আ. লীগকে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা হচ্ছে: খালেদা জিয়া
বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অংশ নেন। ছবি: ফোকাস বাংলা |
বিএনপির
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, জাতিকে পুরোপুরি ধ্বংস করার লক্ষ্যে
ষড়যন্ত্র করে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। এখন তাদের
দীর্ঘদিন ক্ষমতায় রাখারও চেষ্টা করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার ১২ তম রোজায় রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে ২০-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির ইফতারে অংশ নিয়ে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। তবে কারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে বা কারা ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা করছে, সে বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, আজ জনগণকে সজাগ হতে হবে। যাঁরা দেশকে ভালোবাসেন, পরিবারকে ভালোবাসেন, মুক্তিযুদ্ধকে সম্মান করেন, তাঁদের জেগে উঠতে হবে। অন্যায়, জুলুম, অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে। তবেই দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ও গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কথা বলে যাচ্ছি। কিন্তু তাদের কোনো গায়ে লাগছে না। জাতীয় সংসদে কোনো আলোচনা হয় না। সংসদে কোনো এজেন্ডা থাকে না। এটা গান-বাজনার আসর হয়ে গেছে। সংসদে বিরোধী দল বলে কিছু নেই। সেখানে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত হয় না।’
বিএনপির নেত্রী বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হল নির্বাচন এবং সেই নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া, যাতে কোনো কারচুপি না হয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সারা বিশ্ব এই নির্বাচন কমিশনকে অথর্ব বলে আখ্যা দিয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, প্রশাসনে ভালো ভালো কর্মকর্তাদের ডিঙিয়ে দলীয় লোকদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলার ধার ধারছে না। দেশে মানবাধিকার বলে কিছু নেই। কেউ সরকারের সমালোচনা করতে পারে না। করলেই তাঁকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে। তারা নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সীমান্তে প্রতিনিয়ত মানুষ খুন হচ্ছে। সরকার অপদার্থ, অবৈধ, তাই তারা কোনো প্রতিবাদ তো করবেই না, অন্যকেও প্রতিবাদ করতে দিচ্ছে না। তিনি বলেন, সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বলে আজ আর কিছু নেই। সেখানে তাদের কোনো অবস্থান আছে কি-না, বলা মুশকিল। তারা শুধু জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা গুলি জনগণের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ‘আজ মিয়ানমারের সঙ্গেই আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পারে না। অথচ আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কত চৌকস ছিল, আপনারা জানেন। আজ সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ধরে নিয়ে মিয়ানমার অসম্মান করে।’
ইফতার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফিজুর রহমান ইরান। এতে আরও অংশ নেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, আ ফ ম ইউসূফ হায়দার, মাহবুব উল্লাহ, সদরুল আমিন, সুকোমল বড়ুয়া, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, বিএনপির নেতা আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ২০ দলের নেতা অলি আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, শফিউল আলম প্রধান, মোস্তফা জামাল হায়দার, আবদুল লতিফ নেজামী, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, রেদওয়ান উল্লাহ শাহেদী প্রমুখ।
আজ মঙ্গলবার ১২ তম রোজায় রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে ২০-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির ইফতারে অংশ নিয়ে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। তবে কারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে বা কারা ক্ষমতায় রাখার চেষ্টা করছে, সে বিষয়ে তিনি কোনো ব্যাখ্যা দেননি।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, আজ জনগণকে সজাগ হতে হবে। যাঁরা দেশকে ভালোবাসেন, পরিবারকে ভালোবাসেন, মুক্তিযুদ্ধকে সম্মান করেন, তাঁদের জেগে উঠতে হবে। অন্যায়, জুলুম, অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে। তবেই দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ও গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কথা বলে যাচ্ছি। কিন্তু তাদের কোনো গায়ে লাগছে না। জাতীয় সংসদে কোনো আলোচনা হয় না। সংসদে কোনো এজেন্ডা থাকে না। এটা গান-বাজনার আসর হয়ে গেছে। সংসদে বিরোধী দল বলে কিছু নেই। সেখানে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত হয় না।’
বিএনপির নেত্রী বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হল নির্বাচন এবং সেই নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়া, যাতে কোনো কারচুপি না হয়। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সারা বিশ্ব এই নির্বাচন কমিশনকে অথর্ব বলে আখ্যা দিয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, প্রশাসনে ভালো ভালো কর্মকর্তাদের ডিঙিয়ে দলীয় লোকদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলার ধার ধারছে না। দেশে মানবাধিকার বলে কিছু নেই। কেউ সরকারের সমালোচনা করতে পারে না। করলেই তাঁকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে। তারা নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, সীমান্তে প্রতিনিয়ত মানুষ খুন হচ্ছে। সরকার অপদার্থ, অবৈধ, তাই তারা কোনো প্রতিবাদ তো করবেই না, অন্যকেও প্রতিবাদ করতে দিচ্ছে না। তিনি বলেন, সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বলে আজ আর কিছু নেই। সেখানে তাদের কোনো অবস্থান আছে কি-না, বলা মুশকিল। তারা শুধু জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা গুলি জনগণের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ‘আজ মিয়ানমারের সঙ্গেই আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পারে না। অথচ আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী কত চৌকস ছিল, আপনারা জানেন। আজ সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে ধরে নিয়ে মিয়ানমার অসম্মান করে।’
ইফতার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফিজুর রহমান ইরান। এতে আরও অংশ নেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, আ ফ ম ইউসূফ হায়দার, মাহবুব উল্লাহ, সদরুল আমিন, সুকোমল বড়ুয়া, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, বিএনপির নেতা আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ২০ দলের নেতা অলি আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, শফিউল আলম প্রধান, মোস্তফা জামাল হায়দার, আবদুল লতিফ নেজামী, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, রেদওয়ান উল্লাহ শাহেদী প্রমুখ।
No comments