ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন : তিন বা পাঁচ মাসের সন্তানের জননী এমন সিজারিয়ান নারীর জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণের বিধান কী? মুহাম্মদ সেলিম, বেলজিয়াম
উত্তর : সিজারিয়ান তিন বা পাঁচ মাসের সন্তানের জননীর জন্য স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা হারাম। গুনাহ হবে। তবে মায়ের শারীরিক ক্ষতি হলে, বাচ্চার স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা দেখা দিলে, দুধ শুকিয়ে গেলে এবং বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণে অক্ষম হলে, আজল করা বা অস্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করা বৈধ।
[বুখারি, হাদিস নং : ৫০৭৫; হিন্দিয়া, খণ্ড : ৫, পৃষ্ঠা : ৩৪০; আলইসলাম ওয়াত্তিব্বুল হাদিস, পৃষ্ঠা : ২২৪]
প্রশ্ন : জোহর ও আসর নামাজে কেরাত আস্তে পড়া হয়, মাগরিব, এশা ও ফজরে জোরে পড়তে হয় কেন? এইচএম আদিব, মালেশিয়া
উত্তর : প্রথমত এটি শরিয়তের বিধান। ইসলাম এভাবে পড়তে বলেছে, তাই এভাবে পড়তে হয়। এভাবে না পড়লে নামাজ শরিয়তসম্মত হবে না। এ ছাড়া জোহর ও আসর নামাজ দিনে হয় আর মাগরিব, এশা ও ফজরের নামাজ রাতে আদায় করা হয়। দিনে মানুষ বিভিন্ ন কাজে ব্যস্ত থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ হয়ে থাকে। তাই দিনের নামাজের ক্ষেত্রে আস্তে কেরাত পড়ার কথা বলা হয়েছে।এতে কোরআন তিলাওয়াত শ্রবণে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। রাতে মানুষের ব্যস্ততা কম থাকে। সাধারণত আওয়াজও থাকে কম। চারদিক থাকে নীরব নিস্তব্ধ। তাই রাতে জোরে পড়ার কথা বলা হয়েছে। মুসল্লিরা এতে ভালোভাবে কোরআন শ্রবণ করতে পারে।
[হাশিয়াতুত্তাহতাভী আলা মারাকিল ফালাহ, কদমি, পৃষ্ঠা : ২৫৩; ফাতাওয়া মাহমুদিয়া, শাইখুল ইসলাম, খণ্ড : ৭. পৃষ্ঠা : ৪০]
মুফতি আহসান শরিফ : প্রিন্সিপাল, মাদ্রাসাতুল বালাগ ঢাকা। ফোন করুন : ০১৮৩৭ ৪২৪০৭১
ই-মেইল : ahsan778@gmail.com
উত্তর : সিজারিয়ান তিন বা পাঁচ মাসের সন্তানের জননীর জন্য স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা হারাম। গুনাহ হবে। তবে মায়ের শারীরিক ক্ষতি হলে, বাচ্চার স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা দেখা দিলে, দুধ শুকিয়ে গেলে এবং বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণে অক্ষম হলে, আজল করা বা অস্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণ করা বৈধ।
[বুখারি, হাদিস নং : ৫০৭৫; হিন্দিয়া, খণ্ড : ৫, পৃষ্ঠা : ৩৪০; আলইসলাম ওয়াত্তিব্বুল হাদিস, পৃষ্ঠা : ২২৪]
প্রশ্ন : জোহর ও আসর নামাজে কেরাত আস্তে পড়া হয়, মাগরিব, এশা ও ফজরে জোরে পড়তে হয় কেন? এইচএম আদিব, মালেশিয়া
উত্তর : প্রথমত এটি শরিয়তের বিধান। ইসলাম এভাবে পড়তে বলেছে, তাই এভাবে পড়তে হয়। এভাবে না পড়লে নামাজ শরিয়তসম্মত হবে না। এ ছাড়া জোহর ও আসর নামাজ দিনে হয় আর মাগরিব, এশা ও ফজরের নামাজ রাতে আদায় করা হয়। দিনে মানুষ বিভিন্ ন কাজে ব্যস্ত থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ হয়ে থাকে। তাই দিনের নামাজের ক্ষেত্রে আস্তে কেরাত পড়ার কথা বলা হয়েছে।এতে কোরআন তিলাওয়াত শ্রবণে কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। রাতে মানুষের ব্যস্ততা কম থাকে। সাধারণত আওয়াজও থাকে কম। চারদিক থাকে নীরব নিস্তব্ধ। তাই রাতে জোরে পড়ার কথা বলা হয়েছে। মুসল্লিরা এতে ভালোভাবে কোরআন শ্রবণ করতে পারে।
[হাশিয়াতুত্তাহতাভী আলা মারাকিল ফালাহ, কদমি, পৃষ্ঠা : ২৫৩; ফাতাওয়া মাহমুদিয়া, শাইখুল ইসলাম, খণ্ড : ৭. পৃষ্ঠা : ৪০]
মুফতি আহসান শরিফ : প্রিন্সিপাল, মাদ্রাসাতুল বালাগ ঢাকা। ফোন করুন : ০১৮৩৭ ৪২৪০৭১
ই-মেইল : ahsan778@gmail.com
No comments