ভোগান্তির তিন কারণ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এবার তুলনামূলকভাবে খানাখন্দ কম। সীতাকুণ্ড থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত অংশে কিছু খানাখন্দ রয়েছে। তবে মহাসড়কের কুমিল্লা থেকে ফেনী পর্যন্ত অংশে নির্মাণাধীন দুটি উড়ালসড়ক ও একটি সেতু মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপনে ঘরমুখী মানুষের যাত্রায় ভোগান্তি দিতে পারে।
গত রবি ও সোমবার এই প্রতিবেদক ও একজন ফটোসাংবাদিক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘুরে এ চিত্র পেয়েছেন। ২৪২ কিলোমিটারের এই মহাসড়কের ১৪২ কিলোমিটার অংশ চার লেন হয়েছে। তবে এর বেশির ভাগেই সড়ক বিভাজক তৈরি হয়নি। ফলে মাঝখানে বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হওয়া কাদা সড়কে চলে এসেছে। কাজ শেষ হওয়া সড়ক বিভাজকের কিছু কিছু স্থানে স্থানীয় লোকজন শাকসবজির চাষ করেছে।
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত মহাসড়ক আট লেনের। এরপর থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত চার লেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন করার কাজ শুরু হয়েছে দাউদকান্দি টোল প্লাজার পর থেকে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে রোববার সকালে সরেজমিনে যাত্রা শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। দাউদকান্দি পর্যন্ত যেতে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। দুপুর ১২টার দিকে ইলিয়টগঞ্জে গিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়। সেখানে মহাসড়কে কাদামাটি জমে আছে, বিভিন্ন স্থানে দেখা গেল গর্তও। এখানে একটি সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। যানজট না হলেও গাড়ির গতি কিছুটা কমে আসে।
ইলিয়টগঞ্জে নির্মাণাধীন সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৯ মিটার। ২২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতু, কুমিল্লা ও ফেনীতে একটি করে উড়ালসড়ক নির্মাণে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শিখো-পিবিএলকে (যৌথ) নিয়োগ করা হয়। দুই বছরে এগুলোর কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত মাত্র ৫৪ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইলিয়টগঞ্জ থেকে চান্দিনা ও ময়নামতি হয়ে পদুয়ার বাজার উড়ালসড়কের কাছে পৌঁছাতে বেজে যায় বেলা দেড়টা। মহাসড়কের এই অংশ পাড়ি দিতে বড় কোনো বিপত্তি দেখা যায়নি। তবে স্থানে স্থানে ছোট ছোট গর্ত আছে। ময়নামতি এলাকায় গর্তগুলো মেরামত করা হচ্ছে।
পদুয়ার বাজার উড়ালসড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫০ মিটার। এটির কাজ হয়েছে ৭২ শতাংশ। রোববার সেখানেই প্রথম যানজটে পড়তে হয় এবং প্রায় এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লেগে যায় এক ঘণ্টা। এ সময় মহাসড়কের বড় বড় গর্তগুলো আস্ত ইট দিয়ে ঢেকে দেওয়ার কাজ করছিলেন একদল শ্রমিক। আরেক দলকে দেখা গেল পাশের নালা থেকে কাদা তুলতে। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর মাটি-বালু কাদা হয়ে নালা ভরাট করে ফেলেছে।
স্থানীয় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী আবদুল আলিম বলেন, বৃষ্টি হলে এই স্থানে হাঁটুপানি জমে যায়। স্বাভাবিক সময়ে ধুলায় অন্ধকার থাকে। আর যানজট তো নৈমিত্তিক ব্যাপার।
কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল বলেন, উড়ালসড়ক নির্মাণকাজের কারণে মহাসড়ক কিছুটা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে গাড়ির গতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারে নেমে আসে, যানজট হয়। বৃহস্পতি ও শুক্রবার সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় মানুষকে।
পদুয়ার বাজার উড়ালসড়কের পর থেকে মহাসড়কে আরেক আপদের শুরু। বড় ট্রাক কিংবা বাসের আরোহী না হয়ে ছোট গাড়ির যাত্রী হলে তা টের পাওয়া যায়। আর তা হচ্ছে ‘ঢেউখেলানো’ সড়ক। এই ঢেউ ফেনীর শেষ সীমানা পর্যন্ত পৌঁছেছে। মহাসড়কের দুই পাশ ঘেঁষে যে নিশানা ধরে যান চলে, সেই পথে লম্বালম্বি উঁচু-নিচু পথ তৈরি হয়েছে। এতে যানবাহন ডানে-বাঁয়ে সরাতে বিপত্তিতে পড়েন চালকেরা। ওই অংশে রোববার দুটি ট্রাক উল্টে খাদে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ফেনী উড়ালসড়কের কাছে পৌঁছাতে বেজে যায় বেলা তিনটা। সেখানেও পদুয়ার বাজারের মতো মহাসড়ক সরু হয়ে যাওয়ার কারণে যানবাহনের গতি কম। যানজটে আটকে থাকতে হয় ৩০ মিনিট। এই উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ৮৬ মিটার। এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ৪২ শতাংশ।
ফেনী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত অংশে চার লেনের কাজ সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে। তবে একটানা না হওয়ায় যানচালকেরা এর পুরো সুফল পাচ্ছেন না। ঠিকাদাররা কিছু স্থানে সড়কের ওপর মাটির ঢিবি দিয়ে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করেছেন।
ফেনী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মহাসড়কের পুরোনো অংশে বেশ কিছু স্থানে বড় বড় গর্ত দেখা গেল। এর মধ্যে বেশি গর্ত সীতাকুণ্ড পৌর বাইপাসের প্রায় এক কিলোমিটার অংশে। গত বছর বর্ষায় সেখানকার প্রায় ১০০ মিটার অংশ যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। সেখানে এখন কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে স্থায়ী মেরামত করা হয়েছে।
ফেনী থেকে চট্টগ্রামের জুবিলী রোডে যখন গাড়ি পৌঁছায়, ততক্ষণে ইফতারের জন্য মানুষের ছুটাছুটি শুরু হয়ে গেছে। অর্থাৎ প্রাইভেট গাড়িতে এই ভ্রমণ শেষ হয় প্রায় আট ঘণ্টায়। তবে পথে পথে নেমে পর্যবেক্ষণ না করলে আরও আগেই পৌঁছানো সম্ভব হতো।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পের পরিচালক ইবনে আলম হাসান গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, নতুন যে ১৪২ কিলোমিটার সম্পন্ন হয়েছে, ঈদে এর পুরোটাই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এখনো বেশির ভাগ নতুন পথ চালু আছে। গর্তও দেখার সঙ্গে সঙ্গেই মেরামত করা হচ্ছে। এবার সমস্যা হবে না। উড়ালসড়কের কাজের ধীরগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা নিয়ে উচ্চপর্যায়ে বৈঠক চলছে।
মহাসড়কে ঢেউয়ের মতো অবস্থা সৃষ্টির বিষয়ে ইবনে আলম হাসান বলেন, ঢেউ মেরামত করা হয়েছে। চার লেনের কাজ শেষ হলে আর ঢেউ থাকবে না।
নতুন সড়কে ভাঙন: চট্টগ্রামের কুমিরা বাইপাস থেকে সিটি গেট পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ পায় তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড। এ পর্যন্ত ৮৪ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে মাদাম বিবির হাট এলাকায় নতুন সড়কেও বড় বড় গর্ত দেখা যায়। সোমবার ঢাকায় ফেরার পথে এসব গর্তে আস্ত ইট ফেলছিলেন শ্রমিকেরা। পিচ ঢেলে রোলার দিয়ে সেগুলো সমান করার কাজ চলছিল। বার আউলিয়া এলাকায়ও নতুন সড়কে মেরামতের চিহ্ন দেখা যায়।
এ বিষয়ে ইবনে আলম হাসান বলেন, নতুন সড়কেও টুকটাক সমস্যা থাকতে পারে। এ জন্যই ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত রবি ও সোমবার এই প্রতিবেদক ও একজন ফটোসাংবাদিক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘুরে এ চিত্র পেয়েছেন। ২৪২ কিলোমিটারের এই মহাসড়কের ১৪২ কিলোমিটার অংশ চার লেন হয়েছে। তবে এর বেশির ভাগেই সড়ক বিভাজক তৈরি হয়নি। ফলে মাঝখানে বৃষ্টির পানি জমে তৈরি হওয়া কাদা সড়কে চলে এসেছে। কাজ শেষ হওয়া সড়ক বিভাজকের কিছু কিছু স্থানে স্থানীয় লোকজন শাকসবজির চাষ করেছে।
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত মহাসড়ক আট লেনের। এরপর থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত চার লেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন করার কাজ শুরু হয়েছে দাউদকান্দি টোল প্লাজার পর থেকে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে রোববার সকালে সরেজমিনে যাত্রা শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। দাউদকান্দি পর্যন্ত যেতে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। দুপুর ১২টার দিকে ইলিয়টগঞ্জে গিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়। সেখানে মহাসড়কে কাদামাটি জমে আছে, বিভিন্ন স্থানে দেখা গেল গর্তও। এখানে একটি সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। যানজট না হলেও গাড়ির গতি কিছুটা কমে আসে।
ইলিয়টগঞ্জে নির্মাণাধীন সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৯ মিটার। ২২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতু, কুমিল্লা ও ফেনীতে একটি করে উড়ালসড়ক নির্মাণে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শিখো-পিবিএলকে (যৌথ) নিয়োগ করা হয়। দুই বছরে এগুলোর কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত মাত্র ৫৪ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইলিয়টগঞ্জ থেকে চান্দিনা ও ময়নামতি হয়ে পদুয়ার বাজার উড়ালসড়কের কাছে পৌঁছাতে বেজে যায় বেলা দেড়টা। মহাসড়কের এই অংশ পাড়ি দিতে বড় কোনো বিপত্তি দেখা যায়নি। তবে স্থানে স্থানে ছোট ছোট গর্ত আছে। ময়নামতি এলাকায় গর্তগুলো মেরামত করা হচ্ছে।
পদুয়ার বাজার উড়ালসড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫০ মিটার। এটির কাজ হয়েছে ৭২ শতাংশ। রোববার সেখানেই প্রথম যানজটে পড়তে হয় এবং প্রায় এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লেগে যায় এক ঘণ্টা। এ সময় মহাসড়কের বড় বড় গর্তগুলো আস্ত ইট দিয়ে ঢেকে দেওয়ার কাজ করছিলেন একদল শ্রমিক। আরেক দলকে দেখা গেল পাশের নালা থেকে কাদা তুলতে। কয়েক দিনের বৃষ্টির পর মাটি-বালু কাদা হয়ে নালা ভরাট করে ফেলেছে।
স্থানীয় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী আবদুল আলিম বলেন, বৃষ্টি হলে এই স্থানে হাঁটুপানি জমে যায়। স্বাভাবিক সময়ে ধুলায় অন্ধকার থাকে। আর যানজট তো নৈমিত্তিক ব্যাপার।
কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল বলেন, উড়ালসড়ক নির্মাণকাজের কারণে মহাসড়ক কিছুটা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। ফলে গাড়ির গতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটারে নেমে আসে, যানজট হয়। বৃহস্পতি ও শুক্রবার সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় মানুষকে।
পদুয়ার বাজার উড়ালসড়কের পর থেকে মহাসড়কে আরেক আপদের শুরু। বড় ট্রাক কিংবা বাসের আরোহী না হয়ে ছোট গাড়ির যাত্রী হলে তা টের পাওয়া যায়। আর তা হচ্ছে ‘ঢেউখেলানো’ সড়ক। এই ঢেউ ফেনীর শেষ সীমানা পর্যন্ত পৌঁছেছে। মহাসড়কের দুই পাশ ঘেঁষে যে নিশানা ধরে যান চলে, সেই পথে লম্বালম্বি উঁচু-নিচু পথ তৈরি হয়েছে। এতে যানবাহন ডানে-বাঁয়ে সরাতে বিপত্তিতে পড়েন চালকেরা। ওই অংশে রোববার দুটি ট্রাক উল্টে খাদে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
ফেনী উড়ালসড়কের কাছে পৌঁছাতে বেজে যায় বেলা তিনটা। সেখানেও পদুয়ার বাজারের মতো মহাসড়ক সরু হয়ে যাওয়ার কারণে যানবাহনের গতি কম। যানজটে আটকে থাকতে হয় ৩০ মিনিট। এই উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ৮৬ মিটার। এ পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ৪২ শতাংশ।
ফেনী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত অংশে চার লেনের কাজ সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে। তবে একটানা না হওয়ায় যানচালকেরা এর পুরো সুফল পাচ্ছেন না। ঠিকাদাররা কিছু স্থানে সড়কের ওপর মাটির ঢিবি দিয়ে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করেছেন।
ফেনী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মহাসড়কের পুরোনো অংশে বেশ কিছু স্থানে বড় বড় গর্ত দেখা গেল। এর মধ্যে বেশি গর্ত সীতাকুণ্ড পৌর বাইপাসের প্রায় এক কিলোমিটার অংশে। গত বছর বর্ষায় সেখানকার প্রায় ১০০ মিটার অংশ যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। সেখানে এখন কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে স্থায়ী মেরামত করা হয়েছে।
ফেনী থেকে চট্টগ্রামের জুবিলী রোডে যখন গাড়ি পৌঁছায়, ততক্ষণে ইফতারের জন্য মানুষের ছুটাছুটি শুরু হয়ে গেছে। অর্থাৎ প্রাইভেট গাড়িতে এই ভ্রমণ শেষ হয় প্রায় আট ঘণ্টায়। তবে পথে পথে নেমে পর্যবেক্ষণ না করলে আরও আগেই পৌঁছানো সম্ভব হতো।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন প্রকল্পের পরিচালক ইবনে আলম হাসান গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, নতুন যে ১৪২ কিলোমিটার সম্পন্ন হয়েছে, ঈদে এর পুরোটাই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এখনো বেশির ভাগ নতুন পথ চালু আছে। গর্তও দেখার সঙ্গে সঙ্গেই মেরামত করা হচ্ছে। এবার সমস্যা হবে না। উড়ালসড়কের কাজের ধীরগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা নিয়ে উচ্চপর্যায়ে বৈঠক চলছে।
মহাসড়কে ঢেউয়ের মতো অবস্থা সৃষ্টির বিষয়ে ইবনে আলম হাসান বলেন, ঢেউ মেরামত করা হয়েছে। চার লেনের কাজ শেষ হলে আর ঢেউ থাকবে না।
নতুন সড়কে ভাঙন: চট্টগ্রামের কুমিরা বাইপাস থেকে সিটি গেট পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ পায় তাহের ব্রাদার্স লিমিটেড। এ পর্যন্ত ৮৪ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে মাদাম বিবির হাট এলাকায় নতুন সড়কেও বড় বড় গর্ত দেখা যায়। সোমবার ঢাকায় ফেরার পথে এসব গর্তে আস্ত ইট ফেলছিলেন শ্রমিকেরা। পিচ ঢেলে রোলার দিয়ে সেগুলো সমান করার কাজ চলছিল। বার আউলিয়া এলাকায়ও নতুন সড়কে মেরামতের চিহ্ন দেখা যায়।
এ বিষয়ে ইবনে আলম হাসান বলেন, নতুন সড়কেও টুকটাক সমস্যা থাকতে পারে। এ জন্যই ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
No comments