ডায়াবেটিস সম্পর্কে এসব জেনে রাখা দরকার
এখন
তো ঘরে ঘরে একজন করে ডায়াবেটিস রোগী। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি যেদিকে
যাচ্ছে, তাতে আগামী দিনে ডায়াবেটিসের প্রকোপ যে আরো ভয়ানক ভাবে বাড়বে, তা
বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
ডায়াবেটিস রোগকে চিকিৎসা পরিভাষায় ডায়াবেটিস মেলিটাস নামেও ডেকে থাকেন।
এটি একটি মেটাবলিক ডিজঅর্ডার। এই রোগ হলে রক্তে শর্করার মাত্রা
স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস মূলত দু ধরনের হয়, টাইপ-১
ডায়াবেটিস এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে রোগীর
শরীরে পর্যপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি হতে পারে না। ফলে রক্তে ব্লাড সুগারের
মাত্রা বেড়ে যেতে শুরু করে। আর এমনটা হলে বারবার প্রস্রাব চাপা, ক্ষিদে
বেড়ে যাওয়া, ক্লান্তি, ওজন হ্রাস অথবা বৃদ্ধি, ক্ষত শুকতে দেরি হওয়া এবং
মাথা যন্ত্রণা হওয়ার মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়। এই প্রবন্ধে টাইপ-২
ডায়াবেটিসের প্রসঙ্গে কিছু জরুরি তথ্য় পরিবেশন করা হল যা সবার জেনে নেয়া
আবশ্যক।
ফ্যাক্ট ১ :
এই ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরা অল্প বিস্তর মিষ্টি খেতেই পারেন।
তাতে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাই
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মিষ্টির দিকে ফিরেও তাকাবেন না।
ফ্যাক্ট ২ :
অনেকে মনে করেন জিনগত কারণে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হয়। এই কথা সম্পূর্ণ সত্যি
নয়। কারণ একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে বেশির ভাগ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে
আক্রান্ত রোগী তাদের জীবনযাত্রার কারণে এই রোগে আক্রান্ত হন। খুব কম
ক্ষেত্রেই জিনগত কারণে এই রোগ হয়ে থাকে।
ফ্যাক্ট ৩ : সম্প্রতি
এক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব নারীর পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রম আছে তাদের
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। এমনটা হয় মূলত কিছু
হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
ফ্যাক্ট ৪ :
মা যদি স্বাভাবিকের থেকে বেশি ওজনের বাচ্চা প্রসব করেন তাহলে আগামী সময়ে
গিয়ে তার টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। এমনটা হয়
মূলত হরমোনের পরিবর্তন এবং ওজন বৃদ্ধির কারণে।
ফ্যাক্ট ৫ : ঠিক সময়ে যদি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা শুরু করা না হয় তাহলে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে ওজন বৃদ্ধি এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই যথা সময়ে এই রোগের ট্রিটমেন্ট শুরু করাটা মাস্ট!
ফ্যাক্ট ৬ : ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করার পাশাপাশি রোগী যদি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন এবং ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখেন তাহলে অনেকাংশেই টাইপ-২ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
ফ্যাক্ট ৫ : ঠিক সময়ে যদি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসা শুরু করা না হয় তাহলে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে গিয়ে ওজন বৃদ্ধি এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই যথা সময়ে এই রোগের ট্রিটমেন্ট শুরু করাটা মাস্ট!
ফ্যাক্ট ৬ : ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করার পাশাপাশি রোগী যদি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন এবং ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখেন তাহলে অনেকাংশেই টাইপ-২ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
No comments