ডুবন্ত নগরীতে ঘুম যাবেন না মেয়ররা by পীর হাবিবুর রহমান
ডুবন্ত
নগরীতে ঘুম যাবেন না মেয়ররা। একটি স্বাধীন দেশে রাজধানী নগরীর যে
সৌন্দর্য্য ও নাগরিক সুবিধা তা ঢাকার মানুষ কখনো পায়নি। ভোট যেমন তেমনিই
হোক, বিএনপির ভোটের দিন লড়াই থেকে সরে যাক সেটি বড় নয়, সংবিধান ও আইন
অনুযায়ী ঢাকার উত্তরে আনিসুল হক ও দক্ষিণে সাঈদ খোকন পাঁচ বছরের জন্য মেয়র
নির্বাচিত হয়েছেন। স্যাটেলাইট টিভির সুবাদে উত্তরের নির্বাচিত মেয়র আনিসুল
হক ও দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন নগরবাসীকে যে অঙ্গীকার করেছেন বৃষ্টি নামতে
না নামতেই মানুষ তাদের কথা স্মরণ করছেন। যেন তাদের প্রতিশ্রুতি ও ঝাড়ু হাতে
রাস্তা পরিষ্কারের দৃশ্য চোখে ভাসছে, কানে বাজছে। বৃষ্টি নামলেই ঢাকা উত্তর পানিতে ডুবছে। ঢাকা দক্ষিণ পানিতে ডুবছে।
পানিবন্দি মানুষ জীবন ও জীবিকার সন্ধানে বেরুতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগের
মুখোমুখি হচ্ছে। ঢাকার ফুটপাতগুলো হকারের দখলে। নোংরা, ময়লা আর আবর্জনার
স্তূপ নগরজুড়ে। এ সমস্যা একদিনের নয় আমরা জানি। দিনে দিনে দেনা বাড়ার মতো
পাহাড় তৈরি হয়েছে সমস্যার। একটি দেশের রাজধানী নগরীর এমন শ্রীহীন চেহারা
হওয়ার কথা নয়। অতীতের মেয়ররা হকারমুক্ত ফুটপাত, জলাবদ্ধতা মুক্ত সবুজ
পরিচ্ছন্ন ঢাকা দিতে পারেননি। নগর ভবনকে দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজি থেকে মুক্ত
করতে পারেননি।
নবনির্বাচিত দুই মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের মধুচন্দ্রিমাকাল এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু জনদুর্ভোগ যখন সামনে দাঁড়ায়, মানুষ তখন আশার চোখ তুলে মেয়রদের দিকে তাকায়। উত্তরের সিটি মেয়র আনিসুল হক রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও প্রশাসনিক দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলি, সৃজনশীলতা ও সততায় মানুষের কাছে আস্থাভাজন। অন্যদিকে দক্ষিণের মেয়র তরুণ সাঈদ খোকনও ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফপুত্র হিসেবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। ক্লিন ইমেজের এই তরুণও আনিসুল হকের মতো গতিময় পরিশ্রমী। দুই মেয়রের সাফল্য ব্যর্থতার হিসাব মেলানোর সময় এখন নয়। তবে যানজটে কার্যত ডেড সিটি ঢাকা নগরীর মৌলিক সমস্যা সমাধানে কি পদক্ষেপ তারা নিচ্ছেন তা জানার আগ্রহ নগরবাসীর রয়েছে। মেয়রদের যতটা ক্ষমতা দেয়ার কথা, উন্নত গণতান্ত্রিক দেশের তূলনায় তা কিছুই নয়। তবুও তাদের দল ক্ষমতায় থাকার কারণে নগরবাসী আশা করেন তাদের কর্মকাণ্ডে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। এ ক্ষেত্রে দুই মেয়রের প্যাকেজ প্রোগ্রাম কী, তা বাস্তবায়নের সময় কতটা- তাই জানতে চায় ঢাকার মানুষ। অন্তত একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মেয়ররা অল্প বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া ঢাকা নগরীকে উদ্ধার করতে কী পদক্ষেপ নিলেন তা যেমন জানানো দরকার, তেমনি যানজটমুক্ত করে এই নগরীকে ময়লা, দূষণ, হকারমুক্ত ফুটপাত ও সবুজ পরিচ্ছন্ন সুশ্রী ঢাকা গড়তে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তার রূপরেখা নগরবাসী জানতে চায়।
মেয়রের আসন ক্ষমতা-গর্বিত অভিষেক নয়, নগরবাসীর দুয়ারে সেবা পৌঁছে দেয়ার আস্থার জায়গা মাত্র। দুই মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর হোটেল সুন্দরবনের পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিং নিয়ে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় উত্তর থেকে আনিসুল হক ছুটে যান। দক্ষিণ থেকে আসেন সাঈদ খোকন। দু’জনের আন্তরিকতা ও পরিশ্রম নগরবাসীকে মুগ্ধ করেছে। কিন্তু নগরবাসী যদি তাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী সন্ত্রাস, জলাবদ্ধতা, ফুটপাতের হকার থেকে ঢাকা নগরীকে উদ্ধার করে পরিচ্ছন্ন সবুজ আদর্শনগরী উপহার দিতে না পারেন তাহলে তারা তাদের ভোটারদের সমালোচনার তীরে ক্ষতবিক্ষত হবেন। তাই বেশি কিছু চায় না নগরবাসী! অল্প বৃষ্টিতেই ঢাকা নগরী ডুবে যাক আর মেয়ররা ঘুমান তা চায় না। সামান্য চাওয়াটুকু নগরবাসীর। জলাবদ্ধতা, ফুটপাত দখলে রাখা হকার এবং যানজটমুক্ত ক্লিন সবুজ নগরীর নাগরিক হতে চায় মাত্র।
নবনির্বাচিত দুই মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের মধুচন্দ্রিমাকাল এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু জনদুর্ভোগ যখন সামনে দাঁড়ায়, মানুষ তখন আশার চোখ তুলে মেয়রদের দিকে তাকায়। উত্তরের সিটি মেয়র আনিসুল হক রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও প্রশাসনিক দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলি, সৃজনশীলতা ও সততায় মানুষের কাছে আস্থাভাজন। অন্যদিকে দক্ষিণের মেয়র তরুণ সাঈদ খোকনও ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফপুত্র হিসেবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয়। ক্লিন ইমেজের এই তরুণও আনিসুল হকের মতো গতিময় পরিশ্রমী। দুই মেয়রের সাফল্য ব্যর্থতার হিসাব মেলানোর সময় এখন নয়। তবে যানজটে কার্যত ডেড সিটি ঢাকা নগরীর মৌলিক সমস্যা সমাধানে কি পদক্ষেপ তারা নিচ্ছেন তা জানার আগ্রহ নগরবাসীর রয়েছে। মেয়রদের যতটা ক্ষমতা দেয়ার কথা, উন্নত গণতান্ত্রিক দেশের তূলনায় তা কিছুই নয়। তবুও তাদের দল ক্ষমতায় থাকার কারণে নগরবাসী আশা করেন তাদের কর্মকাণ্ডে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। এ ক্ষেত্রে দুই মেয়রের প্যাকেজ প্রোগ্রাম কী, তা বাস্তবায়নের সময় কতটা- তাই জানতে চায় ঢাকার মানুষ। অন্তত একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মেয়ররা অল্প বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়া ঢাকা নগরীকে উদ্ধার করতে কী পদক্ষেপ নিলেন তা যেমন জানানো দরকার, তেমনি যানজটমুক্ত করে এই নগরীকে ময়লা, দূষণ, হকারমুক্ত ফুটপাত ও সবুজ পরিচ্ছন্ন সুশ্রী ঢাকা গড়তে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তার রূপরেখা নগরবাসী জানতে চায়।
মেয়রের আসন ক্ষমতা-গর্বিত অভিষেক নয়, নগরবাসীর দুয়ারে সেবা পৌঁছে দেয়ার আস্থার জায়গা মাত্র। দুই মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর হোটেল সুন্দরবনের পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিং নিয়ে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় উত্তর থেকে আনিসুল হক ছুটে যান। দক্ষিণ থেকে আসেন সাঈদ খোকন। দু’জনের আন্তরিকতা ও পরিশ্রম নগরবাসীকে মুগ্ধ করেছে। কিন্তু নগরবাসী যদি তাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী সন্ত্রাস, জলাবদ্ধতা, ফুটপাতের হকার থেকে ঢাকা নগরীকে উদ্ধার করে পরিচ্ছন্ন সবুজ আদর্শনগরী উপহার দিতে না পারেন তাহলে তারা তাদের ভোটারদের সমালোচনার তীরে ক্ষতবিক্ষত হবেন। তাই বেশি কিছু চায় না নগরবাসী! অল্প বৃষ্টিতেই ঢাকা নগরী ডুবে যাক আর মেয়ররা ঘুমান তা চায় না। সামান্য চাওয়াটুকু নগরবাসীর। জলাবদ্ধতা, ফুটপাত দখলে রাখা হকার এবং যানজটমুক্ত ক্লিন সবুজ নগরীর নাগরিক হতে চায় মাত্র।
No comments