূরবী ও পূর্বাণী নামের দুটি বিরতিহীন গাড়ি চলাচল করে বান্দরবান-চট্টগ্রাম রুটে। ভাড়া ১০০ টাকা। পৌঁছাতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। বান্দরবান শহরের প্রবেশপথেই পড়বে পর্যটন করপোরেশন মোটেল। এ ছাড়া শহরের নানা স্থানে হোটেল-মোটেল রয়েছে। শহরের বাইরে নিরিবিলি পরিবেশে থাকার জন্য রয়েছে রিসোর্ট। তবে রিসোর্টে থাকতে হলে বুকিং দিতে হবে আসার আগেই। মানভেদে একজনের থাকার খরচ পড়বে সর্বনিম্ন ২০০ ও সর্বোচ্চ এক হাজার ৮০০ টাকা।
কোথায় বেড়াবেন: শহরের প্রবেশমুখে মেঘলা পর্যটনকেন্দ্র। সেখানে দেখা যাবে পাহাড়ের পাদদেশে কৃত্রিম হ্রদ, কেব্ল কার ও মিনি চিড়িয়াখানা। মেঘলা থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে রয়েছে আরেকটি পর্যটনকেন্দ্র নীলাচল। শহরের বালাঘাটায় অপরূপ স্বর্ণমন্দির মোহিত করবে পর্যটকদের। ঘুরে দেখা যেতে পারে রামজাদি বৌদ্ধ মন্দির এবং জেলা শহরের কেন্দ্রে বোমাং রাজবাড়ি। শহরের কাছেই পাহাড়ি ঝরনা শৈলপ্রপাত। দুটি বমপাড়া আছে এই এলাকায়। শহর থেকে নীলগিরি যাওয়ার পথেই পড়বে এই ঝরনা। নীলগিরির ঠিক আগেই চিম্বুক পাহাড়। ইচ্ছা করলেই সেখানে থেমে দেখে নেওয়া যেতে পারে পাহাড়ের গায়ে মেঘের খেলা। শহর থেকে ভাড়া করা জিপ গাড়িতে যাওয়া যেতে পারে নীলগিরি। ভাড়া আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। বান্দরবান শহর থেকে চিম্বুক পাহাড় হয়ে প্রায় ৮১ কিলোমিটার দূরে থানচি। তিন থেকে চার হাজার টাকায় জিপ ভাড়া করে থানচি যাওয়া যায়। এখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় তিন্দু, রাজা পাথর, রেমাক্রিমুখ, নাফাকুম ঝরনা ও বড় মদক হয়ে সাঙ্গু প্রাকৃতিক সংরক্ষিত বনাঞ্চল যাওয়া যায়। বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদর থেকে বগালেক (বগাকাইন), কেওকারাডং ও তাজিংডং পাহাড়ে যাওয়া সম্ভব। রুমা সদর থেকে পৃথকভাবে রাইনক্ষ্যং পুকুর হেঁটে যাওয়া যায়। রাইনক্ষ্যং পুকুর হচ্ছে পাহাড়ের চূড়ায় বিশাল প্রাকৃতিক জলাধার। রুমা বাজার থেকে নৌকায় অথবা হেঁটে রিজুক ঝরনায় যাওয়া অত্যন্ত সহজ।
No comments