বছরে ৬০ লাখ বিদেশী পর্যটক আসছে ইরানে
গত
ফার্সি বছরে ৬০ লাখেরও বেশি বিদেশী পর্যটক ইরান ভ্রমণে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার পবিত্র মাশহাদ শহরে এই তথ্য দিয়েছেন ইরানের পর্যটন বিভাগের
উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মুহিব্বে খোদায়ি। ফার্সি নতুন বছর শুরু হয়
মার্চ মাসের শেষের দিকে।
মোহাম্মাদ মুহিব্বে খোদায়ি জানিয়েছেন, ইরানের
প্রদেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদেশী পর্যটক সফর করেছেন বৃহত্তর মাশহাদের
খোরাসানে রাজাভি প্রদেশ। ইরানের অন্যান্য প্রদেশগুলোর তুলনায় প্রতি বছর
এখানেই সবচেয়ে বেশি বিদেশী পর্যটকরা আসেন বলে তিনি জানান। ইরানে
শেষ-হয়ে-আসা চলতি ফার্সি বছরে তথা ১৩৯৬ ফার্সি সনে বিদেশী পর্যটকদের সংখ্যা
গত ফার্সি বছরের চেয়ে বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইরানে ধর্মীয় পবিত্র
স্থান ও স্থাপনাগুলো ছাড়াও হাজার হাজার প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান
এবং নিদর্শন রয়েছে। ইরান চিকিৎসা ক্ষেত্রেও উন্নত দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত
হওয়ায় প্রতি বছর হাজার হাজার বিদেশী রোগী চিকিৎসার জন্য ইসলামী এই দেশটিতে
সফর করছেন। অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব এশিয়ান পলিটিক্যাল
পার্টিস বা আইসিএপিপি'র মহাসচিব জোসে ভেনেসিয়া বলেছেন, বিশ্বে শান্তি
প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইরান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। শুক্রবার তেহরানে
এ সংস্থার স্থায়ী কমিটির ২৯তম সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। জোসে ভেনেসিয়া
এশিয়ার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ
করেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বিশেষকরে আরব ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে
শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইরানের নেতৃত্ব ও সহযোগিতা জরুরি। তিনি আরও বলেন,
এশিয়ার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ সৃষ্টিতে ইরান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখতে পারে। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্যা সমাধান
করা সম্ভব বলে আইসিএপিপি'র মহাসচিব মন্তব্য করেন। শুক্রবার সকালে এশিয়ার
দেশগুলোর ৪০টি রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে তেহরানে
আইসিএপিপি'র সম্মেলন শুরু হয়েছে।
No comments