আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘনের আশঙ্কা পরিবেশবাদীদের
রাজধানী
ঢাকার মোগল স্থাপত্যের নিদর্শন লালবাগ কেল্লার দেয়াল ভেঙে গাড়ি রাখার
স্থান তৈরির কাজ বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন হতে পারে বলে আশঙ্কা
প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর কলাবাগানে
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশবাদীরা এ
আশঙ্কার কথা জানান।
সম্প্রতি লালবাগ কেল্লার দেয়াল ভেঙে ভেতরে গাড়ি রাখার স্থান তৈরির কাজ শুরু করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এর কড়া প্রতিবাদ জানায় পবাসহ দেশের বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠন। এ ব্যাপারে গত রোববার আদালতে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ রিট আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং কেন এই জায়গা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন। গতকাল বেলা একটার দিকে কলাবাগানে পবার কার্যালয়ে পবাসহ ১৭টি সংগঠন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ‘আগে বিভিন্ন ঘটনায় দেখা গেছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কৌশলে কাজ শেষ করে নেওয়া হয়েছে। পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা থেকেই লালবাগ কেল্লার ক্ষেত্রেও দেয়াল ভেঙে গাড়ি রাখার স্থান তৈরি বন্ধে আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘনের আশঙ্কা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পবার সম্পাদক সাজ্জাদুর রশিদ। সাজ্জাদুর বলেন, ‘এভাবে ঐতিহাসিক স্থাপনা ভেঙে গাড়ি রাখার স্থান তৈরি করা জাতির জন্য লজ্জাজনক।
এ ঘটনা বাংলাদেশ সংবিধানের ২৪ নম্বর অনুচ্ছেদ, ১৯৬৮ সালের পুরাকীর্তি আইন, ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ এবং হাইকোর্টের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আলেয়া পারভীন বলেন, ‘আসলে ব্যবসায়িক স্বার্থে গাড়ি রাখার স্থান তৈরি করা হচ্ছে। লালবাগ কেল্লার আশপাশে অনেকেই রেন্ট-এ–কারের ব্যবসা করেন। তাঁদের গাড়িগুলোই ওই স্থানে রাখার চক্রান্ত করা হচ্ছে। ফলে সেখানে পরিবেশদূষণ ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হতে পারে।’
লিখিত বক্তব্যে বিভিন্ন সুপারিশ ও কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করা হয়। সুপারিশগুলোর মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে গাড়ি রাখার স্থান তৈরি করলে বিভাগীয় ও প্রচলিত আইনে শাস্তি প্রদান, গাড়ি রাখার স্থান তৈরির ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন, ছুটির দিনে লালবাগ কেল্লাসংলগ্ন এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়িসহ অন্য ভারী যানবাহন প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।
এ ছাড়া কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে আজ মঙ্গলবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুপারিশ প্রদান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নাগরিক সমাবেশ আয়োজন, বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি।
পবা ছাড়াও বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা), ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি), নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম, প্রত্যাশাসহ ১৭টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের পর লালবাগ কেল্লার ওই স্থানে গিয়ে কোনো শ্রমিককে দেখা যায়নি। তবে ভাঙা দেয়ালের সামনে পড়ে ছিল বালুর স্তূপ। ভেতরেও বালুর স্তূপ দেখা যায়। পুরো মাঠেই ইট বিছানো। পাশেই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীন লালবাগ কেল্লা পরিচালনাকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যালয়।
কার্যালয়ের কলাপসিবল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বসে ছিলেন এক নিরাপত্তাকর্মী। পরিচয় দিয়ে লালবাগ কেল্লার কাস্টোডিয়ান সুলতানা জাকিয়া বেদৌরার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ওই নিরাপত্তাকর্মী ভিজিটিং কার্ড নিয়ে ভেতরে যান। ফিরে এসে জানান, সুলতানা জাকিয়া কার্যালয়ে নেই।
পরে সুলতানা জাকিয়ার মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
সম্প্রতি লালবাগ কেল্লার দেয়াল ভেঙে ভেতরে গাড়ি রাখার স্থান তৈরির কাজ শুরু করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। এর কড়া প্রতিবাদ জানায় পবাসহ দেশের বিভিন্ন পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠন। এ ব্যাপারে গত রোববার আদালতে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ রিট আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং কেন এই জায়গা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন। গতকাল বেলা একটার দিকে কলাবাগানে পবার কার্যালয়ে পবাসহ ১৭টি সংগঠন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনে পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ‘আগে বিভিন্ন ঘটনায় দেখা গেছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কৌশলে কাজ শেষ করে নেওয়া হয়েছে। পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা থেকেই লালবাগ কেল্লার ক্ষেত্রেও দেয়াল ভেঙে গাড়ি রাখার স্থান তৈরি বন্ধে আদালতের নির্দেশ লঙ্ঘনের আশঙ্কা করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পবার সম্পাদক সাজ্জাদুর রশিদ। সাজ্জাদুর বলেন, ‘এভাবে ঐতিহাসিক স্থাপনা ভেঙে গাড়ি রাখার স্থান তৈরি করা জাতির জন্য লজ্জাজনক।
এ ঘটনা বাংলাদেশ সংবিধানের ২৪ নম্বর অনুচ্ছেদ, ১৯৬৮ সালের পুরাকীর্তি আইন, ঢাকা ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০০৮ এবং হাইকোর্টের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আলেয়া পারভীন বলেন, ‘আসলে ব্যবসায়িক স্বার্থে গাড়ি রাখার স্থান তৈরি করা হচ্ছে। লালবাগ কেল্লার আশপাশে অনেকেই রেন্ট-এ–কারের ব্যবসা করেন। তাঁদের গাড়িগুলোই ওই স্থানে রাখার চক্রান্ত করা হচ্ছে। ফলে সেখানে পরিবেশদূষণ ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হতে পারে।’
লিখিত বক্তব্যে বিভিন্ন সুপারিশ ও কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করা হয়। সুপারিশগুলোর মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে গাড়ি রাখার স্থান তৈরি করলে বিভাগীয় ও প্রচলিত আইনে শাস্তি প্রদান, গাড়ি রাখার স্থান তৈরির ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন, ছুটির দিনে লালবাগ কেল্লাসংলগ্ন এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়িসহ অন্য ভারী যানবাহন প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।
এ ছাড়া কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে আজ মঙ্গলবার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সুপারিশ প্রদান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নাগরিক সমাবেশ আয়োজন, বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি।
পবা ছাড়াও বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (বাপা), ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি), নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম, প্রত্যাশাসহ ১৭টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের পর লালবাগ কেল্লার ওই স্থানে গিয়ে কোনো শ্রমিককে দেখা যায়নি। তবে ভাঙা দেয়ালের সামনে পড়ে ছিল বালুর স্তূপ। ভেতরেও বালুর স্তূপ দেখা যায়। পুরো মাঠেই ইট বিছানো। পাশেই প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীন লালবাগ কেল্লা পরিচালনাকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যালয়।
কার্যালয়ের কলাপসিবল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বসে ছিলেন এক নিরাপত্তাকর্মী। পরিচয় দিয়ে লালবাগ কেল্লার কাস্টোডিয়ান সুলতানা জাকিয়া বেদৌরার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ওই নিরাপত্তাকর্মী ভিজিটিং কার্ড নিয়ে ভেতরে যান। ফিরে এসে জানান, সুলতানা জাকিয়া কার্যালয়ে নেই।
পরে সুলতানা জাকিয়ার মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
No comments