সাগরে বেঁচে আছে রুম্মান, বিশ্বাস পিতার by মহিউদ্দীন জুয়েল
টানা
তিনদিন উত্তাল সাগরে ৪৮ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান চালানোর পরও পাওয়া যায়নি
পাইলট রুম্মানের খোঁজ। সাগরপাড়ে দাড়িয়ে আল্লার কাছে প্রার্থনায় রুম্মানের
স্বজনরা। তার বাবা, মা, ছোট ভাইবোন আর বন্ধুদের বিশ্বাস সে জীবিত আছে।
সাগরে নিজেকে রক্ষা করে বাঁচার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
টানা দুইদিনের ৩০ ঘণ্টার অভিযানের পর বুধবার সকাল থেকে আবারও বঙ্গোপসাগরে তাকে উদ্ধারে নামে বিমানবাহিনীর সদস্যরা। নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ সুরভী, মধুমতি ও অতন্দ্র কে দেখা যায় সাগরের একটু পরপরই কিছু একটা ফেলে তাকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করতে।
অন্যদিকে কোস্টগার্ডের জাহাজ তৌফিক সাগরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন মূহুর্তে। বিমানবাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টার উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছেন বলে জানান কর্মকর্তারা।
বুধবার সাগরপাড়ে নিখোঁজ পাইলট রুম্মানের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে তার বাবা আবদুল কাদের চৌধুরীকে। তিনি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা। ছেলেকে না পেয়ে তাই একটু পরপরই ঢুকরে কেঁদে উঠছিলেন।
বলছিলেন, আমার ছেলে নিশ্চয় বেঁচে আছে। ও এতো সহজে হার মানার নয়। ছোটবেলা থেকেই ও খুব ডানপিটে। আকাশ ওকে খুব টানতো। বিমান নিয়ে নাড়াচাড়া করাটা ওর নেশা ছিলো। তাই পাইলট হয়ে সে আমাদের বলেছিলো দেশের জন্য কিছু একটা করতে চায়।
রুম্মানের বাবার পাশে দাঁড়ানো তার ছোট ভাই সালমান বলেন, ভাইয়াকে নিশ্চয় খুঁজে পাওয়া যাবে। সে বেঁচে থাকার জন্য কখনোই হাল ছাড়বে না। হয়তো ভেসে আছে।
ভাইয়ের জন্য দু:শচিন্তায় ছিলেন আরেক সদস্য বোন অন্তরা আর সেনাবাহিনীতে কর্মরত আদনানও। তাদের বিশ্বাস সে বেঁচে আছে।
তবে যুদ্ধবিমান এফ-৭ এর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় তিনি বেঁচে আছেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন বিমানবাহিনীর সদস্যরা। যদিও এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু না বলে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন কোস্টগার্ড পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার দরুল হুদা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনি এই ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা সাগরের তলদেশেও তাকে খোঁজার চেষ্টা করছি। এখন সাগর ভীষণ উত্তাল রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও তার অবস্থান জানতে আমরা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।
তিনি আরো বলেন, বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। পাইলট রুম্মান কোন দিকে থাকতে পারেন তা নিয়ে গবেষণা চলছে। সেকি ¯্রােতে ভেসে গেলো কিনা তাও দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযানে নেমেছে আমাদের দলগুলো।
রুম্মানের পুরো নাম রুম্মান তাহমিদ। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সে সবার বড়। ছোটবেলা থেকেই পাইলট হওয়ার স্বপ্ন ছিলো তার। বিমান ভীষণ টানতো তাকে। ঢাকায় স্থায়ী হওয়ার আগে কুমিল্লা ইস্পাহানী স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন মেধার সঙ্গে। এরপর ভর্তি হন ঢাকার নটরডেম কলেজে। সেখানে এইচএসসি পাশ করে যোগদেন বিমানবাহিনীতে।
গত সোমবার সকালে এফ-৭ নামের একটি জঙ্গি বিমান আকাশ থেকে নিচে সাগরে পড়ে যায়। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক।
টানা দুইদিনের ৩০ ঘণ্টার অভিযানের পর বুধবার সকাল থেকে আবারও বঙ্গোপসাগরে তাকে উদ্ধারে নামে বিমানবাহিনীর সদস্যরা। নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ সুরভী, মধুমতি ও অতন্দ্র কে দেখা যায় সাগরের একটু পরপরই কিছু একটা ফেলে তাকে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করতে।
অন্যদিকে কোস্টগার্ডের জাহাজ তৌফিক সাগরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন মূহুর্তে। বিমানবাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টার উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছেন বলে জানান কর্মকর্তারা।
বুধবার সাগরপাড়ে নিখোঁজ পাইলট রুম্মানের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে তার বাবা আবদুল কাদের চৌধুরীকে। তিনি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা। ছেলেকে না পেয়ে তাই একটু পরপরই ঢুকরে কেঁদে উঠছিলেন।
বলছিলেন, আমার ছেলে নিশ্চয় বেঁচে আছে। ও এতো সহজে হার মানার নয়। ছোটবেলা থেকেই ও খুব ডানপিটে। আকাশ ওকে খুব টানতো। বিমান নিয়ে নাড়াচাড়া করাটা ওর নেশা ছিলো। তাই পাইলট হয়ে সে আমাদের বলেছিলো দেশের জন্য কিছু একটা করতে চায়।
রুম্মানের বাবার পাশে দাঁড়ানো তার ছোট ভাই সালমান বলেন, ভাইয়াকে নিশ্চয় খুঁজে পাওয়া যাবে। সে বেঁচে থাকার জন্য কখনোই হাল ছাড়বে না। হয়তো ভেসে আছে।
ভাইয়ের জন্য দু:শচিন্তায় ছিলেন আরেক সদস্য বোন অন্তরা আর সেনাবাহিনীতে কর্মরত আদনানও। তাদের বিশ্বাস সে বেঁচে আছে।
তবে যুদ্ধবিমান এফ-৭ এর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় তিনি বেঁচে আছেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন বিমানবাহিনীর সদস্যরা। যদিও এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু না বলে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন কোস্টগার্ড পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার দরুল হুদা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনি এই ব্যাপারে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা সাগরের তলদেশেও তাকে খোঁজার চেষ্টা করছি। এখন সাগর ভীষণ উত্তাল রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও তার অবস্থান জানতে আমরা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।
তিনি আরো বলেন, বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। পাইলট রুম্মান কোন দিকে থাকতে পারেন তা নিয়ে গবেষণা চলছে। সেকি ¯্রােতে ভেসে গেলো কিনা তাও দেখা হচ্ছে। তবে ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযানে নেমেছে আমাদের দলগুলো।
রুম্মানের পুরো নাম রুম্মান তাহমিদ। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সে সবার বড়। ছোটবেলা থেকেই পাইলট হওয়ার স্বপ্ন ছিলো তার। বিমান ভীষণ টানতো তাকে। ঢাকায় স্থায়ী হওয়ার আগে কুমিল্লা ইস্পাহানী স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন মেধার সঙ্গে। এরপর ভর্তি হন ঢাকার নটরডেম কলেজে। সেখানে এইচএসসি পাশ করে যোগদেন বিমানবাহিনীতে।
গত সোমবার সকালে এফ-৭ নামের একটি জঙ্গি বিমান আকাশ থেকে নিচে সাগরে পড়ে যায়। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক।
No comments