প্লেট ভাঙার শাস্তি
ইফতারি
বানাতে গিয়ে গৃহকর্মী জুহেনা বেগমের (২৪) হাত ফসকে একটি কাচের প্লেট ভেঙে
যায়। ক্ষুব্ধ হন গৃহকর্ত্রী ইমা বেগম (৩০)। শায়েস্তা করতে ভাঙা প্লেট
দিয়ে জুহেনার দুই হাতে আঁচড় কাটেন ইমা। রক্তাক্ত অবস্থায় রান্নাঘরে
একরকম বন্দী করে রাখেন জুহেনাকে।
সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর আবাসিক এলাকার ই-ব্লকের ২ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে গত রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেহ্রির সময় আশপাশের লোকজন ওই বাড়ির সামনে জড়ো হয়। পরে পুলিশ এসে জুহেনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে ইমাকে আটক করে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ইমার স্বামী যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) চিকিৎসাধীন জুহেনা জানান, গত রোববার ইফতারি প্রস্তুত করতে গিয়ে হাতে ফসকে প্লেট ভেঙেছিল। সঙ্গে সঙ্গে ইমা তাঁর দুই হাতে ভাঙা প্লেট দিয়ে আঁচড় কাটেন। এ সময় ইমা ‘যতবার ভাঙবি, ততবারই দাগ দেব...’ বলে শাসান। জখম হাতে রাতে সেহ্রির খাবার তৈরি করার নির্দেশ দেন ইমা। এ সময় ছোলা সেদ্ধ করতে গিয়ে পুড়ে যায়। এতে ইমা ক্ষুব্ধ হয়ে রান্নাঘরে তাঁকে আটকে রাখেন।
জুহেনার বাবা আজিজুর রহমান দিনমজুর। উপশহরের পাশের তেররতন এলাকার একটি কলোনিতে থাকেন। রোববার রাতে মেয়ের খবর নিতে গিয়ে তাঁকে রান্নাঘরে আটকে রাখার বিষয়টি জানতে পারেন। এ খবর তেররতন এলাকায় জানাজানি হলে লোকজন ইমার বাসার সামনে জড়ো হয়। পরে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার একদল পুলিশ সেখানে যায়। রাত সাড়ে তিনটার দিকে জুহেনাকে উদ্ধার করা হয়। পরে ইমাকেও আটক করা হয়।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখওয়াৎ হোসেন বলেন, জুহেনা তাঁর ওপর নির্যাতনের বর্ণনা পুলিশকে দিয়েছেন। ইমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সত্যতা পাওয়ায় ৫৪ ধারায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলা হলে পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে ওসি জানিয়েছেন।
সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহর আবাসিক এলাকার ই-ব্লকের ২ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে গত রোববার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সেহ্রির সময় আশপাশের লোকজন ওই বাড়ির সামনে জড়ো হয়। পরে পুলিশ এসে জুহেনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে ইমাকে আটক করে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ইমার স্বামী যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) চিকিৎসাধীন জুহেনা জানান, গত রোববার ইফতারি প্রস্তুত করতে গিয়ে হাতে ফসকে প্লেট ভেঙেছিল। সঙ্গে সঙ্গে ইমা তাঁর দুই হাতে ভাঙা প্লেট দিয়ে আঁচড় কাটেন। এ সময় ইমা ‘যতবার ভাঙবি, ততবারই দাগ দেব...’ বলে শাসান। জখম হাতে রাতে সেহ্রির খাবার তৈরি করার নির্দেশ দেন ইমা। এ সময় ছোলা সেদ্ধ করতে গিয়ে পুড়ে যায়। এতে ইমা ক্ষুব্ধ হয়ে রান্নাঘরে তাঁকে আটকে রাখেন।
জুহেনার বাবা আজিজুর রহমান দিনমজুর। উপশহরের পাশের তেররতন এলাকার একটি কলোনিতে থাকেন। রোববার রাতে মেয়ের খবর নিতে গিয়ে তাঁকে রান্নাঘরে আটকে রাখার বিষয়টি জানতে পারেন। এ খবর তেররতন এলাকায় জানাজানি হলে লোকজন ইমার বাসার সামনে জড়ো হয়। পরে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার একদল পুলিশ সেখানে যায়। রাত সাড়ে তিনটার দিকে জুহেনাকে উদ্ধার করা হয়। পরে ইমাকেও আটক করা হয়।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখওয়াৎ হোসেন বলেন, জুহেনা তাঁর ওপর নির্যাতনের বর্ণনা পুলিশকে দিয়েছেন। ইমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সত্যতা পাওয়ায় ৫৪ ধারায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলা হলে পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে ওসি জানিয়েছেন।
No comments