৮ ফেব্রুয়ারি কী হবে by সোহরাব হাসান
প্রশ্ন উঠেছে, ৮ ফেব্রুয়ারি কী হবে?
প্রথমেই পাঠককে জানিয়ে রাখি, বাংলাদেশে দিন-তারিখ ধরে কিছু হয় না। অতীতে আমরা অনেক ট্রাম্প কার্ডের বয়ান শুনেছি। কিছু হয়নি। বড় বড় অঘটন ঘটে হঠাৎ করেই। তাই ৮ ফেব্রুয়ারি নিয়ে একটি ক্ষীণ আশা যে হয়তো তেমন কিছু ঘটবে না। প্রায় চার বছর বিচারিক কার্যক্রম চলার পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে টানটান উত্তেজনা লক্ষ করা যাচ্ছে। এই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও অন্যতম আসামি। এ জন্যই বাড়তি কৌতূহল ও চাপান-উতোর। মামলার রায় সামনে রেখে সরকার ও বিরোধী দল বিএনপি এখন মুখোমুখি। বিশেষ করে, গত মঙ্গলবার আরেকটি মামলায় (জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট) হাজিরা শেষে খালেদা জিয়া আদালত থেকে ফেরার পথে পুলিশের ওপর হামলা ও প্রিজন ভ্যান থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার পর উত্তেজনা আরও বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে বিএনপির কয়েক শ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়ও রয়েছেন। অনেককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরেও গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। সরকারের দাবি, যাঁরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছেন, তাঁদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাহলে শত শত নেতা-কর্মীকে কেন পাকড়াও করা হচ্ছে? কেন ঢাকার বাইরেও অভিযান চালানো হচ্ছে?
সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের এই আকস্মিক হামলায় কিছুটা ভয় পেয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন। এ কারণে রাস্তায় তারা যাতে বড় কোনো সমাবেশ ঘটাতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছে। প্রথমে বিএনপির চিন্তা ছিল ৮ ফেব্রুয়ারি বড়সড় জমায়েত থেকে খালেদা জিয়া আদালতে যাবেন মামলার রায় শুনতে। আনুষ্ঠানিক কোনো জমায়েত নয়। তাঁর গাড়ি যেই পথে যাবে, সেই পথে দলের নেতা-কর্মীরাও থাকবেন। কিন্তু মঙ্গলবারের ঘটনার পর সরকারের লাগাতার গ্রেপ্তার অভিযানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সরকারের অভিযান মোকাবিলায় বিএনপি কী কৌশল নেয়, সেটা দেখার বিষয়। তারা কি সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে লিপ্ত হবে, নাকি এক পা এগিয়ে দুই পা পেছানোর’ নীতি অনুসরণ করবে? মঙ্গলবারের ঘটনায় বিএনপির নেতারাও অনেকটা হতভম্ব। তাঁরা মনে করেন, সেদিনের ঘটনা ছিল সরকারের ফাঁদ, দলের কিছু কর্মী না বুঝে তাতে পা দিয়েছেন। এ অবস্থায় বিএনপি ৮ ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাতে যেতে চায় না। দলের নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, মামলার রায় যা-ই হোক না কেন, মামলাটি যেভাবে প্রচারিত হয়েছে, রায় ঘোষণার আগেই সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে যেভাবে খালেদা জিয়াকে গালমন্দ করা হচ্ছে, তাতে রাজনৈতিকভাবে বিএনপিই লাভবান হবে। আজ হোটেল লা মেরিডিয়ানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক বসছে। ৭০০ জন আমন্ত্রিত হয়েছেন। এই বৈঠকে তৃণমূলের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করার কথা। ২০১৭ সালের মার্চে কাউন্সিলের পর এই প্রথম জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক হচ্ছে। যদিও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি ছয় মাস অন্তর তাদের বসার কথা। বিএনপির নেতারা এ-ও মনে করেন, দলের চেয়ারপারসনের মামলা নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রচণ্ড আবেগ আছে। সে ক্ষেত্রে এমন কিছু করতে হবে, যাতে কর্মীরা চাঙা থাকেন। রায়ের পর প্রতীকী হলেও কিছু কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকতে চাইছে বিএনপি। অন্যদিকে সরকারের চিন্তাভাবনা হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় নিয়ে বিএনপি যাতে নিজেদের ‘শক্তি প্রদর্শন’ করতে না পারে, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকা। নতুন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ‘অরাজকতা হলে মানুষের জানমাল রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেবে পুলিশ।’ সব সরকারই মানুষের জানমাল রক্ষায় কঠোর অবস্থান নিয়ে থাকে। কিন্তু সেই কঠোর অবস্থান যে কখনো কখনো আরও বেশি জানমালের ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে, সেটি তারা খেয়াল রাখে না। ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন যদি বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আসা ঠেকাতে ঢাকার সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাতে তো ঢাকা এবং এর আশপাশের জেলাগুলোর জনজীবন স্থবির হয়ে পড়বে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।
প্রথমেই পাঠককে জানিয়ে রাখি, বাংলাদেশে দিন-তারিখ ধরে কিছু হয় না। অতীতে আমরা অনেক ট্রাম্প কার্ডের বয়ান শুনেছি। কিছু হয়নি। বড় বড় অঘটন ঘটে হঠাৎ করেই। তাই ৮ ফেব্রুয়ারি নিয়ে একটি ক্ষীণ আশা যে হয়তো তেমন কিছু ঘটবে না। প্রায় চার বছর বিচারিক কার্যক্রম চলার পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে টানটান উত্তেজনা লক্ষ করা যাচ্ছে। এই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও অন্যতম আসামি। এ জন্যই বাড়তি কৌতূহল ও চাপান-উতোর। মামলার রায় সামনে রেখে সরকার ও বিরোধী দল বিএনপি এখন মুখোমুখি। বিশেষ করে, গত মঙ্গলবার আরেকটি মামলায় (জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট) হাজিরা শেষে খালেদা জিয়া আদালত থেকে ফেরার পথে পুলিশের ওপর হামলা ও প্রিজন ভ্যান থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার পর উত্তেজনা আরও বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে বিএনপির কয়েক শ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়ও রয়েছেন। অনেককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শুধু ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরেও গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। সরকারের দাবি, যাঁরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছেন, তাঁদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাহলে শত শত নেতা-কর্মীকে কেন পাকড়াও করা হচ্ছে? কেন ঢাকার বাইরেও অভিযান চালানো হচ্ছে?
সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের এই আকস্মিক হামলায় কিছুটা ভয় পেয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন। এ কারণে রাস্তায় তারা যাতে বড় কোনো সমাবেশ ঘটাতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছে। প্রথমে বিএনপির চিন্তা ছিল ৮ ফেব্রুয়ারি বড়সড় জমায়েত থেকে খালেদা জিয়া আদালতে যাবেন মামলার রায় শুনতে। আনুষ্ঠানিক কোনো জমায়েত নয়। তাঁর গাড়ি যেই পথে যাবে, সেই পথে দলের নেতা-কর্মীরাও থাকবেন। কিন্তু মঙ্গলবারের ঘটনার পর সরকারের লাগাতার গ্রেপ্তার অভিযানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সরকারের অভিযান মোকাবিলায় বিএনপি কী কৌশল নেয়, সেটা দেখার বিষয়। তারা কি সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে লিপ্ত হবে, নাকি এক পা এগিয়ে দুই পা পেছানোর’ নীতি অনুসরণ করবে? মঙ্গলবারের ঘটনায় বিএনপির নেতারাও অনেকটা হতভম্ব। তাঁরা মনে করেন, সেদিনের ঘটনা ছিল সরকারের ফাঁদ, দলের কিছু কর্মী না বুঝে তাতে পা দিয়েছেন। এ অবস্থায় বিএনপি ৮ ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাতে যেতে চায় না। দলের নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, মামলার রায় যা-ই হোক না কেন, মামলাটি যেভাবে প্রচারিত হয়েছে, রায় ঘোষণার আগেই সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে যেভাবে খালেদা জিয়াকে গালমন্দ করা হচ্ছে, তাতে রাজনৈতিকভাবে বিএনপিই লাভবান হবে। আজ হোটেল লা মেরিডিয়ানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক বসছে। ৭০০ জন আমন্ত্রিত হয়েছেন। এই বৈঠকে তৃণমূলের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করার কথা। ২০১৭ সালের মার্চে কাউন্সিলের পর এই প্রথম জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক হচ্ছে। যদিও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি ছয় মাস অন্তর তাদের বসার কথা। বিএনপির নেতারা এ-ও মনে করেন, দলের চেয়ারপারসনের মামলা নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রচণ্ড আবেগ আছে। সে ক্ষেত্রে এমন কিছু করতে হবে, যাতে কর্মীরা চাঙা থাকেন। রায়ের পর প্রতীকী হলেও কিছু কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকতে চাইছে বিএনপি। অন্যদিকে সরকারের চিন্তাভাবনা হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় নিয়ে বিএনপি যাতে নিজেদের ‘শক্তি প্রদর্শন’ করতে না পারে, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকা। নতুন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, ‘অরাজকতা হলে মানুষের জানমাল রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেবে পুলিশ।’ সব সরকারই মানুষের জানমাল রক্ষায় কঠোর অবস্থান নিয়ে থাকে। কিন্তু সেই কঠোর অবস্থান যে কখনো কখনো আরও বেশি জানমালের ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে, সেটি তারা খেয়াল রাখে না। ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন যদি বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আসা ঠেকাতে ঢাকার সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাতে তো ঢাকা এবং এর আশপাশের জেলাগুলোর জনজীবন স্থবির হয়ে পড়বে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়বে।
প্রতিবার সরকার জননিরাপত্তা
রক্ষার নামে বিরোধী দলের (বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ
ক্ষমতায় থাকলে বিএনপি) কর্মসূচি মোকাবিলায় সবকিছু বন্ধ করে দেবে এবং সাধারণ
মানুষ অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হবে, এটি চলতে পারে না। আওয়ামী লীগ সরকার
নিজেকে ডিজিটাল দাবি করছে আর বিরোধী দলকে মোকাবিলায় সেকেলে অ্যানালগ অস্ত্র
ব্যবহার করে চলেছে। মাননীয় ডিজিটাল মন্ত্রী বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলার
একটি ডিজিটাল পদ্ধতি উদ্ভাবন করলে দেশবাসী উপকৃত হবে। আবার এক দশকের বেশি
সময় ধরে রাস্তায় থাকা বিএনপিকেও বুঝতে হবে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে কিংবা
প্রিজন ভ্যান থেকে আসামি ছিনিয়ে নিলেই আন্দোলন চাঙা হয় না। বিএনপির বিভিন্ন
পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা কোনোভাবে চান না
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাকে কেন্দ্র করে এমন কিছু ঘটুক, যা আগামী
নির্বাচন নিয়ে দল যে আন্দোলনে আছে, তাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কেননা এই
মামলায় খালেদা জিয়ার জেল-জরিমানা হলেও সরকার তাঁকে নির্বাচন বা রাজনীতি
থেকে দূরে রাখতে পারবে না। তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করে অনায়াসে জামিন নিতে
পারবেন। এ ব্যাপারে তাঁদের যুক্তি হলো ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী দুদকের মামলায় দণ্ডিত হয়েছিলেন। পরে তিনি আপিল করলে
হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর দুদক হাইকোর্টের
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখে
হাইকোর্টকে পুনরায় শুনানির জন্য বলেন। সেই ঝুলন্ত রায় নিয়েও মোফাজ্জল হোসেন
চৌধুরী মন্ত্রিত্ব করছেন।বিএনপির নেতাদের ধারণা, সরকার এই মামলাকে ফাঁদ
হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে, যাতে বিএনপি আগামী নির্বাচন বর্জন করে। কিন্তু
এবার তাঁরা ২০১৪ সালের মতো ভুল করতে চান না। বিএনপির কোনো কোনো নেতা
প্রকাশ্যে বলেছেন, আওয়ামী লীগকে আর ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেওয়া হবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরাও মনে করেন, একটি মামলার রায়ে বিএনপির মাথায় আকাশ ভেঙে
পড়বে না। আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করা উচিত।
অন্যদিকে সরকারেরও উচিত হবে না ৮ ফেব্রুয়ারির রায়কে কেন্দ্র করে এমন অবস্থা
তৈরি করা, যাতে ঢাকার জনজীবন অচল হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ
হাসিনা ও জাতীয় পার্টির প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সিলেট থেকে নির্বাচনী
প্রচার শুরু করেছেন। সে ক্ষেত্রে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের একই সুযোগ থাকতে
হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা গতকালও বলেছেন, বিএনপি না
এলে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। তবে শুধু কথা বললেই তাঁর দায়িত্ব
শেষ হয়ে যায় না। এখন ফেব্রুয়ারি মাস। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলা একাডেমিতে
অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হয়েছে। সেই গ্রন্থমেলা যেন এক দিন বা এক মিনিটের
জন্যও ব্যাহত না হয়, সেদিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেটাই হবে
ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রেষ্ঠ শ্রদ্ধা নিবেদন।
সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক, কবি
sohrabhassan55@gmail.com
সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক, কবি
sohrabhassan55@gmail.com
No comments